দুর্গাপুর,১৭ই মে : পার্টি সদস্য ও হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ
) এর প্রাক্তন আহ্বায়ক বাদল মজুমদার ও তার স্ত্রী প্রণতি মজুমদারের আজ ছিল ৫০-তম বিবাহ-বার্ষিকি
। বিবাহ-বার্ষিকি পালনের খরচ বাঁচিয়ে
আজ তারা ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি( মার্কসবাদি)-র দুর্গাপুর ইস্পাত ২ এরিয়া কমিটি , হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন
( সিআইটিইউ ) ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্হা “দুর্গাপুর সোসাইটি ফর প্রিভেনশন অফ থ্যালাসেমিয়া
অ্যান্ড এডস” এর হাতে সর্বমোট ৫০০০ টাকা তুলে দিলেন । অন্যদিকে লকডাউনে শ্রমজীবি মানুষের
পাশে দাঁড়াতে দুর্গাপুর ইস্পাত ১ এরিয়া কমিটির হাতে এনএসপিসিএল এর ভূতপূর্ব শাখার সঞ্চিত
১৪২০০ টাকা তুলে দিলেন পার্টি সদস্যরা । উপস্হিত ছিলেন সন্তোষ দেবরায়,নির্মল ভট্টাচার্য,বিশ্বরূপ
ব্যানার্জি,দিপক ঘোষ,স্বপন সরকার,প্রদীপ চক্রবর্তী প্রমুখ ।
Sunday 17 May 2020
Wednesday 13 May 2020
অবিলম্বে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ঠিকা শ্রমিকদের বেতনের দাবিতে আজও বিক্ষোভ ।
দুর্গাপুর,১৩ই মে : গত কালের পর আজও সিআইটিইউ এর ডাকে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল
অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের মেইন গেট । এখনও পর্যন্ত অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ঠিকা শ্রমিকদের
বেতনের হয় নি । সকালে শ্রমিক বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন ললিত মিশ্র ও নিখিল দাস । দুপুরে
বিশ্বরূপ ব্যানার্জির নেতৃত্বে সিআইটিইউ এর এক প্রতিনিধি দল ইডি-র কাছে স্মারকলিপি
জমা দিতে যান । প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন বিশ্বজিত ধর চৌধুরী, নিখিল দাস প্রমুখ। পরে প্রতিনিধি দলের
পক্ষে বিশ্বরূপ ব্যানার্জি জানিয়েছেন যে কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে বেতনের আশ্বাস মিলেছে
।
Tuesday 12 May 2020
আবারও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ঠিকা শ্রমিকদের বেতন নিয়ে অনিশ্চয়তা : ইস্পাত কারখানা-ইস্পাতনগরীতে করোনা মহামারি রুখতে সমন্বয় চায় সিআইটিইউ ।
দুর্গাপুর,১২ই মে : গত মাসের পর এ মাসেও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ঠিকা শ্রমিকদের
বেতন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ।কেন্দ্র সরকার লকডাউনের মাঝে বেতন কাটা হবে না বললেও
খোদ কেন্দ্রিয় সরকারের অধিনস্হ অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ঠিকা শ্রমিকদের বেতন নিয়ে
অনিশ্চয়তা ইস্পাত শ্রমিকদের মনে বিরূপ মনোভাব তৈরি করছে।অন্য দিকে রাজ্য সরকারও আশ্বাস
দিয়েও নিশ্চুপ থাকছে ।অর্ধাহার-অনাহার-মৃত্যু ঠেকানো যায় নি । আজ কর্তৃপক্ষের কাছে
হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ( সিআইটিইউ ) এর পক্ষ থেকে অবিলম্বে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের
ঠিকা শ্রমিকদের বেতন সুনিশ্চিত করার দাবি জানানো হয় । আজ সকালে এই দাবিতে অ্যালয় স্টিল
প্ল্যান্টের মেইন গেটে সিআইটিইউ এর ডাকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখান ।
অন্যদিকে,ইস্পাতনগরীতে করোনায় দুই ব্যাক্তির
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিআইটিইউ । হিন্দুস্হান স্টিল
এমপ্লয়িজ ( সিআইটিইউ ) এর পক্ষ থেকে বিশ্বরূপ ব্যানার্জি বলেছেন যে রাজ্য প্রশাসন কে
এ বিষয়ে বারবার প্রয়োজনীয় রাপিড টেস্ট,স্যানিটাইজেসন সহ অন্যান্য বিষয়ে দাবি জানানো
সত্বেও রাজ্য প্রশাসন এড়িয়ে গেছে । স্হানীয় দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়
তাঁর বিধায়ক-তহবিল থেকে ৬০ লক্ষ টাকা করোনা মহামারি রুখতে প্রয়োজনীয় চিকিৎস-পরিকাঠামো
ও লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্হদের ত্রাণের জন্য দান করলেও সেই অর্থ ব্যয় করার ক্ষেত্রে রাজ্য
প্রশাসন টালবাহানা করছে । এমন কি বিধায়ক এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলে স্হানীয় এসডিও এড়িয়ে
যান । আবার কোন রকম রাপিড টেস্ট ছাড়াই এসডিও তড়িঘড়ি দুর্গাপুর কে ‘করোনা-মুক্ত’ ঘোষনা
করায় লকডাউনের শিথিলতায় বিপদ বেড়েছে । এর ফলে দেশে ও রাজ্যের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ
কেন্দ্র দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট সহ অন্যান্য কারখানার ক্ষেত্রে
দীর্ঘস্হায়ী ক্ষতি হতে পারে । তিনি এই বিপদ এড়াতে প্রয়োজনীয় রাপিড টেস্ট,স্যানিটাইজেসন
সহ অন্যান্য বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য রাজ্য প্রশাসন ও ইস্পাত কর্তৃপক্ষ এর
মধ্যে সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন । একই সাথে তিনি দুর্গাপুরে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের
ঘরে ফেরানো এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের ঘরে ফেরানোর
জন্য অবিলম্বে রাজ্য প্রশাসন কে সক্রিয় হওয়ার
দাবি জানানোর সাথে পুনরায় করোনা মহামারী রুখতে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ( সিআইটিইউ
) এর পক্ষ থেকে সমস্ত রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ।
Sunday 10 May 2020
রুজিহীন,দুঃস্হদের পাশে দাঁড়ালো সিপিআইএম ।
দুর্গাপুর,১০ই মে : আজ সকালে সিপিআইএম এর দুর্গাপুর পূর্ব ২ এরিয়া কমিটির পক্ষ
থেকে শ্যামপুর এলাকা ও হাট তলা এলাকায় রুজিহীন,দুঃস্হ মানুষদের খাদ্যদ্রব্য দিয়ে সহায়তা করা হয়। এখনও পর্যন্ত এরিয়া
কমিটির পক্ষ থেকে মোট ১৩৩০ জন কে এখনো পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এলাকার প্রচুর মানুষ সাহায্যে র হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে তার জমানো ১০০ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে। কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড পঙ্কজ রায় সরকার, সিদ্ধার্থ বসু, সুধাংশু মজুমদার, অসীম ঘোষ প্রমুখ।এছাড়া এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে গত কাল ও আজ কলকাতা, হাওড়া, শিলিগুড়ি থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক যারা বিহার,ঝাড়খন্ড সহ অন্যান্য রাজ্যের পায়ে হেটে যারা যাচ্ছিলেন তাদের খাবার ও জলের ব্যবস্থা করা হয় ।
Saturday 9 May 2020
নবান্নের পাশেই পরিযায়ী শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দুরাবস্হা : পাশে দাঁড়ালো সি.পি.আই.এম ।
দুর্গাপুর,৯ই মে : ওরা হাঁটছেন দলে দলে । শ’য়ে শ’য়ে হাজারে হাজারে রাস্তা,হাইওয়ে
অথবা রেলপথ ধরে ওরা হাঁটছেন । হ্যাঁ । ওরা পরিযায়ী শ্রমিক । মোদি সরকারের হটাৎ করে
ঘোষিত করোনা লকডাউনে কাজ হারিয়ে নিজের দেশে আজ পরিযায়ী শ্রমিকরা কার্যতঃ উদ্বাস্তু
।বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোর মতই পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি কোন
দায়িত্ব পালন করছে না । কর্মক্ষেত্রে মালিকপক্ষ অথবা রাজ্য সরকার কেউই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় নি ।
দ্রুত টাকা-পয়সা ফুরিয়ে আসছে । আসন্ন অনাহার থেকে বাঁচতে দ্রুত ঘরে ফিরতে পরিযায়ী শ্রমিকরা
হাঁটছেন অথবা সাইকেলে ফিরছেন কারন বাস-ট্রেন সবই বন্ধ । এদের অনেকের সাথে রয়েছেন স্ত্রী
ও সন্তান,শিশুরা। পশ্চিমবঙ্গের থেকে ঘর-ফেরত এই পরিযায়ী শ্রমিকদের বড় অংশ যাবেন ঝাড়খণ্ড-বিহার
ও পূর্ব উত্তর প্রদেশ । এদের একটা বড় অংশ ন্যাশান্যাল হাইওয়ে-২ অর্থাৎ জিটি রোড ধরে
হাঁটছেন ।
আজ সকালে ৮০-৮৫ জন শ্রমিকের বড় দল
সারা রাত হেঁটে দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড়ে এসে পৌঁছায়। কাল রাতে বর্ধমানে পুলিশের হাতে
অনেকে বেধরক মার খান । ক্লান্ত-অসুস্হ-অর্ধাহারে অবসন্ন দিশাহারা পরিযায়ী শ্রমিকদের
দল আর চলতে পারছিলেন না। সেই এস.এফ.আই- ডি.ওয়াই.এফ.আই এর কর্মিরা তাদের দেখতে পেয়ে
এগিয়ে যান ও তাদের দুরাবস্হার কথা জানতে পেরে সি.পি.আই.এম এর নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ
করেন। সাথে সাথে পার্টির জেলা সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার,পার্টি নেতা রাকেশ
সিং সহ এস.এফ.আই- ডি.ওয়াই.এফ.আই এর নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্হলে আসেন । পরিযায়ী শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানতে
পারেন যে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের কেউ জামুই,কেউ লক্ষীসরাই, হাজারিবাগ,বেনারসে থাকেন ও নবান্নের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের বিভিন্ন কারখানাতে কাজ করতেন।ওরা বলেন যে এরকম কয়েকশো শ্রমিক হেঁটে আসছে হাওড়া,কোলকাতা থেকে। হেঁটে অথবা সাইকেলে প্রায় ৪০০-৭০০ কিমি পেরিয়ে বাড়ি যাবেন।তৃণমূলী দাদাদের হাতে ৪০০০-৪৫০০ টাকা দিয়ে সাইকেল জুটিয়েছেন। পার্টি নেতৃত্ব জেলা প্রশাসন ও মহকুমা শাসকের সাথে
যোগাযোগ করে অবিলম্বে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য শিবির-খাবার ও ঝাড়খণ্ড সীমানা পর্যন্ত
পৌঁছে দেওয়ার জন্য দাবি জানালে প্রশাসন অক্ষমতার কথা জানায় । মুখ্যমন্ত্রীর তথাকথিত
করোনা-যুদ্ধের জন্য কোটি কোটি টাকার ব্যয়ের বিজ্ঞাপনের অসারতা আবারও প্রমানিত হল ।
কিন্তু এতে দমে না গিয়ে নেতৃবৃন্দ
ঝাঁপিয়ে পড়লেন। সংলগ্ন এলাকার পার্টি ও যুব নেতৃত্বদের সাথে নিয়ে খাবার ( কেক,পাউরুটি,বিস্কুট চিড়ে,মুড়ি,গ্লুকোজ,শসা,) ও জলের ব্যাবস্থা করেন। হত্যোদম পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকের তখন চোখে জল । পথের সাথী লাল ঝাণ্ডার বন্ধুদের
হাত ধরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখা গেল । তাদেরই একজন রোহন কুমার জানালেন যে অনেকে
রেলপথ ধরে হেটে আসছেন । কিন্তু ঔরঙ্গাবাদের রেল দুর্ঘটনার পরে কড়াকড়ির জন্য এখন রাস্তায়
হাঁটছেন । যাত্রাপথে রাজ্য সরকারের থেকে কোন সাহায্যই মেলে নি ।
ইতিমধ্যে বাসের জন্য রাজ্য সরকারের দক্ষিনবঙ্গ
পরিবহন সংস্হার কাছে আবেদন জানালেও কোন লাভ হয় নি । চারটি ট্রাকের ব্যাবস্থা করা হলো। ইতিমধ্যে পার্টির জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চাট্যার্জি সহ জেলা নেতৃবৃন্দ রাজ্য
পার্টির মারফত ঝাড়খন্ড,বিহার ও উত্তর প্রদেশ রাজ্য পার্টির নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ
করেন । খাওয়া শেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকরা ট্রাকে ওঠেন। সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করাতে বলছে" সিপিএম সব কর দিয়া হ্যায়"। ট্রাক গুলো কুলটি-ডুবরি ঝাড়খন্ড সীমানায় পৌঁছালে কৃতজ্ঞচিত্তে পরিযায়ী শ্রমিক
গনেশ রাম পঙ্কজ রায় সরকার কে ফোন করে জানালেন - “হামলগ বর্ডার তক চলা আয়ে।লাল সেলাম।“
এ দিকে আজ সন্ধ্যা বেলায় পরিযায়ী
শ্রমিকদের আরেকটি দল দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন পার্টি অফিসে লাল ঝাণ্ডা দেখে এগিয়ে আসেন
। সেই সময় পার্টি অফিসে ছিলেন পঙ্কজ রায় সরকার,সিদ্ধার্থ বসু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ
। তারা অভুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের খাওয়ানোর ব্যবস্হা করেন । পঙ্কজ রায় সরকার জানিয়েছেন
যে রাতেই তাদের ট্রাকে করে ঝাড়খন্ড সীমানায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
এ দিকে আজ সন্ধ্যায় বাম সংগঠন গুলির ডাকে দুর্গাপুরের সব কটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ির
সামনে প্রয়োজনীয় স্বাস্হ্য বিধি মেনে জমায়েত হয় । গতকাল ঔরঙ্গাবাদে রেলের চাকায় পিষ্ট
নিহত পরিযায়ী শ্রমিকদের স্মৃতিতে মোমবাতি জ্বেলে শ্রদ্ধা জাননোর পাশাপাশি টালবাহানা
ছেড়ে অবিলম্বে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের অবিলম্বে বাড়ী ফেরানোর দাবি জানানো হয় ।
দুর্গাপুর স্টেশনের জিআরপি থানায় ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হয় ও থানার ওসি ডেপুটেশন নিতে অগ্রাহ্য
করলেও বিক্ষোভকারীরা থানায় প্রবেশ করেন ও চাপে পড়ে ওসি স্মারকলিপি নিতে বাধ্য হন ।
Friday 8 May 2020
বিধায়কের সক্রিয় চেষ্টায় মিলল প্রশাসনের অনুমতি : ৩ জেলার থ্যালাসমিয়া রোগীরা পেলেন রক্ত,অনুষ্ঠিত হল রক্তদান শিবির ।
দুর্গাপুর,৮ই মে : আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস । এই উপলক্ষ্যে “দুর্গাপুর সোসাইটি
ফর প্রিভেনশন অফ থ্যালাসেমিয়া অ্যান্ড এডস” এর পক্ষ থেকে আজ সন্ধ্যায় ইস্পাতনগরীর
পাঁচ মাথা মোড়ের কাছে সংস্হার দফ্তরে রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয় । প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৯ জন
মহিলা সহ ২২জন রক্তদান করেছেন । সহায়তা করেছেন দুর্গাপুর মহকুমা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স
ফোরাম ও বিধান নগর মহকুমা হাসপাতাল ।
করোনা মহামারী ও লক ডাউনের মাঝে সংকটজনক
অবস্হার মুখোমুখি হয়েছেন থ্যালাসেমিয়া রোগীরা । এই অবস্হায় সংস্হার পক্ষ থেকে দুর্গাপুর
( পূর্ব)-এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় সাথে যোগাযোগ করা হলে বিধায়ক তৎক্ষণাৎ প্রশাসনের
সাথে যোগাযোগ করেন এবং প্রয়োজনীয় অনুমতি আদায় করেন । এর ফলে আজকের রক্তদান শিবির আয়োজন
করার অনুমতির পাওয়ার সাথে সাথে গত এপ্রিল মাসে ১২জন থ্যালাসেমিয়া রোগী সংস্হার উদ্যোগে
বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে রক্ত গ্রহন করার সুযোগ পেয়ে যান । সহায়তা করেছেন দুর্গাপুর
মহকুমা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম ও বিধান নগর মহকুমা হাসপাতাল । আজকের রক্তদান
শিবিরে উপস্হিত ছিলেন সন্তোষ দেবরায়,প্রদীপ চক্রবর্তি,গোপীরঞ্জন বসু ,কালি সান্যাল
প্রমুখ।
Thursday 7 May 2020
কার্ল মার্কসের ২০৩তম জন্মদিবস স্মরণে ইস্পাতনগরীতে রক্তদান শিবির ।
দুর্গাপুর,৭ই মে : আজ সকালে ইস্পাতনগরীর আশিস-জব্বার ভবনে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি
( মার্কসবাদি )-র দুর্গাপুর ইস্পাত ১ এরিয়া কমিটির উদ্যোগে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত
হয় ।সহায়তা করেছে দুর্গাপুর মহকুমা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম। করোনা মহামারির
মধ্যে রক্তদানের স্বল্পতা ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলোর চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে ।এরই মাঝে
আজকের রক্তদান যথেষ্ঠ আশা ব্যঞ্জক ঘটনা । রক্তদানে এগিয়ে এলেন দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয়
স্টিল প্ল্যান্টের শ্রমিক-কর্মচারি ।অত্যন্ত প্রতিকূলতার মধ্যে রয়েছেন দুর্গাপুর ইস্পাতের
উচ্ছেদ ঠিকা শ্রমিকরা । আজকে তিন জন উচ্ছেদ ঠিকা শ্রমিক রক্তদান করেন । দুজন মহিলা
সহ মোট ২১ জন আজ রক্তদান করেন । প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত
হয় । উপস্হিত ছিলেন দুর্গাপুর ( পূর্ব)-এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়,নির্মল ভট্টাচার্য,সুবীর
সেনগুপ্ত,বিশ্বরূপ ব্যানার্জি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
Tuesday 5 May 2020
ইস্পাতনগরীতে পালিত হল বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা মহান দার্শনিক কার্ল মার্কসের ২০৩তম জন্মদিবস ।
দুর্গাপুর,৫ই মে : মানব সমাজে শ্রেনী-শোষন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের
প্রবক্তা মহান দার্শনিক কার্ল মার্কসের ২০৩তম জন্মদিবস পালিত হল ইস্পাতনগরীতে । এই
উপলক্ষ্যে আশিস-জব্বার ভবনে কার্ল মার্কসের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র
প্রতিষ্ঠায় বৈপ্লবিক অঙ্গীকার করা হয় । মাল্যদান
করেন সন্তোষ দেবরায়,নির্মল ভট্টাচার্য,সুবীর সেনগুপ্ত,দিপক ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ
। এই উপলক্ষ্যে অন্য একটি অনুষ্ঠানে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদি)-র দুর্গাপুর
ইস্পাত ২ এরিয়া কমিটির দপ্তরে কার্ল মার্কসের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান কর্মসূচী পালন করার
সাথে সাথে ৩০০টি পরিবার কে খাদ্যদ্রব্যের সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করা হয় । উপস্হিত ছিলেন
সন্তোষ দেবরায়,
সুবীর সেনগুপ্ত,স্বপন
ব্যানার্জী,আল্পনা চৌধুরী,স্বপন সরকার প্রমুখ ।
Sunday 3 May 2020
করোনার আতঙ্কের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অর্থনৈতিক সঙ্কট : ইস্পাতনগরীতে বাম সংগঠনগুলি মানুষের সাহায্যে হাত বাড়ালো ।
দুর্গাপুর,৩রা মে : আজ সকালে ইস্পাতনগরীর বি.টি.রণদিভে ভবনে আবারও সকাল থেকে নির্ধারিত
দুরত্ব মেনে লম্বা লাইন দিয়ে উচ্ছেদ ও কাজ হারা শ্রমিকরা তাদের পরিবারের জন্য সহায়তা
গ্রহন করলেন । সি.আই.টি.ইউ-ভুক্ত দুর্গাপুর ইস্পাত ট্রেড ইউনিয়ন সমন্বয় কমিটি এই নিয়ে
তৃতীয় দিন চাল-ডাল-আনাজ-সাবান প্রভৃতি সামগ্রী তুলে দিলেন দুর্গত শ্রমিকদের হাতে ।
সি.আই.টি.ইউ এর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বিশ্বরূপ ব্যানার্জী জানিয়েছে এ পর্যন্ত
প্রায় চোদ্দশো পরিবার কে খাদ্য-সামগ্রী দিয়ে সহায়তা জুগিয়েছে দুর্গাপুর ইস্পাত ট্রেড
ইউনিয়ন সমন্বয় কমিটি ।
এ দিকে সঙ্কট ছড়িয়ে পড়েছে আপাত দৃষ্টিতে
সচ্ছল ইস্পাতনগরীতেও । ইস্পাতনগরীর ছোট দোকানদার,হকার্স সহ কাজ হারানো ও দুঃস্হ অবসরপ্রাপ্ত
শ্রমিকদের বহু পরিবার গভীর সংকটের মুখে ।সংকটগ্রস্হ অনেক পরিবারের এ.পি.এল রেশন কার্ড
থাকায় অবস্হা শোচনীয় হয়ে পড়েছে । খাবার জোটানো দায় হয়ে পড়েছে । এই অবস্হায় সাহায্যে
হাত বাড়ালো সেক্টর কমিটি । আজ সকালে, সেক্টর কমিটির সদস্যবৃন্দ সহ এক ঝাঁক তরুন-তরুনী ইস্পাতনগরীর
অশোক এভিন্যু অঞ্চলে ছোট দোকানদার,হকার্স সহ কাজ হারানো ও দুঃস্হ অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক
পরিবারবর্গের হাতে চাল-ডাল-আনাজ-সাবান প্রভৃতি সামগ্রী তুলে দিলেন। দুর্গাপুর ( পূর্ব
) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় সেক্টর কমিটির এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন ।
অন্যদিকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ইস্পাতনগরীর
৫ থেকে ১০ কিমি ব্যবধানে করোনা রোগীর অবস্হান দেখানোয় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ।
এ দিকে আজ ছিল অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন(সি.আই.টি.ইউ)
এর প্রতিষ্ঠা দিবস যা প্রতি বছর ‘শ্রমিক-সংহতি দিবস’ হিসাবে পালিত হয় । এই উপলক্ষ্যে
আজ ইস্পাতনগরীর তিলক রোডে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন(সি.আই.টি.ইউ) এর এএসপি
শাখার দপ্তরে রক্তপতাকা উত্তোলন করা হয় । রক্তপতাকা উত্তোলন করেন মলয় ভট্টাচার্য ।
উপস্হিত ছিলেন সন্তোষ দেবরায়,সুবীর সেনগুপ্ত, বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,ললিত মিশ্র সহ
অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । পরে ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে ২৫ জন দুঃস্হ ঠিকা শ্রমিক পরিবার কে
খাদ্য-সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করা হয় ।
Subscribe to:
Posts (Atom)