Wednesday 30 October 2019

বায়োমেট্রিক হাজিরা নিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষের বেপরোয়া মনোভাবের বিরুদ্ধে শ্রমিক বিক্ষোভ চরমে : বৃহত্তর আন্দোদলনের হুঁশিয়ারি ।




দুর্গাপুর,৩০শে অক্টো: : বায়োমেট্রিক হাজিরা নিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষ ও ইউনিয়নদের মধ্যে আলোচনার মাঝেই বায়োমেট্রিক হাজিরা না দেওয়ার অভিযোগ এনে দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষ কারখানার নন-ওয়ার্কর্স অঞ্চলের বিভিন্ন বিভাগে ৩১২ জন শ্রমিক-কর্মচারীর নভেম্বর মাসের বেতন না দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) এর ডাকে আজ দলে দলে শ্রমিক-কর্মচারীর দফায় দফায় দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষের তীব্র বিক্ষোভ প্রর্দর্শন করেছেন ও ডেপুটেশন দিয়েছেন । অন্যান্য ইউনিয়ন গুলির এ বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা কে স্বাগত জানিয়েছেন হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) এর নেতৃবৃন্দ। সকালে ইডি(ওয়ার্কস),টি.এ.বিল্ডিং ও মেইন হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার পর দুপুরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্রশাসনিক ভবনে ইডি( পি অ্যান্ড এ ) দফ্তরে দলে দলে শ্রমিক-কর্মচারী জড়ো হয়ে প্রবল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন । বিক্ষোভকারীদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা কর্তৃপক্ষ কে শিল্পে অশান্তি ডেকে আনার জন্য কাঠগড়ায় তুলে বৃহত্তর ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান । বক্তারা প্রশ্ন তোলেন যে ইউনিয়নদের সাথে আলোচনা চলাকালিন কর্তৃপক্ষ কিভাবে শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজ করিয়ে বেতন না দেওয়ার মত চরম স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে? তারা আরও বলেন যে আলোচনা চলাকালিন সময়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা নিয়ে ইউনিয়নের তোলা যৌক্তিত প্রশ্নগুলির বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোন সদুত্তর দিতে পারে নি । অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি শ্রমিক-কর্মচারীদের সাইবার ও অন্যান্য নিরাপত্তার বিষয়ে সাথে যুক্ত। বক্তব্য রাখেন ললিত মিশ্র,সৌরভ দত্ত,উজ্জ্বল গণ ও প্রদ্যুৎ মুখার্জি । বিক্ষোভ চলাকালিন ইউনিয়ন এর এক প্রতিনিধি দল সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে ডেপুটেশন দিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষ কে সারা মাস ধরে কাজ করানোর পরে বেতন না দেওয়ার মত চরম অমানবিক ও অনৈতিক কাজের থেকে বিরত থাকার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে ইউনিয়ন এর পক্ষে থেকে স্বপন মজুমদার জানিয়েছেন । নচেৎ শ্রমিক-কর্মচারীরা বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন একথাও কর্তৃপক্ষ কে পরিস্কার জানানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
গত ১লা জুন থেকে দুর্গাপুর ইস্পাতে কর্তৃপক্ষ একতরফা ভাবে বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক হাজিরার কথা ঘোষনা করলেও বর্তমান সাইবার ক্রাইমের যুগে বায়োমেট্রিক তথ্যের সুরক্ষা-সংক্রান্ত নায্য প্রশ্ন তুলে অধিকাংশ শ্রমিক-কর্মচারীরা বায়োমেট্রিক হাজিরা দেন নি ।







Sunday 27 October 2019

দীপাবলিতেও ইস্পাতনগরীতে প্রগতিশীল সাহিত্যের বুকস্টল ঘিরে ভালো সারা মিলল ।




দুর্গাপুর,২৭শে অক্টোঃ : শারদোৎসবের মতই দীপাবলিতে ইস্পাতনগরীতে প্রগতিশীল সাহিত্যের বুকস্টল ঘিরে মানুষের মধ্যে ভালো সারা পড়েছে। আজ সন্ধায়, এডিশন রোডে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদি)-র দুর্গাপুর ইস্পাত ১ এরিয়া কমিটির উদ্যোগে তৈরি বুকস্টল থেকে আনুষ্ঠানিক বিক্রির আগেই বই বিক্রি শুরু হয়ে যায় । বুকস্টলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদি)-র পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জী বলেন যে এই বছরে শারদোৎসবের সময়ে পার্টির উদ্যোগে জেলায় ৫২টি বুকস্টল হয়েছে ।শারদ সংখ্যা বিক্রি বাদ দিয়েও  দুই লক্ষাধিক টাকার বই বিক্রি হয়েছে । দ্রুত পরিবর্তনশীল অবস্হায় পার্টির ক্রমবর্ধমান ভুমিকা বৃদ্ধির সাথে সাথে মার্কসীয় ও প্রগতিশীল সাহিত্যের বইএর চাহিদা কেবল মাত্র পার্টি সভ্য-সমর্থক নয়,জনগনের বিভিন্ন অংশের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে । এই অবস্হায় বুকস্টল গুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে । উপস্হিত ছিলেন সন্তোষ দেবরায়,বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তি,নির্মল ভট্টাচার্য,সুবীর সেনগুপ্ত ,দিপক ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । সঞ্চালনা করেন স্বপন মজুমদার । অন্যদিকে ,সেইল সমবায় আবাসন অঞ্চলে কবিগুরু মোড়ে (২য় স্টপেজে ) অপর একটি বুকস্টলের উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন দুর্গাপুর(পূর্ব)-এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় । উপস্হিত ছিলেন স্বপন ব্যানার্জী,আল্পনা চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।














Monday 21 October 2019

শ্রমিকদের বাধার মুখে পালালো বহুজাতিক উপদেষ্টা সংস্হার প্রতিনিধিরা : এন.এস.পি.সি.এলের বেসরকারিকরনের চেষ্টা ঘিরে ডিএসপি-তে উত্তেজনা ।





দুর্গাপুর,২১শে অক্টোঃ : মোদি সরকারে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা গুলি কে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার নীতির করালগ্রাসে কি পড়তে চলছে সেইলের অন্তর্গত দুর্গাপুর ইস্পাত,রৌরকেল্লা ও ভিলাই কারখানার কারখানার বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্হা এন.এস.পি.সি.এল ? গত ১৭-১০-২০১৯ তারিখে এন.এস.পি.সি.এল কর্তৃপক্ষের থেকে সংস্হার ‘সাংগঠনিক ব্যবস্হা রূপান্তরের উদ্যোগ’- শীর্ষক একতরফা জারি করা নোটিশে ( ০১/এইচআর-ইবি/০১/১০০ ) এর মধ্যে এমনি ইঙ্গিত মিলেছে বলে মনে করেছেন শ্রমিক ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ । নোটিশে উপদেষ্টা হিসাবে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বহুজাতিক বিমা উপদেষ্টা ও ব্রোকারেজ সংস্হা উইলিস টাওয়ার্স ওয়াটসন পিএলসি কে নিয়োগ করায় এই সন্দেহ আরও গাঢ় হয় ।
    তাই আজ সকালে  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্হা এন.এস.পি.সি.এল-এ উইলিস টাওয়ার্স ওয়াটসন পিএলসি-র প্রতিনিধিরা পরিদর্শনে এলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে । দলমত নির্বিশেষে এন.এস.পি.সি.এল ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার স্হায়ি ও ঠিকা শ্রমিকরা জড়ো হয়ে ঐ বহুজাতিক সংস্হার প্রতিনিধিদের ঘিরে ধরেন।শ্লোগান দিতে থাকেন ,” গো ব্যাক ওয়াটসন “ ।  ছুটে আসেন এন.এস.পি.সি.এল.ই.ইউ(সি.আই.টি.ইউ) ও হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সি.আই.টি.ইউ) সহ অন্যান্য ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ । শ্রমিকদের প্রবল বিক্ষোভ ও  চাপের মুখে উইলিস টাওয়ার্স ওয়াটসন পিএলসি-র প্রতিনিধিরা কারখানার চত্বর ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। এই ঘটনায় এন.এস.পি.সি.এল ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় শ্রমিকদের মধ্যে একদিকে যেমন বেসরকারিকরনের আতংক ছড়িয়েছে,অন্যদিকে সদা জাগ্রত থাকার মানসিকতা মজবুত হয়েছে বলে ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ মনে করছেন । এক্ষেত্রে গত তিন বছর ধরে চলা সংলগ্ন অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বেসরকারিকরন-বিরোধী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রেরণা জোগাচ্ছে ।
এ যেন অনেকটা ২০০০ সালের ঘটনার পুনুরাবৃত্তি ঘটল ! সেবার শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে, বহুজাতিক উপদেষ্টা সংস্হা  ম্যাকেঞ্জির সুপারিশে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট কিনতে চেয়ে আসা বহুজাতিক সংস্হা এনরনের প্রতিনিধিদল কে “ গো ব্যাক এনরন” শ্লোগান দিতে দিতে কারখানার চত্বরে ঢুকতেই দেয় নি সি.আই.টি.ইউ এর নেতৃত্বে দুর্গাপুর ইস্পাতের শ্রমিকরা । সেই সময়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় ছিল বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ-বিজেপি সরকার । বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার অন্যতম মন্ত্রি ছিলেন বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রি মমতা ব্যানার্জী । পরে দেউলিয়া হয়ে যায় এনরন কোম্পানি । শেষমেশ ২০০১ সালে সরকারি সংস্হা এন.টি.পি.সি ও সেইল যৌথভাবে তৈরি করে এন.এস.পি.সি.এল।
    হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সি.আই.টি.ইউ) এর পক্ষে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী জানিয়েছেন যে এন.এস.পি.সি.এল একটি লাভজনক সংস্হা । বিগত তিন বছরে সংস্হার মুনাফার পরিমান ছিল যথাক্রমে  ৩৮০ কোটি,৩৩১ কোটি ও ৩৬১ কোটি টাকা । চলতি বছরেও সেপ্টেঃ মাস পর্যন্ত মুনাফা করছে বলে খবর আছে । তাই কোনো অবস্হায় এন.এস.পি.সি.এল এর বেসরকারিকরনের জন্য পেছনের দরজা দিয়ে বহুজাতিক সংস্হা কে উপদেষ্টা হিসাবে ডেকে নিয়ে আসার চক্রান্ত বিরুদ্ধে এন.এস.পি.সি.এল এর শ্রমিকদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিকরা ।
   এদিকে সি.আই.টি.ইউ এর সর্বভারতীয় সম্পাদক তপন সেন এন.এস.পি.সি.এল ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিকদের আজকে ঐক্যবদ্ধ  ওয়াটসন-বিরোধী আন্দোলন কে অভিনন্দন জানিয়েছেন । 






Sunday 20 October 2019

কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে ইস্পাতনগরী জুড়ে প্রচারসভা-অবস্হান ।




দুর্গাপুর,২০শে অক্টোবর : ‘রুজি রোজগার বাঁচাও,জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রন করো,এনআরসি’র আতঙ্ক হটাও’- এই দাবিতে বামফ্রন্টের ডাকে সারা রাজ্যের সাথে সোচ্চার হয়েছেন ইস্পাতনগরীর মানুষ । ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি(মার্কসবাদি)-র দুর্গাপুর ইস্পাত ১,২ ও ৩ এরিয়া কমিটির উদ্যোগে ১৯-২০ অক্টোঃ ইস্পাতনগরী ও সংলগ্ন অঞ্চলে চন্ডিদাস বাজার,সেইল আবাসন অঞ্চল,আশিস মার্কেট ও রঘুনাথপুরে চারটি পৃথক প্রচারসভা-অবস্হান অনুষ্ঠিত হয়েছে । কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের একের পর এক জনবিরোধী নীতির ফলে দেশের,রাজ্যের মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে । বিপন্ন দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চল । বিপন্ন ইস্পাত শিল্প । অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বিক্রি করতে চাইছে মোদি সরকার । অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি,ব্যাঙ্কের গচ্ছিত টাকা নিয়ে ছিনিমিনি,রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্রকে ধ্বংস করার জন্য খোলাখুলি পদক্ষেপ,অর্থনীতিতে নজীরবিহিন মন্দা, বেকারিত্ব,কর্মহীনতা,বেলাগাম দূর্ণীতি,এনআরসি কে ঘিরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক,হয়রানি এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদ প্রভৃতি বিষয় ঘিরে পার্টির বক্তব্য তুলে ধরে বক্তারা জোড়ালো আন্দোলনে সামিল হওয়ার আবেদন জানান ।











Wednesday 16 October 2019

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার ১০০-তম বার্ষিক উদযাপন উপলক্ষ্যে ইস্পাতনগরী সেজে উঠেছে ।




দুর্গাপুর,১৩ অক্টোঃ : ১৭ই অক্টোঃ,১৯২০। সদ্য প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন এর তাশখন্দে সাত জন প্রবাসী বিপ্লবী মিলে গড়ে তোলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি । শত বর্ষ পার করে সময়ের পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ন ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলন ।
    পার্টি প্রতিষ্ঠার ১০০-তম বার্ষিক উদযাপন উপলক্ষ্যে ইস্পাতনগরী সেজে উঠছে । শত রক্ত-পতাকায় ও লাল আলোকমালায় সুসজ্জিত করা হয়েছে আশিস-জব্বার ভবন । হয়েছে দেওয়াল লিখন । বিভিন্ন রোটারি সেজে উঠেছে রক্তপতাকায় । শত শত পোস্টার ছেয়ে ফেলেছে ইস্পাতনগরীর আনাচে কানাচে ,কারখানা ও মূখ্য জনাসমাগমের জায়গা গুলিকে । বিভিন্ন স্হানে লাগানো হয়েছে ফেস্টুন ।
       আজ সন্ধ্যায় এই উপলক্ষ্যে প্রান্তিকা মোড়ের সভায় বক্তব্য রাখেন স্বপন মজুমদার ও আশিস মিশ্র । সভায় ব্যপক জনসমাগম বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে আধুনিক ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম পিঠস্হান দুর্গাপুর ভারতে কমিউনিস্ট আন্দোলনের শত-বর্ষের সংগ্রামী ঐতিহ্য বহন করে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ।



















Sunday 13 October 2019

আজি হতে শত বর্ষ পরে …… : ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার ১০০-তম বার্ষিক উদযাপন উপলক্ষ্যে ইস্পাতনগরী সেজে উঠছে ।




দুর্গাপুর,১৩ অক্টোঃ : ১৭ই অক্টোঃ,১৯২০। সদ্য প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন এর তাশখন্দে সাত জন প্রবাসী বিপ্লবী মিলে গড়ে তোলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি । শত বর্ষ পার করে সময়ের পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ন ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলন ।
    পার্টি প্রতিষ্ঠার ১০০-তম বার্ষিক উদযাপন উপলক্ষ্যে ইস্পাতনগরী সেজে উঠছে । শত রক্ত-পতাকায় সুসজ্জিত করা হয়েছে আশিস-জব্বার ভবন । দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে । আজ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত ১ এরিয়া কমিটির উদ্যোগে দেওয়াল লিখন হল । পার্টি প্রতিষ্ঠার ১০০-তম বার্ষিক উদযাপন উপলক্ষ্যে ইস্পাতনগরীতে আরও কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্গাপুর ইস্পাত ১ এরিয়া কমিটির পক্ষে দিপক ঘোষ ।








Friday 11 October 2019

বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল এর শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের শ্রমিকরা ।




দুর্গাপুর,১১ই অক্টোঃ : ইস্পাতনগরীর ডেভিড হেয়ার রোডে পি অ্যান্ড টি কলোনী কে ঘিরে আজ শুধুই শুন্যতা। ১৪০ টি কোয়ার্টারের মধ্যে মেরেকেটে গোটা ২৫টি কোয়ার্টারে বি.এস.এন.এল এর শ্রমিক রয়েছেন । আসলে বি.এস.এন.এল কে সঙ্কুচিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে বাজপেয়ী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের সময়ে কর্পোরেশন করার মধ্য দিয়ে । বি.এস.এন.এল-এ ক্রমাগত কর্মি সংকোচন ও নির্বিচারে ঠিকাদারি প্রথার চালু করার আজ সাক্ষী হল ইস্পাতনগরীর পি অ্যান্ড টি কলোনী । লক্ষনীয় এনডিএ সরকারের অন্যতম মন্ত্রি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । গত ৮ মাস ধরে বি.এস.এন.এল এর ঠিকা শ্রমিকরা বেতন পান নি । বি.এস.এন.এল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ও অন্যান্য ইউনিয়নের যৌথ লড়াই এর ফলে ঠিকা শ্রমিকরা পূজোর আগে মাত্র ১ মাসের বেতন পেয়েছেন । বি.এস.এন.এল কে বন্ধ করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে গত ৩রা অক্টোঃ দুর্গাপুর ডিভিশনের অফিসে গন-বিক্ষোভ ও ধর্ণা দেন বি.এস.এন.এল এর স্হায়ী ও ঠিকা শ্রমিকরা । আজ দিল্লিতে ট্রেড ইউনিয়ন গুলির যৌথমঞ্চের সভার পরে পরবর্তি কর্মসূচী নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বি.এস.এন.এল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এর দুর্গাপুর ডিভিশনের সহকারী সম্পাদক পঙ্কজ চ্যাটার্জী । রাস্তার আরেক পারে অধিকাংশ কোয়ার্টারে আছেন অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের শ্রমিকরা । ২০১৬ সাল থেকে মোদি সরকারের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বন্ধ করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে কারখানার শ্রমিকরা লড়াই করছেন । গড়ে উঠেছে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বাঁচাও, দুর্গাপুর বাঁচাও আন্দোলন ।
      আজ সকালে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের মেইন গেটে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বাঁচাও, দুর্গাপুর বাঁচাও আন্দোলন আর বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল বাঁচাও আন্দোলন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ)-এর ডাকে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট  শ্রমিক জড়ো হয়ে বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল কে বন্ধ করার জন্য মোদি সরকারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান ও বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল এর শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানান । শ্রমিক জমায়েতে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে  বক্তব্য রেখে বিজয় সাহা বলেন যে কেন্দ্রের মোদি সরকার সরকারী ও রাষ্টায়ত্ব সংস্হা উচ্ছেদ করে দেশ কে কর্পোরেট ও বহুজাতিক সংস্হার হাতে তুলে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্হা কে তছনছ করতে চাইছে যাতে কর্পোরেট ও বহুজাতিক সংস্হার মুনাফা বহু গুনে বৃদ্ধি পায় । এই নীতির ফলে আজ অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট কে বিক্রি ও বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল কে বন্ধ করতে চাইছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। তিনি বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল কে বন্ধ করার জন্য মোদি সরকারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল বাঁচাও আন্দোলনের সাথে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বাঁচাও, দুর্গাপুর বাঁচাও যৌথ আন্দোলনের মৈত্রি বন্ধন গড়ে তোলার আহ্বান জানান ।






Thursday 10 October 2019

বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল কে বন্ধ করার জন্য মোদি সরকারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন ইস্পাত শ্রমিকরা ।




দুর্গাপুর,১০ই অক্টোঃ : ইস্পাতনগরীর ডেভিড হেয়ার রোডে পি অ্যান্ড টি কলোনী কে ঘিরে আজ শুধুই শুন্যতা। ১৪০ টি কোয়ার্টারের মধ্যে মেরেকেটে গোটা ২৫টি কোয়ার্টারে বি.এস.এন.এল এর শ্রমিক রয়েছেন । আসলে বি.এস.এন.এল কে সঙ্কুচিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে বাজপেয়ী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের সময়ে কর্পোরেশন করার মধ্য দিয়ে । বি.এস.এন.এল-এ ক্রমাগত কর্মি সংকোচন ও নির্বিচারে ঠিকাদারি প্রথার চালু করার আজ সাক্ষী হল ইস্পাতনগরীর পি অ্যান্ড টি কলোনী । লক্ষনীয় এনডিএ সরকারের অন্যতম মন্ত্রি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । গত ৮ মাস ধরে বি.এস.এন.এল এর ঠিকা শ্রমিকরা বেতন পান নি । বি.এস.এন.এল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ও অন্যান্য ইউনিয়নের যৌথ লড়াই এর ফলে ঠিকা শ্রমিকরা পূজোর আগে মাত্র ১ মাসের বেতন পেয়েছেন । বি.এস.এন.এল কে বন্ধ করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে গত ৩রা অক্টোঃ দুর্গাপুর ডিভিশনের অফিসে গন-বিক্ষোভ ও ধর্ণা দেন বি.এস.এন.এল এর স্হায়ী ও ঠিকা শ্রমিকরা । আগামীকাল দিল্লিতে ট্রেড ইউনিয়ন গুলির যৌথমঞ্চের সভার পরে পরবর্তি কর্মসূচী নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বি.এস.এন.এল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এর দুর্গাপুর ডিভিশনের সহকারী সম্পাদক পঙ্কজ চ্যাটার্জী ।
  এদিকে আজ সকালে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ)-এর ডাকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অর্জুন মূর্তির সামনে দলে দলে ইস্পাত শ্রমিক জড়ো হয়ে বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল কে বন্ধ করার জন্য মোদি সরকারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান ও বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল এর শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানান । শ্রমিক জমায়েতে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে  বক্তব্য রেখে বিশ্বরূপ ব্যানার্জি বলেন যে আজকের দিনে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বাঁচাও, দুর্গাপুর বাঁচাও আন্দোলন আর বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল বাঁচাও আন্দোলন কোন পৃথক আন্দোলন নয় ।কেন্দ্রের মোদি সরকার সরকারী ও রাষ্টায়ত্ব সংস্হা উচ্ছেদ করে দেশ কে কর্পোরেট ও বহুজাতিক সংস্হার হাতে তুলে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্হা কে তছনছ করতে চাইছে যাতে কর্পোরেট ও বহুজাতিক সংস্হার মুনাফা বহু গুনে বৃদ্ধি পায় । এই নীতির ফলে আজ অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট কে বিক্রি ও বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল কে বন্ধ করতে চাইছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। ১৪০০০ কোটি টাকা দেনার জন্য বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল কে বন্ধ করতে চাইছে অথচ জিও-এয়ারটেল সহ বেসরকারি সংস্হার দেনা ইতিমধ্যে ৭৩০০০ কোটি টাকা ছাড়ালেও মোদি সরকার এদের কে দরাজ হাতে সাহায্য করে চলেছে।সমস্ত বেসরকারি সংস্হা বি.এস.এন.এল এর পরিকাঠামো ব্যবহার করে । অথচ ৪জি সংযোগ ব্যবস্হা বি.এস.এন.এল কে ব্যবহার করতে দেওয়া হয় নি ।  বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল বন্ধ হলে কেবলমাত্র এই সংস্হা দুটি তে কর্মরত ১৬৮০০০ জন শ্রমিক ও তাদের পরিবারবর্গ বিপদে পড়বেন তাই নয়,দেশের অর্থনীতির ওপর বিরাট আঘাত নেমে আসবে । একই সাথে দেশের টেলি যোগাযোগ ব্যবস্হা সুবিধা থেকে সাধারন মানুষের সুযোগ গ্রহন ক্রমশঃ নাগালের বাইরে চলে যাবে । বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের টেলি যোগাযোগ ব্যবস্হা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিরাট আঘাত নেমে আসবে । তিনি বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল কে বন্ধ করার জন্য মোদি সরকারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে বি.এস.এন.এল-এম.টি.এন.এল এর শ্রমিকদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই গড়ে তোলার জন্য দুর্গাপুরর ইস্পাত শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান ।