Wednesday 29 March 2017

অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বিক্রীর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে আন্দোলন আরও শক্তিশালী করার ডাক দিল নাগরিক কনভেনশন ।




দুর্গাপুর,২৯শে মার্চ – আজ সন্ধ্যায় , ইস্পাতনগরীর দেশবন্ধু ভবনে  যৌথ ট্রেড ইউনিয়ন মঞ্চের আহ্বানে নাগরিক কনভেনশন থেকে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বিক্রীর সিদ্ধান্ত বাতিল সহ ৪ দফা দাবীতে  আন্দোলন আরও প্রসারিত ও শক্তিশালী করার ডাক দেওয়া হয় । ইতিমধ্যেই যৌথ ট্রেড ইউনিয়ন মঞ্চের পক্ষ থেকে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও আন্দোলন দুর্গাপুর সহ গোটা রাজ্য জুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে । মোদি সরকারে রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত উৎপাদক সংস্হা সেইলে-র বিশেষ ইস্পাত উৎপাদনকারী দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট,সালেম ও ভদ্রাবতী স্টিল প্ল্যান্ট কে বিক্রী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এর বিরুদ্ধে  সেইলে-র শ্রমিকদের  যৌথ ট্রেড ইউনিয়ন মঞ্চ আগামী ১১ই এপ্রিল অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট,সালেম ও ভদ্রাবতী স্টিল প্ল্যান্টে সর্বাত্মক ধর্মঘটের এবং সেইলে-র অন্য স্টিল প্ল্যান্ট,খনি সহ সমস্ত ইউনিটে এই ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে  ২ ঘন্টার কর্মবিরতি সহ বিক্ষোভ-প্রতিবাদের  ডাক দিয়েছে । এদিকে , কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের যৌথ মঞ্চ থেকে আগামী ৩রা এপ্রিল কলকাতার রানী রাসমনি রোডে গণ-জমায়েত ও অবস্হান এবং রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশনের কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে । আজকের নাগরিক কনভেনশন থেকে ৩রা এপ্রিল কলকাতা চলো কর্মসূচী ও ১১ই এপ্রিল এর ধর্মঘট কে সর্বাত্মক করে তোলার জন্য আবেদন জানানো হয় । বক্তব্য রেখেছেন রথীন রায় ,সন্তোষ দেবরায়,বিকাশ ঘটক,পি.কে.দাস ,অনীত মল্লিক, বিশ্বরূপ ব্যানার্জী ও অসীম সাহা ।
অন্যদিকে , সুখবিলাস বর্মার নেতৃত্ব ৪ সদস্যের বিধানসভার পাওয়ার অ্যান্ড নন-কনভেনশনাল এনার্জি রিসোর্স স্ট্যান্ডিং কমিটি রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্হা দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড ( ডিপিএল) পরিদর্শন করল ২৮-২৯ মার্চ । ছিলেন স্হানীয় দুর্গাপুর(পশ্চিম)-এর বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়ালও ।ভয়াবহ চিত্র উঠে আসে । ডিপিএল এর কোকওভেন ইউনিট গত ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে বন্ধ ।১,২ ও ৩ নং ইউনিট চিরতরের জন্য বন্ধ ।৩,৪ ও ৫ নং ইউনিটও একই অবস্হা । চালু ৭ ও ৮ নং ইউনিট বেশীর সময়ে পালা করে চলে । ডিপিএল এর সি.আই.টি.ইউ ,আই.এন.টি.ইউ.সি ও আই.এন.টি.টি.ইউ.সি এবং অফিসার্স অ্যাসোশিয়েশনের প্রতিনিধি দল আলাদা আলাদা ভাবে স্ট্যান্ডিং কমিটির সাথে দেখা অবিলম্বে ডিপিএল বাঁচাতে রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন । স্ট্যান্ডিং কমিটির অন্যতম সদস্য ও দুর্গপুর(পূর্ব)-এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় শ্রমিক ইউনিয়ন গুলি ও অফিসার্স অ্যাসোশিয়েশন কে ডিপিএল বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন ।





Sunday 26 March 2017

দুর্গাপুরের কারখানা বাঁচানোর লড়াই এর পাশে দাঁড়ালো ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’ ।



দুর্গাপুর,২৬শে মার্চ – রুটি-রুজির অধিকার ,গনতন্ত্রের অন্যতম অধিকার ।  দুর্গাপুরের কারখানা বাঁচলেই , দুর্গাপুর শহর রক্ষা পাবে,রাজ্যের অর্থনীতি বাঁচবে । তাই অ্যালয় স্টিল বাঁচানোর লড়াই,কারখানা বাঁচানোর লড়াই এর পাশে জোড়ালো ভাবে থাকবে ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি ওয়েষ্ট বেঙ্গল’। আজ দুর্গাপুরে ভীড়ে ঠাসা সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে এক আলোচনা সভায় এ কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন সংস্হার নেতৃবৃন্দ । এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভূমিকা কে তুলোধোনা করে সুপ্রীম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্রী অশোক গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন যে দুর্গাপুর এর একে একে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া রুখতে মুখ্যমন্ত্রী কি ভূমিকা পালন করেছেন ? কেন্দ্রীয় সরকার যখন অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বিক্রী করে দিতে উদ্যোত,তখন তিনি তার বিরোধীতা করার বদলে নিশ্চুপ ! এ কিসের ইঙ্গিত ? উল্টে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃত্বের উপর নৃশংস আক্রমনে করা হয়েছে । রাজ্য সরকারের সংস্হা ডিপিএল এর কোক ওভেন ও দুর্গাপুর কেমিক্যালস বিক্রী করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকারন্তরে মমতা ব্যানার্জী মোদী সরকার কে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বিক্রীর রাস্তা  দেখিয়ে দিচ্ছেন । আসন্ন দুর্গাপুর পৌর নিগমের নির্বাচনে ভোট লুঠের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে । এ বিষয়ে দুর্গাপুরের মানুষ কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সজাগ থাকার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন এখন থেকেই ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’ এ বিষয়ে নজরদারি চালাবে । রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য সচিব অর্ধেন্দু সেন কটাক্ষের সুরে বলেন যে ‘ সততার’ ভাঁড়ারে টান পড়েছে,তাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ইমেজ ধার করতে হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী নারদ কান্ডে সুপ্রীম কোর্টের রায় কে ‘গঠনমূলক’ বলার পরে ,মনিপুরে সরকার গঠনে বিজেপি কে তৃণমূলের সমর্থনই বুঝিয়ে দিয়েছে কি হতে চলেছে । এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ভারতী মুৎসুদ্দি , দিপালী ভট্টাচার্য ও মিতা চক্রবর্তী । রাজ্যে ক্রমবর্ধমান হিংসা,শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য, ধর্ষন ও অ্যাসিড হামলা, নারী ও শিশু পাচার ও বিশেষ করে নারীদের উপর ভয়াবহ অত্যাচার ও অসম্মান এর প্রসঙ্গ টেনে , আলোচকরা এই চরম নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে প্রতিবাদে নামার জন্য আবেদন জানান । সংগঠনের রাজ্য আহ্বায়ক অধ্যাপক চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন যে ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি ওয়েষ্ট বেঙ্গল’ এর লক্ষ্য হল ধর্মনিরপেক্ষতা,গনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র । সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও সংগঠন জনমত গঠন করবেন ।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের দুর্গাপুর শাখার পক্ষে রঞ্জিত মুখার্জী ও সোমনাথ গাঙ্গুলী । সঞ্চালনা করেন সুব্রত সিনহা ।
আলোচনা সভার শুরুতে,অনবদ্য গান শুনিয়ে দর্শক কুলকে মাত করে দেন তরুন গণসংগীত শিল্পী অভিনব চট্টরাজ ।






















Saturday 25 March 2017

অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও-শিল্প বাঁচাও আন্দোলন কে বানচাল করতে ও নারদ-কান্ডে দোষীদের আড়াল করতে তৃণমূলের নৃশংস আক্রমন ।



দুর্গাপুর,২৫শে মার্চ – ইস্পাতনগরীর বিভিন্ন জায়গায় গত ২২শে মার্চ থেকে সিপিআইএম-সিআইটিইউ সহ বিভিন্ন বামপন্হী সংগঠনের উপর তৃণমূলের লাগাতার আক্রমন-সন্ত্রাস চলছে । এর ফলে ১৫ জন আহত হয়েছেন ।আহতদের মধ্যে ৪ জনের আঘাত বেশ গুরুতর ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ২২শে মার্চ । ঐ দিন ,ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী)-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল কমিটির ডাকে নারদ-কান্ডে অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তি,সরকারী টাকায় রাজ্য সরকার নারদ-কান্ডে অভিযুক্তদের পক্ষে দাঁড়ানোর সমালোচনায় ও জেল হেফাজতে এস.এফ.আই নেত্রীদের প্রতি বর্বর আচরনের প্রতিবাদে মিছিল হলে,তৃণমূলীরা মিছিলে দুবার হামলা চালায় । এই হামলায় দেবব্রত দাস,মুস্তাফা বারোভুইঁয়া,প্রদীপ বিশ্বাস,চিত্ত ব্যানার্জী ও সন্তোষ আকুরি আহত হন ।

পরের দিন (২৩শে মার্চ) সন্ধ্যায় ভয়াবহ আক্রমন হয় হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট শাখার দফ্তরে । জনা পনেরো সশস্ত্র তৃণমূলী  দুস্কৃতি হামলা চালায় । সেই সময়ে দফ্তরের ভিতরে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও আন্দোলন সম্পর্কিত সভা চলছিল । অতর্কিতে হামলায় গুরুতর জখম হন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী)-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল কমিটির সদস্য বিজয় সাহা,বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক সীমান্ত তরফদার ও কল্যান ভট্টাচার্য  ।তাদের ডিএসপি মেইন হাসপাতালে ভর্তি করতে বাধা দেয় তৃণমূল। বাধ্য হয়ে তাদের বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় । অবশ্য পরের দিন (২৪শে মার্চ ) সকালে তাদের ডিএসপি মেইন হাসপাতালে স্হানান্তরিত করা সম্ভব হয় । ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী)-র বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক, প্রাদেশিক কৃষক সভার সম্পাদক অমল হালদার ,গৌরাঙ্গ চ্যাট্যার্জী,আভাষ রায়চৌধুরী,পঙ্কজ রায় সরকার,নির্মল ভট্টাচার্য ও বিধায়ক ( দুর্গাপুর পূর্ব ) সন্তোষ দেবরায় সহ একটি দল হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সাথে দেখা করে আসেন । কিন্তু এরমধ্যেও তৃণমূলের হামলা চলতে থাকে । আক্রান্ত হয় ডি.এস-২ আঞ্চলিক কমিটির দফ্তর ( ১৩/১৭ মার্কনী রোড ) ও এডিসন সেক্টর । এই আক্রমন-সন্ত্রাসের প্রতিবাদে পার্টির পক্ষে আজ দুর্গাপুর থানা ঘেরাও এর কর্মসূচী নেওয়া হয় । বিকাল ৫টার সময় , এক বিশাল মিছিল আশীষ-জব্বার ভবন থেকে শুরু হয়ে থানা অভিমূখে রওনা দিলে,নেতাজী ভবনের কাছে অরবিন্দ-কনিষ্ক মোড়ে,পুলিশ মিছিলের গতি রোধ করে । বাধা পেয়ে ,মিছিলের লোকজন রাস্তায় অবস্হান-বিক্ষোভে বসে পড়েন । অবশেষে পুলিশের উচ্চপদস্হ অফিসারদের অনুরোধে , সন্তোষ দেবরায় এর নেতৃত্বে পার্টির এক প্রতিনিধি দল দুর্গাপুর-আসানসোল কমিসারিয়েটের এডিপিসির কাছে যান এবং স্মারকলিপি জমা দিয়ে অবিলম্বে আক্রমন-সন্ত্রাস বন্ধ ও হামলায় জড়িত  তৃণমূলী  দুস্কৃতিদের গ্র্রেফ্তারের দাবী জানান হয় । এডিপিসির পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্হা গ্রহনের আশ্বাস দেওয়া হয় । ফিরে এসে অবস্হান-বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন সন্তোষ দেবরায় । এরপরে অবস্হান-বিক্ষোভ উঠে যায় । এছাড়াও অবস্হান-বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন  দুর্গাপুর ( পশ্চিম ) এর জাতীয় কংগ্রেসের বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল,পার্টির বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য নির্মল ভট্টাচার্য ও পঙ্কজ রায় সরকার এবং হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের পক্ষে ললিত মিশ্র ।




















































Thursday 23 March 2017

গতকাল মিছিলে তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদে আবার মিছিল ।



দুর্গাপুর , ২৩শে মার্চ – ২৪ ঘন্টা কাটেনি ! তার মধ্যেই গতকাল ইস্পাতনগরীতে মিছিলের উপর হামলার প্রতিবাদে, নারদ-কান্ডে দোষীদের শাস্তির দাবীতে,ঘুষখোরদের পাশে দাঁড়িয়ে জনগনের পয়সায়  রাজ্য সরকারের মামলা করার বিরুদ্ধে ও জেল হেফাজতের এস.এফ.আই নেত্রীদের প্রতি বর্বর আচরনের প্রতিবাদে লাল ঝান্ডা নিয়ে রাস্তায় নামল । গতকাল ইস্পাতনগরীতে একই দাবীতে ২ টি মিছিল হয় । কিন্তু এ-জোনের মিছিলে তৃণমূলীরা হামলা চালায় । ঘুষখোরদের বিরুদ্ধে ,নারদ-কান্ড নিয়ে কিছু বলা যাবে না,’দিদি-র’ নির্দেশ আছে – এই হুংকার ছেড়ে পরিচিত তৃণমূলী দুষ্কৃতি হামলা চালালে,প্রতিরোধ করেই মিছিল এগোতে থাকে । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ,সারা দুর্গাপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতিদের জুটিয়ে এনে আবার হামলা চালায় । কিন্তু এবারও প্রতিরোধ হয়,বিশেষ করে মহিলারা বীরত্বপূর্ন প্রতিরোধ করেন । আসলে , তৃণমূলীরা ভয়াবহ আক্রমন চালিয়েও ‘লালনগরী’ দুর্গাপুরকে দমতা পারছে না । ২০১১ সালের পরে ২ জন পার্টি কর্মী খুন হয়েছেন, শতাধিক গুরুতর আহত হয়েছেন, শতাধিক মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে । জোর করে দখল করেছে ব্যাঙ্ক ও সমবায় গুলিকে । সি.আই.টি.ইউ করার অপরাধে কেবলমাত্র দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা থেকে ৩৫০০ ঠিকা-শ্রমিক কে উচ্ছেদ করা হয়েছে । আক্রান্ত হয়েছে আশীষ-জব্বর ভবন,বি.টি.রনদিভে ভবন । ভাঙ্গচুর ও পোড়ানো হয়েছে অথবা দখল করা হয়েছে পার্টি ও বিভিন্ন গন-সংগঠনের দফ্তর । কিন্তু দুর্গাপুরের সংগ্রামী মানুষ ও লাল ঝান্ডা কে দমানো যায় নি । মানুষ সুযোগ পেয়ে তৃণমূল কে পরাস্ত করেছেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কারখানার শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে এবং দুর্গাপুরের ২ টি বিধানসভা কেন্দ্রেই । আজ যখন কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার কারখানা বন্ধ করে দুর্গাপুর কে ভাতে মারতে চাইছে,জেলা ভাগ করে দুর্গাপুর কে গুরুত্বহীন করতে চাইছে , ধর্মের নামে মানুষ কে ভাগ চাইছে – তখন তার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা ঐক্যবদ্ধ গন আন্দোলনের অন্যতম চালিকা-শক্তি লাল ঝান্ডা । স্বাভাবিকভাবেই  দুর্গাপুরে নারদ-কান্ডে দোষীদের শাস্তির দাবীতে ও গনতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন আরও জোরদার হতে যাচ্ছে আঁচ করেই গতকালের পরিকল্পিত আক্রমন ।কিন্তু লাল ঝান্ডা যে দমে যাবে না , আজ বিকালে সেইল সমবায় অঞ্চলে , পার্টির ইস্পাত জোনালের ডাকে - গতকাল ইস্পাতনগরীতে মিছিলের উপর হামলার প্রতিবাদে, নারদ-কান্ডে দোষীদের শাস্তির দাবীতে,ঘুষখোরদের পাশে দাঁড়িয়ে জনগনের পয়সায়  রাজ্য সরকারের মামলা করার বিরুদ্ধে ও জেল হেফাজতের এস.এফ.আই নেত্রীদের প্রতি বর্বর আচরনের প্রতিবাদে এক মিছিল সেইল সমবায় অঞ্চলে পরিক্রমা করে , সেই কথা আবার বুঝিয়ে দিল । মিছিলে উপস্হিত ছিলেন পার্টির বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য নির্মল ভট্টাচার্য ও সুবীর সেনগুপ্ত ।