Thursday 31 August 2017

ইস্পাতনগরীতে পালিত হল শহীদ দিবস ।



দুর্গাপুর,৩১শে আগষ্ট : ১৯৫৯ সালের ৩১শে আগষ্ট ঐতিহাসিক খাদ্য আন্দোলনের অমর শহীদ এবং পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এ রাজ্যের  গণআন্দোলনের শহীদদের স্মরণে আজকের দিনটি রাজ্যে শহীদ দিবস হিসাবে পালিত হয় ।
আজ সকালে , আশীষ-জব্বার ভবনে শহীদ স্মরনে রক্তপতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদানের কর্মসূচী পালিত হয় । রক্তপতাকা উত্তোলন করেন সন্তোষ দেবরায় । শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন সন্তোষ দেবরায় , নির্মল ভট্টাচার্য , সুবীর সেনগুপ্ত , বিশ্বরূপ ব্যানার্জী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।

সন্ধ্যায় , শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে , পার্টির ১,২ ও ৩ নং এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে  যথাক্রমে ভগৎ সিং মোড় , ডেভিড-তিলক মোড় এবং আশীষ মার্কেটে পক্ষ থেকে পথ সভা করা  হয় । বক্তা ছিলেন যথাক্রমে ভগৎ সিং মোড়ে আশীষ মিশ্র,কবিরঞ্জন দাসগুপ্ত,ললিত মিশ্র , ডেভিড-তিলক মোড়ে আল্পনা চৌধুরী ও স্বপন মজুমদার এবং আশীষ মার্কেটে নির্মল ভট্টাচার্য ও জীবন আইচ ।




Saturday 19 August 2017

হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে দুর্গাপুর পৌর নিগমের পুনঃর্নিবাচনের দাবীতে ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি ’ –র ডাকে ইস্পাতনগরীতে বিশাল মিছিল ।




দুর্গাপুর,১৯শে আগষ্ট : পুলিশি পাহারায় ‘গনতন্ত্রের শবদেহ’ রাস্তা দিয়ে  যাচ্ছে – এই বিরল দৃশ্যের আজ সাক্ষ্যী হল ইস্পাতনগরী । হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে দুর্গাপুর পৌর নিগমের পুনঃর্নিবাচনের দাবীতে , আজ ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি ’ –র ডাকে ইস্পাতনগরীতে এক বিশাল মিছিলে , এই ঘটনাই দেখা গেল ।  
 গত ১৩ই আগষ্ট দুর্গাপুর পৌর নিগমের নির্বাচনের দিন  সারা দুর্গাপুর জুড়ে রাস্তায় রাস্তায় ভোটার দের বদলে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের ‘ অতিথি ‘ ভোটার দের । দুর্গাপুরের মানুষ দেখেছেন যে  প্রায় হাজার বিশেক তৃণমূলের সশস্ত্র ‘ অতিথি ‘ যারা এসেছিলেন আসানসোল-পাণ্ডবেশ্বর-গলসী , এমন কি সুদুর ঝাড়খন্ড থেকে , তারাই ছিলেন গত ১৩ই আগষ্ট দুর্গাপুর পৌর নিগমের নির্বাচনের দিন ‘ভোটার’ । প্রকৃত ভোটার দের ভোট দেওয়ার কোন সুযোগ ছিল না । রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশী টহলদারীর বদলে ছিল নানা ধরনের এসইউভি গাড়ীতে বহিরাগত ‘অতিথি’ দের কড়া ‘নজরদারি ‘ । এদের ‘নজরদারি ‘ এড়িয়ে যে সব ভোটাররা ভোট-কেন্দ্রে পৌঁছাতে পেরেছিলেন,তাদের হয় আঙ্গুলে কালি লাগিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দেওয়া হয় অথবা বুথের ভেতরে তৃণমূলের প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়।এমন কি বামফ্রন্টের প্রার্থীদেরও ভোট দিতে দেওয়া হয় নি ।
গত ১০ই আগষ্ট কোলকাতা হাইকোর্ট দুর্গাপুর পৌর নিগমের নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য রাজ্য পুলিশ কে নির্দেশ দিলেও ভোটের দিনে পুলিশ ছিল কার্যতঃ ঠুঁঠো জগন্নাথের ভূমিকা পালন করেছে বলে দুর্গাপুরের ভোটাররা অভিযোগ করেছেন । নির্বাচনে পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগীতায় শাসকদলের সর্বাত্মক জালিয়াতির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে দুর্গাপুর জুড়ে তীব্র জনমত তৈরি হয়েছে

তাই হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে দুর্গাপুর পৌর নিগমের পুনঃর্নিবাচনের দাবীতে ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি ’ –র ডাকে আজকের মিছিলে,দল-মত-নির্বিশেষে ভোট দানে বঞ্চিত ভোটারারা  যোগদান করেন । মিছিলে যোগদানের কথা থাকলেও, অনিবার্য কারনবশতঃ সূজন চক্রবর্তী,আব্দুল মান্নান,বিকাশ ভট্টাচার্যরা আসতে পারেন নি । কিন্তু তা সত্বেও মিছিলে যোগদান কারী ভোটারদের উৎসাহ কমে নি । নেতাজী ভবন থেকে চন্ডিদাস বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তায় মিছিল যাওয়ার পথে বহু মানুষ রাস্তার পাশে ভীড় করেন । মিছিল শেষে চন্ডিদাস বাজারে পথ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি ’ –র পঃ বঙ্গ রাজ্য আহ্বায়ক অধ্যাপক চঞ্চল চক্রবর্তী দুর্গাপুরের ভোট-লুঠের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন যে দুর্গাপুরে ভোটাধীকার ও গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই এর পাশে সারা রাজ্যের মানুষ সমর্থন জানাচ্ছে । একই সাথে তিনি হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে দুর্গাপুর পৌর নিগমের পুনঃর্নিবাচনের দাবীতে আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান ।এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি ’ –র দুর্গাপুরের  আহ্বায়ক রঞ্জিত মুখার্জী । মিছিলে অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এর সাথে যোগদান করেন দুর্গাপুর ( পূর্ব )-এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় ।














Tuesday 15 August 2017

বি.টি.রণদিভে ভবনে সদর্পে উড়ল রক্তপতাকা : ইস্পাতনগরীতে পালিত হল মানব-বন্ধন ।



দুর্গাপুর,১৫ই আগষ্ট : আজ সকালে ইস্পাত শ্রমিক সহ দলে দলে সাধারন মানুষ জড়ো হয়ে বি.টি.রণদিভে ভবনে আবারও সদর্পে উড়িয়ে দিল রক্তপতাকা ।

গত ৭ই আগষ্ট , দুর্গাপুর পৌর নির্বাচনের প্রাক্কালে,তৃণমূলী দুষ্কৃতিরা আচমকা হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ  ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ ) স্টিল ওয়র্কার্স ফেডরেশন অফ ইন্ডিয়া ( সি.আই.টি.ইউ ) দফ্তর বি.টি.রণদিভে ভবনে ( ১নং বিদ্যাসাগর এভিন্যু ) ভাঙ্গচূর-লুঠপাঠ চালায়,লাল ঝাণ্ডা খুলে লোপাট করে,বোর্ড খুলে নেয় তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেয়।খবর পেয়ে ঘটনাস্হলে ট্রেড ইউনয়নের সর্বক্ষনের কর্মী এবং ৭নং ওয়ার্ডে সি.পি.আই.(এম) এর প্রার্থী স্বপন সরকার পৌঁছালে তাকে তৃণমূলীরা মারধোর করে  

প্রসংগত, দুর্গাপুর বাঁচাতে , অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাতে , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা বাঁচাতে এবং মোদি সরকারে নির্দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত উৎপাদক সংস্হা সেইলে এর বিশেষ ইস্পাত উৎপাদক সংস্হা  অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট,সালেম ভদ্রাবতী স্টিল প্ল্যান্ট এর বেসরকারীকরনের বিরোধীতা করার জন্য হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ  ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ ) স্টিল ওয়র্কার্স ফেডরেশন অফ ইন্ডিয়া ( সি.আই.টি.ইউ ) এর শয়ে শয়ে সদস্য নিজেদের টাকা-পয়সা খরচা করে ঐ দিন ট্রেন যোগে দিল্লি রওনা দিয়েছিলেন তারা ৯ই আগষ্ট দিল্লিতে যন্তর-মন্তরে রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত শিল্পের ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের যৌথ মোর্চা ( বিএমএস তৃণমূল বাদে ) পক্ষ থেকে সারা ভারতের ইস্পাত শ্রমিক-কর্মচারিরা  বিক্ষোভ প্রদর্শনে যোগ দেন এই অনুপস্হির সুযোগে তৃণমূল বি.টি.রণদিভে ভবনে কাপুরোষচিত হামলা চালায়

এই ঘটনা জানাজানি হতেই সমস্ত দুর্গাপুর জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে ইস্পাত শ্রমিকদের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় বিধানসভায় এই খবর পৌঁছাতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় সি.পি.আই.(এম) বিধায়ক রুনু দত্ত বিষয়টি বিধানসভায় উথ্থাপন করলে ,স্পীকার বাধা দেন

ইতিমধ্যে ঘটনাস্হলে বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় সহ অন্যান্য পার্টি নেতৃবৃন্দ  ইউনিয়ন দফ্তরে পৌঁছালে , প্রবল জনমতের চাপে পুলিশ-প্রশাসন নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় এবং ইউনিয়ন অফিস দখল মুক্ত হয়

আরও উল্ল্যেখ্য, বি.টি.রণদিভে ভবনের ঠিক উল্টোদিকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বাংলো ( ২০নং বিদ্যাসগর এভিন্যু ) তৃণমূলের অবৈধ ভাবে দখল করে নির্বাচনী দফ্তর বানিয়েছিল অভিযোগ , আসানসোলের মেয়র তৃণমূলের নেতা জিতেন তেওয়ারির নেতৃত্বে এক দল কুখ্যাত কয়লা-মাফিয়া তাদের সাঙ্গোপাঙ্গো ঘাঁটি বানিয়ে দুর্গাপুর পৌর নির্বাচনের ‘ভোট-লুঠ’ করে বিষয়ে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আগাম রাজ্য প্রশাসন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষ কে জানালেও,কোনও ব্যবস্হা নেওয়া হয় নি । আসলে দুর্গাপুর নগর নিগম নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট-লুঠের অঙ্গ ছিল ২০নং বিদ্যাসাগর এভিন্যুতে ঘাঁটি তৈরি করা ।

গত ১৩ই আগষ্ট  দুর্গাপুর নগর নিগম নির্বাচনের দিনে ১৫-২০ হাজার বহিরাগত তৃণমূলী সশস্ত্র দুষ্কৃতি রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতে বিরোধী প্রার্থী – পোলিং এজেন্ট ও ভোটরদের বুথে যেতে দেয় নি এবং অধিকাংশ বুথেই অবাধে ভোট লুঠ করে । এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর ক্ষোভে ফুঁসছে ।

আজ সকালে বি.টি.রণদিভে ভবনে প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রবীন শ্রমিক নেতা ও হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ  ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ ) এর সভাপতি রথীন রায় । তিনি বুর্জোয়া গনতন্ত্রের ভুলুন্ঠিত পতাকা উর্ধে তুলে ধরার জন্য শ্রমিক শ্রেনীর কর্তব্য এর কথা স্মরণ করিয়ে দেন ।

রপরে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ  ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ ) এর পক্ষে রক্তপতাকা উত্তোলন করেন ইউনিয়ন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য , প্রাক্তন রাজ্য সভার সাংসদ ও সি.আই.টি.ইউ এর  সর্বভারতীয় নেতৃত্ব জীবন রায় এবং স্টিল ওয়ার্কার্স ফেডরেশন অফ ইন্ডিয়া ( সি.আই.টি.ইউ ) এর পক্ষে কালী সান্যাল । শহীদবেদীতে মাল্য দান করেন রথীন রায় , জীবন রায়, কালী সান্যাল, বিশ্বরূপ ব্যানার্জী , বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী , সন্তোষ দেবরায় প্রমূখ ।

এক সংক্ষিপ্ত ভাষনে জীবন রায় বি.টি.রণদিভে ভবনে তৃণমূলের হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেন যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র পর্যন্ত পরিচিত হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক চেতনা ও ঐক্যের প্রতীক । তাই বি.টি.রণদিভে ভবনে নির্মম হামলা ও লুঠতরাজ চালিয়ে এবং ভোট লুঠ করে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে , তৃণমূল দল পতনের রাস্তায় হাঁটছে।

বামফ্রন্টের ডাকে আজ রাজ্য ব্যাপি  ৭১তম স্বাধীনতা দিবসে দেশের ঐক্য, সংহতি, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সম্প্রীতি রক্ষায় ‘মানববন্ধন এবং স্বাধীনতা দিবসের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পালিত হয় । ইস্পাতনগরীতে  বি.টি.রণদিভে ভবনের সামনে এই অনুষ্ঠান পালিত হয় ।




























Monday 14 August 2017

ভোট-লুঠের নির্বাচন মানছি না : উত্তপ্ত দুর্গাপুরে প্রতিবাদী মিছিল,পথ অবরোধ ।



দুর্গাপুর , ১৪ই মার্চ : গত কালের  পৌর নির্বাচনে তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতিদের ভয়ংকর তাণ্ডব ও সর্বগ্রাসী ভোট-লুঠের ঘৃণ্য ঘটনার রেশ এখনও দুর্গাপুরবাসী কে আচ্ছন্ন করে রেখেছে । আজ সকাল থেকে কল-কারখানা,অফিস-কাছারি,বাজার-হাট সর্বত্র মানুষের গলায় তৃণমূলের এই পাশবিক কাজের বিরুদ্ধে ও পুলিশ-প্রশাসনের নির্লজ্জ্ব দলদাসের আচরনের প্রতি তীব্র ঘৃণা ঝড়ে পড়তে দেখা যায় । এমন কি তৃণমূলের সাধারন সমর্থকরা এই ভোট লুঠের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন ।


আজ বিকালে, সি.পি.আই.(এম) এর ডাকে ভোট-লুঠের নির্বাচন বাতিল ও কোলকাতা হাইকোর্টের তত্বাবধানে নতুন করে দুর্গাপুর পৌর নিগমের নির্বাচনের দাবীতে শহীদ বিমল দাসগুপ্ত ভবন থেকে একটি বিশাল প্রতিবাদী মিছিল শুরু হয় । মিছিল সিটি সেন্টারের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে ডিএমসি মোড়ে যায় এবং পথ অবরোধ করে । অবরোধকারীদের সাথে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়ে যায় । পরে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলেও , সি.পি.আই.(এম) বিধায়ক ( দুর্গাপুর,পূর্ব ) সন্তোষ দেবরায় জানিয়েছেন যে দাবী মানা না হলে প্রয়োজনে জাতীয় সড়ক ( জি.টি.রোড ) অবরোধ হতে পারে । উপস্হিত ছিলেন সি.পি.আই.(এম) এর বর্ধমান ( পশ্চিম ) জেলার সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জী সহ নেতৃবৃন্দ ।