Wednesday 31 December 2014

তৃণমূলী দুষ্কৃতিদের হামলায় আবারও গুরুতর জখম হলেন প্রতিবন্ধী সম্মিলনির নেতা মোহন পাসোয়ান ।

                                                              

দুর্গাপুর , ৩১শে ডিসেঃ : ‘ বদলা নয় , বদল চাই ‘ – পাড়ার দেওয়ালে তৃণমূলের এই প্রতিশ্রুতি এখনও জ্বলজ্বল করলেও , ‘ পরিবর্তনে’-এর জমানায় এই পর্যন্ত ৪ বার তৃণমূলী দুষ্কৃতিদের হামলায় গুরুতর জখম শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী যুবক মোহন পাসোয়ান ।গতকাল রাতে বি’জোনের ভারতী মোড় থেকে নিজের বাড়ী  নতুন পল্লীতে ফেরার পথে তৃণমূলী দুষ্কৃতি আজাদ সিং ও তোতন সরকারের আক্রমনে গুরুতর জখম  হয় পঃ বঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনির ইস্পাতনগরীর বি’জোন আঞ্চলিক কমিটির সদস্য ও ডিওয়াইএফআই এর সক্রিয় সদস্য কমঃ মোহন পাসোয়ান  । খবর পেয়ে লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ও গুরতর আহত অবস্হায় কমঃ মোহন পাসোয়ানকে বিধাননগর এস.ডি.হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । পরে পুলিশর কাছে অভিযোগ দায়ের  করা হলেও , শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ এখনও পর্যন্ত অপরাধীদের গ্রেফ্তার করতে পারে নি । এই ঘটনায় পঃ বঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনির রাজ্য কমিটির সদস্য মহঃ ইসাক তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে দুষ্কৃতিদের গ্রেফ্তারের দাবী জানিয়েছেন । 

Tuesday 30 December 2014

কর্তৃপক্ষের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিএসপি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী – অভিভাবকদের বিশাল বিক্ষোভ ।

                                                                   

দুর্গাপুর , ৩০শে ডিসেঃ : আজ , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার নগর প্রশাসনিক ভবনে ( টি এ  বিল্ডিং ) দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে স্কুল স্হানান্তরের নামে ২টি মাধ্যমিক - উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ( আকবর রোড গার্লস ও বি’জোন বয়েজ মাল্টিপারপাস ) বন্ধ করে দেওয়া , একতরফা ভাবে স্কুলের ফী ৮২ গুন বৃদ্ধি এবং একটি নির্দিষ্ট দোকান থেকে  স্কুল ইউনিফর্ম কেনার নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিএসপি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী – অভিভাবকরা এবং হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ )এর সদস্যরা তুমুল বিক্ষোভ দেখায় । হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ) সহ   ডিএসপি-র অন্যান্য স্বীকৃত ইউনিয়ন এর সাথে জেবিসি-তে কোন আলোচনা ছাড়াই , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে গত ১৫ই ডিসেঃ  একতরফা এক সার্কুলার জারী করলে , ইস্পাতনগরীতে ও সংলগ্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে । দফায় দফায় ছাত্র-ছাত্রী – অভিভাবকদের  বিশাল বিক্ষোভ নগর প্রশাসনিক ভবনে ( টি এ  বিল্ডিং ) এ আছড়ে পড়ছে । আজকে বিক্ষোভ চলার সময় বক্তব্য রাখেন হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ) এর পক্ষে কমঃ বিশ্বরূপ ব্যানার্জী ও স্বপন মজুমদার । তারা বলেন যে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ) এর পক্ষ থেকে লাগাতারভাবে স্কুল সহ ইস্পাতনগরীতে বিভিন্ন পরিষেবা সংকোচন করার জন্য দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করা হচ্ছে । স্কুল-সংক্রান্ত দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে বলেন যে ডিএসপি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী – অভিভাবকদের দাবীগুলিকে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ) দৃঢ় ভাবে সমর্থন করে এবং তাদের লড়াই এর সাথে আছেন ।  অভিভাবকদের সংগঠনের পক্ষে শ্রী বিশ্বজিত নায়াক সহ অন্যান্য অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরাও বক্তব্য রাখেন । সভাপতিত্ব করেন কমঃ কবিরঞ্জন দাসগুপ্ত । পরে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ) ও অভিভাবকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল জিএম ( টিএস ) শ্রী কাঞ্চন নন্দীর কাছে স্মারকলিপি জমা করে অবিলম্বে স্কুল স্হানান্তরের নামে ২টি মাধ্যমিক - উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ( আকবর রোড গার্লস ও বি’জোন বয়েজ মাল্টিপারপাস ) বন্ধ করে দেওয়া , একতরফা ভাবে স্কুলের ফী ৮২ গুন বৃদ্ধি এবং একটি নির্দিষ্ট দোকান থেকে  স্কুল ইউনিফর্ম কেনার নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবী জানায় । জিএম ( টিএস) দাবীগুলির নিষ্পত্তি করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলে ইউনিয়ন এবং অভিভাবকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় । 





Sunday 28 December 2014

মেহেনতী মানুষের ঐক্য ও বামপন্হীদের লড়াই রুখতে পারে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদকে ।

                                                     

দুর্গাপুর , ২৭ শে ডিসেঃ – আজ , ইস্পাতনগরীর নেতাজী ভবনে ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির পক্ষ থেকে , ‘ সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের ক্রমবর্ধমান বিপদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার সংগ্রাম ‘ – শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় । আলোচক ছিলেন প্রখ্যাত ঐতিহাসিক শ্রী গৌতম রায় । তিনি বলেন যে ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের পরে ভারতে ব্রিটিশ শাসকরা ভারতে সাম্প্রদায়িকতার বিস্তারে ইন্ধন জুগিয়েছিল । জাতীয় কংগ্রেসের সূচনাকাল থেকেই কংগ্রেসের অভ্যন্তরেই  হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তি সক্রিয় ছিল । পরবর্তীকালে  হিন্দু মহাসভা এবং তারও পরে আরএসএসের গঠনের মধ্য দিয়ে সেই শক্তি আরও বিস্তার ঘটায় । কিন্তু লক্ষনীয় বিষয় হল যে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে আরএস শুধু নিজেদের সরিয়ে শুধু রাখেনি , বরং হিন্দুরাজ্যের কথা বলার মধ্য দিয়ে মুসলিম জনগনকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে তুলেছিল । তারফলে প্রথমে পাকিস্হানের প্রস্তাব উড়িয়ে দিলেও , পরে জিন্নাহ্ সহ অন্যান্যরা পাকিস্হান গঠনের দাবীতে ঝুঁকে পড়ে । আরএসএসের নেতা গোলওয়ালকার যে কালচারাল-ন্যাশালিজমের কথা বলেছেন তার ভিত্তি স্বামী বিবেকানন্দ এর বর্ণিত বৈদিক ধর্মের পরিবর্তে পুরান-ভিত্তিক এবং আরএসএস হিন্দু ধর্মের পরিবর্তে  হিন্দুত্বের কথা বলে । স্বাধীনতার পরে ,বিশেষ করে মহাত্মা গান্ধীর হত্যার পরে আরএসএসের প্রভাব কমতে থাকে । কিন্তু প্রথমে ভারতীয় জনসংঘ ও পরে ভারতীয় জনতা পার্টি গঠনের মধ্য দিয়ে এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল , লালবাহাদুর শাস্ত্রী , ইন্দিরা গান্ধী , রাজীব গান্ধীর মত কংগ্রেসী নেতা সহ জয়প্রকাশ নারায়ন এর মত অকংগ্রেসী নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে আরএসএসের আজকের এই বাড়বাড়ন্ত ঘটেছে ।পশ্চিমবঙ্গে আরএসএসের বৃদ্ধির পেছনে মমতা ও  আরএসএসের পুরনো সখ্যতার কথাও উল্ল্যেখ করেন শ্রী রায় । তিনি আরও  বলেন যে  আরএসএসের এই বৃদ্ধির পিছনে বহুমূখী কৌশল কাজ করছে । বর্তমানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মূল চালিকা শক্তি আরএসএস ও তার সহযোগী হিন্দুত্ববাদী শক্তি সরাসরি ভারতের আবহমানকাল ধরে চলে আসা ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্যকেই কেবল আক্রমন করছে তাই নয় , চ্যালেঞ্জ করছে ভারতের সংবিধানকে । এই পরিস্হিতিতে , ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার সংগ্রামকে জোরদার করার জন্য চাই মেহেনতী মানুষের ঐক্য ও বামপন্হীদের লড়াই যা রুখতে পারে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ শক্তিকে , রক্ষা করতে পারে ভারত ও পশ্চিমবঙ্গে  ভয়াবহ  বিপদের হাত থেকে । সভায় বক্তব্য রেখেছেন দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক কমঃ সন্তোষ দেবরায় । সভাপতিত্ব করেন কমঃ সুশান্ত ব্যানার্জী । 

                                                  








Thursday 25 December 2014

প্রয়াত হলেন পার্টি সদস্যা কমরেড শোভা মৈত্র ।

                                                                  

দুর্গাপুর , ২৫শে ডিসেঃ : প্রয়াত হলেন ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির অন্তর্গত ডিএস -২ আঞ্চলিক কমিটির পার্টি সদস্যা কমরেড শোভা মৈত্র । চিকিৎসাধীন অবস্হায় গতকাল সকালে মিশন হাসপাতালে তিনি প্রয়াত হয়েছেন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বৎসর । অবিবাহিতা প্রয়াত কমরেড শোভা মৈত্র মৃত্যুকালে ভাই-বোন সহ অন্যান্য আত্মীয় –পরিজন রেখে গেছেন । আজ সকালে , ডিএস -২ আঞ্চলিক কমিটির দফ্তরে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হলে রক্তপতাকায় আচ্ছাদিত করেন ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য ও দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক কমঃ সন্তোষ দেবরায় । মরদেহে মাল্যদান করেন কমঃ সন্তোষ দেবরায় , সুশান্ত ব্যানার্জী , নির্মল ভট্টাচার্য , সুবীর সেনগুপ্ত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । পরে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের দফ্তর বি.টি.রণদিভে ভবনে । সেখানে মাল্যদান করেন কমঃ অরুন চৌধুরী , জীবন রায় , পি কে দাস , বাদল মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । পরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে ।
সংক্ষিপ্ত জীবনী :১৯৪১ সালের ,২রা জানুঃ কমরেড শোভা মৈত্র জন্ম গ্রহন করেন । ১৯৫৯ সালে তিনি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় জোগদান করেন । ১৯৮৪ সালে তিনি পার্টি সভ্যপদ লাভ করেন । তিনি হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ( সিআইটিইউ ) ওবি সদস্যা ছিলেন ও ডিএসপি কো-অপঃ ক্রেডিট সোসাইটির ডাইরেক্টর ছিলেন । সহজ ,সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত কমরেড শোভা মৈত্র তাঁর মিশুকে স্বভাব ও সুমধুর ব্যবহারের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন । দুর্গাপুরের শ্রমিক,সমবায় , নারী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অত্যন্ত পরিচিত মুখ কমরেড শোভা মৈত্রের মৃত্যুতে ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির পক্ষ থেকে আহ্বায়ক কমঃ সন্তোষ দেবরায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন । 













Tuesday 23 December 2014

বিজেপির সু-দিনে লাটে উঠছে ডিএসপির স্কুল : রাজ্যের তৃণমূল সরকার নিশ্চুপ

                                                             

দুর্গাপুর , ২০শে ডিসেঃ : বিপন্ন হয়ে পড়েছে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা (সংক্ষেপে ডিএসপি ) পরিচালিত প্রাথমিক ,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলি । ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিক থেকে কংগ্রেস এর চালু করা নয়া অর্থনীতির কুফল ফলতে  শুরু করেছিল দুর্গাপুর ইস্পাত সহ অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ব কারাখানায় । তার রেশে শুকিয়ে যেতে শুরু করে ডিএসপির স্কুলগুলি । দুর্গাপুর তো বটেই একসময়ে সারা রাজ্যের অন্যতম সেরা ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরী করছে ডিএসপির স্কুলগুলি । ডিএসপির স্কুলগুলির থেকে পাশ করে হাজার হাজার কৃতি ছাত্র-ছাত্রী আজ ভারত সহ সারা পৃথিবীর বিভিন্ন স্হানে সুপ্রতিষ্ঠিত । রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হার আইনী ও সামাজিক দায়বদ্ধতার থেকে কেবলমাত্র কারাখানার শ্রমিকদের সন্তান-সন্ততি নয় , আশাপাশের গ্রামসহ সহ শিল্পাঞ্চলের বহু ছাত্রাত্রীদের স্কুলের ঠিকানা ছিল ডিএসপির স্কুলগুলি । পরে এই ব্যবস্হা ধীরে ধীরে তুলে দেওয়া হল । এই সবের মিলিত পরিনতিতে স্কুলগুলি ছাত্র-ছাত্রীর অভাবে বন্ধ হতে শুরু করে । পাল্লা দিয়ে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ শিক্ষাখাতে ব্যয় ক্রমশঃ কমাতে শুরু করে । নতুন শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায় । কিছু প্যারা টিচার নিয়োগ করা হলেও , অত্যন্ত কম বেতনের জন্য অধিকাংশ প্যারা টিচাররা কাজ ছেড়ে অন্যত্র চলে যান । কয়েকজন প্যারা টিচারকে অন্যায়ভবে ছাঁটাই করে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ । বাকী প্যারা টিচাররা আশংকার দোলাচলে দিন গুনছে । এই পরিস্হিতে ডিএসপি এর শিক্ষা বিভাগের সাম্প্রতিক একতরফা তুঘলকি সিদ্ধান্তে বিপদে পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা । স্বীকৃতি প্রাপ্ত ইউনিয়নগুলির সাথে কোনরকম আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে স্কুল এর ফী ৮২ গুন বৃদ্ধি করেছে । মাধ্যমিকে ২০১৪-১৫ সালে রেজিস্ট্রেশন হলেও , আকবর গার্লস স্কুলটি স্হানান্তরের নামে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়ছে বলে অভিযোগ । এবিষয়ে অভিভাবকরা স্হানীয় এডিআই এর কাছে অভিযোগ জানালেও , তিনি দায় এড়িয়ে যান । রাজ্য প্রশাসনের কাছে বিপন্ন ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা প্রয়োজনীয় সাহায্যের জন্য ছুটে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন সুরাহ হয়নি ।

 এই পরিস্হিতে , আজ হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) এর পক্ষ থেকে ডিএসপি-র নগর প্রশাসনিক ভবন ( টি.এ.বিল্ডিং ) এ ডিএসপি-র এডুকেশন বিভাগে বিক্ষোভ-প্রদর্শন ও কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে অস্বাভাবিক ফী বৃদ্ধি ও স্হানান্তরের নামে স্কুল তুলে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশ প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে এই বিষয়ে জেবিসির সভা ডাকার দাবী জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় । আজকের বিক্ষোভে বিপুল সংখ্যায় ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা যোগদান করেন । বক্তব্য রাখেন কমঃ অরুন চৌধুরী , বিশ্বরূপ ব্যানার্জী ও ললিত মিশ্র । তারা বলেন যে ডিএসপি তে শিক্ষা সহ অন্যান্য নাগরিক পরিষেবা সংকোচনের বিরুদ্ধে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) ধারাবাহিক ভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে । তাই , অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা ন্যায্য দাবী মেটা না পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন , তার পাশে দৃঢ় ভাবে সিআইটিইউ আছে বলে বক্তারা জানিয়েছেন । শিক্ষক সংগঠন ডিএসপিটিএ –র সম্পাদক শ্রী সুনীল হালদার এই আন্দোলনের পাশে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ও ডিএসপিটিএ –র  পূর্ণ সমর্থন আছে বলে জানিয়েছেন । 


Friday 19 December 2014

পেশোয়ারের স্কুলে মৌলবাদীদের নৃশংসতম আক্রমনের বিরুদ্ধে ধিক্কারে সোচ্চার কিশোরবাহিনী ।

                                                      

দুর্গাপুর , ১৮ই ডিসেঃ : আজ , ইস্পাতনগরীর ট্রাঙ্ক রোডের সৃষ্টি কিশোরবাহিনীর মাঠে দুর্গাপুর কিশোরবাহিনী ইস্পাত অঞ্চল সমিতির পক্ষ থেকে পাকিস্হানের পেশোয়ারের স্কুলে মৌলবাদীদের নৃশংসতম আক্রমনের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানো হয় । উপস্হিত কিশোরবাহিনীর খুদে সদস্যদের কাছে অত্যন্ত প্রাজ্ঞল ভাষায় বক্তব্য তুলে ধরেন কিশোরবাহিনীর বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য শ্রী কালিশংকর ব্যানার্জী ও সাহিত্যিক রাজীব ঘাঁটি । সবশেষে নীরবতা পালন ও প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিন করে পেশোয়ারের স্কুলে  নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্য শ্রদ্ধা জানানো হয় । 

দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আরএমএইচপি বিভাগে ধর্মঘট স্হগিত ।

দুর্গাপুর , ১৮ই ডিসেঃ : আজ , অ্যাসিঃ লেবার কমিশনারের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শ্রমদফ্তরে  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষের  সাথে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ),আইএনটিইউসি ও এআইটিউসি এর প্রতিনিধিবৃন্দের , আগামী ২২শে ডিসেঃ তিনটি ইউনিয়নের আহূত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আরএমএইচপি বিভাগে  ধর্মঘটের প্রেক্ষিতে আলোচনা হয় । কারখানায় নিরাপত্তা-জনিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহনে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও সেই কারনে শ্রমিক অসন্তোষের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহনের অভিযোগে এই ধর্মঘটের আহ্বান করা হয়। কর্তৃপক্ষ এর পক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহনের আশ্বাস দেওয়া হলে , তিনটি ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে আপাতত ধর্মঘট ও এই সংক্রান্ত কর্মসূচী স্হগিত রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয় । 

Thursday 18 December 2014

প্রয়াত হলেন পার্টি সদস্য কমঃ পরিমল রায় ।

                                                                 

দুর্গাপুর , ১৮ই ডিসেঃ : আজ সকালে , দীর্ঘ রোগভোগের পর মিশন হাসপাতালে প্রয়াত হলেন দুর্গাপুর ইস্পাত -১ নং আঞ্চলিক কমিটির অন্তর্গত পার্টি সদস্য কমঃ পরিমল রায় । মৃত্যুকালে তাঁর বয়েস হয়েছিল ৪৭ । তিনি রেখে গেছেন বৃদ্ধা মা – স্ত্রী ও একমাত্র পুত্রকে ।
কমঃ পরিমল রায়ের মরদেহ আশীষ-জব্বর ভবনে নিয়ে আসা হলে রক্তপতাকায় আচ্ছাদিত করেন কমঃ অজিত মুখার্জী । মাল্যদান করেন  কমঃ অজিত মুখার্জী  সন্তোষ দেবরায় , সুশান্ত ব্যানার্জী , নির্মল ভট্টাচার্য , আল্পনা চৌধুরী , সুবীর সেনগুপ্ত  সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । পরে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ( সিআইটিইউ ) দফ্তর বি টি রণদিভে ভবনে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে মরদেহে মাল্যদান করেন হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ওবি-কনভেনর কমঃ অরুন চৌধুরী , সুখময় বোস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । আইএনটিইউসি ও আইএনটিটিইউসি এর পক্ষ থেকেও মাল্যদান করা হয় । পরে প্রয়াত কমঃ পরিমল রায়ের ইচ্ছানুসারে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে যথাক্রমে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতাল ও আই কিউ সিটি হাসপাতালে  মরোণোত্তর চক্ষুদান ও দেহদান করা হয় ।

সংক্ষিপ্ত জীবনী :১০ই অক্টোঃ , ১৯৬৭ সালে দুর্গাপুরে জন্মগ্রহন করেছিলেন কমঃ পরিমল রায় । তিনি কিশোর বয়েসে ছাত্র আন্দোলন ও পরবর্তীকালে যুব আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন । এছাড়াও তিনি বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনেরও সক্রিয় সদস্য ছিলেন । ১৯৯০ সালে তিনি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কোক ওভেন্স বিভাগে শ্রমিক হিসাবে কাজে দেন এবং প্রথম থেকেই হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ( সিআইটিইউ ) সভ্য ছিলেন এবং পরবর্তীকালে  ইউনিয়নের অ্যাসিঃ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন । ১৯৯৬ সালে তিনি পার্টি সভ্যপদ লাভ করেন । রক্তদান সহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত ও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কমঃ পরিমল রায়ের মৃত্যুতে পাড়া-প্রতিবেশি এবং  শ্রমিক ও আধিকারিকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে । 

                                        






প্রয়াত হলেন পার্টি সদস্য কমঃ কেশব রায় ।

                                                        

দুর্গাপুর , ১৭ই ডিসেঃ : গত ১৫ই ডিসেঃ প্রয়াত হলেন দুর্গাপুর ইস্পাত -৪ নং আঞ্চলিক কমিটির অন্তর্গত পার্টি সদস্য কমঃ কেশব রায় ।তাঁর বার্ধক্যজনিত রোগের চিকিৎসা চলছিল ডিএসপি মেইন হাসপাতালে । সেখানেই তিনি প্রয়াত হয়েছেন ।
  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ল্যাবরেটারীর প্রাক্তন কর্মী কমঃ কেশব রায় কর্মজীবনে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) এর কাউন্সিল পদে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন । ১৯৭০ এর দশকের প্রথমভাগে কমঃ কেশব রায় পার্টি সভ্যপদ অর্জন করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে দুর্গাপুর ইস্পাত -১ নং আঞ্চলিক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন । মৃত্যুর সময়ে কমঃ কেশব রায় স্ত্রী-পুত্র-কন্যা-জামাতাকে রেখে গেছেন ।

কমঃ কেশব রায়ের মরদেহ পার্টি দফ্তরে নিয়ে আসা হলে রক্তপতাকায় আচ্ছাদিত করেন কমঃ সন্তোষ দেবরায় । মাল্যদান করেন কমঃ সন্তোষ দেবরায় , আল্পনা চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । 

Saturday 6 December 2014

৬ই ডিসেঃ : ইস্পাতনগরী জানিয়ে দিল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লালঝান্ডাই সতর্ক প্রহরী ।

                                                                 

দুর্গাপুর , ৫ই ডিসেঃ : ৬ই ডিসেঃ – গত ২২ বছর ধরে স্বাধীন ভারতে ধর্ম-নিরপেক্ষতার নীতি রক্ষার শপথগ্রহনের দিন । ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেঃ অযোধ্যায় ৫০০ বৎসরের পুরানো বাবরি মসজিদকে ধ্বংস করে যে শক্তি ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের মূল ভিত্তি ধর্ম-নিরপেক্ষতাকে আঘাত করেছিল সেই হিন্দুত্ববাদী ফ্যাশিষ্ট শক্তির রাজনৈতিক দল বিজেপি আজ কেন্দ্রের ক্ষমতায় । এই ভয়ঙ্কর শক্তিকে যারা পঃ বঙ্গে বপন করেছিল সেই তৃণমূল আজ রাজ্যের ক্ষমতায় । ভারতের জাতীয় সংহতির অন্যতম পথ প্রদর্শক পঃ বঙ্গের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে  বামফ্রন্ট সরকার চোখের মনির মত আগলে রেখেছিল । কিন্তু আজকে ‘ চরম ’ ও ‘ নরম ’ সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী বিজেপি ও তৃণমূলের প্রকাশ্য ও গোপন আঁতাত রাজ্যে সাম্প্রদায়িক - মৌলবাদী শক্তির উথ্থানে রাস্তা করে দিচ্ছে । এর বিরুদ্ধে আজ রাজ্যে , ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী ) সহ ১৭টি বামপন্হী দল জাতীয় সংহতি রক্ষা এবং সাম্প্রদায়িক – মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে দৃঢ়তর সংগ্রামের আহ্বান জানিয়ে পথে নেমেছে ।
   সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ইস্পাতনগরীও আজ পথে নেমে আসে । ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির ডাকে  আজ বিকালে ৫০০০ জনের বিশাল সুসজ্জিত মহামিছিল ইস্পাতনগরীর আশীষ মার্কেট থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন পথ ঘুরে চণ্ডীদাস বাজারে শেষ হয় ।

 সকালে , অন্য আরেকটি অনুষ্ঠানে  চণ্ডীদাস সেক্টর অফিসে , ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের দুর্গাপুর ইস্পাত ১এ জোনাল কমিটির পক্ষ থেকে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় । গত ২২ বছর ধরে , সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রতি বছরে ৬ই ডিসেঃ এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় ।৩০ জন রক্তদান করেন । উপস্হিত ছিলেন ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য কমঃ সুজিত রায় ও রঞ্জিত মুখার্জী সহ অন্যান্য যুব নেতৃত্ব । 


Friday 5 December 2014

সেইলের বিলগ্নীকরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন ইস্পাত শ্রমিক – কর্মচারীরা ।

                                                              

দুর্গাপুর , ৫ই ডিসেঃ : কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তথাকথিত ‘ সু-দিনের ‘ টের পেতে শুরু করেছে দেশের মানুষ । সেই ‘ সু -দিনের ‘ স্বরূপ আরও প্রকাশ পেল “ নবরত্ন “ রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা সমূহের অন্যতম রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত উৎপাদনকারী সংস্হা সেইলের আরও ৫% শেয়ার বিক্রী করার স্বীদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে । আজ থেকে  মোদি সরকার সেইলের ২০ কোটি শেয়ার বিক্রির শুরু করেছে । সেইলের অপরাধ ? গত আর্থিক বছরে সেইলের নীট মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ২১% বেড়ে হয়ছে ২,৬১৬ কোটি টাকা । সরকারী কোষাগারে সেইল বিভিন্ন কর ও ডিউটি বাবদ জমা করেছে ১১,৫৬০ কোটি টাকা । সেইলের বিভিন্ন কারখানায় আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারন বাবদ সেইল  ৫৯,২৮৮ কোটি টাকা ব্যয় করছে । এইরকম একটি রত্নগর্ভা সরকারী সংস্হা যার প্রকৃত মালিক ভারতের জনগন , সেই সেইলের শেয়ার বিক্রী করে মোদি সরকার কত আয় করবে ? সরকারের হিসেবে মাত্র ১,৫০০ থেকে ১,৭০০ কোটি টাকা ! এই নির্জলা লুঠের বিরুদ্ধে আজ প্রবল বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ও দুর্গাপুর মিশ্র ইস্পাত কারখানার শ্রমিক – কর্মচারীবৃন্দ । আজ সকালে , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন গেটে  সিআইটিইউ , আইএনটিইউসি ও এআইটিইউসির যৌথ আহ্বানে সেইলের বিলগ্নীকরনের বিরুদ্ধে আয়োজিত এক বিশাল গেটসভায় বক্তব্য রাখেন হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) এর পক্ষে  কমঃ অরুন চৌধুরী , আইএনটিইউসি এর পক্ষে অসীম সাহা ও এআইটিইউসি এর পক্ষে আমীর হায়দার । সভাপতিত্ব করেন কমঃ কাজল মজুমদার । মিশ্র ইস্পাত কারখানায় সিআইটিইউ এর নেতৃত্বে  শ্রমিকদের এক বিশাল মিছিল ১নং টাইম অফিস থেকে শুরু হয়ে জি এম অফিসে শেষ হয় । মিছিল শেষে সভায় বক্তব্য রাখেন কমঃ আর পি গাঙ্গুলী ও বিজয় সাহা । ইস্পাত শ্রমিকদের সর্বভারতীয় সংগঠন স্টিল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন (সিআইটিইউ ) এর সাধারন সম্পাদক কমঃ পি কে দাস জানিয়েছেন যে সেইলের সর্বত্র বিলগ্নীকরনের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ চলছে । সিআইটিইউ সহ অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে ভাইজাগের রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত সংস্হার আরআইএনএল -এ  বিলগ্নীকরনের বিরুদ্ধে গতকাল থেকে  শ্রমিকদের লাগাতার  বিক্ষোভ জমায়েত চলছে । শ্রমিকদের বিশাল মিছিলও সংগঠিত হয়ছে । 





Saturday 29 November 2014

এনএসপিসিএল এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়শন এর বার্ষিক নির্বাচনে সিআইটিইউ বিপুল জয় পেল ।

                                                            

দুর্গাপুর , ২৯শে নভেঃ : আজ , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বিদ্যুৎ সরবরাহক সংস্হা এনএসপিসিএল ইউনিট এর এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়শন এর বার্ষিক নির্বাচনে এনএসপিসিএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) আটটি আসনের মধ্যে ৬টি তে জয়ী হয়ছে । দুটিতে জয়ী হয়ছে তৃণমূলের ট্রেড ইউনিয়নের প্রার্থীরা । সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ছেন এনএসপিসিএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) এর কমঃ দিলীপ চক্রবর্তী । প্রসংগত , এই এনএসপিসিএল এর ইউনিয়ন স্বীকৃতি নির্বাচনে , তৃণমূলীদের ভয়ংকর আক্রমনের সামনে দাঁড়িয়ে এনএসপিসিএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) নির্বাচনের দিনে নির্বাচন থেকে সরতে বাধ্য হয়েছিল । আজকের নির্বাচনের ফলাফল আবার প্রমান করেছে যে সিআইটিইউ এর প্রতি শিল্পাঞ্চলের আস্হা অটুট আছে । এনএসপিসিএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) এর পক্ষ থেকে ইউনিয়নের সভাপতি কমঃ সুখময় বোস ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন । 

Wednesday 26 November 2014

গ্রাম বাংলায় কৃষিকাজে ধর্মঘট ও চটকল ধর্মঘটের সমর্থনে ইস্পাতনগরী সংহতি জানাল ।

                                                     

দুর্গাপুর , ২৬শে নভেঃ : আজ ,কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ও রাজ্যের তৃণমূলের জোড়া আক্রমনে বিপন্ন কৃষক-ক্ষেতমজুর-বর্গাদার , বিপন্ন শ্রমিক । মোদী সরকারের ,’ সুদিন ‘ এর বর্শাফলকে বিদ্ধ গ্রামের  ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প । গ্রামের মানুষের ,’জীবনরেখা ‘ রেগা-প্রকল্প বিজেপি -র  পরিকল্পিত চক্রান্তের শিকার হয়ে উঠে যাওয়ার মুখে । বিজেপি সরকারের দোসর রাজ্যের তৃণমূল সরকার । বিজেপি -র পরিকল্পিত চক্রান্তে  রেগা-প্রকল্প বিপন্ন হলেও তৃণমূলের মুখে রা নেই ! উল্টে তৃণমূল সরকার  ধান সহ বিভিন্ন ফসলের নায্য-মূল্য ঘোষনায় তীব্র অনীহা । পঞ্চায়েতকে দূর্নীতি আখরা করে তুলেছে তৃণমূল , বিধবা-বার্ধক্য ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতা ও প্রকল্পে চলেছে চরম দূর্নীতি । চরম হাহাকার গ্রাস করেছে আজকের গ্রাম বাংলাকে । শতাধিক কৃষকের আত্মহত্যায় গ্রাম বাংলায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর , যা বিগত ৩৪-বৎসরে বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন সময়ে কখনই হয় নি । তাই গ্রাম বাংলার মানুষ আজ কৃষকসভা ও অন্যান্য বামপন্হী কৃষক সংগঠনের ডাকে কৃষিকাজ ধর্মঘট করে মোদী ও মমতা ব্যানার্জীর সরকারকে হুঁশিয়ারী দিয়েছে । বামফ্রন্টের ডাকে সারা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ সভার আহ্বান জানানো হয়ছে । ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র ডাকে  দিল্লীতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী  কমঃ মানিক সরকারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও ধর্ণা হয়ছে । অন্যদিকে সিআইটিউ সহ ২২ ট্রেড ইউনিয়নের ( তৃণমূল বাদে ) ডাকে আজ পঃ বঙ্গের চটকল শ্রমিকরা সর্বাত্তক ধর্মঘট করেছেন । আজকের এই কৃষক ও শ্রমিক ধর্মঘটের সমর্থনে ইস্পাতনগরীতে  ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির ডাকে সন্ধ্যায় ৩টি পথসভা অনুষ্ঠিত হয় । সেইল কো-অপঃ এর পথসভায় বক্তব্য রাখেন কমঃ সুব্রত সিনহা ও স্বপন মজুমদার , সভাপতিত্ব করেন কমঃ এস কে এন চৌধুরী । চণ্ডীদাস বাজার মোড়ের পথসভায় বক্তব্য রাখেন কমঃ অরুন চৌধুরী ও আল্পনা চৌধুরী , সভাপতিত্ব করেন কমঃ অশোক চক্রবর্তী । প্রান্তিকা মোড়ের পথসভায় বক্তব্য রাখেন কমঃ সীমান্ত তরফদার ও কবি ঘোষ , সভাপতিত্ব করেন কমঃ কাজল চ্যাটার্জী ।