দুর্গাপুর,২২শে ফেব্রু : ইস্পাত শ্রমিকরা দৃঢ় ভাবে জানিয়ে
দিয়েছেন যে অ্যালয় স্টিলের বিলগ্নিকরন রুখতে জান কবুল । তাদের পাশে
দৃঢ় ভাবে এসে দাঁড়িয়েছেন দুর্গাপুরের সমস্ত স্তরের মানুষ । সর্ব স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে
প্রতিরোধের শপথ – দুর্গাপুর কে ‘দুর্দশাপুর’ হতে দেব না । অ্যালয় স্টিলের ১০০% কৌশলগত
বিলগ্নিকরনের জন্য গ্লোবাল টেন্ডার আহ্বান করতে চেয়ে সেবি-র কাছে সেইলের পাঠানো চিঠি
ফাঁস ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সেইলের অ্যালয় স্টিল,সালেম ও ভদ্রাবতি কারখানার বিলগ্নিকরনের
খবর প্রকাশিত হতেই অ্যালয় স্টিলের মেইন গেটের
বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশে হয়। আজ থেকে শুরু হয়ে গেল লাগাতার শ্রমিক বিক্ষোভ । সমাবেশে
হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের( সি.আই.টি.ইউ) পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন নন্দলাল
দাস,সুমনব্রত দাস,মহেন্দ্র মুর্মু ও নিখিল দাস ।
Friday 22 February 2019
দেশ রক্ষার লড়াই এর সাথে রাষ্ট্রয়ত্ব কারখানা বাঁচানোর লড়াই,শ্রমিক অধিকার ও দাবি আদায়ের লড়াই সম্পর্কযুক্ত : দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় প্রবল শ্রমিক বিক্ষোভ
দুর্গাপুর,২২শে ফেব্রুঃ
: দেশ গড়া ও রক্ষার কাজে রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত উদ্যোগ সেইল ও আর.আই.এন.এল সহ সমগ্র রাষ্ট্রায়ত্ব
ও সরকারি ক্ষেত্রের এর অনবদ্য ভূমিকা সুপরিচিত । তাই রাষ্ট্রায়ত্ব ও সরকারি ক্ষেত্র
বাঁচানোর লড়াই শ্রমিক সহ দেশের সাধারন মানুষের দেশপ্রেমিক কর্তব্য । আজ দুর্গাপুর ইস্পাত
কারখানার ইডি(ওয়ার্কস)-এ হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) এর ডাকে
বিক্ষোভ সমাবেশে একথা জোরের সাথে জানালেন নেতৃবৃন্দ । দীর্ঘ ৩ বছর ধরে বেতন-চুক্তি
বকেয়া আছে । গত এন.জে.সি.এস এর চুক্তি সত্বেও বিভিন্ন বকেয়া বিষয়ে এখনও ফয়সালা হয় নি
। সব মিলিয়ে ইস্পাত কর্মিদের ভাঁড়ারে প্রাপ্তি শূন্য । অথচ আর্থিক চাপ বেড়েই চলেছে
। ধারাবাহিক লড়াই-আন্দোলনের চাপে সেইল কর্তৃপক্ষ গত ২২শে ফেব্রুঃ এনজেসিএস এর মিটিং
ডেকেও ১লা মার্চ পিছিয়ে দিয়েছে । উচ্ছেদ হওয়া ৩৫০০ হাজার ঠিকা শ্রমিক কে এখনও কাজে
ফেরানো হয় নি । থেমে গেছে ঠিকা শ্রমিক ও ট্রেনিদের স্হায়ীকরনের প্রক্রিয়া অথবা স্হায়ী
শ্রমিক-ডাক্তার-নার্স-ফার্মাসিস্ট-শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া । অ্যালয় স্টিলের কৌশলগত বিলগ্নিকরনের সিদ্ধান্ত বাতিল, অ্যালয়
স্টিল ও দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাতে আধুনিকিকরন-সম্প্রসারনের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় মূলধন
বিনিয়োগ, হাসপাতাল-স্কুল নাগরিক পরিসেবায় বিনিয়োগ-কোয়ার্টার ও জমি লিজ-লাইসেন্সিং সহ
অন্যান্য আশু প্রয়োজনীয় বিষয়ে নিরব সেইল কর্তৃপক্ষ।
নিরবচ্ছিন্নভাবে শ্রমিকরা
উৎপাদন বৃদ্ধি করেই চলছে । সেইল সহ ইস্পাত শিল্প উন্নতির পথে । অথচ ইস্পাত শ্রমিকদের
নায্য পাওয়ানার সময়ে বকলমে কেন্দ্রের মোদি সরকারের শেখানো বুলি আওড়ে সেইল কর্তৃপক্ষ
শ্রমিকদের বঞ্চনার জন্য বিভিন্ন রকম তঞ্চকতা করে চলেছে । ঢের হয়েছে । এবার পালা হিসাব
বুঝে নেওয়ার । দাবি আদায়ের জন্য দুর্ণিবার আন্দোলনের ডাক দিলেন নেতৃবৃন্দ । বিক্ষোভ
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্থ মুখার্জী,প্রকাশতরু চক্রবর্তি,ললিত মিশ্র ও বিশ্বরূপ ব্যানার্জী
। সমাবেশ চলাকালিন কর্তৃপক্ষের কাছে ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল দাবি-সম্বলিত স্মারকলিপি
জমা দেয় ।
Wednesday 20 February 2019
প্রয়াত চার নেতার স্মরণ সভা ।
দুর্গাপুর,২০ ফেব্রুঃ
: আজ সন্ধ্যায় ইস্পাতনগরীর বি.টি.রণদিভে ভবনে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন( সি.আই.টি.ইউ)-এর
চার সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন ওবি সদস্যের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় । প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে প্রাক্তন ইস্পাত শ্রমিক
ও শ্রমিক নেতৃত্ব সমীর সেন,পবিত্র রায়,রাতুল
সরকার ও সুব্রত চক্রবর্তী – এই চার সদ্য প্রয়াত নেতার স্মরণ সভার কাজ শুরু হয় । প্রত্যেকের জন্য পৃথক শোকপ্রস্তাব
পাঠ করা হয় । তাদের পরিবার ও যে বিভাগে কর্মজীবনে কাজ করতেন,সেই বিভাগের পক্ষ থেকে
এক জন করে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রথীন রায়, জীবন রায় সহ
অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । সঞ্চালনা করেন স্বপন মজুমদার ।
অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিলগ্নিকরনের জন্য মোদি সরকারের নীল নক্সা ফাঁস হতেই দুর্গাপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু ।
দুর্গাপুর,২০ ফেব্রুঃ
: এক বছর আগে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ১০০% স্ট্র্যাটেজিক ডিসইনভেষ্টমেন্টের জন্য
গ্লোবাল টেণ্ডার ডাকা হয়েছিল । কিন্তু শ্রমিক আন্দোলন ও গনআন্দোলনের তীব্রতা এতটাই
ছিল যে আক্ষরিক অর্থে কোন সংস্হাই অ্যালয় স্টিল কেনার জন্য প্ল্যান্টের চত্বরে পা রাখার
সাহস করে নি । ইস্পাত শ্রমিকরা দৃঢ় ভাবে জানিয়ে দেন যে অ্যালয় স্টিলের বিলগ্নিকরন রুখতে
জান কবুল । তাদের পাশে দৃঢ় ভাবে এসে দাঁড়ান দুর্গাপুরের সমস্ত স্তরের মানুষ । সর্ব
স্তরে ছড়িয়ে পড়ে প্রতিরোধের শপথ – দুর্গাপুর কে দুর্দশাপুর হতে দেব না । অ্যালয় স্টিল
প্ল্যান্টের বিলগ্নিকরন বাতিল,
অ্যালয় স্টিল ও দুর্গাপুর ইস্পাত
বাঁচাতে আধুনিকিকরন-সম্প্রসারনের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন বিনিয়োগ,দুর্গাপুর ব্যারাজের
আমূল সংস্কার ও দুর্গাপুর ইস্পাতের উচ্ছেদ ঠিকা শ্রমিকদের কাজে ফেরানো,ডি.পি.এল-ডি.সি.এল
ও ডি.টি.পি.এস এর আধুনিকিকরন-সম্প্রসারনের দাবিতে গত তিন বছর বছর ধরে লাগাতার লড়াই
চালিয়ে যাচ্ছে সি.আই.টি.ইউ সহ কেন্দ্রিয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির যৌথ মঞ্চ,’ অ্যালয় স্টিল
বাঁচাও - দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাও – রক্ষা করো শিল্প- রক্ষা করো দুর্গাপুর’ কমিটি । দেড় শতাধিক আন্দোলন কর্মসূচি
পালন করেছে ।
ইতিমধ্যে কয়েকদিন
আগে কিছু সংবাদ মাধ্যম, আপাততঃ অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিলগ্নিকরন হচ্ছে না – এই
খবর চাউর করে । সি.আই.টি.ইউ সহ কেন্দ্রিয় ট্রেড
ইউনিয়ন গুলির যৌথ মঞ্চ এই খবরের সততা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে । কারন অন্তর্বর্তি
বাজেটে মোদি সরকার ৩৫টি রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা বিলগ্নি করে বর্তমান আর্থিক বর্ষেই ৮০,০০০
হাজার কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে এবং এই তালিকার সেইলের অ্যালয় স্টিল,সালেম ও ভদ্রাবতি
কারখানা আছে – এই খবর প্রকাশিত হয়েছে ।
বিভ্রান্তি আরও ছড়ায়
কারন সংবাদটিতে অ্যালয় স্টিলের কৌশলগত বিলগ্নিকরন থেকে সরে আসার কথা জানালেও অ্যালয়
স্টিল ও দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাতে মূলধন বিনিয়োগের বিষয় নীরব ছিল । এর আগে বাজপেয়ী
সরকারের আমলে এম-এ-এম-সি,বি.ও.জি.এল,এফ.সি.আই এবং ২০১৪ সালে নির্বাচনী বৈতরনী পার করার
জন্য হিন্দুস্হান কেবলস এর ক্ষেত্রে একই ধরনের ছল-চাতুরীর আশ্রয় নেওয়া হলেও পরে প্রতিটি
কারখানা বন্ধ করে দেওয়া । এমন কি অ্যালয় স্টিলের কৌশলগত বিলগ্নিকরন হবে না – এই খবর
ছড়িয়ে আন্দোলনের গোড়ার দিকে শ্রমিকদের মধ্যে
বিভেদের চেষ্টা করা হয়েছিল । যদিও কেন্দ্রিয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির যৌথমঞ্চ সেই
চেষ্টা ব্যর্থ করে ।
এই অবস্হায় গতকাল
অ্যালয় স্টিলের ১০০% কৌশলগত বিলগ্নিকরনের জন্য গ্লোবাল টেন্ডার আহ্বান করতে চেয়ে সেবি-র
কাছে সেইলের চেয়ারম্যানের পাঠানো চিঠি ফাঁস ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সেইলের অ্যালয়
স্টিল,সালেম ও ভদ্রাবতি কারখানার বিলগ্নিকরনের খবর প্রকাশিত হতেই দুর্গাপুর জুড়ে হতাশা
নেমে এসেছে । অন্যদিকে ইস্পাত শ্রমিকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ । যার বহিঃপ্রকাশ
দেখা যায় আজ সকালে অ্যালয় স্টিলের মেইন গেটের বিক্ষোভ সমাবেশে । শ্রমিকরা স্পষ্টতঃ
জানিয়ে দেন যে কোন মূল্যে অ্যালয় স্টিল কৌশলগত বিলগ্নিকরন রোখা হবে । বক্তব্য রাখতে
নেতৃবৃন্দ তৃতীয় পর্যায়ের আন্দোলন সর্বাত্মক করার উপর গুরুত্ব দিয়ে ব্যপকতম ঐক্য গড়ে
তোলার আহ্বান জানান । বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ মন্ডল ( এ.আই.ইউ.টি.ইউ.সি),মলয় ভট্টাচার্য,বিশ্বরূপ
ব্যানার্জী ( সি.আই.টি.ইউ) । এছড়াও বক্তব্য রাখেন দুর্গাপুর ( পূর্ব )-এর বিধায়ক সন্তোষ
দেবরায় । তিনি জোরদার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান । সাথে সাথে তিনি ডি.পি.এল ও
ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরনের ফলে তৈরি সংকটের উদাহরন টেনে বলেন যে মার্জার-ভিআরএস আরও ব্যপকভাবে
শ্রমিকদের স্বার্থ কে ক্ষতিগ্রস্হ করে । সমাবেশের পর শ্রমিকরা মেইন গেট অঞ্চলে মিছিল
করেন । অ্যালয় স্টিল ও দুর্গাপুর ইস্পাতের শ্রমিকরা আজকের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ।
Monday 18 February 2019
বৃহত্তর আন্দোলনের লক্ষ্য ইস্পাত শ্রমিকদের কনভেনশন ।
দুর্গাপুর,১৮ই ফেব্রুঃ : আজ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্ল্যান্ট সিভিলে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) আহ্বানে ইস্পাত শ্রমিকদের কনভেনশনে আই.এল এ্যান্ড এফ.এস নামে বেসরকারি সংস্হায় বিনিয়োগ করা ২০,০০০ হাজার কোটি টাকা জলে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মোদি সরকারের শ্রমিকদের পি.এফ-পেনশনের টাকা বেসরকারি ক্ষেত্রে খাটানোর নীতি কে তীব্র সমালোচনা করা হয় । প্রসংগত এই সংস্হা খাটানো টাকা জলে যাওয়ার ফলে রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্প সংস্হার ১৫ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারির
পি.এফ-পেনশনের টাকা মার যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে । অন্যদিকে প্রবল আন্দোলনের চাপে
মোদি সরকার আপাতত অ্যালয় স্টিলের কৌশলগত বিলগ্নিকরনের সিদ্ধান্ত বাতিল করলেও অ্যালয় স্টিল ও দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাতে আধুনিকিকরন-সম্প্রসারনের
জন্য অতীব প্রয়োজনীয় মূলধন বিনিয়োগ - দুর্গাপুর ইস্পাতের উচ্ছেদ ঠিকা শ্রমিকদের কাজে
ফেরানো,হাসপাতাল-নাগরিক পরিসেবায় বিনিয়োগ-কোয়ার্টার ও জমি লিজ-লাইসেন্সিং সহ অন্যান্য
আশু প্রয়োজনীয় বিষয়ে নীরব থাকায় শ্রমিক মহলে সন্দেহ বেড়েছে । দীর্ঘ ৩ বছর ধরে বেতন-চুক্তি
বকেয়া আছে । গত এন.জে.সি.এস এর চুক্তি সত্বেও বিভিন্ন বকেয়া বিষয়ে এখনও ফয়সালা হয় নি
। সব মিলিয়ে ইস্পাত কর্মিদের ভাঁড়ারে প্রাপ্তি শূন্য । অথচ আর্থিক চাপ বেড়েই চলেছে
। কর্মরত অবস্হায় মৃতের পরিবারের একজনের চাকুরির জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় আছে চার
পরিবার । এই অবস্হায় বৃহত্তর লড়াই-এ যাওয়া ছাড়া অন্য কোন বিকল্প পথ নেই বলে আজকের কনভেনশনে
অভিমত । এই লক্ষ্যে আগামী ২০শে ফেব্রুঃ সকালে , অ্যালয় স্টিলের মেইন গেটে ট্রেড ইউনিয়ন গুলির যৌথ মঞ্চ জমায়েতের
ডাক দিয়েছে । আজকের কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,প্রদ্যুৎ মুখার্জী
ও স্বপন মজুমদার ।
এদিকে আজকের কনভেনশনের
মধ্যে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সদ্য অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক জয়প্রকাশ ঠাকুর অবসরকালিন
প্রাপ্ত অর্থ থেকে ইউনিয়ন তহবিলে ৫০০০ হাজার টাকা ইউনিয়ন এর আহ্বায়ক বিশ্বরূপ ব্যানার্জীর
হাতে তুলে দিলে উপস্হিত সকলে তাকে উচ্ছসিত অভিনন্দন জানান ।
Sunday 17 February 2019
গণশক্তির বোর্ড ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিল দুষ্কৃতিরা : এলাকার বাসিন্দারা নতুন বোর্ড লাগিয়ে যোগ্য জবাব দিলেন ।
দুর্গাপুর,১৭ ফেব্রুঃ
: গতকাল সন্ধ্যায় একদল দুষ্কৃতি সেইল কো: অপাঃ আবাসন অঞ্চলে কবিগুরু মোড়ে ( ২য় স্টপেজ
) ২২বছরের পুরানো গণশক্তির বোর্ড ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় । স্হানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন
যে গতকাল সন্ধ্যায় ৭-৮ জন অচেনা দুষ্কৃতি মোটরবাইক করে এসে আচমকা বোর্ড টি ভাঙ্গচূর
করে পালিয়ে যায় । এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় । শান্তিপূর্ন
সেইল কো: অপাঃ আবাসন অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই গণশক্তির বোর্ড । আজ সকালেই পার্টি
কর্মিরা ও এলাকার অধিবাসিবৃন্দ নতুন উদ্যোমে
আবার বোর্ডটি লাগিয়ে দেয় এবং আজকের গণশক্তি সাঁটিয়ে দেয় । ভারতের কমিউনস্ট পার্টি
( মার্কসবাদি )-র পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য সন্তোষ দেবরায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা
করে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফ্তার ও শাস্তির দাবি করেছেন । এদিকে ভারতের কমিউনস্ট পার্টি
( মার্কসবাদি )-র পঃ বঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক
সূর্যকান্ত মিশ্র গতকাল রাতেই এক ট্যুইটবার্তায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ।
ইস্পাতনগরী ও সংলগ্ন অঞ্চলের বস্তিবাসিদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল ।
দুর্গাপুর,১৭ই ফেব্রুঃ
: পঃ বঙ্গ বস্তি উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে ও হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন(সি.আই.টি.ইউ)
এর সহায়তায় আজ ইস্পাতনগরীর ভারতী ভলিবল ময়দানে অনুষ্ঠিত হল ইস্পাতনগরী ও সংলগ্ন
অঞ্চলের বস্তিবাসিদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল । মাঝে বেশ কিছু বছর
ধরে এই প্রতিযোগিতা বন্ধ ছিল । আজ সকালে প্রতিযোগিতার শুরুতে পঃ বঙ্গ বস্তি উন্নয়ন
কমিটির পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সম্পাদক মহাব্রত কুন্ডু ।
এরপরে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের স্মৃতির উদ্দ্যেশ্যে নিরবতা পালন
করা হয় । উপস্হিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়,জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের ক্রীড়াবিদ
গোলাম মুস্তাফা খান,মেঘনাথ আঢ্য,রমেশ বাসনেট,ঘনশ্যাম সোনার,তুষারকান্তি ঘোষ,সুব্রত সিনহা,ক্রীড়া
সংগঠক সুখময় বোস প্রমূখ । উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী জানান যে ইস্পানগরীর
ঐতিহ্যপূর্ণ ক্রীড়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে শান্তি-সৌহার্দ-সম্প্রীতির সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা
এবং নবীন প্রতিভাধর ক্রীড়াবিদদের খুঁজে বার করার জন্য এই প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ
ভুমিকা পালন করবে ।
এই উদ্দ্যেশ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া
প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের এই প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রন জানানো হয়েছে । এই প্রতিযোগিতায়
বস্তিবাসি শিশুদের সাথে ইস্পানগরীর শিশুরাও অংশ নিয়েছে । এছাড়াও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা
বস্তিগুলির অধিবাসিরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়র ফলে তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত
হবে । প্রতিযোগিতায় ৬০০ জন প্রতিযোগি অংশ নিয়েছেন । প্রতিযোগিতার শেষে সফল প্রতিযোগিদের
পুরস্কৃত করা হয় ।
Saturday 16 February 2019
অ্যালয় স্টিল বাঁচাও- দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাও – দুর্গাপুর বাঁচাও আন্দোলন চলবে ।
দুর্গাপুর,১৬ই ফেব্রু
: অ্যালয় স্টিল বাঁচাও- দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাও – দুর্গাপুর বাঁচাও আন্দোলন চলবেই
– একথা স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন নেতৃবৃন্দ। আজ সন্ধ্যায় ইস্পাতনগরীর বি.টি.রণদিভে ভবনে
হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) পক্ষ থেকে আয়োজিত শ্রমিক কনভেনশনে
নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন যে তিন বছর ধরে লাগতার আন্দোলনের সামনে দাঁড়িয়ে মোদি সরকার অ্যালয়
স্টিলের কৌশলগত বিলগ্নিকরন থেকে সরে আসার কথা জানালেও অ্যালয় স্টিল ও দুর্গাপুর ইস্পাত
বাঁচাতে মূলধন বিনিয়োগের বিষয় আশ্চর্যজনক ভাবে নীরব ! এর আগে বাজপেয়ী সরকারের আমলে
এম-এ-এম-সি,বি.ও.জি.এল,এফ.সি.আই এবং ২০১৪ সালে নির্বাচনী বৈতরনী পার করার জন্য হিন্দুস্হান
কেবলস এর ক্ষেত্রে একই ধরনের ছল-চাতুরীর আশ্রয় নেওয়া হলেও পরে প্রতিটি কারখানা বন্ধ
করে দেওয়া । এমন কি অ্যালয় স্টিলের কৌশলগত বিলগ্নিকরন হবে না – এই খবর ছড়িয়ে আন্দোলনের
গোড়ার দিকে শ্রমিকদের মধ্যে বিভেদের চেষ্টা
করা হলেও কেন্দ্রিয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির যৌথমঞ্চ সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে । তাই অ্যালয়
স্টিল ও দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাতে মূলধন বিনিয়োগ-আধুনিকিকরন ও সম্প্রসারন – উচ্ছেদ
ঠিকা শ্রমিকদের পূনর্বহাল সহ দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের প্রতিটি বন্ধ কারখানা চালুর বিষয়ে
দাবি না মেটা পর্যন্ত , ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন থেমে থাকবে না । বরং লড়াই এর সামনে শাসক কে
নতজানু হতে হয়ে – এই শিক্ষা নিয়ে বিপুল উৎসাহের সাথে অ্যালয় স্টিল বাঁচাও- দুর্গাপুর
ইস্পাত বাঁচাও - দুর্গাপুর বাঁচাও আন্দোলন কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । আজকের কনভেনশনে
বক্তব্য রাখেন রামপঙ্কজ গাঙ্গুলি,সন্তোষ দেবরায় ও বিশ্বরূপ ব্যানার্জী ।
নিহত জওয়ানদের স্মরনে ইস্পাতনগরীর মৌন মিছিলের আহ্বান – ধ্বংস হোক সন্ত্রাসবাদ,নিপাত যাক যুদ্ধ জিগির ।
দুর্গাপুর,১৬ই ফেব্রু
: কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদীদের নৃশংস ও কাপুরুষোচিত হামলায় নিহত সি.আর.পি.এফ
জওয়ানদের স্মরনে গোটা দেশের সাথে শোকাচ্ছন ইস্পাতনগরীও । ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি
( মার্কসবাদি)-র দুর্গাপুর ইস্পাত ১,২ ও ৩ এরিয়া কমিটির ডাকে আজ বিকালে নিউটন রোডের
সংলগ্ন অঞ্চল থেকে নিহত সি.আর.পি.এফ জওয়ানদের প্রতিটি পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে
এবং সন্ত্রাসবাদ ধ্বংস হোক,যুদ্ধের জিগির বন্ধ হোক এই দাবিতে মৌন মিছিল শুরু হয় । মিছিল যত এগিয়েছে , মিছিলের দৈর্ঘ ততই দীর্ঘতর হয়েছে
। অন্ধকার নামতেই জ্বলে ওঠে মোমবাতির সারি । মিছিলে অংশগ্রহনকারী সাধারন গৃহবধু থেকে শ্রমিক ,ছাত্র-যুব থেকে ছোট দোকানদার
কিংবা দুর্গাপুর(পূর্ব)-এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়,ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্ব সুবীর সেনগুপ্ত
,বিশ্বরূপ ব্যানার্জী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সহ দল-মত-নির্বিশেষ সাধারন মানুষের শরীরে ভাষায় বুঝিয়ে
দিচ্ছিল শোকবিহ্বলতার মধ্যেও মহান দেশের নাগরিক কর্তব্যে অবিচল দুর্গাপুর । সন্ত্রাসবাদীদের
হাতে নিহত হয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সেই দিনগুলিতেও
আজকের দিনের মতই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ছিল অবিচল ও ঐক্যবদ্ধ ইস্পাতনগরী। মিছিল চন্ডিদাস বাজার মোড়ে নিহত সি.আর.পি.এফ জওয়ানদের
স্মৃতির উদ্দ্যেশে যখন নিরবতা পালন করছিল,তখন পথচলতি মানুষ,ক্রেতা-বিক্রেতারাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে
নিরবতা পালন করেন । রক্তাত কাশ্মীর- রক্তাত দেশ-রক্তাত সভ্যতা তবুও মহান ভারততবর্ষের
নাগরিকরা যুদ্ধের জিগির ছাড়াই সমস্ত ধরনের সন্ত্রাসবাদ কে গোড়া থেকে নির্মূল করার জন্য
আত্মপ্রত্যয়ী,
নিহত সি.আর.পি.এফ জওয়ানদের পরিবারদের
জন্য দেশের প্রত্যেক পরিবার সমব্যাথি – আজকের মৌন মিছিল এই সুরে বাঙ্ময় উঠল ।
Thursday 14 February 2019
ইনপ্ল্যান্ট অফিস গুলিকে সংকুচিত করার প্রতিবাদে দুর্গাপুর ইস্পাতে শ্রমিক বিক্ষোভ ।
দুর্গাপুর,১৪ই ফেব্রু:
: আজ সকালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ইডি ( ওয়ার্কস ) এর দফ্তরে হিন্দুস্হান স্টিল
এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ ) এর ডাকে ইস্পাত শ্রমিকরা বিক্ষোভ সমাবেশে সামিল হয়েছিলেন
। কারখানার ভিতরে বিভিন্ন অফিসের ( ইনপ্ল্যান্ট অফিস ) মাধ্যমে ইস্পাত শ্রমিকরা তাদের
ব্যক্তিগত বিভিন্ন ধরনের কাজ গুলি সম্পন্ন করেন ।পারসোন্যানল, ছুটি,পিএফ,বিভিন্ন ধরনের
লোন,মেডিক্যাল কার্ড সংক্রান্ত কাজ সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ ইনপ্ল্যান্ট অফিসে হয় । বিশাল অংশ জুড়ে ইন্টিগ্রেটেড ইস্পাত
কারখানার বিভিন্ন বিভাগের সাথে কারখানার প্রশাসনিক দফ্তরের দুরত্ব,শিফটিং ডিউটি,গেট
পাসের অযথা কড়াকড়ি,কর্মি স্বল্পতার মধ্যে উৎপাদনের চাপ – এই সব মিলিয়ে যখন সর্বাধিক
প্রয়োজন,ঠিক তখনই কর্তৃপক্ষ অন্যান্য বিভিন্ন বিভাগের সাথে ইনপ্ল্যান্ট অফিসের ‘ডাউনসাইজিং’
এর নামে সমস্ত অফিস-সংক্রান্ত কাজ কে সাত তলা বিল্ডিং এই পোষাকি নামে পরিচিত কারখানার
প্রশাসনিক দফ্তরে কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীভূত করতে চাইছে । এই বিষয়ে নির্বাচিত ইউনিয়নের
প্রতিনিধিদের সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই কর্তৃপক্ষ এককভাবে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে । সাম্প্রতিককালে
মেডিক্যাল কার্ড সংক্রান্ত কাজ ইনপ্ল্যান্ট অফিসের থেকে বন্ধ করার ফলে শ্রমিকদের ধৈর্যের
বাঁধ ভেঙ্গেছে । অবিলম্বে ইনপ্ল্যান্ট অফিসের
সংকোচন বন্ধ ও ইউনিয়নের সাথে আলোচনার দাবি জানিয়ে আজকের বিক্ষোভ-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন
বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,প্রদ্যুৎ মুখার্জী,রনজিত গুহ ঠাকুর ও সীমন্ত চ্যাটার্জী । সমাবেশ
চলাকালিন কর্তৃপক্ষের কাছে ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল দাবি-সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেয় ।
Monday 11 February 2019
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের কর্মরত নার্সের : উত্তেজিত জনতা কাটল স্পিড ব্রেকার ।
দুর্গাপুর,১১ই ফেব্রুঃ
: রবিবার রাতে নাইট শিফটে কাজে যোগ দিতে আসার সময়ে হাসপাতালের রাস্তায় হটাৎ গজিয়ে ওঠা
অপরিকল্পিত স্পিড ব্রেকারে সাথে ধাক্কায় স্কুটি থেকে পড়ে মৃত্যু হল দুর্গাপুর ইস্পাত
কারখানার মেইন হাসপাতালে কর্মরত নার্স ক্ষমা মল্লিকের। তিনি হাসাপাতালের এমারজেন্সি
বিভাগের সিস্টার ইনচার্জ ছিলেন ।
দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষর নির্দেশে
ইস্পাতনগরীর জে এম সেনগুপ্ত রোড ও এডিসন রোডের সংযোগকারী হাসপাতালের মধ্যের রাস্তার
উপরে আচমকা তিনটি স্পিড ব্রেকার তৈরি হয় ।
রাস্তায় অপ্রতুল আলো ও আচমকা অপরিকল্পিত স্পিড ব্রেকারের তৈরির জন্য ৭ জন দূর্ঘটনার
কবলে পড়েছেন ।
এদিকে ক্ষমা মল্লিকের
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে উত্তেজিত জনতা তিনটি স্পিড ব্রেকারই কেটে দেয় । হাসপাতালের
জনৈক আধিকারিক নিগৃহিত হন । ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্হলে পৌঁছে পরিস্হিতি সামাল দেয় ।
আজ হাসপাতালের ডাইরেক্টরের
সাথে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) এর এক প্রতিনিধি দল আলোচনা
করতে যায় । ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ভাবে এই ঘটনার জন্য সরাসরি কর্তৃপক্ষ কে দায়ি
করে এই ঘটনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন,মৃতের পোষ্যের চাকুরী ও উপযুক্ত ক্ষতিপুরন,আহতদের
ও জখম আধিকারিকের যথাযথ চিকিৎসা,হাসপাতালের স্বাস্হ্য সহ সমস্ত পরিকাঠামোর আমূল সংস্কার,উপযুক্ত
সংখ্যক স্হায়ী চিকিৎসক-নার্স-ফার্মাসিস্ট-টেকনিশিয়ান-স্বাস্হ্য কর্মির নিযুক্তি, হাসপাতালের
উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্হা সহ অন্যান্য দাবি
জানানো হয় ।
ইউনিয়নদের বাদ দিয়ে কর্তৃপক্ষ
একক ভাবে চলার ফলে এই ধরনের দুর্ঘটনা একের পর এক ঘটছে বলে অভিযোগ তোলেন প্রতিনিধি দল । পরে প্রতিনিধি দলের পক্ষে বিশ্বরূপ
ব্যানার্জী জানিয়েছেন যে এই সমস্ত বিষয়ে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন গড়ে
তোলা হলেও কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করায় প্রানহানির মত দুর্ঘটনা ঘটল । এখনই কর্তৃপক্ষ
দাবি গুলি না মানলে,ভবিষ্যৎে ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে । তিনি, সেই পরিনতি ঠেকাতে, ইউনিয়নের
পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ।
Friday 8 February 2019
আবারও দুর্ঘটনায় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শিল্প নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে।
দুর্গাপুর,৮ই ফেব্রু
: আজ সকালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ব্লাষ্ট ফার্ণেস ও র’ মেটেরিয়ালস্ হ্যাণ্ডেলিং
বিভাগে বিএফ গ্যাস লিক করার ফলে চার জন শ্রমিক অসুস্হ হয়ে পড়েন । তার মধ্যে দু-জন শ্রমিক
কে পরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত
তাদের অবস্হা স্হিতিশীল । খবরে প্রকাশ গ্যাস পাইপ লাইনের ওয়াটার-সিল ঠিকমত কাজ না করার
ফলে এই বিপত্তি । বিএফ (ব্লাষ্ট ফার্ণেস ) গ্যাসে কার্বন মনোক্সাইডের পরিমান ২২-২৮
শতাংশ থাকার ফলে মানুষের শরীরে বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে মৃত্যু ডেকে আনতে পারে ।
এ দিকে দুর্ঘটনার খবর ছড়াতেই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় । ছুটে আসেন
হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) সহ অন্যান্য ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ
। র’ মেটেরিয়ালস্ হ্যাণ্ডেলিং বিভাগের জিএম এর কাছে শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হলে সামাল
দিতে ছুটে আসেন কারখানার জিএম ( সেফটি ) । ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ কারখানার এক এর পর এক ঘটে
যাওয়া দুর্ঘটনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন । তারা কারখানার
নিরাপত্তার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অবিলম্বে সক্রিয় ভুমিকা পালনের জোড়ালো দাবি জানান । হিন্দুস্হান
স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) এর পক্ষে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী জানিয়েছেন যে কর্তৃপক্ষ
গ্যাস পাইপ লাইনের রক্ষনাবেক্ষন ও নজরদারি বিভাগ কে ধারাবাহিকভাবে অবহেলা করে চলছে
। ফলে ভবিষ্যৎে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা থেকেই যাচ্ছে । অন্যদিকে কারখানার নিরাপত্তা
বৃ্দ্ধি করতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বমূলক বিভিন্ন স্তরের সেফটি
কমিটি গুলি কর্তৃপক্ষ নিষ্ক্রিয় করে রাখার ফলে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে । হিন্দুস্হান
স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) এর পক্ষ থেকে বারংবার সেফটি কমিটি গুলি চালু
করা ও পূর্ণ নিরাপত্তার স্বার্থে রক্ষনাবেক্ষন ও নজরদারির জন্য উপযুক্ত ব্যয়বরাদ্দের
দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি । আজকের দুর্ঘটনা আবারও ইউনিয়নের সতর্ক বার্তা
গ্রাহ্য করা জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছে ।
Tuesday 5 February 2019
অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে শ্রমিক বিক্ষোভ ।
দুর্গাপুর,৫ই ফেব্রুঃ
: আজ সকালে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের জি.এম. ওয়ার্কস ( আই.সি) এর দফ্তরে ১৩-দফা দাবিতে
স্হায়ী ও ঠিকা শ্রমিকরা যৌথভাবে বিক্ষোভ দেখান । হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন
( সি.আই.টি.ইউ ) ও এ.এস.পি কন্ট্রাক্টারএমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ ) এর আহ্বানে
এই বিক্ষোভ সমাবেশে দলে দলে স্হায়ী ও ঠিকা শ্রমিকরা যোগ দান করেন । অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের
কৌশলগত বিলগ্নীকরনের বাতিল-আধুনিকীকরন-সম্প্রসারনের সাথে সাথে অবিলম্বে সেইলের বেতন-চুক্তি,
ঠিকা শ্রমিকদের সমস্ত বকেয়া ভি.ডি.এ-চুক্তি মোতাবেক বেতন-পি.এফ-ই.এস.আই-পেনশন,জমি-কোয়ার্টার
লিজিং-লাইসেন্সিং,কারখানার শান্তি-শৃংখলা ও ভয়-ভীতিহীন পরিবেশের দাবি সহ অন্যান্য দাবিতে
এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গুরুপ্রসাদ ব্যানার্জী,নবেন্দু সরকার ও বিজয় সাহা
। সমাবেশ চলাকালীন কর্তৃপক্ষের কাছে যৌথ প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি জমা দিয়ে জানিয়েছেন
যে দাবি না মিটলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ।
চোর ধরো,জেল ভরো,গরীবের টাকা ওয়াপাস করো – দাবিতে ইস্পাতনগরীতে বিশাল মিছিল ।
দুর্গাপুর,৫ই ফেব্রুঃ
: আজ বিকালে, চিটফান্ড দূর্ণীতিতে যুক্ত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফ্তার ও উপযুক্ত শাস্তি
এবং অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্হদের সুদ সমেত সমস্ত টাকা ফেরতের দাবিতে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি
( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত ১,২ ও ৩ এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে যৌথ ভাবে বিশাল
মিছিলের আয়োজন করা হয়। বি.টি. রণদিভে ভবন থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে
আবার বি.টি. রণদিভে ভবনে শেষ হয় । মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,কাজল চ্যাটার্জী,স্বপন
ব্যানার্জী,দিপক ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
Saturday 2 February 2019
মোদির সফরের মাঝেই ইস্পাত শ্রমিকরা প্রতিবাদের পথে ।
দুর্গাপুর,২রা ফেব্রুঃ
: আজ সকালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অর্জুন মূর্তির সামনে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ
ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ ) এর ডাকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ সমাবেশে সামিল হন । গত দুবছর ধরে
ইস্পাত শ্রমিকদের বেতন-চুক্তি বকেয়া হয়েছে অথচ এন.জে.সি.এস আলোচনা শুরুর নামগন্ধও নেই
। এমন কি বিগত বেতন-চুক্তির বহু বিষয় এখনও বকেয়া পরে আছে । নাগরিক পরিষেবা,হাসপাতাল
পরিষেবা,জমি-কোয়ার্টার লিজিং-লাইসেন্সিং এর মত বিভিন্ন স্পর্ষকাতর বিষয় সমাধানের বদলে
কর্তৃপক্ষ অযথা টালবাহানা করছে । অন্যদিকে এই ইস্পাতনগরী,অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ,
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা সহ গোটা দুর্গাপুর মোদির নীতির ফলে বিপন্ন হয়ে পড়ছে । আন্তর্জাতিক মানের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট কে বিক্রি করতে
চেয়েছে মোদি সরকার । বিনিয়োগ না করার ফলে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা সেইলের মধ্যে ছোট
প্ল্যান্টে পরিনত হয়ে সংকটে পড়তে চলেছে । অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বিলগ্নীকরনের সিদ্ধান্ত
বাতিল ,অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনকিকরন-সম্প্রসারনের
ও সি.আই.টি.ইউ করার অপরাধে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার উচ্ছেদ হওয়া ৩৫০০ ঠিকা শ্রমিক
কে অবিলম্বে কাজে বহাল করার দাবীতে গত তিন বছর ধরে ইস্পাত শ্রমিক সহ দুর্গাপুরের মানুষ
তীব্র লড়াই চালাচ্ছেন ।
ট্রেনি-শ্রমিকরা রীতিমত নিপীড়নের মুখে পড়েছেন ।
এই অবস্হায় ঐতিহ্যমন্ডিত
নেহেরু স্টেডিয়াম কে মোদি-বিজেপির জনসভার জন্য ব্যবহারের অনুমতি ইস্পাত শ্রমিক সহ দুর্গাপুরের
মানুষের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।
যে স্টেডিয়াম থেকে দুর্গাপুরের
একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের খেলোয়ার তৈরি হয়েছে এবং নবীন প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদরা
ব্যবহার করছেন ,সেই স্টেডিয়াম কে রাজনৈতিক সভার কাজে ব্যবহার জন্য খোঁড়াখুড়ি করতে দেখে
ইস্পাত শ্রমিক সহ ইস্পাতনগরীর নাগরিক ও ক্রীড়াবিদরা, আতংকিত ও ক্ষুব্দ । এর বিরুদ্ধে
তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ
) এর পক্ষ থেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষ চিঠি দেওয়া হয়েছে ।
আজ এই সব বিষয়ে তীব্র
প্রতিবাদ জানিয়ে ও অবিলম্বে সমাধানের দাবি জানিয়ে ইস্পাত শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখান ।
হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ ) এর পক্ষে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী জানিয়েছেন
মোদি সরকারের শ্রমিক-বিরোধী নীতি ও স্টেডিয়াম ধ্বংসের বিরোধীতা করার জন্য ইস্পাত শ্রমিকরা
বিক্ষোভ দেখানোর রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন ।
Subscribe to:
Posts (Atom)