দুর্গাপুর,৩০শে এপ্রিল
:গত পুরসভা নির্বাচনে ভোট-লুঠের দগদগে স্মৃতি মনে রেখে ভোটের দিন সকাল থেকে ভোট-কেন্দ্র
মুখী হয়েছিলেন ইস্পাতনগরী ও সংলগ্ন বস্তি ও গ্রামাঞ্চলের ভোটাররা । সকাল থেকে ভোট-কেন্দ্র
গুলিতে ভোটারদের লম্বা লাইন তৃণমূল কে বুঝিয়ে দিচ্ছিল সন্ত্রাস কে পরাস্ত করে ভোটদানের
গনতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ । ভোট দিতে মানুষ যে জোট বেঁধেছে এটা
বুঝতে পেরে তৃণমূল ভোটের দিনের আগের থেকে সন্ত্রাস শুরু করে । দয়ানন্দ রোডের ডিএসপি স্পোর্টস হোস্টেলের চত্বরে বোমা ফাটায় ।
ভোটের আগের দিন(২৮শে এপ্রিল) সন্ধ্যায় তৃণমূলীরা
কমলপুরে সিপিআই(এম) সমর্থকদের বাড়ী বাড়ী ঢুকে হামলা চালায় । খবর পেয়ে ছুটে যান এলাকার
বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়,নির্মল ভট্টাচার্য । পুলিশ কে অভিযোগ জানালেও কেউ গ্রেফ্তার হয়
নি । তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে নিউটন-আইনস্টাইন ও জে.সি.বোস ঝুপড়ি অঞ্চলে টাকা-মদ
ও নিষিদ্ধ মাদক বিলির । পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও ফল মেলেনি । ভোটের দিন সকাল থেকে
সিপিআই(এম) এর পোলিং এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় ।শিবাজী রোড -স্কুল রোড ও
আইনস্টাইন রোড-বেলতলা স্কুলের বুথে হামলা হয় । কিন্তু ভয় না পেয়ে , সিপিআই(এম) এর পোলিং এজেন্টরা বুথ বসেন এবং ভোট শেষ না হওয়া
পর্যন্ত থাকেন । এদিকে বুথে বুথে ভোটারদের বিশাল সারি দেখে তৃণমূল কংগ্রেস প্রমাদ গোনে
। বেলা বারো টার পরের থেকে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা এসইউভি চড়ে বিভিন্ন বুথে হামলা-হুমকি-মারধোর
– অবৈধ জমায়েত শুরু করে । সিপিআই(এম) এর পোলিং
এজেন্ট সহ বুথ ক্যাম্পগুলি ছিল এই হামলা-হুমকির লক্ষ্য । এমনকি পোলিং এজেন্টদের বাড়ীতে
হুমকি-শাসানি শুরু হয় । অশোক এভিন্যুর তিনটি বুথে পোলিং এজেন্টদের জোর করে বার করে
দিলেও পরে আবার তারা বসেন । পরে আবারও তাদের
টেকনিক্যাল কারনে বার করে দেওয়া হয় । এছাড়া আর সব বুথে পোলিং এজেন্টরা শেষ পর্যন্ত
থাকেন,তৃণমূলের ভোট-লুঠ ও জাল-ভোটের চেষ্টা
রুখে দেন । এই রাগে তৃণমূলীরা ভোট-প্রক্রিয়ার শেষে বিধানচন্দ্র ইনস্টিউটের ১৩০ ও ১৩১
নং বুথের পোলিং এজেন্ট ভজন সিংহরায় ও কেষ্ট গুপ্তর উপর হামলা চালায় । গুরুতর আহত ভজন
সিংহরায় কে দুর্গাপুর ইস্পাতের মেইন হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় । খবর পেয়ে ছুটে যান সুবীর
সেনগুপ্ত ও বিশ্বরূপ ব্যানার্জী । আজকে দেখতে যান দুর্গাপুর ( পূর্ব )-এর বিধায়ক সন্তোষ
দেবরায় । তিনি নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে এই আক্রমনের তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে দোষিদের
গ্রেফ্তার ও শাস্তির দাবি জানান । তিনি জানান তৃণমূলের ভোট-লুঠের চেষ্টা রুখতে ১০০টি
অভিযোগ নির্বাচন কমিশন কে করা হয়েছিল ।
Tuesday 30 April 2019
Friday 26 April 2019
প্রচারের শেষপর্বেও আভাস রায়চৌধুরীর পক্ষে মিছিল-মিটিং করলেন ইস্পাত শ্রমিকরা ।
দুর্গাপুর,২৬শে এপ্রিল
: আগামীকাল সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে পঃ বঙ্গের চতুর্থ পর্যায়ের নির্বাচনে যে সব কেন্দ্রে
নির্বাচন হবে,সেই সব কেন্দ্রের প্রচার শেষ
হবে। আগামী ২৯শে এপ্রিল এই সব কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে । এদের মধ্যে অন্যতম নজরকাড়া
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রটি । এখানে চতুর্মূখী লড়াই হচ্ছে । ধারে ও ভারে বামফ্রন্ট
মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরী
অনেকটা এগিয়ে আছে বলে ভোটারদের মধ্যে ধারনা । আভাস রায়চৌধুরী কে জয়ী করার আহ্বান জানিয়ে মাসাধিক কাল ধরে
ইস্পাতনগরী ও ইস্পাত কারখানায় ( দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ) লাগাতার
প্রচার চলছে । আজ দুর্গাপুর ইস্পাতে আভাস রায়চৌধুরী
কে জয়ী করার আহ্বান জানিয়ে ইস্পাত শ্রমিকরা মিছিল করেন । সন্ধ্যায় ট্রাঙ্ক রোড মোড়ে
নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন আশিষ মিশ্র,বিশ্বরূপ ব্যানার্জী ও ডিওয়াইএফআই এর রাজ্য
সভানেত্রী মিনাক্ষি মুখার্জী । সভার শুরুতে গণসংগীত ও নাটক পরিবেশন করেন গণনাট্য সংঘের
ইস্পাত(দুর্গাপুর) শাখার সদস্যবৃন্দ ।
Thursday 25 April 2019
সন্ত্রাস উপেক্ষা করে কমলপুরের মানুষ আভাস রায়চৌধুরীর সমর্থনে নির্বাচনী সভায় যোগ দিলেন ।
দুর্গাপুর,২৫শে এপ্রিল
: ২০১১ এর পরের থেকে লাগাতার সন্ত্রাসের শিকার ইস্পাতনগরীর সংলগ্ন গ্রামাঞ্চল ধোবিঘাট,রঘুনাথপুর,কমলপুর
ও পারুলিয়ায় । আজ সেই সন্ত্রাসবিদ্ধ কমলপুরে মানুষ দলে দলে মানুষ বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম)
প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরীর সমর্থনে নির্বাচনী সভায় যোগ দিলেন । বক্তব্য রেখেছেন জীবন
আইচ,মলয় চক্রবর্তী,সন্তোষ দেবরায় ও আভাস রায়চৌধুরী । সভার শুরুতে ‘লহরী’-র শিল্পীগোষ্ঠীর
প্রানবন্ত গান ও নাটক দর্শকদের মাতিয়ে দেয় ।
Monday 22 April 2019
ইস্পাতনগরীতে ভি.আই.লেনিনের ১৫০তম জন্মদিবস পালিত হল ।
দুর্গাপুর,২২শে এপ্রিল
: মানবমুক্তি আন্দোলনের চিরস্মরনীয় রূপকার ও বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত
ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠার কারিগর ভি.আই.লেনিনের ১৫০তম জন্মদিবস পালিত হল ইস্পাতনগরীতে ।
এই উপলক্ষ্যে আজ আশিস-জব্বার ভবনে ভি.আই.লেনিনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন সন্তোষ
দেবরায়,কাজল চ্যাটার্জী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
Sunday 21 April 2019
ক্ষমা নেই ভোট-লুঠেরাদের : ভোট-বিস্ফোরনের অপেক্ষায় ইস্পাতনগরীতে আভাস রায়চৌধুরীর সমর্থনে মানুষের ঢল নেমেছে ।
দুর্গাপুর,২১শে এপ্রিল
: মাঝে বাকি আর ৮ দিন । আপাত শান্ত ইস্পাতনগরীর আনাচে-কানাচে জুড়ে আলোচনায় উঠে আসছে
সিপিআই(এম)-এর ‘ভালো ক্যান্ডিডেট’ এর কথা । ৬০-এর দশক থেকে শ্রমিক-আন্দোলন এবং বাম-আন্দোলনের
সখ্যতায় মুখরিত ইস্পাতনগরীর শক্তভিতের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা জন চেতনার মূলে গিয়ে আঘাত
করেছিল বিগত পৌরভোটে তৃণমূলের ভোট-লুঠ । মাত্র কয়েক বর্গ কিলোমিটারের ভুখন্ডের গনতান্ত্রিক
অধিকার ছিনিয়ে নিতে তৃণমূল ১৫০০০ সশস্ত্র দুষ্কৃতি নামিয়েছিল ভোটের দু-দিন আগে । ইস্পাতনগরীর
উৎসবের মেজাজে ভোটের আমেজ কে রক্ত-হিংসা-অস্ত্রের ঝনঝনানিতে ডুবিয়ে দিয়ে কেড়ে নিয়েছিল
কয়েক লক্ষ ভোটারের ভোটদানের অধিকার । বাদ যায় নি তৃণমূলের সমর্থক ভোটাররা । পুলিশ ছিল
নির্বাক দর্শক । ইস্পাতনগরী তৃণমূলের সেই বর্বরতার কথা মনে রেখে এবার সরাসরি ভোট-লুঠেরাদের
চ্যালেঞ্জ জানাতে নেমেছে । মানুষ-জন সতর্ক নজর রেখে চলেছে ইস্পাতনগরীর ফাঁকা আবাসন-স্কুল
বিল্ডিং-উৎসবের জন্য দেওয়া ভাড়া বাড়ী-ক্লাব সহ অন্যান্য সন্দেহজনক জায়গা । দুর্গাপুর(পূর্ব)-এর
সিপিআই(এম) বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় জানিয়েছেন কোন রকম সন্দেহজনক জমায়েত দেখলেই তৎক্ষনাৎ
অবস্হান সহ সমস্ত ধরনের জোড়ালো প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে যাতে ভোট-লুঠেরারা ছাড় না পায়
। এ দিকে ইস্পাতনগরীর বি-জোন বয়েজ স্কুলে কেন্দ্রিয় বাহিনীর জন্য নির্মিত জলাধারটি
আজ ভাঙ্গা অবস্হায় দেখতে পাওয়া গেলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে।
ইস্পাতনগরী জেগে আছে
ভোট-উৎসবে অনাহূত ভোট-লুঠেরাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার জন্য । পৌর ভোট না দিতে পারার
আক্ষেপ লোকসভা নির্বাচনে পুরোপুরি উশুল করতে ইস্পাতনগরীর ভোটাররা ভোট-বিস্ফোরনের জন্য
তৈরি হচ্ছেন । আর এই ভোটের প্রস্তুতিতে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তরুন সিপিআই(এম)
প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরীর সমর্থনে মানুষের ঢল বুঝিয়ে দিচ্ছে নির্বাচনের আগাম ফলাফল
বুঝিয়ে দিচ্ছে ।
আজ বিকালে প্রাকৃতিক
দূর্যোগ উপেক্ষা করে এক বিশাল মিছিল নাগার্জুন রোড থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে
জয়দেব বস্তিতে শেষ হয় । মিছিলের নেতৃত্ব দেন সন্তোষ দেবরায়,সুবীর সেনগুপ্ত,স্বপন ব্যানার্জী
সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
Saturday 20 April 2019
ইস্পাতনগরীতে তরুন বামফ্রন্ট প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরীর পক্ষে ভোটের পালে হাওয়া স্পষ্ট : চলছে নিবিড় প্রচার-মিটিং-মিছিল ।
দুর্গাপুর,২০শে এপ্রিল
: আপাতদৃষ্টিতে ইস্পাতনগরী কে দেখলে মনে হবে না সামনে নির্বাচন আছে । কারন নির্বাচন
কমিশনের কড়াকড়িতে দেওয়াল ফাঁকা। কাগজের পোষ্টার ও কিছু ফেষ্টুন ইতিউতি দেখা যাচ্ছে
। কিন্তু সে সবের অভাব পুষিয়ে দিচ্ছে বাম কর্মিদের অক্লান্ত প্রচার । বাড়ী বাড়ী, বারে
বারে – এই প্রচার কৌশলে ইস্পাতনগরীর মহল্লায়,মহল্লায় এবং কারখানার বিভাগে বিভাগে কর্মিরা
মানুষের কাছে বামফ্রন্টের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন , আন্তরিক আলোচনা করছেন । অবশ্য গত
পাঁচ বছরের প্রায় পুরো সময় ইস্পাতনগরীর সময় কেটেছে সংগ্রামী আবহাওয়ায় । অ্যালয় স্টিল
বাঁচাও-দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাও-দুর্গাপুর বাঁচাও আন্দোলনের পুরোধা ইস্পাত শ্রমিক ও
সংলগ্ন অঞ্চল সহ ইস্পাতনগরীর কাছে মোদি সরকারের ভয়াবহ জনস্বার্থ বিরোধী নীতি পুরোপুরি
উন্মোচিত । একই সাথে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় প্রমান পেয়ে গেছেন মমতা ব্যানার্জী নেতৃত্বাধীন
তৃণমূল সরকারে ভয়ংকর স্বৈরতান্ত্রিক শ্রমিক স্বার্থ সংহার নীতির । ৪০০০ ইস্পাত ঠিকা
শ্রমিক কে সি.আই.টি.ইউ করার অপরাধে কাজের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে মোটা টাকার বিনিময়ে
বহিরাগতদের কাজে ঢুকিয়ে দিয়ে একশ্রেনীর তৃণমূলের নেতা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন ।
কোঃ অপঃ থেকে ব্যাঙ্ক,ভবন থেকে পৌরসভা – ভোট
লুট করে তৃণমূল মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার পিষে মেরেছে । কিন্তু এত করেও ইস্পাত শ্রমিক
ও সংলগ্ন অঞ্চল সহ ইস্পাতনগরীর জনগনের সংগ্রামী চেতনা কে বাগে আনতে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল
ও বিজেপি । চরম সন্ত্রাসের মাঝেও ২০১১ ও ২০১৫ এই দুই বারই দুর্গাপুরের সর্ববৃহৎ কারখানা
দুর্গাপুর ইস্পাতে শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন সি.আই.টি.ইউ সর্ব বৃহৎ ইউনিয়নের স্বীকৃতি
পায় ও ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই(এম) প্রার্থী দুর্গাপুর(পূর্ব) কেন্দ্রে জয়ী
হয় । তাই নির্বাচন সংগ্রামে একধাপ এগিয়ে থেকেই তরুন সিপিআই(এম) প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরী
লোকসভার নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছেন । অন্যদিকে যখন মোদি সরকার অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিক্রির কথা ঘোষনা করেন
তখন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত লাল ঝাণ্ডা লড়াই এর নেতৃত্ব দিলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
ও এলাকার সাংসদ আজও নীরব । অন্যদিকে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিক্রির প্রক্রিয়ার মাঝে
কেন্দ্রিয় মন্ত্রি বাবুল সুপ্রিয় অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিক্রি না হওয়ার প্রতিশ্রুতি
দিলেও বাস্তবে বিপরীত ঘটনা হয়েছে । তাই প্রথম থেকেই বিজেপি ও তৃণমূল কে অনেকটা পিছিয়ে
ফেলে সিপিআই(এম) প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরী ইস্পাত শ্রমিক ও সংলগ্ন অঞ্চল সহ ইস্পাতনগরীর
মানুষের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন । কারন তারা আশা করছেন আভাস রায়চৌধুরী জয়ী হলে অ্যালয়
স্টিল বাঁচাও-দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাও-দুর্গাপুর বাঁচাও আন্দোলনের কথা সংসদে উঠবে ।
বাঁচবে দুর্গাপুর । আজ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন গেটে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ
ইউনিয়ন (সি.আই.টি.ইউ ) এর ডাকে ইস্পাত শ্রমিকদের প্রত্যয়ী জমায়েত আভাস রায়চৌধুরী কে
জয়ী করার ডাক দেওয়া হয় । বক্তব্য রাখেন প্রদ্যুৎ মুখার্জী ও যুব নেতা হেমন্ত প্রভাকার
। বিকালে ইস্পাতনগরীর শিবাজী রোড থেকে স্টিল মার্কেটে আভাস রায়চৌধুরী কে জয়ী করার ডাক
দিয়ে এক বিশাল মিছিল হয় । মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সন্তোষ দেবরায়,নির্মল ভট্টাচার্য,কাজল
চ্যাটার্জী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
Thursday 18 April 2019
দূর্ণীতিগ্রস্হ তৃণমূল-বিজেপির জনবিরোধী সর্বনাশা নীতি পাল্টাতে আভাস রায়চৌধুরী কে জয়ী করুন : ডঃ সুজন চক্রবর্তী ।
দুর্গাপুর,১৮ই এপ্রিল
: আজ ইস্পাতনগরীর চন্ডিদাস রোডে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা
কেন্দ্রের বামফ্রন্ট মনোনিত সিপিআই(এম) প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরী কে বিপুল ভোটে জয়ী
করার আহ্বান জানান সিপিআই(এম) এর কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ও বাম পরিষদীয় দলনেতা ডঃ সুজন
চক্রবর্তী ।
তিনি বলেন যে সংগ্রামী দুর্গাপুর গন সংগ্রামের
ইতিহাসের এক মাইল ফলক । ২০১১ সালের পরে বারে বারে রক্তাত হয়েও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট
– দুর্গাপুর ইস্পাত-দুর্গাপুর রক্ষা করো আন্দোলনের মাধ্যমে বিজেপি-তৃণমূলের শিল্প বিরোধী
নীতির বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলেছেন দুর্গাপুরের মানুষ । দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল
যখন সংকটাপন্ন,কারখানা বন্ধ হচ্ছে ,কেন্দ্রিয় সরকার অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বিক্রি
করতে চাইছে,কিন্তু রাজ্য সরকার নিরব । বিধানসভায় বামপন্হি বিধায়করা,দুর্গাপুরের বিধায়ক
সন্তোষ দেবরায়, যখন বারে বারে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দাবি করেন ,তখনও মুখ্যমন্ত্রী
নিশ্চুপ ! অন্যদিকে রাজ্য সরকার যখন ডিসিএল বিক্রি করতে চাইছে,ডিপিএল টুকরো টুকরো করছে, ডিপিএল এর কোকওভেন বন্ধ করছে,তখন বিধানসভায় বামপন্হি বিধায়করা,দুর্গাপুরের বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়,সরব
হলেও বিজেপি-র বিধায়করা নিশ্চুপ থাকে । তাই মোদি-মমতার ‘সেটিং’ দুর্গাপুরের মানুষ প্রত্যক্ষ
অভিজ্ঞতায় বুঝেছেন । দুর্গাপুরের মানুষ তাই গত বিধনসভা নির্বাচনে বিজেপি-তৃণমূল কে
সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন । আবারও প্রত্যাখ্যাত হবে এই কথা বুঝে ,পৌর নির্বাচনে
তৃণমূল প্রায় পনের হাজারের গুন্ডা বাহিনী নামিয়ে দুর্গাপুরের মানুষের ভোট-লুঠ করে পৌরসভা
দখল করেছে ।
দুর্ণীতিগ্রস্হ বিজেপির
রাফাল কেলেংকারী নিয়ে নিরব তৃণমূল । অন্যদিকে গত পাঁচ বছরেও সারদা-নারদা কেলেংকারীতে
কেউ শাস্তি পেল না । লালু প্রসাদ দূর্ণীতির দায়ে জেলে থাকলে,মমতা ব্যানার্জী কার বদান্যতায়
এখনও জেলের বাইরে ? সোনা পাচার করেও কার ইশারায় এয়ারপোর্টের কাস্টমসের হেপাজত থেকে ছাড়া পান রুজিরা নারুলা ওরফে রুজিরা ব্যানার্জী
? এই সব থেকে জনমনের চিন্তা ঘুড়িয়ে দিতে বিজেপি-তৃণমূল এই রাজ্যে সাম্প্রদায়কতার বিষবাষ্প
ছড়াতে প্রতিযোগিতামুলক সাম্প্রদায়িকতার জন্ম দিয়েছে । বিজেপি দেশের সংবিধান পাল্টে
দিয়ে ভারত কে ধর্মীয়-সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিনত করতে চাইছে । উভয় দলই গনতন্ত্রের
বিরোধী । তাই গনতন্ত্র ও ধর্মনরপেক্ষতা রক্ষা করতে,দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল বাঁচানোর লড়াই
জোরদার করতে,সাধারন মানুষের কথা সংসদে জোড়ালো ভাবে উপসহাপনার জন্য আভাস রায়চৌধুরী কে
জয়ী করার আহ্বান জানান ডঃ সুজন চক্রবর্তী । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আল্পনা চৌধুরী ও সন্তোষ দেবরায় । গনতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের ইস্পাত শাখার
পক্ষ থেকে আজকের সভায় নির্বাচন বিষয়ে কবিতার ফোল্ডার প্রকাশ করা হয়।
Wednesday 17 April 2019
পানীয় জল ও মেডিক্লেমের বিষয়ে দুর্গাপুর ইস্পাতে শ্রমিক বিক্ষোভ ।
দুর্গাপুর,১৭ই এপ্রিল:
আজ সকালে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) এর ডাকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্রশাসনিক ভবনে ইডি(পি
এ্যান্ড এ)-এর দফ্তরের সামনে শ্রমিকরা পানীয় জল ও মেডিক্লেমের বিষয়ে বিক্ষোভ দেখান
। বিগত বেশ কিছু দিন ধরে ইস্পাতনগরীতে জল সরবরাহ অনিয়মিত হয়ে পড়েছে । দু বেলা জল সরবরাহ
হচ্ছে না । গরম পড়ার সাথে সাথে পানীয় জল সংকটে নাজেহাল ইস্পাতগরীর বাসিন্দারা । ইস্পাতনগরীতে
জল সরবরাহের একমাত্র উৎস দামোদর নদের উপরে তৈরি দুর্গাপুর ব্যারেজের চ্যানেলে পলি পড়ে
অনেকটাই নাব্যতা হারিয়েছে । এই বিষয়ে বার বার ইউনিয়নের তরফে কর্তৃপক্ষ কে জানিয়ে কোন
ফল হয় নি বলে আজকের সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেছেন । অন্যদিকে ইস্পাতনগরীতে কিছু টিউবওয়েল
বসালেও,নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে বেশিরভাগ কাজ করে না । পানীয় জলের পাইপ ৬০ বছরের
বেশী সময় ধরে থাকার ফলে জীর্ণ হয়ে পড়েছে । এছাড়াও রয়েছে অবৈধ ভাবে জলের ব্যবহার । এরফলে
ইস্পাতনগরীতে মাঝে মধ্যেই তীব্র পানীয় জল সংকট তৈরি হচ্ছে । এই অবস্হার আশু প্রতিকার
না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন বক্তারা । অন্যদিকে মেডিক্লেম নিয়ে
সেইল কর্তৃপক্ষের টালবাহানার তীব্র নিন্দা করে বক্তারা মেডিক্লেম কে এন.জে.সি.এস এর
আলোচনায় অন্তর্ভূক্তির দাবি জানিয়েছেন । বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালিন এক প্রতিনিধিদল ইডি
( পি এ্যান্ড এ)-এর কাছে দাবি-সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেয় । বক্তব্য রেখেছেন প্রকাশতরু
চক্রবর্তী,প্রদ্যুৎ মুখার্জী,কাজল মজুমদার,পি কে দাস ও সন্তোষ দেবরায় ।
Tuesday 16 April 2019
পঃ বঙ্গে সর্বনাশের আগুন জ্বালিয়েছে তৃণমূল, ইন্ধন জোগাচ্ছে বিজেপি – বিকল্প এক মাত্র বামপন্হীরা : অমল হালদার ।
দুর্গাপুর,১৬ই এপ্রিল
: পার্টি নেতা অমল হালদার অভিযোগ করেন যে রাজ্যে কৃষি ও শিল্প কে সর্বনাশের কিনারায়
নিয়ে গেছে মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বাধীন সরকার । সিঙ্গুর কারখানা ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে
দেওয়ার পরে কোন শিল্প আসে নি । চাষীরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না । দেনার দায়ে আত্মহত্যা
করছেন । তৃণমূলের লুঠ আর বিজেপির লুঠ রাজ্য ও দেশে কে নিঃস্ব করছে । মোদি সরকারের বদান্যতায়
কোটি কোটি টাকা লুঠ করে বিদেশে পালিয়েছে ৩৬ জন অথবা ব্যাঙ্কের লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে
অনাদায়ি রেখে অনেকে বহাল তবিয়তে আছেন । ঠিক যেমন মোদি-মমতার তলে তলে সমঝোতার ফলে সারদা-নারদার
কেলেংকারীর নায়করা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । এরমধ্যেই নতুন বিপদ ঘনিয়েছে । বিজেপি-র
সভাপতি অমিত শাহ পঃবঙ্গে এনআরসি করার হুমকি কে ঘিরে বাংলার বুকে নতুন অশান্তি সৃষ্টি
হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে । ইতিমধ্যে আসামে ৫০ লক্ষ বাসিন্দা নাগরিকত্ব হারিয়েছেন । এর
মধ্যে ৪ লক্ষ বাসিন্দা মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রয়োজনীয় তথ্য না পাঠানোর
জন্য নাগরিকত্ব হারিয়েছেন । তাই তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি অথবা বিজেপির বিকল্প তৃণমূল
একথা যারা ভাবছেন তারা উভয় দলের ভয়ংকর চরিত্র কে খাটো করে দেখছেন । এই দুই ভয়ংকর শক্তির
একমাত্র বিকল্প বামপন্হীরা যারা জনগনের স্বার্থে লড়াই করছেন । এই লড়াই সংসদ পর্যন্ত
নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি আভাস রায়চৌধুরী কে জয়ী করার জন্য আহ্বান জানান ।
এর আগে যুবনেত্রী
মীনাক্ষী মুখার্জী গতকাল কুলটি-বরাকর অঞ্চলে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য বিজেপি ও তৃণমূলের
ধর্ম কে রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করার নীতি কে দায়ী করে প্রশাসনের গাফিলতির তীব্র
সমালোচনা করেন । তিনি বলেন যে দক্ষিনপন্হী বিজেপি ও তৃণমূল তাদের লুঠের রাজত্ব বজায়
রাখতে মানুষের মধ্যে বিভেদের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে । এই লক্ষ্যে আসানসোল লোকসভা
কেন্দ্রে ২০১৮ সালের দাঙ্গার দিনগুলি ফিরিয়ে আনতে চাইছে । মানুষ এই চেষ্টা ব্যর্থ করবেন
। ঠিক একই ভাবে তিনি তৃণমূলের ভোট-লুটের চেষ্টা আটকে দিয়ে আভাস রায়চৌধুরী
কে জয়ী করার জন্য আহ্বান জানান ।
দুর্গাপুর(পূর্ব) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় বিভেদকামী
শক্তি কে পরাস্ত করতে ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল বাঁচানোর লড়াই সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার
জন্য আভাস রায়চৌধুরী কে জয়ী করার জন্য আহ্বান জানান ।
আজ ইস্পাতনগরীর অশোক এভিন্যুর খোলা মার্কেট ও সেইল আবাসন
অঞ্চলে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী আভাস
রায়চৌধুরীর সমর্থনে দুটি পৃথক নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন অমল হালদার, মীনাক্ষী মুখার্জী
ও সন্তোষ দেবরায় ।
সেইলের অবসরপ্রাপ্তরা মেডিক্লেম নিয়ে বিপাকে : প্রতিবাদ-বিক্ষোভ
দুর্গাপুর,১৬ই এপ্রিল
: সেইলের প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারী-আধিকারিক ও তাদের স্ত্রী-বিধবারা
যারা মেডিক্লেম বিমার মারফত চিকিৎসার সুযোগ পান তারা সেইলের সাম্প্রতিক ঘোষনায় বিপাকে
পড়েছেন । ২০১৯-২০ সালের মেডিক্লেম বিমার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১০ই এপ্রিল । সেইলের ওয়েব
সাইটে নতুন মেডিক্লেম বিমার প্রিমিয়াম একতরফা ভাবে ৪০% বৃদ্ধির ঘোষনা হতেই বিক্ষোভ
ছড়ায় । তখন সেইলের পক্ষ থেকে তড়িঘরি এই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নতুন নির্দেশে পুরানো
প্রিমিয়ামে আরও তিন মাসের জন্য ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স এর মেডিক্লেম বিমার মেয়াদ বাড়ানো হয় । তবে এই তিন মাসের
প্রিমিয়াম নতুন করে জমা দিলেই বিমার সুযোগ মিলবে । এখানেই আশংকা তৈরি হয়েছে । অবসরপ্রাপ্তরা
ও কর্মরতারা মনে করছে মোদি সরকার জিতে ফিরলে মেডিক্লেম বিমা তুলে দেওয়া হবে । কারন
ইতিমধ্যে সেইল বোর্ডে বেসরকারী সদস্যরা এই বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করছে । এই বিষয়ে বিরোধীতা
করে সেইল রিটায়ার্ড ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে আজ সেইলের সর্বত্র বিক্ষোভের ডাক
দেওয়া হয় ।
টি.এ.বিল্ডিং এ দুর্গাপুর ইস্পাত
ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের যৌথ বিক্ষোভ হয় । বক্তব্য রেখেছেন সত্যরঞ্জন দাস,অশোক চক্রবর্তী,ব্রজমানিক
চক্রবর্তী,আর.পি.গাঙ্গুলী ( এক্স এমপ্লঃ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোঃ),কাজল মজুমদার ( হিন্দুস্হান
স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন,সি.আই.টি.ইউ),স্বপন মজুমদার (সেইল রিটায়ার্ড ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া
) এবং পি.কে.দাস ( স্টিল ওয়র্কার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া, সি.আই.টি.ইউ) । হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এর পক্ষ
থেকে মেডিক্লেম বিমা সংক্রান্ত বিষয় এন.জে.সি.এস আলোচনায় অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানানো
হয়েছে । সেইল রিটায়ার্ড ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এর পক্ষ থেকে ভারতের সেরা হাসপাতাল গুলির
সাথে সেইলের সরসরি চুক্তির ভিত্তিতে চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত করার দাবি জানানো হয়েছে ।
সমাবেশ চলাকালিন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেয় যৌথ প্রতিনিধিদল
।
Monday 15 April 2019
অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট-দুর্গাপুর ইস্পাত-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল বাঁচানোর লড়াই মাঠে-ময়দান থেকে সংসদ পর্যন্ত জোড়ালো করার আহ্বান ।
দুর্গাপুর,১৫ই এপ্রিল
: আজ সকালে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বিখ্যাত সংযোগ স্হলে
ইস্পাত শ্রমিকদের সাথে মিলিত হয়ে পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা বিনিময় করার ফাঁকে সংক্ষিপ্ত
বক্তব্য রাখতে গিয়ে দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্ট মনোনীত তরুন সিপিআই(এম)
প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরী স্বভাবসিদ্ধ ঋজু কন্ঠে জানালেন – আমি আপনাদের কাছে শুধু ভোট
চাইতে আসি নি । আমি আপনাদের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট-দুর্গাপুর ইস্পাত-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল
বাঁচানোর লড়াই কে কুর্ণিশ জানাই । অ্যালয় স্টিল
প্ল্যান্টর বাহাদুর শ্রমিকরা বিগত চার বছর ধরে ইস্পাত শ্রমিক সহ দুর্গাপুরের মানুষ
কে সাথে নিয়ে মোদি সরকারে বিলগ্নিকরনের চক্রান্ত রুখছেন । অথচ রাজ্য সরকার কে একবারও
এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে দেখা যায় নি । অ্যালয়
স্টিল প্ল্যান্টের বিলগ্নিকরনের চক্রান্ত নিয়ে বর্তমান তৃণমূলের সাংসদের ভূমিকা নিয়েও
তিনি তীক্ষ্ন প্রশ্ন তোলেন । অন্যদিকে অ্যালয়
স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচানোর জন্য বিজেপি প্রার্থীর ‘প্রতিশ্রুতি’ কে তীব্র কটাক্ষ করে
তিনি বলেন যে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিলগ্নিকরনের জন্য মোদি সরকার যখন নীতিগত সিদ্ধান্ত
নিয়েছে,তখন বিজেপি প্রার্থীর এই ‘প্রতিশ্রুতি’প্রতারনার
নামান্তর । ‘গোর্খাল্যান্ড’ গড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে - তিনি দার্জিলিং এর মানুষের সাথে একই ধরনের প্রতারনা করে এখন দুর্গাপুরে এসেছেন । রাষ্ট্রায়ত্ব
কারখানা ধ্বংসের জন্য বিজেপি-র সাথে তৃণমূলের কোন মৌলিক ফারাক নেই । এই দুর্গাপুর দেখেছে
যখন মোদি সরকার অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিলগ্নিকরনের জন্য ব্যস্ত,তখন মমতা ব্যানার্জীর
সরকার দুর্গাপুর কেমিক্যালসের ১০০% বিলগ্নিকরন
করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে । ডিপিএল কে টুকরো টুকরো করছে। ডিপিএল এর কোক ওভেন
বন্ধ করে দিয়েছে ।
নতুন করে কল-কারখানা
হচ্ছে না । এফ.সি.ই সার কারখানা অথবা এম.এ.এম.সি কারখানা কনোসোর্টিয়াম এর মাধ্যমে খোলার
সুযোগ নষ্ট করছে তৃণমূল সরকার । আন্তর্জাতিক মানের এ.এস.পি কারখানার উৎপাদিত বিশেষ
ইস্পাত যা অতি সম্প্রতি সেনাবাহিনীর দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘ধনুস’ কামান বানানোর কাজে
ব্যবহার করা হয়েছে,
মোদি সরকার তা বিক্রি করতে চাইছে
। কৃষিতে সংকটজনক অবস্হার ফলে কৃষক আত্মহ্যা বেড়েই চলেছে । এ সবের ফলে গত ৪৫ বছরের
মধ্যে বর্তমান বছরে বেকারীর সংখ্যা সর্বোচ্চ হয়েছে ।
আভাস রায়চৌধুরী বলেন
যে লাল ঝান্ডা প্রথম থেকেই নীতিগত ভাবে রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানা ধ্বংসের বিরুদ্ধে অবস্হান
নিয়েছে । অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট-দুর্গাপুর ইস্পাত-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল বাঁচানোর লড়াই
যৌথ আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্ব লাল ঝাণ্ডা । তাই মাঠে-ময়দানে শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-যুব-মহিলাদের
ন্যায্য দাবির লড়াই এর কথা সংসদে পৌঁছাতে,দেশে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার তৈরি করার স্বার্থে
বামফ্রন্ট কে ভোট দেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দুর্গাপুর
( পূর্ব)-এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় ।
Subscribe to:
Posts (Atom)