Tuesday 31 January 2017

দুর্গাপুরে প্রতিশ্পর্ধী গন-আন্দোলনের সামনে পিছু হটল প্রশাসন ।



দুর্গাপুর,৩১শে জানুঃ- এ যেন উলট্ পূরাণ ! রাজ্যে তৃণমূলের সরকার আসার পরে , সিপিআই(এম) নেতৃত্বের কাছে কবে খোদ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘ মিটমাট ‘ করার প্রস্তাব পৌঁছেছে তা গবেষনার বিষয় । কিন্তু আজ এরকমই ঘটল দুর্গাপুরে । ঘটনার শুরু হয় গত ২৮শে জানুঃ , ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী)-র বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে ,’ শিল্প বাঁচাও,কৃষি বাঁচাও,দেশ বাঁচাও’ দাবীতে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ঐতিহাসিক শ্রমিক-কৃষক জমায়েতর মধ্য দিয়ে । পুলিশের আগাম অনুমতি নিয়ে আইন মোতাবেক ও শান্তিপূর্ন জময়েতে বিপুল জন সমাবেশ দলদাস প্রশাসন কে হতচকিত করে দেয় ।বিপুল     জনস্রোত সমাবেশে স্হলের অত্যন্ত নিকটবর্তী ২নং জাতীয় মহা সড়ক ( জি.টি.রোড) প্লাবিত করে দেয় । এই সময় জেলার ডি.এম সৌমিত্র মোহনের গাড়ী এসে পরে । পার্টির স্বেচ্ছাসেবক ও নেতৃত্ব তার যাওয়ার রাস্তা করে দিলেও,তিনি উত্তেজিত ভঙ্গিমায় প্ররোচনা তৈরির করার চেষ্টা করেন এবং ‘ ব্যবস্হা গ্রহন’ এর হুমকি দেন বলে অভিযোগ । গোটা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ  আছে বলেও পার্টি নেতৃত্বর পক্ষ থেকে পরে জানানো হয় । পরের দিন থেকে ‘ ব্যবস্হা গ্রহন’ এর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় । পুলিশের পক্ষ থেকে স্হানীয় সিটি সেন্টার থানায় অকল্পনীয়ভাবে জেলা পার্টি নেতৃত্বের একাংশ সহ ২০০৬ জন  নামে সাজানো অভিযোগের ভিত্তিতে জামিন-অযোগ্য ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং রাতারাতি দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৫ জন পার্টি সদস্য কে গ্রেফ্তার করা হয় ।তৃণমূলের দলদাস হয়ে পুলিশ  দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় পার্টি নেতাদের খোঁজে তল্লাসীর নামে বাড়ী বাড়ী গিয়ে হুমকি-গালিগালাজ শুরু করে । দুর্গাপুরের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গে । দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল ভয়াবহ সংকটের মুখে ।দায়ী কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার । বর্ধমান জেলা ভাগ করার অজুহাতে দুর্গাপুর কে গুরুত্বহীন করার চক্রান্ত সর্ব সমক্ষে ।পৌরসভা নিষ্ক্রিয় ।  লাল ঝান্ডা নেতৃত্বে মানুষ যখন দুর্গাপুর বাঁচাতে যখন প্রায় প্রতিদিন রাস্তায় ,তখন তৃণমূল দলটিকে দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । এই পরিস্হিতিতে তৃণমূলের মদতপুষ্ট পুলিশী-সন্ত্রাস আগুনে ঘৃতাহূতি দেয় । পার্টির পক্ষ থেকে দুর্গাপুরের মানুষের কাছে আজ দুর্গাপুর থানায় স্বেচ্ছায় গ্রেফ্তার-বরন অভিযানের ডাক দেওয়া হলে,মানুষ সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে । এ দিকে আজ সকালে পার্টি নেতা ও ই.সি.এল এর শ্রমিক পঙ্কজ রায়সরকার তার কর্মস্হল খাস কাজোরা কোলিয়ারি তে কাজে যোগ দিতে গেলে , তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী আক্রমন করে । শ্রমিক-কর্মচারী ও এলাকার সাধারন মানুষ গুন্ডাদের তাড়া করে ধরে ফেলে ও উত্তম-মধ্যম দেয় । পরে পুলিশ এসে তৃণমূলের গুন্ডাদের উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ।  এই খবর পৌঁছাতেই , দুর্গাপুরের উত্তেজনার পারদ আরও চড়তে শুরু করে । প্রবল জন-সুনামী দুর্গাপুর থানায় আছড়ে পড়তে চলেছে , এটা আঁচ করে পুলিশের কর্মকর্তারা পার্টি নেতৃত্বের কাছে আলোচনায় বসার জন্য নাছোরবান্দা হয়ে বার বার আবেদন জানাতে থাকে । লিখিত স্মারক লিপি নেবে এই শর্তে পার্টির প্রতিনিধি দল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশারিয়েটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের সাথে দেখ করে । প্রতিনিধি দলে ছিলেন রথীন রায়,বিনয়েন্দ্রকৃষ্ণ চক্রবর্তী , সন্তোষ দেবরায়,মহাদেব পাল,নির্মল ভট্টাচার্য ও মীনা মজুমদার । পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়ী বাড়ী গিয়ে গ্রেফ্তার বন্ধ ও ৫ জন জেল-বন্দীদের জামিনের ক্ষেত্রে  বিরোধীতা করা হবে না এই প্রতিশ্রুতি দিলে, পার্টি নেতৃত্ব আজকের কর্মসূচী আগামী ৬ তারিখ পর্যন্ত স্হগিত রাখার কথা জানিয়ে দেয় ।

ইতিমধ্যে , আজকের বেলা ৩-০০ টার কর্মসূচীতে যোগ দিতে হাজার হাজার মানুষ পার্টির দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল দফ্তর আশীষ-জব্বর ভবনে জড়ো হতে শুরু করেন । পার্টি নেতৃবৃন্দ তাদের সামনে বক্তব্য রাখেন এবং প্রশাসনের সাথে আলোচনার বিবরন দিয়ে ,লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান । বক্তব্য রাখেন রথীন রায়,সন্তোষ দেবরায়,গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জী ও নির্মল ভট্টাচার্য ।








Saturday 28 January 2017

শিল্পনগরী দুর্গাপুর কে শ্মশানে পরিনত হতে দেব না – দুর্গাপুরে ঐতিহাসিক শ্রমিক-কৃষক জমায়েতের প্রত্যয়ী ঘোষনা ।



দুর্গাপুর,২৮শে জানুঃ – ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে আজ সকালে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার সংলগ্ন পলাশডিহা মাঠে শিল্প-কৃষি-দেশ বাঁচানোর আহ্বানে এক ঐতিহাসিক শ্রমিক-কৃষক জমায়েত হল। সংগঠকদের নিরন্তর আহ্বান ছাপিয়ে কুল ভাঙ্গা জনস্রোত সমাবেশ স্হল ভাসিয়ে প্লাবিত করল এন.এইচ-২ ( জি.টি.রোড)।
কর্মচঞ্চল,ভারতের ,’রুঢ়’ অঞ্চল নামে পরিচিত দুর্গাপুর হবে শ্মশানে ! সেই অবস্হার দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল । ইতিমধ্যে ৬ টি রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানা সহ ২২টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে ও প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ হারিয়েছে । অধিকাংশ কারখানাই ধুঁকছে অথবা বন্ধ হওয়ার মুখে । একই অবস্হা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ডিপিএল ও ডিটিপিএস( ডিভিসির অন্তর্গত) এর । একদিকে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির জন্য বন্ধ হচ্ছে বেসরকারী ছোট-মাঝারী কারখানা,বিশেষ করে ইস্পাত কারখানা । অন্যদিকে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়েই দুর্গাপুরের প্রান ভোমরা  রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানা গুলিকে হয় বিক্রী নয় শুকিয়ে মারার নীতি নিয়েছে । প্রাসঙ্গিক বিগত বাজপেয়ী সরকারের সময় ভারতের অন্যতম সেরা এঞ্জিনিয়ারিং রাষ্ট্রায়ত্ব এম.এ.এম.সি কারখানা বন্ধ করার মধ্য দিয়ে দুর্গাপুরে কারখানা বন্ধ হওয়ার রেওয়াজ শুরু হয় এবং রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তখন সেই সরকারের অন্যতম মন্ত্রী ছিলেন । বর্তমানে রাজ্য সরকার দুর্গাপুর কেমিক্যালস এর ১০০% বিলগ্নীকরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার আসানসোলের হিন্দুস্হান কেবলস কারখানা পুরোপুরি বন্ধ করা ও দুর্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত উৎপাদক সংস্হা সেইলের  আন্তর্জাতিক স্তরের বিশেষ ইস্পাত উৎপাদক সংস্হা অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট কে নিলামে বেসরকারী হাতে বিক্রী করবে বলে জানিয়েছে । এই সিদ্ধান্ত জানার সাথে সাথে দুর্গাপুর ইস্পাতনগরীতে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায় ।বহু যুদ্ধে পোড় খাওয়া মিশ্র ইস্পাত ও দুর্গাপুর ইস্পাত শ্রমিক ও হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন সর্বব্যাপি জনমত গড়ে তুলেছে । আন্দোলনের স্রোতে যুক্ত হয় সাধারন মানুষ । অন্যদিকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা চরম বঞ্চনার শিকার । আধুনিককরন-সম্প্রসারনের জন্য  সেইলের ৭০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের মধ্যে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জন্য বরাদ্দ মাত্র ১২,০০০ কোটি টাকা । এর ফলে সেইলের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ইন্টিগ্রেডেড স্টিল প্ল্যান্টে পরিনত হবে  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা । তাছাড়া মিশ্র ইস্পাত কারখানা বিক্রী হলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্হ হবে  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা । মিশ্র ইস্পাত ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কেবল দুর্গাপুরের নয় , জেলা ও রাজ্যের অন্যতম অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্হান কেন্দ্র । কিন্তু ‘ অজানা কারনে ‘ রাজ্য সরকার ও তৃণমূল দল মিশ্র ইস্পাত ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বাঁচানোর জন্য কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না । মোদি-মমতার গোপন-আঁতাত দুর্গাপুরের মানুষের কাছে আর গোপন নেই – এই কথাই আজকের সমাবেশে বক্তা থেকে শ্রোতা সবার মুখে মুখে ঘুরছে । ডিভিসির অবহেলায় জলের অভাবে শুকিয়ে যেতে বসেছে দুর্গাপুর । কিন্তু রাজ্য সরকারের হুঁশ নেই ।সি.আই.টি.ইউ করার অপরাধে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ৩৫০০ ঠিকা শ্রমিক সহ দুর্গাপুরের হাজার হাজার শ্রমিক কে বিগত ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার আসার পর কাজের জায়গা থেকে উৎখাত করেছে তৃণমূলী গুন্ডা বাহিনী ।কিন্ত সব জেনেও কেন্দ্রীয় সরকার নীরব । বাংলার শস্যাগার নামে পরিচিত বর্ধমান এখন কৃষক-ক্ষেতমজুরের লাশ ঘর । ফসলের দাম নেই,রেগার কাজ নেই । মোদি-মমতার জমানায়  শতাধিক কৃষক-ক্ষেতমজুর আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে । রমরমা জমি মাফিয়াদের ।বর্গী আক্রমন ছাড়া সমৃদ্ধ  বর্ধমান জেলার ইতিহাসে এরকম কালোদিন এর আগে কখন আসে নি , জীবন-জীবিকার উপর এমন আক্রমনও হয় নি।  শিল্প-কৃষি-দেশ বাঁচানোর জন্য তীব্রতম প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সমাবেশ শেষ হয় ।

বক্তব্য রেখেছেন পার্টির জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক , অমল হালদার , মদন ঘোষ,সন্তোষ দেবরায়,অঞ্জু কর,আব্দার রেজ্জাক মোল্লা গৌরাঙ্গ চ্যাট্যার্জী ও আভাস রায় চৌধুরী ।













Friday 27 January 2017

আগামীকাল দুর্গাপুরে শ্রমিক-কৃষক এর ঐতিহাসিক সমাবেশের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে ।



দুর্গাপুর,২৭শে জানুঃ -  ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি(মার্কসবাদী)-র বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে আগামী কাল সকাল ১০টায় দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে শ্রমিক-কৃষক এর যে ঐতিহাসিক সমাবেশ হতে চলেছে , সেই সমাবেশকে সফল করার জন্য ইস্পাতনগরী সহ অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে । আজ সন্ধ্যায়, পার্টির দুর্গাপুর ইস্পাত ২নং ও ৩নং আঞ্চলিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে ইস্পাতনগরীর ভগৎ সিং মোড়ে পথসভায় সমাবেশকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আর.পি.গাঙ্গুলী ও সৌরভ দত্ত । চন্ডিদাস বাজারে অপর একটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন মনোজ হাজরা ও আল্পনা চৌধুরী । বক্তারা পার্টির কেরালা রাজ্য সম্পাদক কে.বালাকৃষ্ণানের উপর আর.এস.এস-র প্রানঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা করেন । উদ্যোক্তা ছিল পার্টির দুর্গাপুর ইস্পাত ৪নং আঞ্চলিক কমিটি ।








Thursday 26 January 2017

প্রজাতন্ত্র দিবসে মানব-বন্ধনে ইস্পাতনগরী : ২৮শে জানুয়ারী দুর্গাপুরে শ্রমিক-কৃষক এর ঐতিহাসিক সমাবেশের প্রচার লাগাতার চলছে ।



দুর্গাপুর,২৬শে জানুঃ – আজ সারা রাজ্যের সাথে ইস্পাতনগরীতেও , সংবিধানে প্রদত্ত দেশের সার্বভৌমত্ব,গনতন্ত্র,ধর্মনিরপেক্ষতা,জাতীয় সংহতি,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্যরক্ষা এবং জনগনের অর্জিত অধিকার রক্ষার জন্য যে কোন ধরনের আত্মত্যাগ করার শপথ নেওয়া হয় মানববন্ধন এর মধ্য দিয়ে । ইস্পাতনগরীর চন্ডিদাস বাজারে নির্ধারিত সকাল ১১ টা থেকে ১১-১৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে , শপথ বাক্য পাঠ করান ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি(মার্কসবাদী)-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল কমিটির সম্পাদক সন্তোষ দেবরায় ।

      এদিকে  ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি(মার্কসবাদী)-র বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে আগামী ২৮শে জানুঃ সকাল ১০টায় দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে শ্রমিক-কৃষক এর যে ঐতিহাসিক সমাবেশ হতে চলেছে , সেই সমাবেশকে সফল করার জন্য ইস্পাতনগরী সহ অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় চলছে নিবিড় প্রচার । চলছে লিফলেট বিলি,বৈঠকি-গ্রুপ সভা,কনভেনশন ও পথসভা । আজ সন্ধ্যায়, পার্টির দুর্গাপুর ইস্পাত ৫নং আঞ্চলিক কমিটির ডাকে ইস্পাতনগরীর অশোক এভিন্যু এর খোলা মার্কেটের পথসভায় সমাবেশকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নির্মল ভট্টাচার্য ও মলয় চক্রবর্তী ।










Tuesday 24 January 2017

২৮শে জানুয়ারী দুর্গাপুরে শ্রমিক-কৃষক এর ঐতিহাসিক সমাবেশ ঘিরে ইস্পাতনগরীতে নিবিড় প্রচার চলছে ।


দুর্গাপুর,২৪শে জানুঃ – ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি(মার্কসবাদী)-র বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে আগামী ২৮শে জানুঃ সকাল ১০টায় দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে শ্রমিক-কৃষক এর ঐতিহাসিক সমাবেশ হতে চলেছে । সমাবেশকে সফল করার জন্য ইস্পাতনগরী সহ অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় চলছে নিবিড় প্রচার । চলছে লিফলেট বিলি,বৈঠকি-গ্রুপ সভা,কনভেনশন ও পথসভা । আজ সন্ধ্যায়, পার্টির দুর্গাপুর ইস্পাত ৩নং আঞ্চলিক কমিটির ডাকে ইস্পাতনগরী ও বেনাচিতি বাজারের সংযোগস্হল ব্যস্ততম পাঁচমাথা মোড়ে এক বিশাল পথসভায় সমাবেশকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নিমাই ঘোষ,আশীষ মিশ্র ও স্বপন মজুমদার । সভাপতিত্ব করেন নিমাই ঘোষ ।


Wednesday 18 January 2017

এসপি-ডিএসপি বাঁচাও, দুর্গাপুর বাঁচাও দাবীতে - মহা মিছিলে গন প্লাবন ।



দুর্গাপুর,১৮ই জানুঃ – আজ বিকালে, অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা বাঁচাও,দুর্গাপুর বাঁচাও – এই দাবীতে সি.আই.টি.ইউ সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের সংযুক্ত মঞ্চের ডাকে , অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট থেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা পর্যন্ত মহা মিছিলে যোগ দিলেন হাজার হাজার  ইস্পাত  শ্রমিক। যাত্রাপথে এন.এইচ ২( জি.টি.রোড) তে মিছিল পৌঁছালে , জাতীয় সড়ক কার্যতঃ রুদ্ধ হয়ে যায়।

  এছাড়াও  মিছিলে হাঁটেন সি.আই.টি.ইউ এর বর্ধমান জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ চক্রবর্তী,বিকাশ ঘটক ( আই.এন.টি.ইউ.সি-র বর্ধমান জেলার সভাপতি ) সহ অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ এবং দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় ও দুর্গাপুরের প্রাক্তন সাংসদ সাইদুল হক ।












Sunday 15 January 2017

আগামী ১৮ই জানুঃ মহা মিছিলের জন্য জোর প্রস্তুতি চলছে ।


দুর্গাপুর,১৫ই জানুঃ - অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা বাঁচাও,দুর্গাপুর বাঁচাও – এই দাবীতে সি.আই.টি.ইউ সহ অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের যৌথ মঞ্চের ডাকে আগামী ১৮ই জানুঃ মহা মিছিলের জন্য জোর প্রস্তুতি চলছে । ১৮ই জানুঃ মহা মিছিলের সফল করার জন্য উভয় কারখানার বিভাগে বিভাগে , ইস্পাতনগরী সহ সংলগ্ন গ্রামাঞ্চলে চলেছে ছোট ছোট সভা । আজ রবিবার,ইস্পাতনগরীর দুটি বাজার আশীষ মার্কেটে ও চন্ডিদাস বাজারে দুটি বড় পথসভা হয় যথাক্রমে সকাল ও সন্ধ্যায় । আশীষ মার্কেটের পথসভায় বক্তব্য রেখেছেন আমীর হায়দার ( এ.আই.টি.ইউ.সি),মনিলাল সিনহা ও অসীম সাহা ( আই.এন.টি.ইউ.সি) এবং এইচ.এস.ই.ইউ (সি.আই.টি.ইউ ) এর পক্ষে গুরুপ্রসাদ ব্যানার্জী ও বিশ্বরূপ ব্যানার্জী । সভাপতিত্ব করেন আমীর হায়দার ।  চন্ডিদাস বাজারের পথসভায় বক্তব্য রেখেছেন বিশ্বনাথ মন্ডল ( এ.আই.ইউ.টি.ইউ.সি), মনিলাল সিনহা ও সুব্রত ভট্টাচার্য্য ( আই.এন.টি.ইউ.সি) এবং এইচ.এস.ই.ইউ (সি.আই.টি.ইউ ) এর পক্ষে কবিরঞ্জন দাসগুপ্ত , বিজয় সাহা ও অরুন চৌধুরী । সভাপতিত্ব করেন কবিরঞ্জন দাসগুপ্ত ।






Friday 13 January 2017

মেহেনতী মানুষের সংগ্রামে এস.কে.এন চৌধুরীর অসামান্য ভূমিকা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে শিক্ষনীয় হয়ে থাকবে : অমল হালদার




দুর্গাপুর,১৩ই জানুঃ : বিষন্নতা ,বিষাদের সুরে গত ১৩ই ডিসেঃ  ইস্পাতনগরী দুর্গাপুর বিদায় জানিয়েছিল প্রিয় নেতা সুনীল কান্তি নারায়ন চৌধুরী ,মানুষের কাছে তিনি এস.কে.এন চৌধুরীর নামেই সমাধিক পরিচিত ছিলেন । কনকনে ঠান্ডায় ইস্পাতনগরীর তিলক রোডে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এর অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট শাখার দফ্তর সংলগ্ন ময়দানে আজ বিকাল ছুঁয়ে সন্ধ্যায় জনাকীর্ণ শোকসভায় কাতারে কাতারে মানুষ ভীড় বুঝিয়ে দিল মেহেনতী ও গনতন্ত্রপ্রিয় মানুষের কত আপনজন ছিলেন তিনি ।উপস্হিত ছিলেন অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর কারখানার শ্রমিকরা সহ দুর্গাপুরে  সর্বস্তরের মানুষের । ভীড় জানান দিল তিনি কেবল ট্রেড ইউনিয়ন অথবা পার্টি নেতা ছিলেন তাই নয় ,তিনি হয়ে উঠেছিলেন তাদের আপনজন । নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে উঠে এল সাথে ট্রেড ইউনিয়ন অথবা পার্টি প্রতিষ্ঠা করার সাথে সাবলীল ভাবে  সমবায়-বিজ্ঞান-সাক্ষরতা আন্দোলন নেতৃত্ব দিয়েছেন । ইস্পাতনগরীর বুকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও তিনি অন্যবদ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন । তাঁর কর্মস্হল অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট এর ভবিষ্যৎ আজ বিপন্ন । বিক্রী করার চেষ্টা চলছে । এর বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে যৌথ শ্রমিক আন্দোলন । ২০০২ সালে বিগত বিজেপি-এনডিএ সরকারের আমলে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট কে এমনি ভাবে বিক্রী করার চেষ্টা ব্যর্থ করার জন্য অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট সফল যৌথ শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম সেনাপতি ছিলেন তিনি । বিরোধীদের কাছেও তিনি  সমানভাবে আস্হাভাজন ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন । অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট কে ক্রমান্বয়ে বঞ্চনার করার ইতিহাস , তিনি প্রাঞ্জলভাবে লিপিবদ্ধ করেন তাঁর লিখিত ,” এ.এস.পি-র হত্যাকান্ড : তদন্তে ঐ শিল্পের এক মজুর “ বইটি তে ।
 অমল হালদার বলেন যে মেহেনতী মানুষের সংগ্রামে এস.কে.এন চৌধুরীর সহ সেই প্রজন্মের নেতৃত্ব লড়াই শুরু করে ছিলেন,সেই লড়াই এর ব্যাটন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে দেওয়ার জন্য নিজেদের যোগ্য করে তোলার মধ্য দিয়েই এস.কে.এন চৌধুরীর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রথীন রায়,সন্তোষ দেবরায়,জীবন রায়,অর্ধেন্দু দাক্ষী,বিকাশ ঘটক প্রমূখ ।














Wednesday 11 January 2017

অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাতে দুর্গাপুরে লাগাতার আন্দোলন চলছে ।



দুর্গাপুর,১১ জানুঃ  – গত ৯ই জানুঃ দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ,” শিল্প বাঁচাও -  এ.স.পি বাঁচাও – ডি.এস.পি বাঁচাও – আমাদের গর্বের শহর দুর্গাপুর বাঁচাও “ – এই দাবীতে সি.আই.টি.ইউ-আই.এন.টি.ইউ.সি-এ.আই.টি.ইউ.সি-বি.এম.এস- এ.আই.ইউ.টি.ইউ.সি- টি.ইউ.সি.সি এর যৌথ মঞ্চের ডাকে শয়ে শয়ে শ্রমিক-কর্মচারী সহ সমাজের অন্যান্য অংশের মানুষ সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত গন অনশনের কর্মসূচীতে যোগ দেন । 

অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের নেতিবাচক পরিনতি হলে সরাসরি প্রভাব পড়বে,ক্ষতিগ্রস্হ হবে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা । সামগ্রিক ভাবে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার যে কোন খারাপ পরিনতি শুধুমাত্র দুর্গাপুর নয় বর্ধমান জেলা সহ রাজ্যের অর্থনীতিতে অত্যন্ত বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে এবং দুর্গাপুর শহর নিশ্চিত ধ্বংসের মুখোমুখি হবে । তাই  অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাতে দুর্গাপুরে লাগাতার আন্দোলন চলছে । 
এর বিরুদ্ধে লড়াই এ নেমেছে সি.আই.টি.ইউ-আই.এন.টি.ইউ.সি-এ.আই.টি.ইউ.সি-বি.এম.এস- এ.আই.ইউ.টি.ইউ.সি- টি.ইউ.সি.সি । যৌথ কনভেনশন করে আন্দোলনের কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে । 
যৌথ মঞ্চের পক্ষে আগামী ১৮ই জানুঃ অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট থেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন গেট পর্যন্ত মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে ।

আজ সন্ধ্যায় দুর্গাপুর স্টেশন যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে পথসভায় বহু উৎসুক্য মানুষ ধৈর্য ধরে বক্তব্য শোনেন । লিফলেট বিলি করা হয় । বক্তব্য রাখেন সি.আই.টি.ইউ এর বর্ধমান জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ চক্রবর্তী , রামপঙ্কজ গাঙ্গুলী ও বিশ্বরূপ ব্যানার্জী ( হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন, সি.আই.টি.ইউ ), স্বপন ব্যানার্জী ( আই.এন.টি.ইউ.সি ),রবি ঠাকুর ( এ.আই.টি.ইউ.সি ),তাপস মাজি ( এ.এস.পি.সি.ইউ ), হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি রথীন রায় ও দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর সি.পি.আই.(এম) বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় ।সভাপতিত্ব করেন বিনয়কৃষ্ণ চক্রবর্তী ।