Monday 30 September 2019

এনআরসি-ইভিপি-ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য সাধারন মানুষের হয়রানির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইস্পাতনগরীতে মিছিল ।




দুর্গাপুর,৩০শে সেপ্টেঃ : এনআরসি-ইভিপি এর জন্য সাধারন মানুষ কে অযথা আতংকিত ও হয়রানি করার বিরুদ্ধে ,সবাই কে ডিজিট্যাল রেশন কার্ড দেওয়ার দাবিতে ও শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদ জানিয়ে আজ সন্ধ্যায় প্রাকৃতিক দূর্যোগ উপেক্ষা করে বি-জোন মেইন্টেন্যান্স থেকে এক বিশাল মিছিল বেরিয়ে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে ডেভিড মোড়ে শেষ হয় । ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদি)-র দুর্গাপুর ইস্পাত ১ এরিয়া কমিটির ডাকে এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন সন্তোষ দেবরায়,সুবীর সেনগুপ্ত,বিশ্বরূপ ব্যানার্জি,দিপক ঘোষ,স্বপন ব্যানার্জি প্রমূখ । 







Thursday 26 September 2019

বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকি স্মরণে ইস্পাতনগরীতে পদযাত্রা ।




দুর্গাপুর,২৬শে সেপ্টেঃ : আজ সকালে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে পণ্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকি পালিত হল । পশ্চিমবঙ্গ গনতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের আয়োজিত এই পদযাত্রায় বিশিষ্ট শিল্পী-সাহিত্যিকরা ছাড়াও অংশ নিয়েছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ । ইস্পাতনগরীর এ-জোন মেজর পার্কের সামনে থেকে শুরু হয়ে বি-জোনের ভাষা শহিদ স্মারক উদ্যানে পদযাত্রা শেষ হয় । পদযাত্রায় উপস্হিত ছিলেন সীমান্ত তরফদার,বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,নির্মল ভট্টাচার্য প্রমূখ । বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকি উপলক্ষ্যে আগামী ৩০শে সেপ্টেঃ ২/১ তিলক রোডে একটি কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছে বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষে স্বপন মজুমদার জানিয়েছেন ।








Tuesday 24 September 2019

কয়লা ও ব্যাঙ্ক শিল্পের সর্বভারতীয় ধর্মঘটের সমর্থনে ইস্পাত শ্রমিকদের সংহতি সভা : ইস্পাত ঠিকা শ্রমিকদের আন্দোলন চলছে ।




দুর্গাপুর,২৪শে সেপ্টেঃ : রাষ্ট্রায়ত্ব কয়লা ও ব্যাঙ্ক শিল্পের সর্বভারতীয় ধর্মঘটের সমর্থনে আজ সকালে ইস্পাত শ্রমিকদের সংহতি সভা হল অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের মেইন গেট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ২ নম্বর গেটে যাওয়ার রাস্তার সংযোগস্হলে । বক্তার বলেন যে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা বাঁচানোর জন্য যে লড়াই তা কয়লা ও ব্যাঙ্ক শিল্প বাঁচানোর লড়াই এর সাথে সংপৃক্ত ।পৃথক নয় । বক্তব্য রাখেন সন্তোষ দেবরায়,গুরুপ্রসাদ ব্যানার্জী,নিমাই ঘোষ ও বিশ্বরূপ ব্যানার্জী ।
এ দিকে ১০-দফা দাবিতে ইস্পাত ঠিকা শ্রমিকদের আন্দোলন চলছে । সি.আই.টি.ইউ ভূক্ত ঠিকা শ্রমিকদের সংগঠন ইউ.সি.ডব্লু.ইউ – এ.এস.পি.সি.ই.ইউ-টি.সি.ই.ইউ এর যৌথ আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে স্হায়ী শ্রমিকদের সংগঠন এইচ.এস.ই.ইউ । আজ বিকেলে দাবির সমর্থনে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ২ নম্বর গেট থেকে ঠিকা ও স্হায়ী শ্রমিকদের যৌথ মিছিল বেরিয়ে তামলা ব্যাঙ্কের পাশে সব্জী বাজার পর্যন্ত যায় । মিছিলের নেতৃত্ব দেন সুবীর সেনগুপ্ত,নিমাই ঘোষ,গুরুপ্রসাদ ব্যানার্জী,আশিসতরু চক্রবর্তী,সীমন্ত চ্যাটার্জি প্রমূখ ।











Saturday 21 September 2019

বার্ষিক বোনাস নিয়ে টালবাহানায় ইস্পাত শ্রমিকদের ক্ষোভ বাড়ছে : দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ ।




দুর্গাপুর,২১শে সেপ্টেঃ : শারদোৎসব আসন্ন । কিন্তু তাই ঘিরে ইস্পাতনগরী ও সংলগ্ন অঞ্চলের চন্ডিদাস ও বেনাচিতি বাজারে রমরমা বেচাকেনার চিত্রটা এখনো অনুপস্হিত ।মোদি সরকারের তুঘলকি নীতির ফলে দেশের অর্থনীতি ঘিরে মানুষের উদ্বেগের প্রতিফলন পূজোর বাজারে পড়ার সম্ভাবনা ব্যবসায়ীরাও উড়িয়ে দিতে পারছেন না । উদ্বেগে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও । এদিকে অন্য আরেক সমস্যা কে ঘিরে বাজারের করুণ অবস্হা আরও জটিল করে তুলছে । উৎসব শুরু হতে আর সপ্তাহ দুই বাকি ।কিন্তু এখনো পর্যন্ত দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বার্ষিক বোনাস বা বিলম্বিত বেতন ( ১২ মাস কাজ করে ১৩ মাসের বেতন ) এর জন্য ইউনিয়নদের সাথে আলোচনা করে ঠিক করা অথবা বোনাস দেওয়ার জন্য সেইল কর্তৃপক্ষের কোন হেলদোল দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আগামী ৪ঠা অক্টোঃ ইউনিয়নদের সাথে বোনাস  আলোচনার বৈঠক আহ্বান করলে,প্রতিবাদের মুখে একদিন এগিয়ে ৩রা অক্টোঃ বৈঠক আহ্বান করে । অথচ ৪ তারিখে শারদোৎসবের সূচনা হচ্ছে । কর্তৃপক্ষের এহেন আচরন শ্রমিকদের মধ্যে প্রবল অসন্তোষ তৈরি করেছে । দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ইডি(ওয়ার্কর্স) দফ্তরের সামনে শ্রমিকদের প্রবল বিক্ষোভ থেকে তারই প্রতিফলন আজ দেখা গেল । হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন(সি.আই.টি.ইউ)-এর ডাকে এই বিক্ষোভ সভা থেকে অবিলম্বে ইউনিয়নদের সাথে বোনাসের জন্য আলোচনা বৈঠক,ফয়সালা ও বোনাস মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয় । নেতৃবৃন্দ স্মরণ করিয়ে দেন যে দীর্ঘ চার বছর পরে সেইল ঘুরে দাঁড়িয়ে ২১৭৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছে । এই অবস্হায় বোনাস নিয়ে টালবাহানা,কর্তৃপক্ষের দ্বিচারিতা, শ্রমিকদের মননে চিড় ধরাচ্ছে যা উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে । বক্তব্য রাখেন কবিরঞ্জন দাসগুপ্ত ,অরুন চৌধুরী,ললিত মিশ্র ও বিশ্বরূপ ব্যানার্জী । পরে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী জানান যে স্টিল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের (সি.আই.টি.ইউ) আহ্বানে সেইলের সর্বত্র অবিলম্বে ইউনিয়নদের সাথে বোনাসের জন্য আলোচনা বৈঠক,ফয়সালা ও বোনাস মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ চলছে । যৌথ আন্দোলনের উদ্যোগ নেওয়া হবে ।সমাবেশ চলাকালিন ইউনিয়নের পক্ষে প্রতিনিধিদল ইডি(ওয়ার্কর্স) দফ্তরে স্মারকলিপি জমা দেয় ।



Monday 16 September 2019

নাগরিকদের পৌর পরিষেবার প্রতি দুর্গাপুর পৌর নিগমের চূড়ান্ত অবহেলার বিরুদ্ধে ১নং বরো দ্ফ্তরে প্রতিবাদ আছড়ে পড়ল ।




দুর্গাপুর,১৬ই সেপ্টেঃ :২০১৭ সালে দুর্গাপুরের পৌর নির্বাচনে ভয়াবহ রিগিং করে ক্ষমতায় আসীন হয়েছিল বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড ।নির্বাচনের দিনে প্রায় ১৫০০০ হাজার সশস্ত্র দুষ্কৃতি কে জড়ো করে দুর্গাপুরের পৌর নির্বাচন ‘জিতে’ ছিলেন তৃণমূলের বর্তমান কাউন্সিলাররা,এই অভিযোগ আগেই ছিল ।এর সাথে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে বল্গাহীন দূর্ণীতি,কাটমানি,ধারাবাহিক অকর্মণ্যতা । আজ এই অভিযোগ এনে সরব হলেন সি.পি.আই.(এম) নেতৃবৃন্দ।ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদি)-র দুর্গাপুর ইস্পাত ১,২ ও ৩ এরিয়া কমিটির আহ্বানে আজ সকালে ইস্পাতনগরীর নিউটন রোডে ১ নম্বর বরোর অফিসে ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অধিবাসিরা এই সব অভিযোগের অবিলম্বে প্রতিবিধান করার দাবি জানানোর পাশাপাশি পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্হা ও বর্তমান ব্যবস্হা উন্নতিকরন,বস্তির নাগরিকদের বাসস্হানের পাট্টা,ডেঙ্গু সহ সংক্রামক রোগের প্রতিরোধের জন্য কার্যকরি ব্যবস্হা,জঙ্গল,কমিউনিটি ল্যাট্রিন, ড্রেন ও পয়োঃপ্রনলী ব্যবস্হার নিয়মিত সাফাই,শিশু শিক্ষা ও আইসিডিএস কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার,বরোর সমস্ত নাগরিকের রেশন কার্ড প্রদান সুনিশ্চিত করা,সমস্ত পরিবার কে ‘স্বাস্হ্য সাথী’ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা,প্রভৃতি দাবিতে অবস্হান- বিক্ষোভ সমাবেশ করেন । আগের থেকে জানানো থাকলেও,বরো চেয়ারম্যান রীনা চৌধুরী বিক্ষোভ-সমাবেশ চলার সময় ‘অনুপস্হিত’ ছিলেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বরো চেয়ারম্যানের ‘অনুপস্হিত’ নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে বক্তারা হুঁশিয়ার দেন যে পালিয়ে গিয়ে কোন লাভ হবে না । অবিলম্বে জনগনের সমস্যা সমাধান না হলে সি.পি.আই.(এম) বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করবে । প্রয়োজনে দিন-রাত্রি অবস্হান- বিক্ষোভ করবে। একই সাথে অতীত দিনে ‘শিল্প-বন্ধু’ বামফ্রন্ট পরিচালিত বোর্ডের মত বর্তমান বোর্ড কে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল বাঁচাতে কার্যকরি ভূমিকা পালনের দাবি জানানো হয় ।  বক্তব্য রাখেন আল্পনা চৌধুরী,কাজল চ্যাটার্জি, আশিসতরু চক্রবর্তি ও স্বপন মজুমদার । উপস্হিত ছিলেন পঙ্কজ রায় সরকার,নির্মল ভট্টাচার্য,সুবীর সেনগুপ্ত,বিশ্বরূপ ব্যানার্জী সহ অন্যান্য নেতৃবৃ্ন্দ । সমাবেশ চলাকালিন সি.পি.আই.(এম) এর এক প্রতিনধি দল বরো দফ্তরে দাবি সম্বলিত স্মারক লিপি জমা দেয় । এই অবস্হান-বিক্ষোভ সফল করে তুলতে প্রতিটি ওয়ার্ডে মিছিল-মিটিং সংগঠিত করা হয়েছিল । সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আগামী ২৩শে সেপ্টেঃ ডিএমসি তে কেন্দ্রীয় সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান । এই সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন মহঃ সেলিম ।








Saturday 14 September 2019

নবান্ন-মুখী ছাত্র-যুব মিছিলে পুলিশের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ইস্পাতনগরীতে প্রতিবাদ সভা ।




দুর্গাপুর,১৩ই সেপ্টেঃ :গতকাল হাওড়ায়,১২টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিমূখে চলা মিছিলে নৃশঃসতম হামলা চালিয়ে পুলিশে কার্যতঃ দলদাসের ভূমিকা পালন করেছে । সাথে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীও ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে ।গ্রেফ্তার করা হয় ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কে । আজ তাদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কাজ-বেকার ভাতা-কম খরচে পড়াশোনার দাবিতে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি-সম্বলিত স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার পথে  সম্পূর্ন শান্তিপূর্ন এই মিছিলের উপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ও বন্দি ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে আজ সারা রাজ্যের সাথে ইস্পাতনগরীতে প্রতিবাদ সভা  অনুষ্ঠিত হয় । ভারতের গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের দুর্গাপুর ইস্পাত ১ ও ২ আঞ্চলিক কমিটির ডাকে আজ সন্ধ্যায় চন্ডিদাস বাজারে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন অনামিকা সরকার,মৈনাক চ্যাটার্জী,স্বপন মজুমদার ও বিজয় সাহা ।











Friday 13 September 2019

নবান্ন-মুখী ছাত্র-যুব মিছিলে পুলিশের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ইস্পাতনগরীতে মিছিল ।




দুর্গাপুর,১৩ই সেপ্টেঃ : আজ দুপুরে হাওড়ায়,১২টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিমূখে চলা মিছিলে নৃশঃসতম হামলা চালিয়ে পুলিশে কার্যতঃ দলদাসের ভূমিকা পালন করেছে । সাথে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীও ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে । এই বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আজ সন্ধ্যায় ইস্পাতনগরীতে এক বিশাল মিছিল বি-জোন মেইন্টেন্যান্স এর সামনে থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে বি.টি.রণদিভে ভবনে শেষ হয় । ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদি)-র দুর্গাপুর ইস্পাত ১ ও ২ এরিয়া কমিটির এই যৌথ মিছিলের নেতৃত্ব দেন সন্তোষ দেবরায়,সুবীর সেনগুপ্ত,বিশ্বরূপ ব্যানার্জি প্রমূখ ।
     অন্যদিকে,তীব্র হচ্ছে দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ঠিকা শ্রমিকদের আন্দোলন । সি.আই.টি.ইউ ভূক্ত ঠিকা শ্রমিকদের সংগঠন ইউ.সি.ডব্লু.ইউ – এ.এস.পি.সি.ই.ইউ-টি.সি.ই.ইউ এর যৌথ আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে স্হায়ী শ্রমিকদের সংগঠন এইচ.এস.ই.ইউ ।
   ঠিকা শ্রমিকরা সি.আই.টি.ইউ এর নেতৃত্বে জোট বাঁধছেন ।১০-দফা দাবিতে এক গুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে আজ দুপুরে টি.এ.বিল্ডিং-এ ঠিকা শ্রমিকদের প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রেখেছেন গুরুপ্রসাদ ব্যানার্জি,কবিরঞ্জন দাসগুপ্ত,আশিসতরু চক্রবর্তি,ললিত মিশ্র ও নিমাই ঘোষ ।








Thursday 12 September 2019

ইস্পাত ঠিকা শ্রমিকদের আন্দোলনের নয়া দৌড় শুরু : অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ঠিকা শ্রমিকদের কর্মবিরতির জেরে ঠিকাদার বেতন দিতে বাধ্য হোল ।




দুর্গাপুর,১২ই সেপ্টেঃ : ক্রমশঃ তীব্র হচ্ছে দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ঠিকা শ্রমিকদের আন্দোলন । সি.আই.টি.ইউ ভূক্ত ঠিকা শ্রমিকদের সংগঠন ইউ.সি.ডব্লু.ইউ – এ.এস.পি.সি.ই.ইউ-টি.সি.ই.ইউ এর যৌথ আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে স্হায়ী শ্রমিকদের সংগঠন এইচ.এস.ই.ইউ । ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার গঠিত হওয়ার সাথে সাথে তৃণমূল দুর্গাপুরের ইস্পাত ঠিকা শ্রমিকদের উপরে ভয়ংকরতম আক্রমন নামিয়ে এনে প্রায় চার হাজার ঠিকা শ্রমিক কে সি.আই.টি.ইউ করার অপরাধে কাজের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে । এরপরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় ঠিকা শ্রমিকদের জীবনে চরম দূর্দিন নেমে এসেছে । উচ্ছেদ ঠিকা শ্রমিকদের অনেক পরিবার অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন ।এই সব অনেক পরিবারের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে । অনেক ঠিকা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে । সেই সব পরিবারের সদস্যদের অসহনীয় অবস্হায় দিন কাটছে । অন্যদিকে ঠিকা শ্রমিকদের নিয়োগ কে ঘিরে তৃণমূলী নেতাদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । ঠিকা শ্রমিকদের নির্ধারিত বেতন থেকে অনেক কম বেতন দেওয়ার অভিযোগ হামেশাই শোনা যাচ্ছে । এমন কি বেতনের টাকা থেকে তোলা নেওয়ার অভিযোগ আছে ।তোলা ও কাটমানি ঘিরে অন্তর্দলীয় কোন্দলের ফলে মাঝে মধ্যেই কারখানার ভেতরে ও বাইরে সশস্ত্র সংঘর্ষের ফলে কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে ।ঠিকা শ্রমিকদের যখন-তখন কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া অথবা উচ্ছেদ করা চলছেই । ভয় দেখিয়ে ঠিকা শ্রমিকদের বিরোধীদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হামলায় অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে । দীর্ঘ দিনের দক্ষ শ্রমিকদের উচ্ছেদ করে অদক্ষ শ্রমিকদের কাজে ঢোকানোর জন্য উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে,দূর্ঘটনা ও আহত-নিহত শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্গাপুরের ইস্পাতে ২০১১ সালের পর থেকে ঠিকা শ্রমিকদের বেতন-চুক্তি বকেয়া পড়ে আছে ।প্রাপ্য পি.এফ- ই.এস.আই এর সুবিধা থেকে বিভিন্ন ভাব বঞ্চিত করা অথবা হয়রানি বেড়ে চলেছে । এমন কি ২০১৭ সালে এন.জে.সি.এস চুক্তি অনুসারে প্রাপ্য সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছেন । ইস্পাতনগরী থেকে ই.এস.আই এর স্বাস্হ্য কেন্দ্রটি সরিয়ে নেওয়ায় দূর্গতি বেড়েছে । মাথার উপর বেসরকারিকরনের খাঁড়া ঝুলছে । মোদি সরকারের এই কুমতলবের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে বীরত্বপূর্ণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের শ্রমিকরা । এই পরিস্হিতে ঘুরপথে শ্রমিকদের উপরে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ । ইতিমধ্যে কোপ পড়েছে ঠিকা শ্রমিকদের উপর । বছরে প্রাপ্য ২৩টি ছুটি একতরফা ভাবে বাতিল করে,নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে ‘নো ওয়ার্ক,নো পে নীতি ফিরিয়ে আনা হয়েছে । ঠিকা শ্রমিকদের ৬ কিস্তির ভি.ডি.এ বাবদ প্রাপ্য টাকা দেওয়া হয় নি । অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ঠিকা শ্রমিকদের বেতন-চুক্তি ২০০৩ সাল থেকে বকেয়া আছে । মাসের নির্ধারিত ১০ তারিখের মধ্যে বেতন অনেক সময়েই না হওয়ার ফলে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে ।
      মোদি সরকারের বেসরকারিকরন ও ডাউনসাইজিং নীতির ফলে রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্রের অন্যান্য কারখানার সাথে সাথে দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে ঠিকা শ্রমিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও,সম কাজে সম বেতনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন দুরে থাক,চুক্তি মোতাবেক বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ঠিকা শ্রমিকরা পাচ্ছেন না । ঠিকা শ্রমিকদের স্হায়িকরনও বন্ধ আছে ।
         এই সবের প্রতিবিধান চেয়ে ঠিকা শ্রমিকরা সি.আই.টি.ইউ এর নেতৃত্বে জোট বাঁধছেন ।১০-দফা দাবিতে এক গুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে আজ সকালে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের মেইন গেট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ২নং গেটের সংযোগ স্হলে ঠিকা শ্রমিকদের প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রেখেছেন আর.পি.গাঙ্গুলী,আশিস মিশ্র,আশিসতরু চক্রবর্তি,স্বপন মজুমদার ও বিজয় সাহা ।
    ইতিমধ্যে এই জমায়েত চলাকালিন খবর আসে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের এস.এম.এস ও টেলি কমিউনিকেশন বিভাগের ঠিকা শ্রমিকরা মাসের নির্ধারিত ১০ তারিখের মধ্যে বেতন না হওয়ার প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু করেছেন । এই খবর পেয়ে এ.এস.পি.সি.ই.ইউ (সি.আই.টি.ইউ ) সহ অন্যান্য ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ আন্দোলনরত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ান । আন্দোলনের চাপে পড়ে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের কর্তৃপক্ষ এস.এম.এস বিভাগের ঠিকাদার কে ডেকে   এ.এস.পি.সি.ই.ইউ (সি.আই.টি.ইউ ) সহ অন্যান্য ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয় । আলোচনায় এস.এম.এস বিভাগের ঠিকাদার অবিলম্বে বেতন দিতে সম্মত হলে,কর্মবিরতি শেষ হয় । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এস.এম.এস বিভাগের ঠিকা শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতনের টাকা আসা শুরু হয়েছে । 
  এদিকে আগামী ১৬ই সেপ্টেঃ, সি.আই.টি.ইউ ও আই.এন.টি.ইউ.সি যৌথ ভাবে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের জি.এম ( ওয়ার্কর্স) এর দফ্তরে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ঠিকা শ্রমিকদের বিভিন্ন বকেয়া অবিলম্বে ফয়সালার দাবিতে বিক্ষোভ জমায়েতের ডাক দিয়েছে।





Wednesday 11 September 2019

ইস্পাত ঠিকা শ্রমিকদের আন্দোলন তীব্র হচ্ছে ।




দুর্গাপুর,১১ই সেপ্টেঃ : ক্রমশঃ তীব্র হচ্ছে দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ঠিকা শ্রমিকদের আন্দোলন । সি.আই.টি.ইউ ভূক্ত ঠিকা শ্রমিকদের সংগঠন ইউ.সি.ডব্লু.ইউ – এ.এস.পি.সি.ই.ইউ-টি.সি.ই.ইউ এর যৌথ আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে স্হায়ী শ্রমিকদের সংগঠন এইচ.এস.ই.ইউ । ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার গঠিত হওয়ার সাথে সাথে তৃণমূল দুর্গাপুরের ইস্পাত ঠিকা শ্রমিকদের উপরে ভয়ংকরতম আক্রমন নামিয়ে এনে প্রায় চার হাজার ঠিকা শ্রমিক কে সি.আই.টি.ইউ করার অপরাধে কাজের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে । এরপরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় ঠিকা শ্রমিকদের জীবনে চরম দূর্দিন নেমে এসেছে । উচ্ছেদ ঠিকা শ্রমিকদের অনেক পরিবার অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন ।এই সব অনেক পরিবারের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় । অনেক ঠিকা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে । সেই সব পরিবারের সদস্যদের অসহনীয় অবস্হায় দিন কাটছে । অন্যদিকে ঠিকা শ্রমিকদের নিয়োগ কে ঘিরে তৃণমূলী নেতাদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । ঠিকা শ্রমিকদের নির্ধারিত বেতন থেকে অনেক কম বেতন দেওয়ার অভিযোগ হামেশাই শোনা যাচ্ছে । এমন কি বেতনের টাকা থেকে তোলা নেওয়ার অভিযোগ আছে ।তোলা ও কাটমানি ঘিরে অন্তর্দলীয় কোন্দলের ফলে মাঝে মধ্যেই কারখানার ভেতরে ও বাইরে সশস্ত্র সংঘর্ষের ফলে কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে ।ঠিকা শ্রমিকদের যখন-তখন কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া অথবা উচ্ছেদ করা চলছেই । ভয় দেখিয়ে ঠিকা শ্রমিকদের বিরোধীদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হামলায় অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে । দীর্ঘ দিনের দক্ষ শ্রমিকদের উচ্ছেদ করে অদক্ষ শ্রমিকদের কাজে ঢোকানোর জন্য উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে,দূর্ঘটনা ও আহত-নিহত শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ সালের পর থেকে ঠিকা শ্রমিকদের বেতন-চুক্তি বকেয়া পড়ে আছে ।প্রাপ্য পি.এফ- ই.এস.আই এর সুবিধা থেকে বিভিন্ন ভাব বঞ্চিত করা অথবা হয়রানি বেড়ে চলেছে । এমন কি ২০১৭ সালে এন.জে.সি.এস চুক্তি অনুসারে প্রাপ্য সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছেন । ইস্পাতনগরী থেকে ই.এস.আই এর স্বাস্হ্য কেন্দ্রটি সরিয়ে নেওয়ায় দূর্গতি বেড়েছে ।
    এই সবের প্রতিবিধান চেয়ে ঠিকা শ্রমিকরা সি.আই.টি.ইউ এর নেতৃত্বে জোট বাঁধছেন ।১০-দফা দাবিতে এক গুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে আজ সকালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন গেটে শ্রমিক জমায়েত হয় । জমায়েতে বক্তব্য রাখেন নিমাই ঘোষ,বিশ্বরূপ ব্যানার্জী ও সুবীর সেনগুপ্ত ।
  এ দিকে আগামী ১৬ই সেপ্টেঃ দুর্গাপুর পৌর নিগমের ১নং বরো অফিস অভিযান ও ২৩শে সেপ্টেঃ মহঃ সেলিমের জনসভা সফল করার আহ্বান জানিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত ২ এরিয়া কমিটির ডাকে ইস্পাতনগরী সংলগ্ন বিজরা-শোভাপুর অঞ্চলে আজ বিকালে মিছিল হয় । মিছিলে নেতৃত্ব দেন সন্তোষ দেবরায়,সুবীর সেনগুপ্ত,স্বপন ব্যানার্জী, দিপক ঘোষ প্রমূখ ।











Tuesday 10 September 2019

দুর্গাপুরের ইস্পাত শ্রমিকদের ঐতিহাসিক প্রতিরোধ : অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বিক্রির জন্যে ক্রেতা খুঁজে পেল না মোদি সরকার।





দুর্গাপুর,১০ই সেপ্টেঃ : ২১শে সেপ্টেঃ, ২০১৬ – দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিকরা শুরু করেছিলেন অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও আন্দোলন । কারন মোদি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাষ্টায়ত্ব ইস্পাত উৎপাদনকারি সংস্হা সেইলের বিশেষ ধরনের ইস্পাত প্রস্তুতকারি কারখানা দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট,সালেম স্টিল প্ল্যান্ট ও ভদ্রাবতি স্টিল প্ল্যান্টের ‘স্ট্র্যাটেজিক ডিসইনভেস্টমেন্ট’ এর পোষাকি নামের আড়ালে বেসরকারি মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হবে । সেই প্রতিরোধের তরঙ্গে গড়ে উঠল ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ মঞ্চ -  “ অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও, দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাও, দুর্গাপুর বাঁচাও” কমিটি । এই কমিটির নেতৃত্বে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে সর্বাত্মক ধর্মঘট সহ ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২০০টি প্রতিরোধ কর্মসূচী পালিত হয়েছে । প্রতিরোধে শ্রমিকদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলয়ে লড়াই করে চলেছেন দুর্গাপুরের মানুষ । কারন কারখানা,বিশেষতঃ কেন্দ্র ও রাজ্যের রাষ্টায়ত্ব কারখানাগুলি ছাড়া দুর্গাপুর ‘দুর্দশাপুর’ পরিনত হতে বেশি সময় নেবে না,দুর্গাপুরের মানুষ ভালোই জানেন । শ্রমিকরা শপথ নিয়েছেন শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিক্রি রুখবেন ।এই প্রতিরোধের সামনে মোদি সরকারের কারখানা বেচার অপপ্রয়াস ব্যর্থ হয়ে যায় ।
দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে মোদি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা বেচার বৃহত্তর পরিকল্পনা নিলেও,দুর্গাপুরের প্রতিরোধ জারি আছে । আরও নতুন অংশ এই প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই সামিল হয়েছে । ইতিমধ্যে মোদি সরকারের নীতি দেশ কে মহাসংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে । দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রের ‘ব্লু-চিপ’ সংস্হা,বিশেষ করে গাড়ি ও সংশ্লিষ্ট ইস্পাত শিল্প এই সংকটে দিশাহারা ।কিন্তু এর মধ্যেও,মোদি সরকারের কর্পোরেট-ঘেঁসা নীতির বাধা অতিক্রম করেই দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হাই আশার আলো দেখাচ্ছে ।
আজ ১০ই সেপ্টেঃ,২০১৯ । কারখানা বিক্রির জন্য মোদি সরকারের দ্বিতীয় দফার এক্সপ্রেসন অফ ইন্টারেস্ট ,সাবেকি পরিভাষায় টেন্ডারের তৃতীয় তথা শেষ দফার শেষ দিন ছিল । না । কোন ‘ক্রেতা’ সাহস দেখিয়ে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের চত্বরে আসতে পারে নি । হয়তো কোন নতুন চক্রান্ত শুরু হবে । প্রস্তুত আছে দুর্গাপুর, দুর্গাপুরের ইস্পাত শ্রমিকরা ।
   আজ সকালে মর্নিং শিফট থেকে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের মেইন গেটে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিকরা জমায়েত শুরু করেন । জমায়েতে বক্তব্য রাখেন দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়,গুরুপ্রসাদ ব্যানার্জী,বিজয় সাহা.অসীম সাহা,শম্ভু প্রামানিক ও সুকান্ত রক্ষিত । “ অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও, দুর্গাপুর ইস্পাত বাঁচাও, দুর্গাপুর বাঁচাও” কমিটির এই জমায়েতে নেতৃত্বের পক্ষ থেকে পরিস্কার করে আহ্বান জানানো হয় – যে কোন পরিস্হিতির মোকাবিলায়,লড়াই জারি আছে,থাকবে । সি.আই.টি.ইউ এর রাজ্য কমিটির সদস্য বিশ্বরূপ ব্যানার্জী জানিয়েছেন আগামী ২০শে সেপ্টেঃ কলকাতার রানী রাসমনি রোডে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিকরা সহ রাজ্যের সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হার শ্রমিক-কর্মচারীরা জমায়েত করবেন এবং মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা বাঁচানোর আর্জি জানাবেন ।