Tuesday 28 February 2017

রেশন-টেট দূর্ণীতি-বস্তি উন্নয়ন-কালা কানুনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের স্রোত আছড়ে পড়ল দুর্গাপুরের এস.ডি.এম এর দফ্তরে ।



দুর্গাপুর,২৮শে ফেব্রুঃ – আজ দুপুরে ,ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী ) –র দুর্গাপুর ইস্পাত ও দুর্গাপুর পশ্চিম জোনাল কমিটির যৌথ আহ্বানে , পাঁচ দফা অধিকার রক্ষার দাবীতে এক বিশাল মিছিল সিটি সেন্টারের সরোজ মুখোপাধ্যায় ভবন ( গনশক্তি দফ্তর ) এর সামনে থেকে শুরু হয়ে এস.ডি.এম এর দফ্তরে যায় এবং শেষে সিটি সেন্টারের বাস টার্মিনাসে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।
রেশন প্রাপকদের ন্যায্য প্রাপ্য কার্ড থেকে বঞ্চনা-হয়রানি ও রেশন কার্ড নিয়ে তৃণমূলীদের দূর্ণীতি-দলবাজি, প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী নিয়োগে চরম দূর্ণীতি-দলবাজি, দুর্গাপুর পৌর নিগম অঞ্চলে বস্তির প্রকৃত উন্নয়ন ও সকল বস্তিবাসির জন্য ঘর , দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর সি.পি.আই.(এম) বিধায়ক সন্তোষ দেব রায়ের  এম.এল.এ ফান্ডের টাকা খরচে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বাধা অবিলম্বে দুর করা  এবং “ ওয়েষ্ট বেঙ্গল মেইন্টেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার বিল ২০১৭ “ – সহ সমস্ত কালা কানুন অবিলম্বে বাতিলের দাবীতে আজকের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সন্তোষ দেব রায়,মহাদেব পাল,আল্পনা চৌধুরী ও আশীষ সিংহ রায় চৌধুরী । সভাপতিত্ব করেন শ্যামা ঘোষ । উপস্হিত ছিলেন কমঃ রথীন রায় ।
 সন্তোষ দেব রায় এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল  এস.ডি.এম এর কাছে দাবী-সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেয় ।  প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন মহাদেব পাল ,মহাব্রত কুন্ডু,প্রফুল্ল মন্ডল ও স্বপন ব্যানার্জী । 


















Thursday 23 February 2017

যৌথ মঞ্চ এর পক্ষ থেকে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও আন্দোলন কে আরও প্রসারিত ও নিবিড় করার ডাক ।



দুর্গাপুর,২৩ ফেব্রু - শ্রমিক সংগঠন সমূহের যৌথ মঞ্চ এর পক্ষ থেকে  অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও আন্দোলন কে আরও প্রসারিত ও নিবিড় করার ডাক দেওয়া হল । আজ অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের প্রশাসনিক ভবন ইস্পাত ভবনের সামনে দুর্গাপুর মিশ্র ইস্পাত কারখানা ( অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ) ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের এক বিশাল গন জমায়েতে যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানানো হয় । কেন্দ্রের মোদি সরকারের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বিক্রী ও বেসরকারীকরের চক্রান্তের আঁচ পেয়ে,গত বছরে ২৩ শে ফেব্রুঃ থেকে সি.আই.টি.ইউ এর নেতৃত্বে ইস্পাত শ্রমিকরা লাগাতার আন্দোলন গড়ে তোলে । ইতিমধ্যে,গত নভেম্বর মাসে নবরত্ন রাষ্ট্রয়ত্ব ইস্পাত উৎপাদক সংস্হা সেইলের বিশেষ ইস্পাত উৎপাদনের জন্য জগৎ-বিখ্যাত  অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট সহ সালেম ও ভদ্রাবতী স্টিল প্ল্যান্টের বিক্রী ও বেসরকারীকরনের চিঠি ফাঁস হতেই অন্যান্য শ্রমিক সংগঠন গুলি ( তৃণমূল বাদে ) অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও আন্দোলনে সামিল হয়ে যৌথ মঞ্চ গড়ে তোলে এবং যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বে দুর্গাপুর মিশ্র ইস্পাত কারখানা ( অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ) ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিকরা লাগাতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ।
আজকের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন সাংসদ জীবন রায় , দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়, আই.এন.টি.ইউ.সি-র বর্ধমান জেলার সভাপতি  বিকাশ ঘটক , রবি ঠাকুর ( এ.আই. টি.ইউ.সি)  ,অনিত মল্লিক (টি.ইউ.সি.সি),মলয় ভট্টাচার্য,ললিত মিশ্র (সি.আই.টি.ইউ) সহ অন্যান্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দ । উপস্হিত ছিলেন হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সি.আই.টি.ইউ ) এর সভাপতি রথীন রায় ও সি.আই.টি.ইউ এর বর্ধমান জেলার সভাপতি  বিনয়কৃষ্ণ চক্রবর্তী ।
সমাবেশে চলাকালীন  অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট এর ই.ডি.-র কাছে যৌথ মঞ্চ এর এক  প্রতিনিধি দল স্মারক লিপি জমা দেয় । স্মারক লিপিতে অবিলম্বে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট সহ সালেম ও ভদ্রাবতী স্টিল প্ল্যান্টের বিক্রী ও বেসরকারীকরনের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট  ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সম্প্রসারন,আধুনিকীকরন ও উভয় কারখানার উন্নতির জন্য প্রয়োজনে আংশিক একীকরনের দাবী জানানো হয় ।











Sunday 12 February 2017

দুর্গাপুর বাঁচাতে ,অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট সহ সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা রক্ষার শপথ নিল ইস্পাতনগরীর মানব-বন্ধন ।



দুর্গাপুর , ১২ই ফেব্রুঃ – আজ সকালে , ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের যৌথ মঞ্চের ডাকে, ১১-০০ থেকে ১১-১৫ পর্যন্ত ,ইস্পাতনগরীর কেন্দ্রস্হলে এ-জোনের ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তির পাদদেশ থেকে বি-জোনে স্বামী বিবেকানন্দ মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মানব-বন্ধনের কর্মসূচী পালিত হল ।
ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্নের শহর দুর্গাপুর এর ভিত্তি রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানা সমূহ । কেন্দ্রে বিগত এনডিএ সরকারের আমলে রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানা ধ্বংসের অভিযানে দুর্গাপুরে এম.এ.এম.এম.সি. , ফার্টিলাইজার ( এফ.সি.আই),বি.ও.জি.এল সহ ৬ টি রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানা বন্ধ হয়ে যায় । সেই সময়ে এনডিএ সরকারের অন্যতম মন্ত্রী রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু সেই সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানা বন্ধের বিরুদ্ধে কোন উদ্যোগই গ্রহন করেন নি । উপরন্তু রাজ্যের বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এম.এ.এম.এম.সি. পুনরুজ্জীবনের জন্য কনসোর্টিয়াম গঠনের উদ্যোগে কে ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে বর্তমান তৃনমূল সরকার । বর্তমানে দুর্গাপুর আবার রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানার ‘নিধন-যজ্ঞ’ শুরু করার প্রচেষ্টা নিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার ও রাজ্যের মমতা সরকার । মোদী সরকার ইতিমধ্যে সারা দেশে ৭৪ টি রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানা বিক্রী / বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যার অন্যতম অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট । দেশের প্রতিরক্ষা,রেল,পরমানু  সহ প্রায় প্রতিটি শিল্পের জন্য বিশেষ বিশেষ স্টিল উৎপাদন করে দেশের ‘মহারত্ন’ রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত উৎপাদনকারী স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড ( সেইল ) এর অন্যতম হেরিটেজ কারখানা অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট । বিপন্ন সেইল এর অপর অন্যতম দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট ,দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন ( ডি.টি.পি.এস ) এবং ডিভিসির অন্তর্গত দুর্গাপুর ব্যারেজ তথা দুর্গাপুরের শিল্প ও পানীয় জলের সরবরাহ। কিন্তু রাজ্যের তৃণমূল সরকার এ বিষয়ে নিশ্চুপ । দুর্গাপুর লোকসভার কেন্দ্রের তৃণমূলের নির্বাচিত সাংসদ সংসদে এ বিষয়ে কোন আলোচনা করা দুরে থাক , দুর্গাপুরের মানুষ তাঁর নামও ইতিমধ্যে ভুলতে বসেছেন । তবে রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানার ‘নিধন-যজ্ঞ’ এ কেন্দ্রের মোদি সরকারের অন্যতম দোসর হয়ে উঠেছে রাজ্যের মমতা সরকার । ইতিমধ্যে রাজ্য পরিচালনাধীন  ৯০ টি রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানা সঙ্কুচিত করে ৪৬টি সংস্হায় পরিনত করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের মমতা সরকার । বিক্রী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্গাপুর কেমিক্যালস । চরম বিপন্ন তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্হা ডিপিএল । ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা সহ বন্ধ হয়েছে মোট ২২ টি কারখানা । লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছে । বিপন্ন দুর্গাপুর জনপদ । ভয়ংকর বিপদ ঘনাচ্ছে রাজ্যের অর্থনীতিতে । সি.আই.টি.ইউ যে লড়াই শুরু করেছিল , আজ ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের যৌথ আন্দোলনে পরিনত হয়েছে , দুর্গাপুরের সমস্ত অংশের মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচানোর লড়াই এর রূপ নিচ্ছে ।

আজকের মানব-বন্ধন কর্মসূচীতে উপস্হিত ছিলেন সি.আই.টি.ইউ এর বর্ধমান জেলার সভাপতি বিনয়েন্দ্রকৃষ্ণ চক্রবর্তী , আই.এন.টি.ইউ.সি এর বর্ধমান জেলার সভাপতি বিকাশ ঘটক , দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় , শ্রমিকনেতা রথীন রায় , বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,মলয় ভট্টাচার্য,বিজয় সাহা, নির্মল ভট্টাচার্য,সুবীর সেনগুপ্ত,নিমাই ঘোষ,জীবন আইচ,উমাপদ দাস, অনীত মল্লিক, সহ বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ । মানব-বন্ধন চলাকালীন বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপুর বাঁচাতে ,অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট সহ সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ব  সংস্হা রক্ষার লড়াই এর জন্য সব ধরনের আত্মত্যাগ করার  শপথ-বাক্য পাঠ করানো হয় ।









Wednesday 8 February 2017

জমি-মাফিয়াদের হাত থেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জমি উদ্ধার ও কোয়ার্টার-জমি লিজিং-লাইসেন্সিং এর দাবীতে বিশাল জমায়েত ।



দুর্গাপুর,৮ই ফেব্রুঃ – আজ দুপুরে , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্রশাসনিক দফ্তরে সামনে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ )-আই.এন.টি.ইউ.সি-এ.আই.টি.ইউ.সি- এ.আই.ইউ.টি.ইউ.সি - স্টিল এমপ্লয়িজ ফোরাম – লাইসেন্সিং অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ আহ্বানে অবিলম্বে জমি-মাফিয়াদের হাত থেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার উদ্বৃত্ত জমি উদ্ধার করে চাকুরীরত ও অবসরপ্রাপ্ত সমস্ত ধরনের ইস্পাত ও আনুষাঙ্গিক শ্রমিক-কর্মচারীদের সমবায় প্রথায় জমির লিজিং,  কোয়ার্টার লিজিং-লাইসেন্সিং , এন.জে.সি.এস অনুসারে প্রাপ্য হাউস রেন্ট অ্যালাউন্স , একতরফা ভাবে লাইসেন্সিং ঘরের ফী বৃদ্ধি প্রত্যাহার ও সুষ্ঠ নাগরিক পরিষেবার  দাবীতে এক বিশাল জমায়েত হয় । বক্তব্য রাখেন স্বপন মজুমদার ( এইচ.এস.ই.ইউ , সি.আই.টি.ইউ ), সুব্রত ভট্টাচার্য ( আই.এন.টি.ইউ.সি ),শম্ভূ প্রামানিক (এ.আই.টি.ইউ.সি),বিশ্বনাথ মন্ডল (এ.আই.ইউ.টি.ইউ.সি ),সুরেশ মুখার্জী (স্টিল এমপ্লয়িজ ফোরাম ) ও স্বপন মুখার্জী (লাইসেন্সিং অ্যাসোসিয়েশন ) । জমায়েত চলাকালীন  এক যৌথ প্রতিনিধি দল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সি.ই.ও দফ্তরে দাবী সম্বলিত স্মারক লিপি জমা দিয়ে , অবিলম্বে ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য দাবী জানান । পরে প্রতিনিধি দলের পক্ষে ললিত মিশ্র ( এইচ.এস.ই.ইউ , সি.আই.টি.ইউ ) জমায়েতে বক্তব্য রেখে , কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন ।সভাপতিত্ব করেন কবিরঞ্জন দাসগুপ্ত ।

এ দিকে , গতকাল , হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ ) এর ডাকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ই.ডি. দফ্তরে , অবিলম্বে বকেয়া বেতন চুক্তি করার জন্য সেইলে-র  এন.জে.সি.এস এর আলোচনা শুরু ও বিগত এন.জে.সি.এস এর বেতন চুক্তি অনুসারে প্রাপ্য বকেয়া অবিলম্বে মেটানোর দাবীতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখান । ইউনিয়নের পক্ষ থেকে  ই.ডি. দফ্তরে দাবী সম্বলিত স্মারক লিপি জমা দেওয়া হয় ।