দুর্গাপুর,২০শে মে : আরএফআইডি-বায়োমেট্রিক হাজিরা সম্পর্কিত দুর্গাপুর ইস্পাত
কারখানা কর্তৃপক্ষের সার্কুলার বাতিলের দাবি নিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ৭ টি ইউনিয়ন,
সিআইটিইউ-আইএনটিটিইউসি-আইএনটিইউসি-এআইটিইউসি-এইচএমএস-বিএমএস-এআইইউটিইউসি এর যৌথ আহ্বানে
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু হয় । প্রায় চারশ কোটি টাকা খরচ করে বেসরকারী সংস্হার নিয়ন্ত্রনাধীন
শ্রমিকদের “নজরবন্দী” করার জন্য এই ইলেক্ট্রনিক সারভাইলেন্স ব্যবস্হা চালু করতে চাইছে
। পরে যুক্ত হয় নায্য বার্ষিক বোনাস,পুর্নাঙ্গ
বেতন-চুক্তি,৩৯ মাসের এরিয়ার,বেতন-চু্ক্তিতে ঠিকা শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্তি,দুর্গাপুর
ইস্পাত কারখানা ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের আধুনিকীকরন-সম্প্রসারনের কাজ অবিলম্বে শুরু
সহ অন্যান্য বকেয়া দাবি। আরএফআইডি-বায়োমেট্রিক হাজিরা সম্পর্কিত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা
কর্তৃপক্ষের সার্কুলার নিয়ে যখন শ্রমিকদের মধ্য তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে,তখন কর্তৃপক্ষ
আলাপ-আলোচনার পরিবর্তে একতরফা ভাবে চালু করার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা তীব্র প্রতিরোধ
গড়ে তোলে।একটি বেসরকারী সংস্থার হাতে আরএফআইডি-বায়োমেট্রিক
হাজিরার সম্পূর্ন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব আছে ।ইতিমধ্যেই আধর সহ অন্যান্য সুত্র থেকে
বায়োমেট্রিক তথ্য কে চুরি করে সাইবার অপরাধীরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লুঠ করে বহু সাধারন
মানুষ কে সর্বশান্ত করেছে।আদালতের বিভিন্ন রায়ে বায়োমেট্রিক তথ্য জোর করে নেওয়ার বিরুদ্ধে
সুস্পষ্ট রায় আছে।ফলে কর্তৃপক্ষের এহেন উদ্যোগে স্বভাবতই শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও আশংকা
তৈরি হয়েছে।
আজ সকালে, হিন্দুস্থান
স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) এর ডাকে,কারখানার মেইন গেটে,দলে দলে শ্রমিক জড়ো
হয়ে আরএফআইডি-বায়োমেট্রিক হাজিরা সম্পর্কিত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের সার্কুলার
প্রত্যাহার করার দাবিতে জোড়ালো বিক্ষোভ দেখান। উপস্থিত ছিলেন ললিত মোহন মিশ্র,সীমান্ত
চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
No comments:
Post a Comment