দুর্গাপুর,২৪শে মে : গতকাল, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতালের বায়োকেমিস্ট্র বিভাগে নয়া স্বয়ংক্রিয় বিশ্লেষক যন্ত্রের উদ্বোধন করেন দুর্গাপুর ও ইসকো কারখানার ডাইরেক্টর ইনচার্জ । এই উপলক্ষে উদ্বোধনী ফলক এর মধ্যে কেবল হিন্দি ও ইংরাজি ভাষায় লেখা থাকায় সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিল্পী-সাহিত্যিকরা। পঃ বঙ্গ গনতান্ত্রিক লেখক-শিল্পী সংঘের পক্ষে সীমান্ত তরফদার বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেছেন যে কেন্দ্রিয় সরকারের ইস্পাত মন্ত্রকের অধীনস্ত সেইলের অন্তর্গত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতালের নতুন ওয়ার্ড উদ্বোধন একটি আশার সংবাদ। কিন্তু এই উপলক্ষে উদ্বোধনী ফলক এর মধ্যে বাংলা ভাষা অন্তর্ভূক্ত না হওয়া একটি নিন্দনীয় ঘটনা। ১৯৬৮ সাল থেকে কোঠারি কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী দেশে যে ত্রি-ভাষা সূত্র কার্যকর করা হয় গতকালের ঘটনা সেই সূত্র কে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে বাংলা ভাষা কে সংযুক্ত করে নতুন ফলক প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি হিন্দুত্ববাদীদের “হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্থান” স্লোগানের আড়ালে বাংলা সহ অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা কে অবমাননা করে যে ভাবে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন এবং রাজ্য প্রশাসন এর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। মাতৃভাষা উদযাপন কমিটির পক্ষে বিশিষ্ট নাট্য শিল্পী দিপক দেব এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে বাংলা ভাষা কে সংযুক্ত করে নতুন ফলক প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে সাম্প্রতিক কালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ বাংলা ভাষা কে অবমাননা করছে। তার ফলস্বরূপ গতকালের এই নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে কর্তৃপক্ষ “ রাজ ভাষা” সমিতির পৃষ্ঠপোষকতা করে হিন্দি চাপিয়ে দিতে চাইছে,”রাজ ভাষা পকোড়া” অনুষ্ঠানের নামে মোচ্ছব করলেও বাংলা সহ অন্যান্য ভারতীয় ভাষার পৃষ্ঠপোষকতার জন্য কিছুই করে নি। তিনি জানিয়েছেন যে এই বিষয়ে মাতৃভাষা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।



No comments:
Post a Comment