Monday 29 January 2018

অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট এর প্রস্তাবিত বিলগ্নীকরন রুখতে ও দুর্গাপুর ইস্পাতের আধুনিকীকরন-সম্প্রসারনের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ।




দুর্গাপুর,২৯শে জানুঃ : আজ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সি.ই.ও দফ্তরের সামনে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক বিশাল বিক্ষোভ 
সমাবেশ যে কোন মূল্যে মোদি সরকারের প্রস্তাবিত অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট এর  স্ট্র্যাটেজিক ডিসইনভেষ্টমেন্ট কে রোখার শপথ নেয় । গত দেড় বছর ধরে যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে ইস্পাত শ্রমিক ও দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট এর প্রস্তাবিত বিলগ্নীকরন রুখতে ও দুর্গাপুর ইস্পাতের আধুনিকীকরন-সম্প্রসারনের দাবীতে লড়াই-আন্দোলন পরিচালনা করা হচ্ছে ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সি.ই.টি.ইউ এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী রাজ্যের তৃণমূল সরকার কে মোদি সরকারের প্রস্তাবিত অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট এর  স্ট্র্যাটেজিক ডিসইনভেষ্টমেন্ট এর বিষয়ে অবস্হান স্পষ্ট করার আহ্বান জানান । তিনি বলেন যে মোদি সরকারের প্রস্তাবিত স্ট্র্যাটেজিক ডিসইনভেষ্টমেন্টের তালিকায় সেইলের বিশেষ ইস্পাত উৎপাদক সংস্হা সালেম ও ভদ্রাবতী থাকলেও যথাক্রমে তমিলনাড়ু ও কর্নাটক সরকারের প্রকাশ্যে তীব্র আপত্তি থাকায় কোন সংস্হা ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেষ্ট ‘ দেখানোর সাহস পায় নি । কেন একই অবস্হান গ্রহন করে পঃ বঙ্গ সরকার অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসছেন না ? এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যৌথমঞ্চের যৌথ আহ্বায়ক বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী ও বিকাশ ঘটক , পি.কে.দাস , বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,আমীর হায়দার, অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় । নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে এই লড়াই আরও ঐক্যবদ্ধ ও প্রসারিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে ।
সমাবেশ চলাকালীন যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে সি.ই.ও দফ্তরে স্মারকলিপি  জমা দিয়ে অবিলম্বে প্রস্তাবিত অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট এর  স্ট্র্যাটেজিক ডিসইনভেষ্টমেন্ট ও সংশ্লিষ্ট ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেষ্ট ‘  বাতিলের দাবী জানানো হয়েছে ।





Sunday 28 January 2018

প্রস্তাবিত এফ.আর.ডি.আই বিল আমানতকারীদের সঞ্চয় লুঠ ও রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কিং ব্যবস্হা কে সমূলে ধ্বংস করার চক্রান্ত : প্রদীপ বিশ্বাস




দুর্গাপুর,২৮শে জানুঃ : আজ বিকালে ইস্পাতনগরীতে অবসরপ্রাপ্ত ইস্পাত শ্রমিক-আধিকারিকদের দুই সংগঠন যথাক্রমে ‘এক্স-এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোঃ অফ ডিএসপি এ্যান্ড সেইল “ ও “ দুর্গাপুর সহমর্মী “এক্স-এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোঃ অফ এ.এস.পি.”–র যৌথ উদ্যোগে প্রস্তাবিত দানবীয়  এফ.আর.ডি.আই. বিল এর বিরুদ্ধে আয়োজিত এক জনসভায় একথা বলেন ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া-র সর্বভারতীয় সম্পাদক প্রদীপ বিশ্বাস ।
তিনি বলেন যে ১৯৬৯ সালের ১৯শে জুলাই ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্হা জাতীয়করন ,স্বাধীন ভারতের অর্থনৈতিক ব্যবস্হায় এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছিল । রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক এর অসামান্য অবদান হল সবুজ বিপ্লব , যা দেশ কে খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর করে তুলেছিল । এই প্রথম ভারতের কৃষক মহাজনী-ঋন থেকে অনেকটা মুক্ত হয়ে ফসল উৎপাদনের প্রাথমিক বাধা কাটাতে সংক্ষম হয়ে উঠতে শুরু করেন । পরবর্তীকালে গ্রামীন ব্যাঙ্ক ( ১৯৭৫ ) ও নাবার্ড ( ১৯৮০ ) গঠন ভারতের গ্রামীন অর্থনীতির উন্নয়নে যথেষ্ঠ সহায়ক হয়ে ওঠে । এর আগে বেসরকারী ব্যাঙ্কিং ব্যবস্হায় গ্রামীন ক্ষেত্র পুরোপুরি অবহেলিত ছিল । নির্দেশিকা অনুসারে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক এর মোট বিনিয়োগের ৪০%  কৃষি ( ১৮% )- ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প – স্বনির্ভর গোষ্ঠী – শিক্ষা ঋনে জন্য বরাদ্দ ছিল । জাতীয়করনের আগে দেশে ব্যাঙ্কের শাখা ছিল ৮০০০ ও মূলতঃ শহর-কেন্দ্রীক । জাতীয়করনের পরে ১৯৯১ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক এর শাখা ৬৫০০০ এর কাছে পৌছায় । কর্মী সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ (জাতীয়করনের আগে)  থেকে ৯ লক্ষ । কিন্তু ১৯৯১ সালে দেশে নয়া উদার অর্থনীতি চালু হওয়ার সাথে সাথে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্হার উপরে আঘাত আসতে শুরু করে । ১৯৯৩ সালে আইন সংশোধন করে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক এর ৪৯% শেয়ার বেসরকারী হাতে বেচে দেওয়ার রাস্তা খুলে দেওয়া হয় । এর মধ্যেও রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক এর ভুমিকায় ২০০৮ বিশ্বজোড়া অর্থনীতির ধ্বসের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি বেঁচে যায় । রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক এর এই অনবদ্য ভুমিকা, উদরনীতিবাদের প্রবক্তারাও মানতে বাধ্য হন । কিন্তু ২০১৪ সালে মোদি সরকার এর আমলে এক দিকে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কিং ব্যবস্হার উপরে চরম আঘাত আসতে শুরু করেছে । বলা হচ্ছে ব্যাঙ্ক কেবল ব্যবসা করবে । আগে ব্যাঙ্কার্স কনফারেন্সের (ব্যাঙ্ক-কন ) এ বক্তব্য রাখতেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা । এখন বক্তব্য রাখেন ধর্মীয় গুরুরা ! বিশেষতঃ ২০১৫ সালে ‘ইন্দ্রধনুষ’  ঘোষনায় রাষ্ট্রায়ত্ব  ব্যাঙ্কিং ব্যবস্হার মৃ্ত্যু পরোয়ানা ঘোষনা করা হয়েছে । অন্যদিকে পরিচিত ও শাসকদলের ঘনিষ্ঠ কর্পোরেট গোষ্ঠীর কাছে অনাদায়ি ঋনের পরিমান বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১০ লক্ষ কোটি টাকা । সর্বদা লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ব  ব্যাঙ্ক এবার ১৫০০ কোটি টাকার লোকসান করেছে । এরপরে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ভয়ংকরতম এফ.আর.ডি.আই বিল যা ‘বেইল আউট’এর বাহানায় সরাসরি ক্ষুদ্র আমানতকারীদের সঞ্চয় প্রকৃতপক্ষে লুঠ করার পাকাপাকি ব্যবস্হা । প্রস্তাবিত এফ.আর.ডি.আই বিল এর বিশেষ করে ৫২ ও ৬৫ নং ধারায় এর ভয়াবহ ইঙ্গিত মিলেছে ।
তাই দেশের সেবায় নিয়োজিত রাষ্ট্রায়ত্ব  ব্যাঙ্ক ও আমানতকারীদের সঞ্চয় লুঠ করা রুখতে তিনি দল-মত নির্বিশেষ সাধারন মানুষ কে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সর্বাত্মক লড়াই গড়ে তোলার আহ্বান জানান ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু আচার্য,অশোক চক্রবর্তী,ব্রজমানিক চক্রবর্তী,অর্ধেন্দু দাক্ষী,বিকাশ ঘটক,দেবাশীষ লাহিড়ী ও পি.কে.দাস । উপস্হিত ছিলেন দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় ।









Saturday 27 January 2018

এন.এস.পি.সি.এল এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোঃ এর নির্বাচনে সব কটি আসনে সি.আই.টি.ইউ জয়ী ।




দুর্গাপুর,২৭ জানুঃ : দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্হা এন.এস.পি.সি.এল এর ইউনিয়ন স্বীকৃতি নির্বাচনে তৃণমূল অভূতপুর্ব সন্ত্রাস চালিয়ে সি.আই.টি.ইউ কে হারিয়েছিল । এন.এস.পি.সি.এল এর শ্রমিকরা এটা কোন মতেই মেনে নিতে পারেন নি । এন.এস.পি.সি.এল এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোঃ এর নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দিতেই পারল না । এন.এস.পি.সি.এল এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোঃ এর নির্বাচনে ৮ টি আসনের মধ্যে ৮ টিতেই সি.আই.টি.ইউ এর প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় জয়ী হয়েছেন । শ্রমিক ও আধিকারিক মিলিয়ে ১৭২ জন ভোটার ছিলেন এই নির্বাচনে । এন.এস.পি.সি.এল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ( সি.আই.টি.ইউ ) এর পক্ষে ওবি-কনভেনর পালমিন্দার সিং এ কথা জনিয়েছেন । এন.এস.পি.সি.এল এর শ্রমিক ও আধিকারিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় ।

বামফ্রন্টের ডাকে ইস্পাতনগরী ও কারখানায় মানববন্ধন পালিত হল ।




দুর্গাপুর,২৬শে জানুঃ : আজ সাধারনতন্ত্র দিবসে বামফ্রন্টের ডাকে জাতীয় সংহতি , ঐক্য ও সম্প্রীতির রক্ষার আহ্বান জানিয়ে ইস্পাতনগরীর আশীষ-জব্বার ভবনের সামনে ও চন্ডিদাস বাজারে , দুর্গাপুর ইস্পাত ও মিশ্র ইস্পাত কারখানায় মানববন্ধন পালিত হয় ও শপথ বাক্য পাঠ করা হয় ।






Wednesday 24 January 2018

শ্রমজীবি মানুষের কাছে প্রস্তাবিত এফ.আর.ডি.আই বিল এক অশনি সংকেত ।



দুর্গাপুর,২৪শে জানুঃ :আজ সন্ধ্যায় , ইস্পাতনগরীর বি.টি.রণদিভে ভবনে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ ) এর উদ্যোগে আয়োজিত দেশের কর্মচারী-শ্রমজীবি মানুষের আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত প্রয়াত সুকোমল সেন এর স্মরণসভা ও স্মারক বক্তৃতা-আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন সারা ভারত কর্মচারী ফেডারেশনের অন্যতম নেতৃত্ব ।    প্রনব চট্টোপাধ্যায় ।তিনি বলেন নয়া উদার অর্থনীতি ও বিশ্বায়নের অমোঘ পরিনতি হল প্রস্তাবিত এফ.আর.ডি.আই বিল । বিশ্ব পুঁজিবাদ শ্রমজীবি মানুষ কে নয়া উদার অর্থনীতি ও বিশ্বায়নের গাড্ডায় ফেলে দিয়ে তাদের কে নিঃস্ব – রিক্ত – হত দরিদ্রে পরিনত করেছে । ভারতেও উদার অর্থনীতি ও বিশ্বায়নের বিষময় ফল জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে অনিবার্য ভাবেই দেখা দিয়েছে । ধান্দার পুঁজিবাদ ইতিমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের ১০ লক্ষ কোটি টাকার বেশী আত্মসাৎ করেছে । এখন সরাসরি হাত বাড়িয়েছে জনগনের শেষ সঞ্চয়ের আমানত গ্রাস করার জন্য । প্রস্তাবিত এফ.আর.ডি.আই বিল প্রত্যাহারের জন্য তিনি চুড়ান্ত লড়াই এর আহ্বান জানান ।

সভার শুরুতে প্রয়াত সুকোমল সেন এর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও নীরবতা পালন করা হয় । তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জী ,দেবাশীষ লাহিরী ও প্রনব চট্টোপাধ্যায় । সভাপতিত্ব করেন রথীন রায় । বক্তৃতা শোনার জন্য হলে ভীড় উপচে পড়ে ।









Tuesday 23 January 2018

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২২-তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইস্পাতনগরীরতে দেশপ্রেম দিবস উদযাপিত ।



দুর্গাপুর , ২৩শে জানুঃ : আজ ইস্পাতনগরীতে শ্রদ্ধার সাথে পালিত হল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২২-তম জন্মদিন । নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর  জন্মদিবসে পালিত হল দেশপ্রেম দিবস । এই উপলক্ষ্যে আজ সন্ধ্যায় আশীষ মার্কেটে ভারতের গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের দুর্গাপুর ইস্পাত এ-জোন আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত ভীড়ে-ঠাসা এক মনোজ্ঞ প্রকাশ্য সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন ছাত্র নেতা পার্থ মুখার্জী বলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর দেশপ্রেমের শিক্ষা কেবলমাত্র রাজনৈতিক সংগ্রাম ও আজাদ হিন্দ ফৌজের বীরত্বপূর্ণ লড়াই ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না । দুরদৃষ্টিতার জন্য তিনি স্বাধীন ভারতের জন্য যে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ , জাতীয় প্ল্যানিং কমিশন ও রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা নির্মানের রূপরেখা তৈরি করেছিলেন , তা আজও সমান প্রাসঙ্গিক এবং বর্তমান ভারতে তা অনুসরন ও প্রয়োগ - প্রকৃত দেশপ্রেম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সুজয় সরকার ও সৌমেন মন্ডল । উপস্হিত ছিলেন ভারতের গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের দুর্গাপুর ইস্পাত এ-জোন আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক বিপ্লব নন্দী ।অনুষ্ঠানের সূচনা হয় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে ।






Sunday 21 January 2018

বিদ্যুৎ বিলের সাথে বড় অংকের সিকিউরিটি ডিপোসিট জমা দেওয়ার নির্দেশ : প্রতিবাদে বাসিন্দারা



দুর্গাপুর,২১শে জানুঃ – ডি.পি.এল এর থেকে বিদ্যুৎ বিলের সাথে বড় অংকের সিকিউরিটি ডিপোসিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সেইল কোঃ-অপঃ হাউসিং কমপ্লেক্স এর বাসিন্দারা । এর প্রতিবাদে বাসিন্দারা সরব হয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন । পাশে দাঁড়ান দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় । প্রসংগত ,এই কোঃ-অপঃ সদস্যরা ইতিপূর্বেই তাদের সার্ভিস কোঃ-অপঃ ( সেইল কমন সার্ভিস সোসাইটি) মারফৎ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার সময় ডি.পি.এল এর খাতায় সিকিউরিটি ডিপোসিট জমা করেছিলেন । কিন্তু,বিদ্যুৎ কমিশনের নির্দেশে ডি.পি.এল পুনরায় সিকিউরিটি ডিপোসিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সেইল কোঃ-অপঃ হাউসিং কমপ্লেক্স এর বাসিন্দারা । গত ১৯শে জানুঃ , বাসিন্দাদের এক প্রতিনিধিদল ডি.পি.এল এর কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হলে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয় । আজ সেইল কোঃ-অপঃ হাউসিং কমপ্লেক্স এর বাসিন্দারা এক সভায় মিলিত হয়ে , আশ্বাস কার্যকরী না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সভায় বক্তব্য রাখেন দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়। তিনি বাসিন্দাদের যৌথ আন্দোলন কে আরও জোরদার ও প্রসারিত করার আহ্বান জানান । সভাপতিত্ব করেন মনোজ চক্রবর্তী ।

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের ‘বিজ্ঞানের জন্য যাত্রা‘ ও সাইকেল রা্যলি কে উষ্ণ সম্বর্ধনা জানালো ইস্পাতনগরী ।



দুর্গাপুর,২১শে জানুঃ : আজ বিকালে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের ‘বিজ্ঞানের জন্য যাত্রা ও সাইকেল রা্যলি কে  উষ্ণ সম্বর্ধনা জানালো ইস্পাতনগরী । গত ১৯শে জানুঃ বীরভূমের মারগ্রাম থেকে এর যাত্রা শুরু হয় । সারা ভারত জন বিজ্ঞান নেটওয়ার্কের আহ্বানে ‘সবার দেশ আমাদের দেশ’ কর্মসূচীর অঙ্গ হিসাবে  পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে ধর্মান্ধতা,কুসংস্কার,অপ-বিজ্ঞান এর বিরুদ্ধে এবং বিজ্ঞান-মনস্কতা বৃদ্ধি ও বিজ্ঞান-চর্চার প্রসারে সরকারী ব্যয় বৃদ্ধির দাবীতে রাজ্য জুড়ে মোট ছয়টি  ‘বিজ্ঞানের জন্য যাত্রা’ ও সাইকেল রা্যলি আয়োজন করা হয়েছে । উত্তরবঙ্গে দুটি ও দক্ষিনবঙ্গে চারটি ‘বিজ্ঞানের জন্য যাত্রা ও সাইকেল রা্যলি আয়োজন করা হয়েছে । উত্তরবঙ্গের জাঠা দুটি ২৩শে জানুঃ শিলিগুড়িতে ও দক্ষিনবঙ্গের জাঠা চারটি ২৮শে জানুঃ কোলকাতার রানী রাসমনি রোডের সমাবেশে এর মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে ।

ইস্পাতনগরীতে জাঠা পৌঁছালে,বি.টি.রণদিভে ভবনে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে অংশগ্রহনকারীদের অভ্যর্থনা জানানো হয় । অভিনন্দন জানিয়ে ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বিশ্বরূপ ব্যানর্জী , মলয় ভট্টাচার্য ও রামপঙ্কজ গাঙ্গুলী। ‘বিজ্ঞানের জন্য যাত্রা ও সাইকেল রা্যলির অংশগ্রহনকারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পঃ বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক কল্লোল ঘোষ । এরপরে ভগৎ সিং মোড়ে অপর অনুষ্ঠানে ‘বিজ্ঞানের জন্য যাত্রা’ ও সাইকেল রা্যলির অংশগ্রহনকারীরা নাটক ও গান পরিবেশন করেন । স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষক সোমনাথ গাঙ্গুলী ।গান পরিবেশন করেন শিউলী গাঙ্গুলী ও দেবব্রত দাস।উপস্হিত ছিলেন দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়।









Monday 15 January 2018

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল( বাসদ) এর নেতা কে সম্বর্ধনা ।



দুর্গাপুর,১৫ই জানুঃ – বর্তমানে ভারত সফররত সাজাহান আলি শুভেচ্ছা জানাতে আশিষ-জব্বার ভবনে এলে আজ সন্ধ্যায় ইস্পাতনগরীর আশিষ-জব্বার ভবনের বিনয় চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার কক্ষে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল( বাসদ) এর কুষ্ঠিয়া জেলা কমিটির সদস্য ও চারণ সাংস্কৃতিক সংস্হার (বাংলাদেশ ) অন্যতম সদস্য সাজাহান আলি কে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী)-র দুর্গাপুর ইস্পাত ১ নং এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা জানানো হয় । পুষ্পস্তবক দিয়ে তাকে সম্বর্ধনা জানান ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী)-র পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য ও দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেব রায় । অন্যান্য স্মারক তুলে দেন ১ নং এরিয়া কমিটির সম্পাদক দীপক ঘোষ ও অন্যান্য এরিয়া কমিটির সদস্যরা । সন্তোষ দেব রায় ও সাজাহান আলি উভয়ে ভারত-বাংলাদেশের শ্রমজীবি মানুষের মধ্যে মৈত্রী সম্পর্ক জোরদার ও সমগ্র ভারতীয় উপ মহাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির দাপাদাপির বিরুদ্ধে বাম-গনতান্ত্রিক-ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিসমূহের যৌথ লড়াই গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।


Saturday 6 January 2018

পশ্চিম বর্ধমান জেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ইস্পাত শিল্পের শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল ।



দুর্গাপুর , ৬ই জানুঃ : আজ দুর্গাপুরের খয়রাশোলের শ্রমিক ভবনে সি.আই.টি.ইউ এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির উদ্যোগে জেলার বারাবনি থেকে কাঁকসা পর্যন্ত বিস্তৃত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ইস্পাত শিল্পের কর্মরত ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী-নেতৃত্ব কে নিয়ে একটি ট্রেড ইউনিয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল ।
কর্মশালায় সি.আই.টি.ইউ এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি বিনয়েন্দ্রকিশোর চক্রবর্তী শ্রম আইন ও তৃনমূল-বিজেপি-র শ্রমিক-বিরোধী নীতির স্বরূপ নিয়ে আলোচনা করেন ।
ভুবনেশ্বর দলিলের প্রেক্ষিতে আজকের দিনে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন গঠন ও পরিচালনার বিষয়ে আলোচনা করেন সি.আই.টি.ইউ এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী ।

সি.আই.টি.ইউ এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য ও জেলার ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি ইস্পাত শিল্পের অন্যতম নেতৃত্ব বিপ্রেন্দু চক্রবর্তি  বর্তমানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ইস্পাত শিল্পের সমস্যা ও তৃণমূল-বিজেপি-মালিক পক্ষের তীব্র আক্রমনের বিরুদ্ধে সংগঠন গড়ে তোলার কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেন । শতাধিক ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী আজকের কর্মশালায় যোগদান করেন । কর্মশালায় , আগামী ৩১শে জানুঃ মধ্যে  জেলার ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি ইস্পাত শিল্পের যে সব শ্রমিকরা  সি.আই.টি.ইউ এর সদস্য নন , তাদের কাছে পৌঁছানো ও সদস্য পত্রের লক্ষ্যমাত্রা পূরনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় ।

Friday 5 January 2018

অ্যালয় স্টিল বিক্রির সর্বশেষ চক্রান্ত ফাঁস হতেই ইস্পাত শ্রমিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন ।



দুর্গাপুর , ৫ই জানুঃ : নতুন বছরের শুরুতেই রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত উৎপাদক সংস্হা সেইল ( স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ) এর অন্তর্গত দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ‘স্ট্র্যাটেজিক ডিসইনভেষ্টমেন্ট’ এর পোষাকি নামের আড়ালে বিক্রি করার চক্রান্ত সামনে এসেছে । সূত্রের খবর অনুসারে খুব সম্প্রতি ,যে বা যারা, অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট কিনতে চেয়েছেন , তাদের ‘ এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট ‘ ( সংক্ষেপে এ.ও.ই ) খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হলে , কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বিক্রি করে দেবে । আরও জানা গেছে , সেইলের সমস্ত কারখানা ও খনির  জমির মালিকানা বিভিন্ন রাজ্য সরকার । তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক সরকার জমি হস্তান্তরের অনুমতি না দেওয়ায় , কেন্দ্রীয় সরকারে বিক্রির তালিকায় থাকলেও সেইল এর অপর দুটি অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট , যথাক্রমে সালেম ও ভদ্রাবতীর জন্য কোন  ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট ‘ জমা পড়ে নি । এ.ও.ই জমা পড়েছে একমাত্র দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের জন্য । তবে এ ক্ষেত্রে , জমি হস্তান্তরের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমতি দিয়েছে কিনা ,তা জানা যায় নি ।

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিক সহ সমস্ত দুর্গাপুর জুড়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে । অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বিক্রির চক্রান্ত অবিলম্বে বন্ধ করার দাবীতে, অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট এর মেইন গেটের কারখানার মূখ্য প্রশাসনিক ভবনের সামনে আজ বিকালে ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে , উভয় ইস্পাত কারখানার শ’য়ে শ’য়ে স্হায়ী ও ঠিকা শ্রমিক যোগদান করেন । সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন সি.আই.টি.ইউ এর পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তি , আই.এন.টি.ইউ.সি এর পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি বিকাশ ঘটক , অনীত মল্লিক(টি.টি.ইউ.সি),শম্ভূ প্রামানিক ( এ.আই.টি.ইসি ),রাজা চ্যাটার্জী ও লক্ষন মন্ডল (আই.এন.টি.টি.ইউ.সি ) , বিশ্বরূপ ব্যান্যার্জী,বিজয় সাহা ( এইচ.এস.ই.ইউ, সি.আই.টি.ইউ ) প্রমূখ । বক্তারা কেন্দ্রীয় সরকার কে কার্যতঃ হুশিয়ারী দিয়ে বলেন যে ইস্পাত শ্রমিক ও দুর্গাপুরের মানুষ যে কোন মূল্যে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট এর বিক্রির চক্রান্ত বন্ধ করার জন্য প্রতিরোধ করবে । তারা ইস্পাত শ্রমিক ও দুর্গাপুরের মানুষের ঐক্য আরও প্রসারিত করে , এখনও যারা দোলাচলে আছেন তাদের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও , দুর্গাপুর বাঁচাও – আন্দোলনে যুক্ত হবার আবেদন জানিয়েছেন । সমাবেশ চলাকালীন ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে সেইল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় ।











Monday 1 January 2018

ইস্পাতনগরী স্মরণ করল মৃত্যুঞ্জয়ী শিল্পী সফদর হাসমি কে ।



দুর্গাপুর , ১লা জানুঃ – আজ সন্ধ্যায় ,ইস্পাতনগরীর বি.টি.রণদিভে ভবনে , গনতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের ইস্পাত ১ ও ২ শাখার যৌথ উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হল মৃত্যুঞ্জয়ী শিল্পী সফদর হাসমির শহীদ দিবস ।

সফদর হাসমির শিল্পী জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট নাট্য-নির্দেশক শুভেন্দু ব্যানার্জী ও লেখক মৃণাল ব্যানার্জী । উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করে লহরী শিল্পী গোষ্ঠী । এছাড়াও দুর্গাপুরের বিভিন্ন বিশিষ্ট শিল্পীরা পরিবেশন করেন গান ও আবৃতি পরিবেশন করে । সব শেষে শিল্পীর স্মরনে গনতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের শিল্পীরা উপস্হাপন করেন শ্রুতি নাটক , জাগা – জেগে থাকা – জাগানো ।