Saturday 31 August 2019

যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে ইস্পাতনগরীতে পালিত হলো গন-আন্দোলনের শহীদ দিবস ।




দুর্গাপুর, ৩১শে আগস্ট: আজ ইস্পাতনগরীতে পালিত হলো গন-আন্দোলনের শহীদ দিবস ।১৯৫৯ সালে ৩১শে আগস্ট কলকাতায় খাদ্য আন্দোলনের জমায়েত ওপরে তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের পুলিশ নৃশংসভাবে হামলা চালিয়ে ৮০ জনের বেশী আনেদালনকারী কে পিটিয়ে খুন করে ।প্রায় ৪০০০ জন জখম হয়েছিলেন ।এই ঘটনার স্মরণ প্রতি বছর খাদ্য আন্দোলনের শহীদদের সাথে অন্যান্য গন আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করা হয় ।
আজ সকালে আশিস-জব্বার ভবনে শহীদ স্মরণে রক্ত পতাকা উত্তোলন করেন সন্তোষ দেবরায় ।শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন সন্তোষ দেবরায়, সুবীর সেনগুপ্ত, কাজল চ্যাটার্জি, দিপক ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
সন্ধ্যায় ইস্পাতনগরীর কনিষ্ক-লিঙ্ক রোড মোড়ে আয়োজিত সভায় বর্তমান পরিস্থিতিতে তীব্র গন আন্দোলন গড়ে তোলার যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেই বিষয়ে আজও কিভাবে ১৯৫৯ সালের খাদ্য আন্দোলন প্রেরণা যোগায়, তা বক্তারা তুলে ধরেন ।বক্তব্য রেখেছেন আশিস মিশ্র ও কবিরঞ্জন দাশগুপ্ত ।












Thursday 29 August 2019

শ্রমিক আন্দোলন কে আরও বিস্তারিত করার ডাক ।




দুর্গাপুর,২৯শে আগস্ট : সারা দেশে নতুন করে শক্তির ভারসাম্য শ্রমিক আন্দোলনের অনুকূলে নিয়ে আসার জন্য শ্রমিক আন্দোলন কে আরও বিস্তারিত করার ডাক দিয়েছে সি.আই.টি.ইউ । সম্প্রতি কর্নাটকের হাসনে অনুষ্ঠিত সি.আই.টি.ইউ এর সর্বভারতীয় জেনারেল কাউন্সিলের সভা থেকে এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহন করা হয় । আজ সন্ধ্যায় ইস্পাতনগরীর বি.টি.রণদিভে ভবনে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সি.আই.টি.ইউ) এর পক্ষে আয়োজিত শ্রমিক কনভেনশনে এই পরিকল্পনার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জী । এই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি দুর্গাপুরের উদাহরন টেনে বলেন যে কিভাবে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বেসরকারীকরন বিরোধী আন্দোলন আস্তে আস্তে ডি.পি.এল সহ অন্যান্য শিল্পে ছড়িয়েছে । তিনি সর্বস্তরের শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সি.আই.টি.ইউ কে অগ্রনী ভূমিকা পালনের সাথে সাথে  যৌথ আন্দোলনের বিস্তার ঘটানোর আহ্বান জানান । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ললিত মিশ্র । সাম্প্রতিক দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে গড়ে ওঠা “রিকেপ” ( রিজিওন্যাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ ) অর্থনৈতিক সহযোগিতা গোষ্ঠির মুক্ত বানিজ্য কি ভাবে ভারতের শ্রমিকদের জীবন-জীবিকার ওপরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে চলেছে,সেই বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা করেন । সভাপতিত্ব করেন রামপঙ্কজ গাঙ্গুলী ।



Sunday 25 August 2019

স্বাধীনতার ৭৩-তম বার্ষিকিতে শহীদ স্মরণে বৃক্ষরোপন ।




দুর্গাপুর,২৫শে আগষ্ট : আজ সকালে ইস্পাতনগরীর নিউটন রোডে শান্টু দেবরায় স্মৃতিভবনের চত্বরে স্বাধীনতার ৭৩-তম বার্ষিকিতে স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালিত হয়। নিউটন সেক্টর কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচী ঘিরে এলাকায় প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় । উপস্হিত ছিলেন সন্তোষ দেবরায়,সুবীর সেনগুপ্ত,স্বপন ব্যানার্জী,দিপক ঘোষ,সীমান্ত চ্যাটার্জী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।









কাশ্মীর নিয়ে বিজেপি-র অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ধারাবিহিক প্রচার গড়ে তোলার আহ্বান ।





দুর্গাপুর,২৫শে আগষ্ট : আজ সন্ধ্যায় কাশ্মীর সংহতি মঞ্চের পক্ষ থেকে  ইস্পাতনগরীর বি.টি.রণদিভে ভবনে আয়োজিত “ প্রসঙ্গ কাশ্মীর : প্রচার ও বাস্তবতা “ – শীর্ষক আলোচনাসভা ঘিরে  উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায় । বৃষ্টি উপেক্ষা করে আসা আগত মানুষের ভীড়ে ভবন উপচে পড়ে । বক্তব্য রাখতে গিয়ে মূল আলোচক ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি(মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী বলেন সুপ্রিম কোর্ট ৩৭০ ধারা কে স্হায়ী ধারা বলে রায় দিলেও মোদি সরকার অগনতান্ত্রিকভাবে এই ধারা বাতিল করেছে যে ধারায় কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসনের সুরক্ষার সাথে সাথে কাশ্মীরের ভারতভূক্তি কে স্হায়ীত্ব দিয়েছিল । এই ধারা বাতিলের মধ্যে দিয়ে আরএসএস-বিজেপি যে কেবল কাশ্মীরের জনগনের উপর আঘাত নামিয়ে আনছে তাই নয়,এটা কার্যতঃ ভারতের সংবিধান,ভারতীয় জনগনের গনতান্ত্রিক অধিকারের উপর আঘাতের পূর্বাভাষ দিচ্ছে । তাই সিপিআইএম ,দেশব্যাপি কাশ্মীর নিয়ে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার কর্মসূচী নিয়েছে । আলোচনার শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ।
       আলোচনা সভায়  কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্হিতির প্রসঙ্গে প্রস্তাব পাঠ করে দুর্গাপুর ( পূর্ব) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় আরএসএস-বিজেপি-র হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাশ্মীরে অগনতান্ত্রিক ভাবে ৩৭০ ধারা বাতিলের পদক্ষেপ কে সার্বিক বিরোধীতার আহ্বান জানালে, হল-ভর্তি মানুষ হাত তুলে কাশ্মীরের জনগনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রস্তাব কে সমর্থন জানান । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রবীন শ্রমিক নেতা রথিন রায় ।














Friday 9 August 2019

হ্যাঁ । তারাও এসেছিলেন ……..



দুর্গাপুর,৯ আগষ্ট : তারাও এসেছিলেন । তারা মানে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা । গত পাঁচ বছর ধরে তাদের পরিবারে নেমে এসেছে ঘোর অনিশ্চয়তা । মোদি সরকারের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বেসরকারিকরনের সিদ্ধান্ত ঘোর সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে কেবল অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের শ্রমিক পরিবারদের নয় । বিপদে পড়তে চলেছে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা সহ গোটা জনপদ,দুর্গাপুরের অর্থনীতি। তাই তারা আজ এসেছিলেন। আজ বিকালে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) এর ডাকে পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে ইস্পাত শ্রমিকরা অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের মেইন গেটে বিক্ষোভ অবস্হানে বসেছিলেন ।২০১৬ সাল থেকে সাল থেকে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের শ্রমিকদের লড়াই চলছে কারখানা বাঁচাতে ,বেসরকারিকরন রুখতে পরিবারের সদস্যরাও এই পাঁচ বছর ধরে এই লড়াইতে সামিল আছেন ।
গড়ে উঠেছে ট্রেড ইউনিয়ন গুলির ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ, ‘অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও,দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাও,দুর্গাপুর বাঁচাওকমিটি প্রায় ২০০ টি কর্মসূচী পালিত হয়েছে ধর্মঘট হয়েছে ৯২% শ্রমিক ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিলেন কর্মসূচিতে কেবল শ্রমিক বা শ্রমিক পরিবার নয়,অংশ নিয়েছেন দুর্গাপুরের সর্বস্তরের মানুষ দৌড়ে অংশ নিয়েছেন এমন কি জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরের খেলোয়াররা খ্যাতনামা শিল্পী-সাহিত্যিক-সাংস্কৃতিক কর্মি-শিক্ষাবিদরা প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নেমেছেন সেইলের এই বিশেষ উৎপাদনকারী সংস্হায় প্রায় ৫০০ ধরনের ইস্পাত উৎপাদন হয় যথার্থ অর্থে আলপিন থেকে এরোপ্লেন তৈরির জন্য ভারতের প্রায় প্রতিটি শিল্প ক্ষেত্রে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের উৎপাদিত ইস্পাত অপরিহার্য কাঁচামাল ।দেশের সেবায় নিয়োজিত এই রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্রের স্টিল প্ল্যান্ট বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে ধান্দার পুঁজিবাদ কে মোদি সরকার সাহায্য করতে চাইবেএতে আশ্চর্য হওয়ার কি আছে ? কিন্তু বিস্মিত হচ্ছে মোদি সরকার কারন একটা কারখানা কে ঘিরে একটা গোটা জনপদের আবেগ এবং সেই কারখানার শ্রমিকদের প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলা টানটান লড়াইযে লড়াই মোদি সরকারে রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্রের বিলগ্নির অশ্বমেধের ঘোড়া কে লাগাম টেনে ধরার স্পর্ধা দেখিয়েছে এর আগে দুবার মোদি সরকার অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে বিক্রি করতে চেয়ে ..আই ( এক্সপ্রেসন অফ ইন্টারেস্ট ) জারি করলেও,কেউ কেনারআগ্রহদেখাতে পারে নি কারন শ্রমিকরা কারখানার ধারেকাছেক্রেতাদেরঘেঁসতে দেন নি
    দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদি সরকার একশ দিনের মধ্যে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্রের ৫০টি কারখানা বিক্রি করতে চেয়ে নির্দেশ জারি করেছে যার অন্যতম হল রাষ্ট্রায়ত্ব সেইলের বিশেষ ইস্পাত উৎপাদনকারী অ্যালয় স্টিল সহ সালেম ভদ্রাবতি স্টিল প্ল্যান্ট তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকার অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট সহ সালেম ও ভদ্রাবতি স্টিল প্ল্যান্ট বিক্রি করতে চেয়ে ই.ও.আই ( এক্সপ্রেসন অফ ইন্টারেস্ট ) জারি করেছে ।সেইলের সর্বত্র বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছে গোটা দুর্গাপুর ।  ‘অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও,দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাও,দুর্গাপুর বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনভাবেই অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বিক্রি করা যাবে না । কেনার জন্য কোনভাবেই যাতে কোন ‘ইচ্ছুক ক্রেতা’ প্ল্যান্টের ধারেকাছে আসতে না পারে,তার জন্য সতর্ক আছেন অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের শ্রমিকরা ।
        আজ বিকালে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের মেইন গেটে বিক্ষোভ অবস্হানে ইস্পাত শ্রমিকদের পরিবারের বধু শাশ্বতী সরকার এগিয়ে এসে বক্তব্য রেখে বলেন যে শ্রমিকদের সাথে সাথে তাদের পরিবারের সদস্যরা অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাতে,দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাতে,দুর্গাপুর বাঁচাতে পরিবারের সদস্যরাও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ । নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখতে গিয়ে লড়াই মজুবত করতে শ্রমিক ঐক্য আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারি শক্তি সম্পর্কে সতর্ক করেন। বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় মনে করিয়ে দেন এর আগেও   অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট সহ অন্যান্য সংস্হার বেসরকারিকরন ইস্পাত শ্রমিকরা আটকে দিয়েছেন । বক্তারা পরিস্কার জানিয়েছেন যে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বেসরকারিকরন আটকাতে লাল ঝাণ্ডা শেষ পর্যন্ত লড়বে । বক্তব্য রেখেছেন আর.পি.গাঙ্গুলি,মলয় ভট্টাচার্য,বিজয় সাহা,সুব্রত ঘোষ,আল্পনা চৌধুরী,নিমাই ঘোষ,ললিত মিশ্র ও গুরুপ্রসাদ ব্যানর্জী ।সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বেফি’র পক্ষে সুব্রত সিনহা । আবৃতি করে শোনান সৌরভ দত্ত ।।সভায় কাশ্মীরে সি.পি.আই.এম এর সাধারন সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি কে গ্রেফ্তারের প্রতিবাদ জানানো  হয় ।