Friday 30 November 2018

ট্রেণিদের উপরে সি.আই.এস.এফ এর বল-প্রয়োগের তীব্র নিন্দা করল সিআইটিইউ ।




দুর্গাপুর,৩০শে নভেঃ: আজ দুর্গাপুর হাউসে কেন্দ্রিয় ইস্পাতমন্ত্রী রাও বীরেন্দ্র চৌধুরির সাথে দেখা করতে চেয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আন্দোলনরত ট্রেণিরা  সি.আই.এস.এফ এর লাঠিচার্য ও বল-প্রয়োগের চরম লাঞ্ছনার শিকার হলেন।  স্হায়িকরন ও অন্যান্য দাবি-দাওয়ার জন্য আন্দোলনরত ট্রেণিদের পাশে থেকে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) ধারাবাহিক লড়াই চালাচ্ছে । আজকের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) এর পক্ষে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী বলেছেন যে বেকারদের কাজ দেওয়ার বদলে কেন্দ্রিয় ও রাজ্য সরকার উভয়েই প্রবঞ্চনা করছে । আজকে  ট্রেণিদের উপরে আক্রমনের ঘটনা তারই  বহিঃপ্রকাশ ।
এদিকে কেন্দ্রিয় ইস্পাতমন্ত্রী রাও বীরেন্দ্র চৌধুরি,কেন্দ্রিয় ইস্পাত সচিব,সেইলের চেয়ারাম্যান, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের সিইও সহ অন্যান্য উচ্চপদস্হ আধিকারিকদের উপস্হিতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গুলির সাথে আলোচনায় সিআইটিইউ এর পক্ষ থেকে অবিলম্বে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিলগ্নিকরনের প্রস্তাব বাতিল,দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের আধুনিকিকরন-সম্প্রসারন, অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের জন্য সরকারি বরাতের ক্ষেত্রে ইস্পাতমন্ত্রীর প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ সহ অন্যান্য বিষয়ে জোড়ালো দাবি তোলা হয় । একই সাথে বেতন-চুক্তির আলোচনা শুরু এবং পেনশন-হাউস রেন্ট সহ  বিগত বেতন-চুক্তির বিভিন্ন বিষয় কে লাগু করার জন্যও সিআইটিইউ এর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়ছে বলে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) এর পক্ষে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী জানিয়েছেন ।

৬ই ডিসেঃ সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি ও সংবিধান-রক্ষার মহামিছিলের জন্য প্রস্তুতি শুরু ।




দুর্গাপুর,৩০শে নভেঃ : আজ সন্ধ্যায় আগামী ৬ই ডিসেঃ সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি ও সংবিধান-রক্ষার মহামিছিলের জন্য প্রস্তুতির উদ্দ্যেশে ইস্পাতনগরীর বি.টি রণদিভ ভবনে এক সভা হয় । দুর্গাপুর(পূর্ব)-এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় এর লিখিত আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই সভায় যোগদান করেন বিভিন্ন ক্লাব ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ট্রেড ইউনিয়ন,রাজনৈতিক দল ও গন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ । সভায় বিভিন্ন বক্তা বর্তমান সময়ে কেন্দ্রে আর.এস.এস এর প্রভাবাধীন বিজেপি পরিচালিত এন.ডি.এ সরকারের মদতে দেশে ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের অশনি সংকেত ও সংবিধান ধ্বংস করার প্রবনতার তীব্র বিরোধীতা করে সারা দেশের সাথে  ইস্পাতনগরীতেও আগামী  ৬ই ডিসেঃ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকি ও বাবাসাহেব আম্বেদকারের মৃত্যুদিবসে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি ও সংবিধান-রক্ষার মহামিছিলের জন্য ঐক্যমত প্রকাশ করেন । ঐ দিন বেলা সাড়ে তিন টায় নেতাজি ভবনের সামনে ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তির পাদদেশ থেকে চন্ডিদাস বাজার পর্যন্ত মহামিছিল হবে । সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবীন শ্রমিক নেতা রথিন রায় ।



প্রয়াত শিল্পী শিউলি গাঙ্গুলী ।




দুর্গাপুর,৩০শে : আজ সকালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতালে প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট শিল্পী শিউলি গাঙ্গুলী । দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রতিভাবান এই শিল্পীর মৃত্যু কালে বয়স হয়েছিল মাত্র ৪২ বছর । ভারতীয় গণ নাট্য সংঘের ইস্পাত শাখার (দুর্গাপুর )  পত্রিকা সম্পাদিকা শিউলি গাঙ্গুলী ছিলেন একাধারে ছিলেন বিশিষ্ট নজরুলগীতি,লোকসঙ্গীত ও গণসঙ্গীত শিল্পী । অন্যদিকে মঞ্চ ও পথ নাটকেও অভিনয় করতেন । সকালে তাঁর মরদেহ বি.টি.রণদিভে ভবনে নিয়ে আসা হলে মরদেহে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান দুর্গাপুর ( পূর্ব )-এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় , ভারতীয় গণ নাট্য সংঘের জেলা সম্পাদক অভিজিত মিত্র,গনতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের জেলা নেতৃত্ব সহ দুর্গাপুরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন,শিল্পী ও সমাজের সর্বস্তরের মানুষ । পরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় । তাঁর ইচ্ছানুযায়ী মরণত্তোর চক্ষুদান করা হয়েছে ।

Wednesday 28 November 2018

ইস্পাতনগরীতে পালিত হল কমরেড ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসের ১৯৯-তম জন্মদিন ।




দুর্গাপুর,২৮শে নভেঃ : আজ ইস্পাতনগরীতে পালিত হল কমরেড ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসের ১৯৯-তম জন্মদিন । এই  উপলক্ষ্যে আশিস-জব্বার ভবনে কমরেড  এঙ্গেলসের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান সুবীর সেনগুপ্ত,কাজল চ্যাটার্জি,স্বপন ব্যানার্জি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও পার্টি কর্মিরা ।



এইচ.এস.ই.ইউ এর ডাকে অবিলম্বে ইস্পাত শিল্পে বেতন-চুক্তির দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ ।




দুর্গাপুর,২৮শে নভেঃ : রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত উৎপাদনকারী সংস্হা সেইল ও আর.আই.এন.এল এর বেতন-চুক্তির( এন.জে.সি.এস) নির্ধারিত সময়ের পর প্রায় দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনও বেতন-চুক্তির আলোচনা শুরু করে নি কর্তৃপক্ষ । অন্য দিকে পেনশন-হাউস রেন্ট সহ  বিগত বেতন-চুক্তির বিভিন্ন বিষয় কে লাগু করার বিষয় কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যাচ্ছে । আজ এই সব বিষয়ে অবিলম্বে সমাধান চেয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা কারখানার ইডি(ওয়ার্কস)-এর দফ্তের সামনে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ)-এর ডাকে সমবেত হয়ে জোড়ালো বিক্ষোভ দেখান । অন্যান্য দাবি ছাড়াও ট্রেণিদের স্হায়িকরন ও অন্যান্য দাবি এবং সেফটি –সংক্রান্ত বিষয়ে দাবিতেও আজকের সমাবেশ সোচ্চার হয় । সমস্ত দাবির সমাধান জানিয়ে ইউনিয়নের এক প্রতিনিধিদল ইডি(ওয়ার্কস)-এর কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় । বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জী , ললিত মিশ্র ও প্রদ্যুৎ মুখার্জি ।







Sunday 25 November 2018

শিল্পী-সাহিত্যিক-গবেষক-সংগঠক ও পার্টি সদস্য অশোক দাসের স্মরন সভা ।




দুর্গাপুর,২৫শে নভেঃ : আজ বিকালে সেইল সমবায় অঞ্চলে নজরুল মঞ্চের মুক্তাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হল শিল্পী-সাহিত্যিক-গবেষক-সংগঠক ও পার্টি সদস্য অশোক দাসের স্মরন সভা । গত ২২শে অক্টোবর প্রয়াত হয়েছেন অশোক দাস। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদি )-র দুর্গাপুর ইস্পাত ২ এরিয়া কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই স্মরনসভায় পার্টি ও গন সংগঠনের সদস্যরা ছাড়াও উপস্হিত ছিলেন দুর্গাপুরের শিল্পী-সাহিত্যিকরা । প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্যে দিয়ে স্মরণসভার কাজ শুরু হয় । মাল্যদান করেন সন্তোষ দেবরায়,অলোক ভট্টাচার্য,রথিন রায়,সুবীর সেনগুপ্ত,পঙ্কজ রায়সরকার প্রমূখ । শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন স্বপন ব্যানার্জী । স্মরন সভায় অশোক দাসের বহুমুখী শিল্প প্রতিভার সাথে সাথে সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও শিক্ষক আন্দোলনের সংগঠক ও সর্বোপরি পার্টি সংগঠক হিসাবেও তার অগ্রগন্য ভূমিকার কথা আলোচনা করেন বক্তারা । ১৯৭৬ সালে তিনি পার্টি সভ্যপদ লাভ করেন । দুর্গাপুরে আসার আগে তিনি শাখা সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন । মৃত্যুকালে তিনি ভারতীয় গণনাট্য সংঘের জেলা সভাপতি ও আদিবাসি ও লোক শিল্পী সংঘের রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন । স্মৃতিচারন করতে গিয়ে পার্টি নেতৃত্ব ও বক্তারা কিভাবে প্রয়াত অশোক দাসের মত এক বড় মাপের শিল্পী-গবেষক জটিল সময়ের মধ্যেও পার্টির কাজ সমান গুরুত্ব সহকারে করে গেছেন,সহজ-সরল অনারম্বর জীবন-যাপন-মিশুকে অশোক দাস সাধারন মানুষ-সহকর্মি-ছাত্র-ছাত্রী সকলের কাছে ‘মাষ্টার মশাই’ হয়ে উঠতে পেরেছিলেন,সেই দৃষ্টান্তমূলক জীবনবোধের কথা তুলে ধরেন এবং তা অনুসরন করার আহ্বান জানান । বক্তব্য রেখেছেন সন্তোষ দেবরায়,রথিন রায়,সলিল দাসগুপ্ত,সীমান্ত তরফদার , আল্পনা চৌধুরী ও পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলে চিত্র শিল্পী ঋত্বিক দাস।
















Friday 23 November 2018

৮-৯ই জানুঃ দেশ ব্যাপি সাধারন ধর্মঘট সফল করার জন্য ইস্পাত শ্রমিকদের কনভেনশন ।




দুর্গাপুর,২৩শে নভেঃ : আজ সন্ধ্যায় সি.আই.টি.ইউ-ভুক্ত ইউনিয়ন গুলির ডাকে ইস্পাতনগরীর বি.টি.রনদিভে ভবনে দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের শ্রমিক-কর্মচারিদের যৌথ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় । ১০-টি কেন্দ্রিয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ২৭টি সর্ব ভারতীয় ফেডারেশনের আহুত আগামী ৮-৯ই জানুঃ ১২-দফা দাবিতে দেশ ব্যাপি সাধারন ধর্মঘট সফল করার জন্য ইস্পাত শ্রমিকদের জোড়ালো প্রস্তুতির আহ্বান জানান নেতৃবৃ্ন্দ । ইতিমধ্যেই দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে । দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে চলছে অভূতপূর্ব শিল্প-সংকট । একের পর এক কারখানা বন্ধ হচ্ছে । হাজার হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন । নতুন শিল্প আসে নি । ১২-দফা দাবির সাথে যুক্ত হয়েছে দুর্গাপুর বাঁচাও-এএসপি বাঁচাও-ডিএসপি বাঁচাও আন্দোলনের দাবি সমূহ । কনভেনশন থেকে দুর্গাপুরে আগামী ৩রা ডিসেঃ সূর্যকান্ত মিশ্র ও আগামী ৮ই ডিসেঃ তপন সেন,সঞ্জীব রেড্ডি সহ সর্বভারতীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের উপস্হিতিতে শ্রমিক কনভেনশন কে সফল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । এর সাথে গত ১৯শে নভেঃ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সেইলে-র প্রোডাকশান-প্রোডাক্টিভিটি কমিটির মিটিং এর বিবরন দেওয়া হয় । ঐ মিটিং-এ সি.আই.টি.ইউ পুনরায় অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিক্রির নির্দেশ অবিলম্বে বাতিল, অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনিকিকরন-সম্প্রসারন,পেনশন-হাউস রেন্ট সহ বিগত এনজেসিএস এর বকেয়ার ফয়সালা,হাসপাতাল-জল-বিদ্যুৎসহ ইস্পাতনগরীর সামগ্রিক নাগরিক পরিষেবার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের দাবি জানায় । কনভেনশনে বক্তব্য রেখেছেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জী , দীপক ঘোষ ও রথিন রায় ।

Sunday 18 November 2018

দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হল পশ্চিমবঙ্গ গনতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের পশ্চিম বর্ধমান জেলার দশম সম্মেলন ।




দুর্গাপুর,১৮ই নভেঃ : আজ ইস্পাতনগরীর লালা লাজপত রায় রোডের চিত্তব্রত মজুমদার ভবনে ,” ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় নগর,সুধীর রায় মঞ্চ” – এ অনুষ্ঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ গনতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের পশ্চিম বর্ধমান জেলার দশম সম্মেলন । সকালে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের কাজ শুরু হয় । পতাকা উত্তোলন সংঘের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি আশিস ভট্টাচার্য । সম্মেলনের উদ্বোধন করতে গিয়ে সংগঠনের রাজ্য যুগ্ম সাধরন সম্পাদক রজত বন্দ্যোপাধ্যায় স্মরন করিয়ে দেন কিভাবে ১৯৭০-এর দশকে সংকটজনক সময়ে সংগঠনের জন্ম হয় এবং  বিকাশ ঘটে । তিনি বলেন যে আজকের সময়ে সংকট আরও ভয়ংকর , সর্বগ্রাসী ও সর্বব্যাপি । আজ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন শুধু শারীরিক ভাবে নয় , আক্রান্ত হচ্ছেন মননে,চেতনায় । এই প্রসঙ্গে তিনি সাম্প্রতিক বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী শুভ প্রসাদ নন্দী মজুমদারের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন । তিনি বলেন ইতিহাস মুছে ফেলার চক্রান্ত চলছে । প্রখ্যাত সমাজতত্ববিদ জিগমুন্ড বাউম্যানের বই রেট্রোপিয়ায় বর্ণিত ‘ কাল্পনিক অতীত ‘ প্রতিস্হাপিত করার চেষ্টা চলছে । চলছে সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া কে ব্যবহার করে ‘পোস্ট ট্রুথ ‘ বা মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত করার চক্রান্ত । বহুত্ববাদি সমাজ ছাড়া ভারতের মহান শিল্প ও সাহিত্য সৃষ্টির চেষ্টা অবাস্তব ।  যখন প্রতিক্রিয়ার শক্তি এত সুসংগঠিত তখন মানবতার,সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ শিল্পী-সাহিত্যিকদের সংগঠিত হওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই । সংগঠন কে শক্তিশালী করতে হবে । এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে নতুন দিশায় । সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বাড়াতে হবে । তিনি স্মরন করিয়ে দেন সংগঠনের মূলমন্ত্র – জীবন আছে / আমরা আছি / সৃষ্টি এবং সংগ্রামে ।
অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় সম্মেলনে আগত প্রতনিধিদের স্বাগত জানিয়ে দুর্গাপুরের শ্রমিক আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের দীর্ঘ মেলবন্ধনের কথা উল্ল্যেখ করে এই বন্ধন আরও মজবুত করার আহ্বান জানান ।
সম্মেলনে ১৬৫ জন প্রতিনিধি যোগদান করছিলেন । সম্মেলন ৩৬ জনের নতুন জেলা কমিটি নির্বাচিত করেছে । সভাপতি নির্বাচিত হয়ছেন আশিস ভট্টাচার্য । যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অনুপ মিত্র ও সীমান্ত তরফদার ।























Saturday 17 November 2018

নভেম্বর বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদের বিপদ সম্পর্কে আলোচনা সভা ।




দুর্গাপুর,১৭ই নভেঃ : মহান নভেম্বর বিপ্লব বার্ষিকির শেষ দিনে আজ সন্ধ্যায় ইস্পাতনগরীর বি.টি.রণদিভে ভবনে অনুষ্ঠিত হল আলোচনা সভা । পশ্চিমবঙ্গ গনতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের পশ্চিম বর্ধমান জেলার ১০-ম সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত “ নভেম্বর বিপ্লবের আলোকে ফ্যাসিবাদের বিপদ : অতীত ও বর্তমান “ – শীর্ষক আলোচনা সভায় একমাত্র আলোচক ছিলেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ সুস্নাত দাস । অডিও-ভিস্যুয়াল মাধ্যমের সহায়তায় আলোচনা সহজবোধ্য করে শ্রোতাদের কাছে  তুলে ধরেন শ্রী দাস । তিনি তুলে ধরনে শ্রমিক-কৃষক মৈত্রির ভিত্তিতে কি ভাবে কমরেড লেনিনের সুদক্ষ নেতৃত্বে বলশেভিক পার্টি  চরম প্রতিক্রিয়াশীল পুঁজিবাদি-সাম্রাজ্যবাদি শক্তি কে পরাভূত করে ,কঠোর হাতে গৃহযুদ্ধ কে দমন করে পৃথিবীর প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কে টিঁকিয়ে রাখতে পেরেছিল । প্যারি কমিউন যা সম্ভব করতে পারে নি,সোভিয়েত তা করে দেখিয়েছিল । পরবর্তীতে কমরেড স্তালিনের নেতৃত্বে সেই সমাজতন্ত্র-সোভিয়েত-কমিউনিস্ট পার্টি সারা বিশ্বে ফ্যাসি-বিরোধী মানুষের বৃহত্তম মঞ্চ গড়ে তুলে বিশ্ব কে হিটলার-মুসোলিনি-তোজোর নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিবাদের চরম বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন ।
আজ সারা বিশ্ব জুড়ে আন্তর্জাতিক ফিনান্স পুঁজির চরমতম মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে আবারও ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে জন্মলগ্ন থেকে ফ্যাসিবাদের ধারক-বাহক আর.এস.এস আজ মোদি সরকারের মাধ্যমে দেশে হিংস্রতম কর্পোরেট লুঠ সংগঠিত করা লক্ষ্যে ভারত কে যে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের রূপ দিতে চাইছে তা প্রকৃতপক্ষে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র ফ্যাসিবাদ হল পুঁজিবাদের হিংস্রতম বহিঃপ্রকাশ যা শেষ পর্যন্ত বুর্জোয়া গনতন্ত্র কেও ধংস্ব করে জনগন কে সরাসরি গোলামে পরিনত করতে চায় এর বিরুদ্ধে জনগনের ব্যপক থেকে ব্যপকতম ঐক্য গড়ে তোলার সংগ্রামই আজ ভারতে এই ফ্যাসিস্ত-সুলভ শক্তির উথ্থান কে রুখতে পারে ; যার পথ নির্দেশ আজও করে যায় মহান নভেম্বর বিপ্লবের শিক্ষা
আলোচনা শুরু হওয়ার আগে সুস্নাত দাস কে সম্বর্ধনা জানান রথিন রায়,সন্তোষ দেবরায়,অনুপ মিত্র ও বিশ্বরূপ ব্যানার্জী । সঞ্চালনা করেন সৌরভ দত্ত ।







Friday 16 November 2018

দুর্গাপুরে শিল্পের অমানিশা কাটাতে জোরদার লড়াই এর ডাক দিল ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ ।




দুর্গাপুর,১৬ই নভেঃ : উৎসবের দিন কাটতেই ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ “ সেভ এএসপি – সেভ ডিএসপি – সেভ দুর্গাপুর “ এর পক্ষ থেকে দুর্গাপুরে কল-কারখানার ঘন অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে জোরদার লড়াই এর ডাক দিল । বিগত ২ বছর ধরে যৌথ মঞ্চ কেন্দ্রিয় সরকারের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট কে বিক্রি করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক লড়াই গড়ে তুলেছে । অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিলগ্নিকরন বাতিল, অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনিকিকরন-সম্প্রসারনের দাবিতে এই লড়াই দুর্গাপুরের অন্যান্য কল-কারখানার শ্রমিকদের উজ্জ্বীবিত করেছে । এর ফলশ্রুতি তে সমগ্র দুর্গাপুরের শ্রমিক ও কেন্দ্রিয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলি কনভেনশনের মধ্য দিয়ে  সমস্ত কল-কারখানার বাঁচানো লড়াই কে এক ছাতার তলায় এনে যৌথ মঞ্চের ঐক্যবদ্ধ লড়াই কে সারা দুর্গাপুরে ছড়িয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
  কেন্দ্রিয় ও রাজ্য সরকারের নীতির ফলে গোটা দুর্গাপুর জুড়ে চলছে শিল্পের মড়ক চলছে । বর্তমানে নতুন কোন শিল্প আসে নি কর্মসংস্হানের কোন সুযোগ না থাকার ফলে শিল্পনগরীর ছেলে-মেয়েরা ভিন রাজ্যে বা বিদেশে কাজের আশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে
আজ দুর্গাপুর ‘দুর্দশাপুর’-এ পরিনত হতে চলেছে বিশ্বায়নের হাত ধরে কেন্দ্র রাজ্য সরকারের নীতিগত অবস্হানের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে এম..এম.সি/এইচ.এফ.সি/ বি..জি.এল/রিফ্যাকট্রি সহ ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব এবং ২৪টি বেসরকারি কারখানা সেই সাথে বন্ধ হয়েছে বিভিন্ন অনুসারী শিল্পের কারখানা ,পরিষেবা সংস্হা ও কয়লা খনি। ফলে কর্মচ্যূত হয়েছেন প্রায় আড়াই লক্ষ শ্রমিক এম..এম.সি কারখানার পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট সরকারের উদ্যোগে ২০১৩ সালে হাইকোর্টের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকায় একটি কনসোর্টিয়াম ( কোল ইন্ডিয়া,ডিভিসি,ভারত আর্থ মুভার্স কে নিয়ে তৈরি ) ক্রয় করা সত্বেও ,আজ পর্যন্ত সেই কারখানা খোলার কোন উদ্যোগ বর্তমান রাজ্য সরকার দেখায় নি ২০০২ সালে বন্ধ হয়ে গেছে ভারত অপথ্যালমিক (বি..জি.এল ) এই কারখানার কর্মচ্যূত শ্রমিক-কর্মচারিরা আজও তাদের প্রাপ্য পি.এফ.-গ্র্যাচ্যুইটির টাকা পান নি রাজ্য সরকার নির্লিপ্ত কেন্দ্রিয় সরকার ৬টি বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ব সার কারখানার খোলার উদ্যোগ নিলেও সেই তালিকায় নেই দুর্গাপুরের ফার্টিলাইজার কারখানা (এইচ.এফ.সি ) খোলার দাবিতে রাজ্যের বাম পরিষদিয় দল নেতা, দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর সি.পি.আই.(এম) বিধায়ক  মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে এবং সি.আই.টি.ইউ এর সাধারন সম্পাদক  কেন্দ্রিয় সরকারের কাছে দাবি জানালেও,  উভয়  সরকারই নিশ্চুপ থাকে ! ভ্যালুয়েশন অনুসারে কারখানাটির মূল্য ২০১২ সালের  ছিল ৭০৬.২৭ কোটি টাকা অথচ বর্তমানে তা মাত্র ৭০ কোটি টাকায়  বিক্রি করে দেওয়া হল
দুর্গাপুর কেমিক্যালসের ১০০% বিলগ্নিকরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার । দুর্গাপুর প্রোজেক্টস লিমিটেড ( ডি.পি.এল ) এর কোক ওভেন প্ল্যান্টের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার । ।ডিটিপিএস এর নতুন পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি না হলে ডিটিপিএস এর ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেবে । দুর্গাপুর ব্যারেজ শিল্পনগরীর একমাত্র জলের উৎস । জন্মলগ্ন থেকে ব্যারেজের ড্রেজিং অবহেলিত । ফলে ব্যারেজের নাব্যতা ক্রমাগত কমে যাওয়ায় শিল্প সহ পানীয় জলের সরবরাহের সংকটের আশংকা বাড়ছে ।
এই সব সমস্যার অবিলম্বে সমাধানের দাবি জানিয়ে আজ যৌথ মঞ্চের ডাকে গান্ধী মোড় থেকে শ্রমিকদের এক বিশাল মিছিল সিটি সেন্টারে এসডিও দফ্তরে যায় ও যৌথ মঞ্চের এক প্রতিনিধিদল দশ-দফা দাবি সম্বলিত এক দাবি-পত্র পেশ করেন । সমাবেশ চলাকালিন বক্তব্য রাখেন যৌথ মঞ্চের যুগ্ম-আহ্বায়ক বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী ও বিকাশ ঘটক সহ সি.আই.টি.ইউ-আই.এন.টি.ইউ.সি-এ.আই.টি.ইউ.সি-টি.ইউ.সি.সি- এ.আই.ইউ.টি.ইউ.সি এর নেতৃবৃন্দ ।