Monday 30 September 2013

দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ভেতরে আক্রান্ত CITU কর্মী - নেতৃবৃন্দ ।


দুর্গাপুর , ৩০শে সেপ্টেম্বর : আজ সকালবেলায়  দুর্গাপুর  ইস্পাত কারখানার ভেতরে  INTTUC-র  দুষ্কৃতিবাহিনী ,  দুর্গাপুর  ইস্পাত কারখানার স্হায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের   ঐতিহ্যবাহী লড়াকু সংগঠন   হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ( HSEU) ,CITU  - এর   কর্মী - নেতৃবৃন্দের উপর  দফায় দফায়   আক্রমন চালায় । এই ঘটনায় আহত হয়েছেন  ইস্পাত কারখানার স্হায়ী শ্রমিক - কবিরঞ্জন দাসগুপ্ত , শেখর মুখার্জী ,  পূজন ( আশীষতরু  ) চক্রবর্তী  সহ   আরও  অনেকে  ।   এই  হামলার ঘটনাকে  ,  CITU-এর    বর্ধমান   জেলা  কমিটি   , পঃ বঙ্গ   রাজ্য   কমিটি   এবং   কেন্দ্রীয়  কমিটর   পক্ষ থেকে  তীব্র  ভাষায়  নিন্দা  করা  হয়েছে   এবং  দোষীদের   অবিলম্বে  শাস্তির  দাবী  করা  হয়েছে  । 


    ইস্পাতনগরীর   আশীষ-জব্বর    ভবনে  আয়োজিত   এক   সাংবাদিক  সম্মেলনে  , ভারতের   কমিউনিষ্ট   পার্টি    ( মার্কসবাদী  ) দুর্গাপুর ১এ  জোনাল   কমিটির   সম্পাদক  কমঃ  সন্তোষ  দেবরায়  জানান যে  গত ২৫শে  সেপ্টে:  মুম্বাইতে  , SAIL- কর্তৃপক্ষ ও  শ্রমিক-ইউনিয়নগুলির মধ্য যে বাৎসরিক বোনাস-চুক্তি  হয়েছে - তার  বিরোধীতা  করছে  INTTUC ( তৃনমূলী ) ।

কিন্ত বিরোধীতা করার জন্য শ্রমিকদের সংগঠিত করার পরিবর্তে INTTUC -এর পক্ষ থেকে  গত ২৬শে সেপ্টে: সন্ধ্যাবেলায় ,  ইস্পাতনগরীর   HSEU ( CITU) ও INTUC-এর দফ্তরে  হামলা চালানো হয় ।  পুলিশের কাছে এই ঘটনার অভিযোগ জানানো হয়েছে এবং গত ২৭শে  সেপ্টে:  এই হামলার প্রতিবাদে HSEU-এর ইউনিয়ন-দফ্তরে স্হায়ী শ্রমিকদের এক কনভেনশন্ অনুষ্ঠিত হয় । কিন্তু , আজ সকালবেলায় , দুর্গাপুর  ইস্পাত কারখানার ভেতরে প্ল্যান্ট-সিভিলে , HSEU-এর ইউনিয়ন-দফ্তরে ফের INTTUC-এর দুষ্কৃতি-বাহিনী হামলা চালায় , নেতৃস্হানীয় শ্রমিকের জখম করে । এমন কি , প্ল্যান্ট-মেডিক্যালে আহতদের চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হয় । এই হামলার প্রতিবাদে , HSEU- এর ডাকে সারা দিয়ে , শ্রমিকরা যখন ED-WORKS এর বিক্ষোভ-জমায়েতে সামিল হচ্ছিলেন , তখন কারখানার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা CISF-এর সামনেই ফের হামলা চালায় , INTTUC-এর দুষ্কৃতি-বাহিনী এবং বহু শ্রমিক আহত হয় । আশ্চর্যজনকভাবে দুর্গাপুর  ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষও , কারখানার ভেতরে শ্রমিকের উপর হামলা হলেও ,  নীরবতা পালন করছে । কমঃ সন্তোষ  দেবরায় জানান যে গোটা বিষয়টিকে জানিয়ে , SAIL-কর্তৃপক্ষ ও পঃবঙ্গের রাজ্যপালের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং ইস্পাত মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির সদস্য সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীকে অবহিত করা হয়েছে । অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে , HSEU-এর OB-কনভেনর্ কমঃ অরুন চৌধুরী জানান যে , গত  ৩ বৎসর ধরে SAIL-র মুনাফা  ক্রমান্বয়   হ্রাসের জন্য , SAIL- কর্তৃপক্ষ   বাৎসরিক  পূজা -বোনাসের পরিমান কমাতে চাইলেও , তা প্রতিরোধ করা গেছে । তাই ,  পূজা -বোনাসকে  কেন্দ্র  করে   INTTUC-র অভিযোগ হাস্যকর । তবে , ইস্পাত শ্রমিকদের বর্ধিত বোনাস-বেতনের দাবীতে CITU -র লড়াই জারী থাকবে । কমঃ সন্তোষ  দেবরায় আরও জানান যে এই হামলার বিরুদ্ধে  এবং দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবীতে ,    আরও বৃহত্তর কর্মসূচী নেওয়া হব এবং আজ ও আগামীকাল ,    এই হামলার বিরুদ্ধে  এবং দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবীতে ,        ইস্পাতনগরীতে যথাক্রমে বি'জোন ও এ'জোন - এ দুটি প্রতিবাদ   মিছিল সংগঠিত করা হবে পার্টির পক্ষ থেকে ।
প্রসঙ্গত , বিগত ২০১১ সালের ২১শে মে তারিখে , পঃ বঙ্গে তৃনমূলী-সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অভ্যন্তরে এবং বাইরে ,দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার স্হায়ী শ্রমিকদের ঐতিহ্যবাহী লড়াকু সংগঠন   হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ( HSEU)  নেতৃত্ব ও সাধারন সদস্যদের উপর , তৃনমূলী দুষ্কৃতিরা বারংবার হামলা চালিয়েছে , সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জোর করে দখল করেছে ব্যাঙ্ক - কো অপারেটিভ সহ বিভিন্ন সংস্হার পরিচালনা কমিটির  এবং গত ৯ই এপ্রিল , তৃনমূলী দুষ্কৃতিরা হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ( HSEU) দফ্তরে ভাঙ্গচূড় চালায় । কিন্তু , শত আক্রমনের সামনে অটল রয়েছেন HSEU (CITU)-র নেতৃত্ব ও সাধারন সদস্যরা ।  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার স্হায়ী শ্রমিক-কর্মচারী ও  রাষ্ট্রায়ত্ত  SAIL-ভুক্ত  ইস্পাত  শ্রমিক-কর্মচারীদের পূর্ণ আস্হা রয়েছে CITU-র প্রতি । বিশেষতঃ , NJCS-এর অবিলম্বে  ন্যায়সংগত  ফয়সালার  দাবী   এবং  সাম্প্রতিককালে  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনিকীকরণ - সম্প্রসারন , কোয়ার্টার লিজিং  এবং স্হায়ী-শ্রমিকদের কাজের জায়গায় ঠিকা-শ্রমিকদের নিয়োগের ( আউট-সোর্সিং) বিরোধীতা , INTTUC-এর নেতৃত্বে  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায়  CITU-ভূক্ত  ৩৫০০ ঠিকা-শ্রমিকের  উচ্ছেদের বিরোধীতায়  , HSEU ( CITU ) এর বলিষ্ঠ ভূমিকা  , ইতিমধ্যই   দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার স্হায়ী শ্রমিক-কর্মচারী  ও  ঠিকা-শ্রমিকের  মধ্যে  সাড়া   জাগিয়েছে   ।  

বিকালে , HSEU-র ইউনিয়ন-দফ্তর থেকে মিছিল শুরু হয়ে  বি'জোনের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ,চণ্ডীদাস মার্কেটে এক পথসভার মাধ্যমে , আজকের কর্মসূচী শেষ হয় ।







Friday 27 September 2013

হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ( CITU ) দফ্তরে তৃনমূলী দুষ্কৃতিদের বাইক-বাহিনীর হামলা ।


দুর্গাপুর , ২৭শে সেপ্টেম্বর : গতকাল , সন্ধ্যবেলায়  ইস্পাতনগরীর বি'জোনের ১নং বিদ্যাসাগর এভিন্যু-র , হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ( HSEU) ও স্টিল ওয়ার্কাস অফ ইন্ডিয়া ( SWFI )- CITU-র , দফ্তরে তৃনমূলী দুষ্কৃতিদের বাইক-বাহিনী  হামলা চালায় । সেই সময়ে ইউনিয়ন-দফ্তরে  ইউনিয়নের  কয়েকজন OB -সদস্য সহ কয়েকজন সাধারন সদস্যও উপস্হিত ছিলেন । তৃনমূলী দুষ্কৃতিরা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাননাশের হুমকি দেয় । একই সাথে , ঐ তৃনমূলী দুষ্কৃতিরা , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অভ্যন্তরে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নেতৃত্বর উপরে হামলা চালানোর  হুমকি দেয় । প্রসঙ্গত , বিগত ২০১১ সালের ২১শে মে তারিখে , পঃ বঙ্গে তৃনমূলী-সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অভ্যন্তরে এবং বাইরে ,দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার স্হায়ী শ্রমিকদের ঐতিহ্যবাহী লড়াকু সংগঠন   হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ( HSEU)  ও  সর্বভারতীয় ইস্পাত শ্রমিকদের  সংগঠন   স্টিল ওয়ার্কাস অফ ইন্ডিয়া ( SWFI )-র নেতৃত্ব ও সাধারন সদস্যদের উপর , তৃনমূলী দুষ্কৃতিরা বারংবার হামলা চালিয়েছে , সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জোর করে দখল করেছে ব্যাঙ্ক - কো অপারেটিভ সহ বিভিন্ন সংস্হার পরিচালনা কমিটির  এবং গত ৯ই এপ্রিল , তৃনমূলী দুষ্কৃতিরা হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ( HSEU) ও স্টিল ওয়ার্কাস অফ ইন্ডিয়া ( SWFI )-র ,    CITU , দফ্তরে ভাঙ্গচূড় চালায় । কিন্তু , শত আক্রমনের সামনে অটল রয়েছেন HSEU-SWFI (CITU)-র নেতৃত্ব ও সাধারন সদস্যরা ।  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার স্হায়ী শ্রমিক-কর্মচারী ও  রাষ্ট্রায়ত্ত  SAIL-ভুক্ত  ইস্পাত  শ্রমিক-কর্মচারীদের পূর্ণ আস্হা রয়েছে CITU-র প্রতি । বিশেষতঃ , সাম্প্রতিককালে  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনিকীকরণ - সম্প্রসারন , কোয়ার্টার লিজিং  এবং স্হায়ী-শ্রমিকদের কাজের জায়গায় ঠিকা-শ্রমিকদের নিয়োগের ( আউট-সোর্সিং) বিরোধীতায় , HSEU-এর নেতৃত্বদানকারী ভূমিকায়   ভীত হয়েই , গতকালের   মরিয়া  হামলা চালিয়েছে তৃনমূলী দুষ্কৃতিরা ।  আউট-সোর্সিং-কে  কে কেন্দ্র করে   তৃণমূল - ঠিকাদারদের যে অসাধু উপার্জনের  চক্র গড়ে উঠেছে , তার বিরুদ্ধে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার স্হায়ী শ্রমিক-কর্মচারীরা যে শক্তিশালী যৌথ-আন্দোলন গড়ে তুলছেন , তাকে বিচ্যূত করার উদ্দ্যেশেই  যে পূজা-বোনাসের সম্পর্কে মিথ্যা-বিভ্রান্তিকর ও হাস্যকর  প্রচার ও তাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন-দফ্তরে হামলা  -  তা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার স্হায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের কাছে পরিষ্কার ।


          গতকালের , হামলার বিরোধীতায় , আজ  HSEU-র   ইউনিয়ন দফ্তরের বি টি রণদিভে ভবনে    HSEU আয়োজিত ভীড়ে-ঠাসা শ্রমিক কনভেনশনে তৃনমূলী দুষ্কৃতিদের আক্রমনের তীব্র নিন্দা করে , আগামী দিনে আরও  তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গীকার করা হয় । বক্তব্য রাখেন , কমঃ অরুন চৌধুরী , বিশ্বরূপ ব্যানার্জী  ও ললিত মিশ্র ।সভাপতিত্ব করেন কমঃ   বাদল  মজুমদার    ।




 

Sunday 22 September 2013

সিআইটিউ অনুমোদিত হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ( দুর্গাপুর ইস্পাত শাখা ) ট্রেড ইউনিয়ন শিক্ষা শিবির ।



দুর্গাপুর , ২২শে সেপ্টেম্বর : আজ হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (দুর্গাপুর ইস্পাত শাখা ) ট্রেড ইউনিয়ন    শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হোল  ইস্পাতনগরীর ১নং বিদ্যাসাগর এভিন্যু , ইউনিয়ন দফ্তরের  বি টি রণদিভে ভবনে । সিআইটিউ-এর সাংগঠনিক-দলিল এবং ভারতের শ্রম- আইন সম্পর্কে আলোচনা করেন সিআইটিউ - এর পঃ বঙ্গ  রাজ্য কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমঃ কালী ঘোষ । এই শিক্ষা শিবির  ওবি  এবং কাউন্সিল সদস্যসহ বিভাগীয় কমিটির সদস্যরা  উপস্হিত ছিলেন । শিক্ষার্থীদের মধ্যে  অধিকাংশই ছিলেন তরুন- প্রজন্মের  শ্রমিক । উপস্হিত ছিলেন সিআইটিউ-র বর্দ্ধমান জেলার সম্পাদক  ও সভাপতি ,   কমঃ অজিত মুখার্জী ও বিনয়কৃষ্ণ চক্রবর্তি । সভাপতিত্ব করেন  কমঃ  অজিত মুখার্জী ।  


                                 


               







Saturday 7 September 2013

পার্টি-তহবিল সংগ্রহ কর্মসূচীতে তৃণমূলী-দুষ্কৃতিদের হামলা ।

দুর্গাপুর , ৭ই সেপ্টেম্বর : গত  ২৯শে আগষ্ট , ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ১বি জোনাল কমিটির অন্তর্গত  পার্টির সদস্য-সমর্থকরা  যখন ইস্পাতনগরীর এ-জোনের বিভিন্ন জায়গায় পার্টি-তহবিলের  জন্য  অর্থ-সংগ্রহ করছিলেন , তখন হর্ষবর্ধন রোডে পার্টি সদস্য -সমর্থকদের উপর হামলা চালায় তৃণমূলী-দুষ্কৃতি বাহিনী । পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্হলে এলে তৃণমূলী-দুষ্কৃতিদের গ্রেফ্তার করার বদলে তৃণমূলী-দুষ্কৃতিদের সাথে সুর মিলিয়ে পার্টি-তহবিল সংগ্রহ কর্মসূচী নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং পার্টি-কর্মীরা জোর করে অর্থ-সংগ্রহ করছে এই অভিযোগ করে । কিন্তু স্হানীয় মানুষ-জন  স্বেচ্ছায় পার্টি-তহবিলে অর্থদান করেছেন - এই কথা পুলিশকে জানালে , তৃণমূলী-দুষ্কৃতিরা চম্পট দেয় ও পুলিশ চলে যায় । 

       এই ঘটনার , তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ১বি জোনাল কমিটির পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে  অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । 

       অপরদিকে,এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ  ইস্পাতনগরীর রামকৃষ্ণ এভিন্যু-ডিভিসি  মোড় সংলগ্ন হর্ষবর্ধন রোডে এক জনাকীর্ণ  প্রতিবাদ-সভায় পার্টি-নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং ইতিহাস স্মরণ করিয়ে  বলেন যে  অবিভক্ত ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি এবং ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি( মার্কসবাদী ) জন্মলগ্ন থেকে ধারাবাহিকভাবে , সাধারন মানুষের অকুন্ঠ সমর্থন ও স্বেচ্ছা  অর্থ-সাহায্যের মাধ্যমে পার্টি-তহবিল সংগ্রহ করে ,যা একান্তই আইনসিদ্ধ । তাই ,পার্টি-তহবিল সংগ্রহ কর্মসূচীতে তৃণমূলী-দুষ্কৃতিদের হামলা হলেও ,এই  কর্মসূচী জারি থাকবে এবং তৃণমূলী-দুষ্কৃতিদের হামলা বিরুদ্ধে যেভাবে মানুষ মুখ খুলছেন তাকে অভিনন্দন জানিয়ে আগামী দিনে তৃনমূল সরকারের জন-বিরোধী কার্যকলাপ ও তৃণমূলী-দুষ্কৃতিদের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জন-আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন ,কমঃ নির্মল ভট্টাচার্য্য।সভাপতিত্ব করেন কমঃ সুশান্ত ব্যানার্জী ।     



             



  

Sunday 1 September 2013

১লা সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসে - ইস্পাত নগরী সামিল হোল যুদ্ধ বিরোধী সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মহমিছিলে ।

দুর্গাপুর , ১লা সেপ্টেঃ : ১লা সেপ্টেম্বর যুদ্ধ বিরোধী সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দিবস উদযাপন কমিটির ডাকে  ইস্পাত নগরী কল্লোলিত হল মিছিলে । বিশ্ব জোড়া মার্কিন-সাম্রাজ্যবাদের যুদ্ধ চক্রান্তের বিরুদ্ধে এই দৃপ্ত    মহামিছিল আওয়াজ তুলেছে - " যুদ্ধবাজ মার্কিন-সাম্রাজ্যবাদ , সিরিয়া থেকে হাত ওঠাও " , " যুদ্ধবাজ মার্কিন-সাম্রাজ্যবাদ , এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে  দুর হঠো " , " যুদ্ধবাজ মার্কিন-সাম্রাজ্যবাদ ও তার দোসর ন্যাটো নিপাত যাক" , " আফগানিস্হান - ইরাক - লিবিয়া থেকে যুদ্ধবাজ মার্কিন-সাম্রাজ্যবাদ হাত ওঠাও " ।

           কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারের ক্রমবর্দ্ধমান মার্কিন-সাম্রাজ্যবাদের সাথে সহযোগীতার নীতি - যা ক্রমশ ভারতকে মার্কিন-সাম্রাজ্যবাদের যুদ্ধ চক্রান্তের সাথে যুক্ত তারই বিরুদ্ধে  মহামিছিলের হুঁশিয়ারী , " ভারত-মার্কিন স্ট্রাটিজিক চুক্তি বাতিল করতে হবে " ভারতকে  মার্কিন সামরিক ঘাঁটি  পরিনত করা চলবে না " , " ভারত মহাসাগর থেকে যুদ্ধবাজ মার্কিন-সাম্রাজ্যবাদ-ন্যাটো হাত ওঠাও " ।  
  আজ পঃ বঙ্গের  অন্দরে মার্কিন-সাম্রাজ্যবাদের আনাগোনা । বামফ্রন্ট সরকারকে উৎখাত করার জন্য মার্কিন-সাম্রাজ্যবাদ যে  , " নেত্রীকে " " লালন " করেছিল ভারতের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের পীঠস্হান পঃ বঙ্গকে দুর্বল করার জন্য , ক্ষমতাশীন সেই শক্তির বিরুদ্ধেও মহামিছিলের সতর্কবানী ," পঃ বঙ্গ  থেকে  মার্কিন-সাম্রাজ্যবাদের চাটুকার-রা দুর হটো " ।
        সুদৃশ্য ট্যাবলো - ফেস্টুন - ব্যানারে সুসজ্জিত  মহামিছিলে প্রান্তভাগে ছিল শিশু আর মহিলারা , যুদ্ধের বলি তারাই তো   হয়  সবচেয়ে বেশী ! ছিলেন বৃদ্ধ-আবাল বনিতা , শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত - ছাত্র-যুব-ব্যবসায়ী । বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের গান-আবৃতির    ঐক্যতানে মুখর মিছিলে সামিল ছিলেন বামপন্হী দল ও গণসংঠনগুলির নেতৃত্ব-কর্মীবৃন্দ ।
আশীষ আশীষ মার্কেট থেকে সাদা বেলুন আকাশে উড়িয়ে দিয়ে মহামিছিলের সুচনা করেন প্রাক্তন সাংসদ কমঃ জীবন রায় । উপস্হিত ছিলেন গণআন্দোলনের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ কমঃ রথীন রায় ,অজিত মুখার্জী , সন্তোষ দেব রায় , সুশান্ত ব্যানার্জী , লাল্টু ( সুবীর ) সেনগুপ্ত , নির্মল ভট্টাচার্য্য , আমীর হায়দার , অরুন চৌধুরী প্রমূখ ।
 বৃষ্টিস্নাত  বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা  নামার মুখে - আশীষ মার্কেট থেকে   হাজার হাজার লোকের যে মহামিছিল এজোন-বিজোনের বিভিন্ন রোড ঘুরে নিউটন এভিন্যুর ময়দান পৌঁছালো , তখন  রাস্তায় অজস্র   মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন  মহামিছিলের সমর্থনে । আগামী পৃথিবীকে যুদ্ধমুক্ত সুন্দরতর করার জন্য আরও একবার ১লা সেপ্টেম্বরে ইস্পাত নগরী  দুর্গাপুরের শপথ :

                                      সামনে মৃত্যুকবলিত দ্বার ,
                                    থাক অরণ্য , থাক না পাহাড় ,
                            ব্যর্থ নোঙ্গর , নদী হব পার , খুঁটি শিথিল ।
                        আমরা এসেছি মিছিলে , গর্জে ওঠে মিছিল । ( সুকান্ত ভট্টাচার্য : আমরা এসেছি )

    মহামিছিলের শেষে , নিউটন এভিন্যুর ময়দানে অনুষ্ঠিত সভায় , ভারতসহ সমগ্র বিশ্বে মার্কিন-সাম্রাজ্যবাদের যুদ্ধ- চক্রান্তের বিরুদ্ধে  দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে   শপথবাক্য পাঠ  করান কমঃ অজিত মুখার্জী ।