দুর্গাপুর,৩১শে মার্চ : ধর্মান্ধ শক্তির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক ও সজাগ রয়েছে
দুর্গাপুর । গত ২৪শে মার্চ থেকে প্রায় লাগাতার ভাবে পার্টির পক্ষ থেকে সাম্প্রদায়িকতার
বিরুদ্ধে প্রচার কর্মসূচী ও গন-জমায়েত চলছে । আজ সন্ধ্যায় পার্টির দুর্গাপুর ইস্পাত
২ এরিয়া কমিটির ডাকে সেইল আবাসন অঞ্চলে সম্প্রীতির মিছিল হয় । কবিগুরু ( ২য় স্টপেজ
) থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন পথ ঘুরে আবার সেখানেই শেষ হয় ।
Saturday 31 March 2018
Friday 30 March 2018
শিল্পনগরী দুর্গাপুরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখার শপথ নিলেন অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের শ্রমিকরা ।
দুর্গাপুর,৩০শে মার্চ
: অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিক্রি বন্ধের
বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই এর মাঝে শিল্পনগরী দুর্গাপুরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখার
শপথ নিলেন অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের শ্রমিকরা । হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন
( সি.আই.টি.ইউ ) এর এ.এস.পি শাখার আহ্বানে আজ সকালে ( ৮-০০ থেকে ৮-৩০) কারখানার মেইন গেটে অ্যালয়
স্টিল প্ল্যান্টের স্হায়ি ও ঠিকা শ্রমিকরা দলে দলে এসে মানব বন্ধনে যোগ দেন ও সাম্প্রদায়িক
সম্প্রীতি অটুট রাখার শপথ বাক্য পাঠ করেন । শপথ বাক্য পাঠ করান দুর্গাপুর ( পূর্ব
) এর সি.পি.আই.এম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় । মানব বন্ধনের শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন
মলয় ভট্টাচার্য । উপস্হিত ছিলেন বিজয় সাহা,শচিন ভৌমিক,দিপক ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ
।
অন্যদিকে , দুর্গাপুরের
শিল্পী-সাহিত্যিক-লেখকদের এক প্রতিনিধি দল এস.ডি.ও শংখ সাঁতরা সাথে দেখা করে শিল্পনগরী
দুর্গাপুরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে একটি স্মারকলিপি
জমা দিয়েছেন ।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন রনজিত গুহ,দিশারী
মুখোপাধ্যায়, সুচিরা সরকার,জয়নুল হক,সোমনাথ হাজরা ও রূপক দাস ।
Thursday 29 March 2018
আশিষ-জব্বারের শহিদভূমিতে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্হান নেই : সমস্ত সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদি শক্তিকে ইস্পাত শ্রমিকদের মানব-বন্ধন থেকে হুঁশিয়ারি ।
দুর্গাপুর,২৯শে মার্চ
: দুর্গাপুর মানেই চোখের সামনে ভেসে কল-কারখানা চিমনির ধোঁয়া , মজুরের জীবন-সংগ্রাম
। দুর্গাপুর মানে শ্রমিকের লড়াই , স্বাধীন ভারতে শ্রমিকদের প্রথম ব্যারিকেড-লড়াই,দুর্গাপুর
প্রথম শহিদদ্বয় আশিষ ও জব্বারের রক্তে ভেজা আরও ৩৩ শহিদের বীরভূমি যেখানে আধুনিক প্রযুক্তির
কারখানায় উৎপাদনে একই সাথে ঘাম ঝরায় কোন আশিষ অথবা জব্বার , লড়াই এর ময়দানে হাত ধরে
এগোয় , ঘাতকের উদ্যত বন্দুকের সামনে জোর গলায় হেঁকে বলে- দুনিয়ার মজদুর এক হও । কিন্তু
এর মধ্যেই সারা দেশ,গোটা রাজ্যের সাথে দুর্গাপুরেও ধর্মান্ধ হায়নাদের আনাগোনা শুরু
হয়ে গেছে । শুরু হয়েছে শ্রমজীবি মানুষের ঐক্য ভাঙ্গার জন্য বিভেদের জাল বোনার কাজ ।
তৃণমূল ও আর.এস-বিজেপি-র প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার আসল লক্ষ্য যে মেহেনতি মানুষের জীবন-জীবিকা হরণ
করা,গনতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া ও লাল ঝাণ্ডা কে মুছে দেওয়ার কৌশল এ কথা মানুষ ক্রমশই
বুঝতে পারছেন । শাসক তৃণমূলের সৌজন্যে সংঘ যে প্রভাব বাড়াচ্ছে , এ কথা পরিষ্কার হচ্ছে
। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল সাম্প্রদায়িকতার আগুনে পুড়ছে ।দুর্গাপুরে সেই আগুন ছড়াতে যাতে
না পারে সেই জন্য ইস্পাত শ্রমিক সহ ছাত্র-যুব-মহিলা-সাংস্কৃতিক কর্মিরা আগেই পথে নেমেছেন
।ধারাবাহিক প্রচার চলছে ।
আজ দুর্গাপুর ইস্পাত
১ এরিয়া কমিটির অন্তর্গত সি.আই.টি.ইউ ভুক্ত বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন গুলির পক্ষ থেকে দুর্গাপুর
ইস্পাত কারখানার মেইন গেটে ঢোকার মুখে জি.টি.রোডের ওপরে ফ্লাইওভারে জেনারেল শিফট এ
ঢোকার সময়ে সকাল ৮-০০ থেকে ৮-৩০ পর্যন্ত ইস্পাত শ্রমিকরা মানব-বন্ধন করেন । মানব-বন্ধন
থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শ্রমিক ঐক্য আরও জোরদার করার আহ্বান জানানো হয় এবং সমস্ত
ধরনের সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদি শক্তি কে হুঁশিয়ারি জানানো হয় । মানব-বন্ধনের শেষে ভারতীয়
গণনাট্য সংঘের দুর্গাপুর ইস্পাত শাখার পক্ষ থেকে ‘ হে মানব সন্তান ‘ ও হিন্দুস্হান
স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ ) এর সাংস্কৃতিক শাখার পক্ষ থেকে ‘রং নাম্বার
‘ এই দুটি পথ নাটিকা সহ গান পরিবেশিত হয় । মানব-বন্ধন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে মেইন গেটে সংলগ্ন স্হানিয় বাসিন্দাদের
মধ্যে ভালো সাড়া পড়ে ।
উপস্হিত ছিলেন এলাকার সি.পি.আই.(
এম ) বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়, ( দুর্গাপুর পূর্ব ),শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,নিমাই
ঘোষ,দিপক ঘোষ প্রমূখ ।Wednesday 28 March 2018
সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই এর পথ দেখাচ্ছে দুর্গাপুর : অ্যালয় স্টিলের বিক্রি বন্ধের এর দাবিতে মিছিল-আইন অমান্য কর্মসূচি-বিক্ষোভ সমাবেশে জনজোয়ার
দুর্গাপুর,২৮শে মার্চ : রাজ্য ও জেলার বিভিন্ন অংশে যখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার
আগুন ছড়িয়ে পড়ছে তখন আজ দুপুরে আশিষ-জব্বারের শহিদভূমি দুর্গাপুর ঐক্য ও সংগ্রামের
আরও এক অন্যন্য নজির তৈরি করল ।
আজ দুপুরে অ্যালয় স্টিলের বিক্রি বন্ধ এবং অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার
আধুনিকিকরন-সম্প্রসারনের এর দাবিতে দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির যৌথমঞ্চ এর ডাকে বিশাল মিছিল এবং এস.ডি.ও দফ্তরে আইন-অমান্য ও বিক্ষোভ-সমাবেশে হাজার হাজার ইস্পাত শ্রমিক ও মেহেনতি মানুষের কন্ঠে
আওয়াজ উঠল – লড়াই কা ময়দান মে মজদুর মজদুর ভাই ভাই । আওয়াজ উঠল শ্রমিক
ঐক্যের দূর্গ কে আরও মজবুত করার।
মোদি সরকারের বেসরকারীকরনের করালগ্রাসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত
উৎপাদক সংস্হা সেইলের ৫০০ রকমের বিশেষ ইস্পাত উৎপাদনকারি সংস্হা দুর্গাপুরের অ্যালয়
স্টিল কারখানা । বিপন্ন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা । শিল্পনগরী দুর্গাপুরের দুই স্তম্ভ
অ্যালয় স্টিল কারখানাও
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কেবল
বিপন্ন তাই নয় । আগেই বন্ধ হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব এম.এ.এম.সি-ফার্টিলাইজার সহ অন্যান্য
২০টি কারখানা । ধুঁকছে কেন্দ্রীয় তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারি সংস্হা ডি.টি.পি.এস , রাজ্য সরকারি তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারি
সংস্হা ডি.পি.এল । ১০০ শতাংশ বিলগ্নিকরনের
মুখে দাঁড়িয়ে আছে রাজ্য সংস্হা দুর্গাপুর কেমিক্যালস । সংলগ্ন কয়লা অঞ্চলও কেন্দ্রীয়
সরকারে ঘোষিত বেসরকারীকরনের বিভিষীকার মুখোমুখি । দুর্গাপুর-আসানসোল প্রত্যক্ষ করছে
কেন্দ্রীয় সরকার ও তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলা রাজ্য সরকারের কারখানা ধ্বংস করার নীতি
। নতুন কোন শিল্প আসছে না । বেকারদের কাজ নেই । কর্মরতরা নতুন করে হারাচ্ছে । এই অবস্হায়
নোবেল-জয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান যে ভারতের মহ-বেকারিত্ব এর শংকা করেছেন ,তার অন্যতম
প্রত্যক্ষদর্শি হতে চলেছে একদা ভারতের অন্যতম
শিল্পাঞ্চল , ভারতের ‘রুঢ়’ নামে খ্যাত দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চল ।
গত দেড় বছর ধরে অ্যালয় স্টিলের বিক্রি বন্ধ এবং অ্যালয় স্টিল কারখানা ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনিকিকরন-সম্প্রসারনের
এর দাবীতে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির যৌথমঞ্চ লড়াই চালাচ্ছে ।ধারাবাহিক ভাবে ১৫০-র
বেশী বিক্ষোভ কর্সূচী হয়েছে । হাজার হাজার ইস্পাত শ্রমিক ( স্হায়ী ও ঠিকা উভয়ে ),অবসরপ্রাপ্ত
ইস্পাত শ্রমিক সহ দুর্গাপুরের মানুষ এই সংগ্রামে সামিল হয়েছেন । দুর্গাপুর ছাড়িয়ে কোলকাতা
ও দিল্লির বুকে জমায়েত হয়েছে । লড়াই এর পাশে প্রত্যক্ষ ভাবে দাঁড়িয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রিয়
সি.আই.টি.ইউ । সংসদে তপন সেন সহ অন্যান্য বিভিন্ন দলের সাংসদরা অ্যালয় স্টিলের বিক্রি
বন্ধের বিরোধিতা করেছেন । গত বছরে বিক্রি বন্ধের বিরোধিতায় ৯২% শ্রমিক অ্যালয় স্টিলের
ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন । কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে রাজ্য সরকার নিরব ! মোদি সরকারের প্রস্তাবিত স্ট্র্যাটেজিক ডিসইনভেষ্টমেন্টের
তালিকায় সেইলের বিশেষ ইস্পাত উৎপাদক সংস্হা সালেম ও ভদ্রাবতী থাকলেও যথাক্রমে তমিলনাড়ু
ও কর্নাটক সরকারের প্রকাশ্যে তীব্র আপত্তি থাকায় কোন সংস্হা ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেষ্ট
‘ দেখানোর সাহস পায় নি । কেন একই অবস্হান গ্রহন করে পঃ বঙ্গ সরকার অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট
বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসছেন না ? - এই প্রশ্ন এখন দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের মুখে মুখে
ঘুরছে । ইতিমধ্যে দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর সি.পি.আই.( এম ) বিধায়ক
সন্তোষ দেবরায় ও রাজ্যে বাম পরিষদীয় দলনেতা সূজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দিয়ে
হস্তক্ষেপের দাবি জানালেও কোন ফল হয় নি । ফলে দুর্গাপুরের মানুষের মনে কেন্দ্রের ভূমিকার
সাথে সাথে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ জেগেছে ।
আগামী ১১ই এপ্রিল ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট ‘ এর পোষাকি নামের আড়ালে অ্যালয়
স্টিল প্ল্যান্টের বিক্রির দরপত্র ( টেন্ডার ) জমা দেওয়ার শেষ দিন । আগামী ২রা মে দরপত্র
প্রকাশের দিন ।
এই অবস্হায় অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিক্রি রুখতে, অ্যালয় স্টিল কারখানা ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা বাঁচাতে
গণ প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রিয় ট্রেড ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ-আই.এন.টি.ইউ.সি-বি.এম.এস-এ.আই.টি.ইউ.সি-এ.আই.ইউ.টি.ইউ.সি-টি.ইউ.সি.সি)
গুলির যৌথমঞ্চ ।
আজ দুপুরে গান্ধী মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে এস.ডি.ও দফ্তরে যায় । সেখানে প্রথমে আইন-অমান্য ও পরে বিক্ষোভ-সমাবেশ
হয় । মিছিল চলাকালিন সিটি সেন্টারের মূল রাস্তা কিছু ক্ষনের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পরে ।
পরে বিক্ষোভ-সমাবেশ চলাকালিন এস.ডি.ও দফ্তর ও দুর্গাপুর কোর্ট চত্বর অবরুদ্ধ হয় ।মিছিলে
অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দেন যৌথমঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী ও বিকাশ
ঘটক , দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় , প্রাক্তন বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবর্তি
,রথিন রায়,
বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,বিশ্বজিত
বিশ্বাস, শম্ভুনাথ প্রামানিক, শিবপ্রসাদ দাস,অরূপ রায়,অনিত মল্লিক, মলয় ভট্টাচার্য ,বিজয় সাহা,পঙ্কজ রায় সরকার,সুবীর সেনগুপ্ত
প্রমূখ । বিক্ষোভ-সমাবেশে
বক্তব্য রাখেন নেতৃবৃন্দ । তারা
দাবি মতন অ্যালয় স্টিলের বিক্রি বন্ধ এবং অ্যালয়
স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনিকিকরন-সম্প্রসারনের উদ্যোগ না নেওয়া
হলে , আন্দোলন আরও তীব্রতর করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ও ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার
আহ্বান জানিয়েছেন । সমাবেশ চলাকালিন যৌথমঞ্চের এক প্রতিনিদল মহকুমা শাসক শংখ সাঁতরার
সাথে দেখা করে প্রধানমন্ত্রি ও মুখ্যমন্ত্রির
উদ্দেশ্য লেখা যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে লেখা দুটি চিঠি তার মাধ্যমে পাঠানোর জন্য তুলে দেয়
। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রি ও মুখ্যমন্ত্রির কাছে অবিলম্বে অ্যালয় স্টিলের বিক্রি বন্ধ
এবং অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনিকিকরন-সম্প্রসারনের উদ্যোগ
নেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়েছে ।
Sunday 25 March 2018
Saturday 24 March 2018
ইস্পাতনগরী জানিয়ে দিল আশিষ-জব্বারের শহিদভূমিতে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্হান নেই ।
দুর্গাপুর,২৪শে মার্চ
: দুর্গাপুর মানেই চোখের সামনে ভেসে কল-কারখানা চিমনির ধোঁয়া , মজুরের জীবন-সংগ্রাম
। দুর্গাপুর মানে শ্রমিকের লড়াই , স্বাধীন ভারতে শ্রমিকদের প্রথম ব্যারিকেড-লড়াই,দুর্গাপুর
প্রথম শহিদদ্বয় আশিষ ও জব্বারের রক্তে ভেজা আরও ৩৩ শহিদের বীরভূমি যেখানে আধুনিক প্রযুক্তির
কারখানায় উৎপাদনে একই সাথে ঘাম ঝরায় কোন আশিষ অথবা জব্বার , লড়াই এর ময়দানে হাত ধরে
এগোয় , ঘাতকের উদ্যত বন্দুকের সামনে জোর গলায় হেঁকে বলে- দুনিয়ার মজদুর এক হও । কিন্তু
এর মধ্যেই সারা দেশ,গোটা রাজ্যের সাথে দুর্গাপুরেও ধর্মান্ধ হায়নাদের আনাগোনা শুরু
হয়ে গেছে । শুরু হয়েছে শ্রমজীবি মানুষের ঐক্য ভাঙ্গার জন্য বিভেদের জাল বোনার কাজ ।
তৃণমূল ও আর.এস-বিজেপি-র প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার আসল লক্ষ্য যে মেহেনতি মানুষের জীবন-জীবিকা হরণ করা,গনতান্ত্রিক
অধিকার কেড়ে নেওয়া ও লাল ঝাণ্ডা কে মুছে দেওয়া এ কথা খুব সাম্প্রতিককালে দুর্গাপুরের
পৌর নির্বাচনে তৃণমূলের অভূতপুর্ব ভোট-লুঠে , বিজেপি-র ‘দ্বিতীয়’ হওয়ার ঘটনায় দুর্গাপুরের
মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে । মানুষ প্রশ্ন করছে যেখানে বিজেপি-কে দেখতে হলে অনুবিক্ষন যন্ত্র লাগে , সেখানে
‘দ্বিতীয়’ তো দুরের কথা ‘চতুর্থ’ হওয়াই ভবিতব্য
। কিন্তু শাসক তৃণমূলের সৌজন্যে সংঘ যে প্রভাব বাড়াচ্ছে , এ কথা পরিষ্কার হচ্ছে । রামনবমী-র
পালনের নামে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে ইস্পাতনগরীর পথে
নেমে জানিয়ে দিল - ‘ ধর্ম যার যার,দেশ সবার’ । পার্টির দুর্গাপুর ইস্পাত
১,২,৩ এরিয়া কমিটির ডাকে ইস্পাতনগরীর বুকে নেতাজী ভবন থেকে চন্ডিদাস বাজার পর্যন্ত
ঐক্য ও সম্প্রীতির মিছিলে পা মেলালেন শয়ে শয়ে মানুষ । মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন
সন্তোষ দেবরায়,নির্মল ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
Wednesday 21 March 2018
যত দুর দেখা যায় শুধু মানুষ : অ্যালয় স্টিলের বিক্রি বন্ধের এর দাবিতে মহামিছিলে জন সুনামি ।
দুর্গাপুর,২১শে মার্চ : মোদি সরকারের বেসরকারীকরনের করালগ্রাসের মুখে দাঁড়িয়ে
আছে রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত উৎপাদক সংস্হা সেইলের ৫০০ রকমের বিশেষ ইস্পাত উৎপাদনকারি সংস্হা
দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল কারখানা । বিপন্ন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা । শিল্পনগরী দুর্গাপুরের
দুই স্তম্ভ অ্যালয় স্টিল কারখানাও দুর্গাপুর
ইস্পাত কারখানা কেবল বিপন্ন তাই নয় । আগেই বন্ধ হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব এম.এ.এম.সি-ফার্টিলাইজার
সহ অন্যান্য ২০টি কারখানা । ধুঁকছে কেন্দ্রীয় তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারি সংস্হা ডি.টি.পি.এস , রাজ্য সরকারি তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারি
সংস্হা ডি.পি.এল । ১০০ শতাংশ বিলগ্নিকরনের
মুখে দাঁড়িয়ে আছে রাজ্য সংস্হা দুর্গাপুর কেমিক্যালস । সংলগ্ন কয়লা অঞ্চলও কেন্দ্রীয়
সরকারে ঘোষিত বেসরকারীকরনের বিভিষীকার মুখোমুখি । দুর্গাপুর-আসানসোল প্রত্যক্ষ করছে
কেন্দ্রীয় সরকার ও তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলা রাজ্য সরকারের কারখানা ধ্বংস করার নীতি
। নতুন কোন শিল্প আসছে না । বেকারদের কাজ নেই । কর্মরতরা নতুন করে হারাচ্ছে । এই অবস্হায়
নোবেল-জয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান যে ভারতের মহ-বেকারিত্ব এর শংকা করেছেন ,তার অন্যতম
প্রত্যক্ষদর্শি হতে চলেছে একদা ভারতের অন্যতম
শিল্পাঞ্চল , ভারতের ‘রুঢ়’ নামে খ্যাত দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চল ।
গত দেড় বছর ধরে অ্যালয় স্টিলের বিক্রি বন্ধ এবং অ্যালয় স্টিল কারখানা ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনিকিকরন-সম্প্রসারনের
এর দাবীতে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির যৌথমঞ্চ লড়াই চালাচ্ছে । ১৫০-র বেশী বিক্ষোভ
কর্সূচী হয়েছে । হাজার হাজার ইস্পাত শ্রমিক ( স্হায়ী ও ঠিকা উভয়ে ),অবসরপ্রাপ্ত ইস্পাত
শ্রমিক সহ দুর্গাপুরের মানুষ এই সংগ্রামে সামিল হয়েছেন । দুর্গাপুর ছাড়িয়ে কোলকাতা
ও দিল্লির বুকে জমায়েত হয়েছে । লড়াই এর পাশে প্রত্যক্ষ ভাবে দাঁড়িয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রিয়
সি.আই.টি.ইউ । সংসদে তপন সেন সহ অন্যান্য বিভিন্ন দলের সাংসদরা অ্যালয় স্টিলের বিক্রি
বন্ধের বিরোধিতা করেছেন । গত বছরে বিক্রি বন্ধের বিরোধিতায় ৯২% শ্রমিক অ্যালয় স্টিলের
ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন । কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে রাজ্য সরকার নিরব ! মোদি সরকারের প্রস্তাবিত স্ট্র্যাটেজিক ডিসইনভেষ্টমেন্টের
তালিকায় সেইলের বিশেষ ইস্পাত উৎপাদক সংস্হা সালেম ও ভদ্রাবতী থাকলেও যথাক্রমে তমিলনাড়ু
ও কর্নাটক সরকারের প্রকাশ্যে তীব্র আপত্তি থাকায় কোন সংস্হা ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেষ্ট
‘ দেখানোর সাহস পায় নি । কেন একই অবস্হান গ্রহন করে পঃ বঙ্গ সরকার অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট
বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসছেন না ? - এই প্রশ্ন এখন দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের মুখে মুখে
ঘুরছে । ইতিমধ্যে দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর সি.পি.আই.( এম ) বিধায়ক
সন্তোষ দেবরায় ও রাজ্যে বাম পরিষদীয় দলনেতা সূজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দিয়ে
হস্তক্ষেপের দাবি জানালেও কোন ফল হয় নি । ফলে দুর্গাপুরের মানুষের মনে কেন্দ্রের ভূমিকার
সাথে সাথে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ জেগেছে ।
আগামী ১১ই এপ্রিল ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট ‘ এর পোষাকি নামের আড়ালে অ্যালয়
স্টিল প্ল্যান্টের বিক্রির দরপত্র ( টেন্ডার ) জমা দেওয়ার শেষ দিন । আগামী ২রা মে দরপত্র
প্রকাশের দিন ।
এই অবস্হায় অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিক্রি রুখতে, অ্যালয় স্টিল কারখানা ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা বাঁচাতে
গণ প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রিয় ট্রেড ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ-আই.এন.টি.ইউ.সি-বি.এম.এস-এ.আই.টি.ইউ.সি-এ.আই.ইউ.টি.ইউ.সি-টি.ইউ.সি.সি)
গুলির যৌথমঞ্চ ।
আজকের বিকালে এই মহামিছিল ভিড়িঙ্গী মোড় থেকে শুরু হয়ে,বেনাচিতি বাজারের মধ্য
দিয়ে গিয়ে ইস্পাতনগরীর পাঁচমাথা মোড়ে শেষ হয় । হাজার হাজার ইস্পাত শ্রমিক ( স্হায়ী
ও ঠিকা উভয়ে ),অবসরপ্রাপ্ত ইস্পাত শ্রমিক সহ ব্যাঙ্ক-বি.এস.এন.এল-ডিপিএল-ডিভিসির শ্রমিকরা,ব্যাঙ্কের
অফিসার,বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্র-যুব-মহিলারা এই এই মহামিছিল যোগ দেন । মিছিলে
শ্লোগান ওঠে – জান কবুল তবু অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট কে বিক্রি করতে দেব না ।
মিছিলে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দেন যৌথমঞ্চের
যুগ্ম আহ্বায়ক বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী ও বিকাশ ঘটক , প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী, দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় ,রথিন রায়,বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,বিশ্বজিত বিশ্বাস, বিশ্বনাথ মন্ডল, শম্ভুনাথ প্রামানিক, অরূপ রায়, মলয়
ভট্টাচার্য ,বিজয় সাহা প্রমূখ । মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন নেতৃবৃন্দ ।
Monday 19 March 2018
ওহি নক্সা কদম পর চলনা হ্যায় – মহঃ আমিনের স্মরণসভায় নেতৃবৃন্দের আহ্বান ।
দুর্গাপুর , ১৯শে
মার্চ : আজ ইস্পাতনগরীর বি.টি.রণদিভে ভবনে সি.আই.টি.ইউ এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির
আহ্বানে আয়োজিত প্রয়াত মহঃ আমিনের স্মরণসভায় এই আহ্বান জানালেন সি.আই.টি.ইউ এর রাজ্য
সম্পাদক অনাদি
কুমার সাহু। তিনি বলেন যে ভারত তথা ভারতীয় উপমহাদেশে স্বাধীনতার আগে
ও পরে ৭০ বছরের বেশী সময় ধরে শ্রমিক আন্দোলন ও শ্রমিক শ্রেনীর সংগ্রামের নেতৃত্ব প্রবাদপ্রতিম
নেতা মহঃ আমিনের জীবনাবসানে যে শূণ্যতা তৈরি হয়েছে তা পূরনের লক্ষ্যে তাঁরই প্রদর্শিত
পথ ধরে সহজ-সরল-অনাড়ম্বর জীবন যাপন , মার্কসবাদ-লেনিনবাদের গভীর অধ্যায়ন-আত্মস্হিকরন-প্রয়োগ
ও কোন অবস্হাতে সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদ-সাম্প্রদায়িকতার কাছে আত্মসমর্পন নয় এই শিক্ষায়
শিক্ষিত হতে হবে । বাবার হাত ধরে উত্তর প্রদেশ থেকে মাত্র ১৪ বৎসর বয়েসে বরানগর জুট
মিলে কাজে যোগ দেন । প্রথাগত শিক্ষা না পেলেও নিজের অদম্য চেষ্টায় উর্দুর সাথে অনায়েস
বিচরন ছিল হিন্দি,ইংরাজি ও বাংলায় । উর্দু ভাষায় বিশিষ্ট শায়ের ও বয়েৎ রচনাকার মহঃ
আমিন কে উর্দু সাহিত্যে বিশেষ স্হান দিয়েছে । এহেন মহঃ আমিন শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃত্ব
থেকে শ্রমিকশ্রেনীর পার্টি কমিউনিষ্ট পার্টির নেতৃত্বে উঠে আসেন । দেশভাগের পর পার্টির
নির্দেশে মাত্র ২৪ বছর বয়েসে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্হান অধুনা বাংলাদেশে কমিউনিষ্ট পার্টি
গড়ার কাজে যান । কিন্তু সেখানের শাসকের রোষে জেলে যেতে হয় ,প্রান সংশয় হয় । এই অবস্হায়
পার্টির নির্দেশে দেশে ফেরেন এবং পার্টি ও ট্রেড ইউনিয়নের কাজে আত্মনিয়োগ করেন । ১৯৬৪
সালে পার্টি ভাগের সময়ের থেকে সিপিআইএমে এর এবং ১৯৭০ সালে সিআইটিইউ গঠনের সময় থেকে
নেতৃত্ব দানের ভূমিকা পালন করেন । পরবর্তি সময়ে সিপিআইএমে এর পলিটব্যুরো সদস্য ও সিআইটিইউ
এর সর্বভারতীয় সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন । যুক্তফ্রন্ট ও বামফ্রন্টের তিন
দফায় মন্ত্রি ও রাজ্য সভার সদস্য হয়েছিলেন । প্রত্যেক ক্ষেত্রে তিনি কৃতিত্বের সাক্ষর
রেখেছেন । কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হন নি ।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছিলেন সেই জুট মিলের শ্রমিক আদি অকৃত্রিম মহঃ আমিন । জুট ও
পরিবহন শ্রমিক সংগঠন এবং বস্তিবাসি সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়ার সময়ে মানুষ কে কিভাবে সংগঠিত
করে টেনে নিয়ে আসতে হয় ,কি ভাবে ভিন্ন মতাবলম্বী মানুষের সাথে মিলে সংগ্রামী জোট গঠন
করতে হয় তা অনবদ্য ভঙ্গিমায় হাতে কলমে প্রয়োগ করেছেন মহঃ আমিন । তাই আজকে সারা দেশের
প্রধান বিপদ হিসেবে উঠে আসা সাম্প্রদায়িক বিজেপি কে পরাস্ত করার যে ঐতিহাসিক কর্তব্য
বামপন্হিদের সামনে এসেছে , মহঃ আমিনের জীবন ও সংগ্রাম সেই সংগ্রামের পাথেয় হবে ।
বিপিএমও-র রাজ্য আহ্বায়ক
শ্যামল চক্রবর্তী বলেন যে পার্টি ও ট্রেড ইউনিয়নের পরিচালনা ও মতাদর্শগত সংগ্রামের
প্রতিটি গুরুত্বপূর্ন বাঁকে মহঃ আমিনের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব আজকের দিনের সংগ্রাম পরিচালনায়
অত্যন্ত মূল্যবান উপাদান হিসাবে কাজ করে যাবে । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সি.আই.টি.ইউ এর
পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী ও বিশ্বরূপ ব্যানার্জী । সভাপতিত্ব
করেন সি.আই.টি.ইউ এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী
।
সভার শুরুতে প্রয়াত নেতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও নিরবতা পালন করা হয়।শোক প্রস্তাব পাঠ
করেন বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী ।
উপস্হিত ছিলেন রথিন
রায় , সন্তোষ দেবরায় , পি.কে.দাস , বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী,নির্মল ভট্টাচার্য,সুবীর সেনগুপ্ত
সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
Subscribe to:
Posts (Atom)