Sunday 30 June 2019

কিশোর বাহিনীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হলো সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা ।



দুর্গাপুর,৩০শে জুন : আজ ইস্পাতনগরীর সুরেনচন্দ্র মডার্ন স্কুলে, কিশোর বাহিনীর ইস্পাত অঞ্চল সমিতির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হলো মনতোষ চন্দ্র দত্ত স্মৃতি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা-২০১৯ । শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সব স্তরের ৫৫০ জন প্রতিযোগী সংগীত-আবৃতি-ক্যুইজ-অঙ্কন-নৃত্য প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছেন । প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন সুরেনচন্দ্র মডার্ন স্কুলের সম্পাদক সুশান্ত পোদ্দার । উপস্হিত ছিলেন দুর্গাপুর ( পূর্ব)-এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়, কিশোর বাহিনীর পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রধান পরিচালক নিরঞ্জন পাল,মুখ্য সংগঠক প্রবোধ মন্ডল,কিশোর জগৎ পত্রিকার সম্পাদক ধীরেন শূর সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ।





Thursday 27 June 2019

শান্তি ও সম্প্রীতির আহ্বান ইস্পাতনগরীরতে জানিয়ে মিছিল ।




দুর্গাপুর,২৭শে জুন : ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী)-র দুর্গাপুর ইস্পাত ১,২ ও ৩ এরিয়া কমিটির ডাকে নির্বাচনের পরে তৃণমূল-বিজেপির ইন্ধনে রাজ্য জুড়ে ঘটে চলা ক্রমাগত হিংসা বিরুদ্ধে,সি.পি.আই.(এম) কর্মীদের খুন ও রাজ্যের শাসকদলের কাটমানি-কেলেংকারির বিচার চেয়ে এবং তৃণমূল-বিজেপির চক্রান্তে সাম্প্রদায়িক হানাহানি রোখার আহ্বান জানিয়ে আজ বিকালে ইস্পাতনগরীর বুকে মিছিল হোল । মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সন্তোষ দেবরায়,পঙ্কজ রায় সরকার,নির্মল ভট্টাচার্য,সুবীর সেনগুপ্ত প্রমূখ । মিছিল ট্রাঙ্ক রোড মোড় হয়ে শালবাগান মোড় ও নিশানহাট বস্তি অঞ্চলের উপর দিয়ে যায় । ভোটের পরে এই অঞ্চলে দুই পাড়ার মধ্যে সংঘর্ষ কে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি উত্তেজনায় মদত যোগায় ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করে । স্হানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙ্গচূর  ও বোমাবাজি হয়। পুলিশী অভিযানে বহু নিরীহ মানুষ অত্যাচারিত হয় । মিছিল এই অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় ঘর থেকে বেড়িয়ে বহু মানুষ রাস্তায় এসে দাঁড়ান । মিছিল শেষ হয় ট্রাঙ্ক রোড ফুটবল ময়দানে ।  






Sunday 23 June 2019

শিক্ষাকে বিজ্ঞানমনস্ক ও কুসংস্কারমুক্ত করে তুলতে হবে : ডঃ পবিত্র সরকার




দুর্গাপুর,২৩শে জুন : আজ সন্ধ্যায় ইস্পাতনগরীর বি.টি.রণদিভে ভবনে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবর্ষ উপলক্ষ্যে বিদ্যাসাগর স্মারক বক্তৃতায় ,’শিক্ষা,জীবকা ও সমাজ’- শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন ডঃ পবিত্র সরকার । তিনি ছিলেন একমাত্র আলোচক । তিনি আরও বলেন প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য শিক্ষা কে বাস্তবমুখী,সময়োপযোগি ও সমাজ গঠনের সহায়ক হতে হবে ।    
        
       এর আগে,আলোচনা সভার শুরুতে ভাষাবিদ ও শিক্ষাবিদ ডঃ পবিত্র সরকার কে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় । সংবর্ধনা দেওয়া হয় সোহম মিস্ত্রি ও শুভদীপ মন্ডল কে । সোহম মিস্ত্রি এবছরে পঃ বঙ্গের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম স্হান অধিকার করেছেন ।এছাড়াও আইআইটির প্রবেশিকায় ৪৮-তম,সিবিএসসি-র দ্বাদশ শ্রেনীর পরীক্ষায় রাজ্যে তৃতীয় স্হান,ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রবেশিকায় ১০-ম ও কিশোর বিজ্ঞানীদের ( কেভিপিওয়াই) সর্বভারতীয় পরীক্ষায় ১৯-তম স্হান দখল করেছে সোহম মিস্ত্রি। মুম্বাই আইআইটি তে কম্প্যুটার সায়েন্স নিয়ে পড়বেন সোহম মিস্ত্রি । সোহমের বাবা পঙ্কজ মিস্ত্রি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ই.টি.এল বিভাগে ও মা দোলা মিস্ত্রি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আর.সি ল্যাবে কর্মরত শ্রমিক । নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমির ছাত্র শুভদীপ মণ্ডল এ বার মাধ্যমিকে ৬৬৩ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।রাজ্যে শুভদীপই দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে।সঙ্গীতে দক্ষ শুভদীপ মণ্ডল নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমিতে কলা বিভাগে ভর্তি হয়েছেন।শুভদীপের বাবা আদিত্য মণ্ডল দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের (ডিএসপি) কর্মী।
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন দুর্গাপুর (পূর্ব) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়,প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ জীবন রায় সহ ইউনিয়ন এর ও গন আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ । সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৌরভ দত্ত । সভাপতিত্ব করেন কাজল মজুমদার । অনুষ্ঠানের সূচনায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক শাখার শিল্পীরা ।























Wednesday 19 June 2019

অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিক্রি রুখতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াইএর শপথ ।




দুর্গাপুর,১৯শে জুন : আজ বিকালে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ইডি(ওয়ার্কস) এর দফ্তরে এক বিশাল প্রতিবাদ সভায় শ্রমিকরা স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিলেন কারখানা বিক্রির যে কোন চেষ্টা তারা চরম বিরোধিতা করবেন । সি.আই.টি.ইউ-আই.এন.টি.ইউ.সি- আই.এন.টি.টি.ইউ.সি-র ডাকে আজকের বিক্ষোভ সমাবেশে শ্রমিকরা কারখানার থেকে মিছিল করে আসেন ।
  নির্বাচনের মাঝে মোদি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা বিক্রির নতুন পরিকল্পনার কথা শোনায় । এই পরিকল্পনায় নীতি আয়োগের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা নিলামের মাধ্যমে বিক্রির সংস্হান রাখা হয়েছে । সেইলের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট,ভদ্রাবতি ও সালেম স্টিল প্ল্যান্ট সহ ৪২টি রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা সরাসরি এই কায়দায় নিলামের মাধ্যমে বিক্রির দিকে এগোচ্ছে ।অথচ গত অর্থবর্ষে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ৮২০ কোটি টাকার বানিজ্য করে শ্রমিক-আধকারিকদের বেতনের খরচা মিটিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে ১০০ কোটি টাকা শুল্ক বাবদ তুলে দিয়েছে । ক্ষতির পরিমান বিগত বছরের তুলনায় চার কোটি টাকা কমেছে । এই মূহুর্তে হাতে আছে প্রচুর অর্ডার । প্রকৃত অর্থে আন্তর্জাতিক মানের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের উৎপাদিত বিশেষ ইস্পাত দেশের আলপিন থেকে আনবিক – সকল ক্ষেত্রে অপরিহার্য উপাদান ।      
     এই অবস্হায় যখন স্হায়ী ও ঠিকা শ্রমিকরা উৎপাদনের স্বার্থে আপ্রান পরিশ্রম করছেন, তখন কতিপয় আধিকারিক শ্রমিক বিরোধী আচরন করছেন বলে শ্রমিকরা অভিযোগ তুলেছেন ।কর্তৃপক্ষ স্হায়ী শ্রমিকদের ‘এক্সিট পাস’ দেওয়া বন্ধ করছে । চরমে উঠেছে ঠিকা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আচারন । তাদের পাঁচ কিস্তি বকেয়া ভিডিএ দীর্ঘদিন ধরে দেওয়া হয় নি । ঠিকা শ্রমিকদের গালিগালাজ,ছুটি মঞ্জুর না করা,গেটপাশ কেড়ে নিয়ে কাজের থেকে বের করে দেওয়ার হুমকির মত বিশৃংখল কাজে লিপ্ত হয়েছেন কতিপয় আধিকারিক । এই অবস্হা চরমে ওঠে গত ৫ই জুন । ঐদিন ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ আলোচনার জন্য গেলে ,জিএম ( আই.সি.,ওয়ার্কর্স) নেতৃবৃন্দের সাথে অশালীন আচরন করেন বলে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন । এই ঘটনায় শ্রমিকরা ক্ষোভে ফুঁসছিলেন । আজকের সমাবেশে বক্তারা ক্ষোভ উগরে দিয়ে কর্তৃপক্ষ কে মোদি সরকারের কারখানা বিক্রির জন্য প্ররোচকের ভূমিকা পালন করা থেকে বিরত থাকার জন্য হুঁশিয়ারি দেন । একই সাথে কারখানা বিক্রি রুখতে যে কোন রকম পরিস্হিতির মোকাবিলার জন্য বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার জন্য বক্তারা আহ্বান জানান । বক্তব্য রেখেছেন বিজয় সাহা,ললিত মিশ্র,মতিলাল সিনহা,চন্দন ঘোষ,রাজা চ্যাটার্জী,অনিত মল্লিক,বিকাশ ঘটক,বিনয়েন্দ্রকিশর চক্রবর্তী ও দুর্গাপুর(পূর্ব) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় । সমাবেশ চলাকালীন যৌথ প্রতিনিধিদল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন ।









Tuesday 18 June 2019

ইস্পাতনগরীতে জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবার ক্রমাবনতির বিরুদ্ধে সি.আই.টি.ইউ এর ডাকে বিক্ষোভ-সমাবেশ ।



দুর্গাপুর,১৮ই জুন: গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে ইস্পাতনগরীতে তৈরি হওয়া জল ও বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে জেরবার হচ্ছেন মানুষ । দফায় দফায় সারাই করার জন্য শাট ডাউন করার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহের উপর প্রতিকূল প্রভাব পড়েছে । আবার ‘নিয়ন্ত্রিত’ জল সরবরাহের নামে অপর্যাপ্ত জল সরবরাহের ফলে এই গরমে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে । আজ এর প্রতিবাদে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সি.আই.টি.ইউ ) এর জরুরী ডাকে সারা দিয়ে দলে দলে শ্রমিক দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ইডি ( ওয়ার্কস) এর দফ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান । সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,ললিত মিশ্র,প্রদ্যুত মুখার্জী ও বাবুরাম শর্মা । প্রায় ৬০ বছরের পুরানো ইস্পাতনগরীতে  নাগরিক পরিষেবার পরিকাঠামো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে । সময়ের সাথে সাথে লোকসংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে , চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে,কিন্তু তার সাথে সংগতিপূর্ন পরিষেবা পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ইস্পাত কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করছে না বলে অভিযোগ করেছেন বক্তারা । হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে এই বিষয়ে ধারাবাহিক ভাবে আন্দোলন করে ইস্পাত কর্তৃপক্ষ কে সতর্ক করা হলেও , কর্তৃপক্ষ ভ্রুক্ষেপ করে নি । জল সরবরাহ ব্যবস্হার সাথে সাথে জলের উৎস্হলও বিপন্ন হয়ে পড়েছে । ডিভিসি-র ক্রমান্বয় অবহেলায় সমগ্র দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের জল সরবরাহের উৎস দামোদর নদের চ্যানেল পলি পরে বুজে এসেছে । এই অবস্হায় ভয়াবহ পরিস্হিতির মোকাবিলায় ইউনিয়ন সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিলেও , ইস্পাত কর্তৃপক্ষ উপেক্ষা করছে কারন মোদি সরকারের ঘোষিত নীতি হল সেইলের টাউনশীপের বেসরকারীকরন । ফলে ইস্পাতনগরীর জল সহ সমস্ত পরিষেবা বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে । অন্যদিকে ইস্পাত কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সহ অন্যান্য পরিষেবার বেপরোয়া মূল্য বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে । কিন্তু পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মেরামতি অথবা রক্ষনাবেক্ষন এবং আধুনীকিকরনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয়-বরাদ্দ করছে না । এর ফলে বিপত্তি ঘটছে বলে বক্তারা অভিযোগ তোলেন । সমাবেশ চলাকালিন ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে,কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে অবিলম্বে ইউনিয়নের সাথে আলোচনার দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে বলে ফিরে এসে প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বাবুরাম শর্মা জানিয়েছেন । ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী জানিয়েছেন যে ইস্পাতনগরীর পরিষেবা বেসরকারীকরন বিরুদ্ধে ও  ইস্পাতনগরীর পরিষেবা উন্নতির জন্য ধারাবাহিক লড়াই করছে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। আজকে যখন সেইল ও দুর্গাপুর ইস্পাত লাভের মুখ দেখেছে তখন এই লড়াই ইউনিয়ন জোরদার করবে । উৎপাদনের স্বার্থেও দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষের ইস্পাতনগরীর পরিষেবা উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয়-বৃদ্ধি ও অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত ।





Friday 14 June 2019

সেইলের মেডিক্লেম নিয়ে অচলবস্হা কাটানোর দাবিতে বিক্ষোভ : বায়োমেট্রিক হাজিরা নিয়ে বিক্ষোভ চলছে ।




দুর্গাপুর,১৪ই জুন : সেইলের ২০১৯-২০ বর্ষে মেডিক্লেম নিয়ে চরম জটিলতা তৈরি হয়েছে । প্রথম দফায় মাত্র তিন মাসের ( ১১ই এপ্রিল থেকে ১০ই জুলাই ) জন্য মেডিক্লেমের রিন্যুয়াল হয়েছে । বছরের বাকি সময়ে কি হবে,তাই নিয়ে চরম আতংকের মধ্যে দিন কাঠাচ্ছেন সেইল ( স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) এর অবসরপ্রাপ্ত মেডিক্লেমের সদস্যরা । ইতিমধ্যে সেইল রিটেয়ারিস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে দফায় দফায় সেইল কর্তৃপক্ষ ও ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ইনস্যুরেন্স এর সাথে আলোচনায় বসলেও জট কাটেনি । এর ফলে মেডিক্লেম ব্যবস্হা লাটে ওঠার আশংকা তৈরি হয়েছে । অবিলম্বে অচলবস্হা কাটানোর দাবিতে আজ সকালে দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের অবসরপ্রাপ্তদের সংগঠন এক্স এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসো: ও সহমর্মী-র যৌথ আহ্বানে দুর্গাপুর ইস্পাতের নগর প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ হয় । সমাবেশে অবসরপ্রাপ্তদের বিভিন্ন সংগঠন ও সি.আই.টি.ইউ-আই.এন.টি.ইউ.সি-এ.আই.টি.ইউ.সি এর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখা হয় । বক্তব্য রেখেছেন এস.কে.দাস,পি.কে.দাস,স্বপন মজুমদার,কাজল মজুমদার,মলয় ভট্টাচার্য,সুব্রত ভট্টাচার্য,নিরঞ্জন রায়,কে.কে পাল ও অশোক চক্রবর্তী । বক্তারা অবিলম্বে  সেইলের মেডিক্লেম নিয়ে অচলবস্হা কাটানোর জন্য সেইল কর্তৃপক্ষ কে উদ্যোগী হওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি দুর্গাপুর ইস্পাতের মেইন হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত করার দাবি জানান । সমাবেশ চলাকালিন এক যৌথ প্রতিনিধিদল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি-সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন । এই দাবিতে সেইলের সর্বত্র বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে বলে সেইল রিটেয়ারিস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে স্বপন মজুমদার জানিয়েছেন । হিন্দুস্হান স্টিল এম্পলয়িজ ইউনিয়ন (  সি.আই.টি.ইউ ) এর পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে সেইলের মেডিক্লেম নিয়ে অচলবস্হা কাটানোর জন্য দাবি জানানো হয়েছে বলে ইউনিয়নের পক্ষে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী জানিয়েছেন ।
এদিকে বায়োমেট্রিক হাজিরা নিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষের একতরফা সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে লাগাতার শ্রমিক বিক্ষোভ চলছে । আজ দুপুরে সি.আই.টি.ইউ-আই.এন.টি.ইউ.সি-এ.আই.টি.ইউ.সি এর যৌথ আহ্বানে দুর্গাপুর ইস্পাতের নগর প্রশাসনিক এক বিক্ষোভ সমাবেশে পুনরায় বায়োমেট্রিক হাজিরা নিয়ে কর্তৃপক্ষের একতরফা সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানানো হয় । বক্তব্য রেখেছেন স্বপন মজুমদার,দেবাশীষ পাল, সুব্রত ভট্টাচার্য,বিশ্বজিত রায় ও রনজিত গুহ ঠাকুর। সমাবেশ চলাকালিন এক যৌথ প্রতিনিধিদল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি-সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন ।






Monday 10 June 2019

বায়োমেট্রিক হাজিরা নিয়ে কর্তৃপক্ষের অযৌক্তিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর ইস্পাতে শ্রমিকরা এককাট্টা : বিক্ষোভ সমাবেশ ।




দুর্গাপুর,১০ই জুন : গত ১লা জুন থেকে দুর্গাপুর ইস্পাতে কর্তৃপক্ষ একতরফা ভাবে বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক হাজিরার কথা ঘোষনা করলেও শ্রমিক-কর্মচারীরা বায়োমেট্রিক হাজিরা দেন নি । সি.আই.টি.ইউ সহ অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া অবস্হান নিয়েছে এবং বায়োমেট্রিক হাজিরা বয়কটের ডাক দিয়েছে । আজ বিকালে দুর্গাপুর ইস্পাতের মেইন হাসপাতালের চত্বরে এই বিষয়ে ট্রেড ইউনিয়ন গুলির ডাকে এক প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ বায়োমেট্রিক হাজিরার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য কে  অভিসন্ধিমূলক বলে অভিযোগ তুলেছেন । গত ৩ বছর ধরে লোকসানে চলা সেইল ও দুর্গাপুর ইস্পাত লাভের মুখ দেখেছে । প্রতিকূল পরিস্হিতির মধ্যেও শ্রমিক-আধিকারিকদের নিরলস প্রচেষ্টায় উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৩ বছর বাদে সেইল মুনাফা করেছে । নীট মুনাফার পরিমান দুই হাজার একশ ঊনআশি কোটি টাকা । দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানাও ৩ বছর বাদে মুনাফা করেছে । নীট মুনাফার পরিমান দুই শ আশি কোটি টাকা । নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয় যে এই পরিস্হিতিতে শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য বকেয়া দাবি পূরনের বদলে কর্তৃপক্ষ কেন স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একের পর এক সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের উপরে চাপিয়ে দিয়ে কারখানার সুস্হ কাজের পরিবেশ কে বিঘ্নিত করছে? নেতৃবৃন্দ আরও প্রশ্ন তোলেন যে বেতন-চুক্তি দুই বছরের বেশী বকেয়া,পেনশন লাগুতে টালবাহানা,বিগত এনজেসিএস এর বকেয়া,হাউস রেন্ট ভাতা,ট্রেণীদের স্হায়ীকরন,কোয়ার্টার ও জমির লিজ-লাইসেন্সিং,ইস্পাত নগরী ও হাসপাতালের পরিষেবা উন্নতি ও সর্বোপরি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনিকিকরন-সম্প্রসারনের মতো দীর্ঘদিনের দাবিগুলি বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নীরব অথচ হটাৎ করে কে বা কাদের নির্দেশে কর্তৃপক্ষ একতরফা বায়ো-মেট্রিক’ হাজিরা লাগু করতে তৎপর হয়েছে ? কারখানার শৃংখলা রক্ষা অথবা সুষ্ঠ হাজিরা ব্যবস্হা বজায় রাখতে ইউনিয়ন গুলি সর্বদা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে । এর প্রত্যক্ষ ফল হোল লোকসানে চলা সেইল ও দুর্গাপুর ইস্পাতে মুনাফা । কর্তৃপক্ষ একতরফা ‘বায়ো-মেট্রিক’ হাজিরা লাগু করতে চাইলেও,আইনে সেই সুযোগ নেই । শুধু তাই নয়, কর্তৃপক্ষ ‘বায়ো-মেট্রিকতথ্যের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রেও অপারগ বলে জানিয়েছে । এর ফলে শ্রমিক-কর্মচারীদের ‘বায়ো-মেট্রিক’ তথ্য নয়-ছয় হওয়ার বাস্তব আশংকা দেখা দিয়েছে ।নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে অবিলম্বে ‘বায়ো-মেট্রিক’ হাজিরার নির্দেশ বাতিল করে কারখানার উৎপাদনের আরও শ্রীবৃদ্ধির স্বার্থে ইউনিয়ন গুলির সাথে কর্তৃপক্ষের সদর্থক আলোচনায় বসা উচিত বলে অভিমত প্রকাশ করেন । সি.আই.টি.ইউ--আই.এন.টি.ইউ.সি-এ.আই.টি.ইউ.সি-এ.আই.ইউ.টি.ইউ.সির এর ডাকে শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতিবাদ সভা চলাকালিন ইউনিয়ন গুলির এক যৌথ প্রতিনিধি দল মেডিক্যাল এ্যান্ড হেলথ সার্ভিসের ডাইরেক্টরের কাছে স্মারক লিপি জমা দেয় । সভায় বক্তব্য রেখেছেন অসীম সাহা,দেবাশীষ পাল,সুব্রত ভট্টাচার্য,শম্ভু প্রামানিক,রনজিত গুহ ঠাকুর,নন্দলাল দাস ও বিশ্বরূপ ব্যানার্জী ।





Sunday 2 June 2019

দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় দুর্ঘটনা : আহত দুই ।

 



দুর্গাপুর,২রা জুন : আবারও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় আহত হলেন দুই শ্রমিক । আজ ব্লাষ্ট ফার্নেসে ল্যানসিং করতে গিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে গরম স্টিমে ঝলসে গেলেন দুই স্হায়ী শ্রমিক মধুসূধন ব্যানার্জী ও প্রবাল ব্যানার্জী । প্রথমে তাদের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । পরবর্তীকালে মধুসূধন ব্যানার্জী কে স্হানীয় মিশন হাসপাতালে স্হানান্তরিত করা হয় । প্রবাল ব্যানার্জী কে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় । ভোর পাঁচ টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে । খবর পাওয়া মাত্র হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) এর নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্হলে ছুটে যান এবং আহতদের পাশে সর্বক্ষন থাকছেন।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিক সুরক্ষায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা বারে বারে সামনে আসছে । হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) এর পক্ষ থেকে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে দুর্গাপুর ইস্পাতের কর্তৃপক্ষের কাছে কারখানার নিরাপত্তা বৃ্দ্ধি করতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বমূলক বিভিন্ন স্তরের সেফটি কমিটি গুলিকে অবিলম্বে সক্রিয় করার বার বার দাবি জানালেও, কর্তৃপক্ষ ধারাবাহিকভাবে সেই দাবি অগ্রাহ্য করছে । আহত হচ্ছেন, প্রান হারাচ্ছেন শ্রমিক ও আধিকারিকরা । এরফলে শ্রমিকদের ও শ্রমিক পরিবারদের মধ্যে আতংক তৈরি হয়েছে,তাদের মনোবলে চিড় ধরেছে যা কারখানার উৎপাদনশীলতা কে ধাক্কা দিতে পারে । কর্মস্হলে সুরক্ষা পাওয়া শ্রমিকদের অধিকার । ‘রক্তপাত-শূণ্য ইস্পাত উৎপাদনের স্বার্থে কারখানায় অবিলম্বে  শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বমূলক বিভিন্ন স্তরের সেফটি কমিটি গুলিকে সক্রিয় করার পাশাপাশি জোরদার নজরদারি ও প্রয়োজনীয় ব্যয়-বরাদ্দের তিনি দাবি জানান।অন্যদিকে সম্প্রসারন ও আধুনিকিকরন জরুরী হয়ে পড়েছে । স্হায়ী দক্ষ শ্রমিকের পরিবর্তে ব্যপকহারে ঠিকাদারি-করনের ফলে দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে । তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে আজকের দুর্ঘটনা আবারও ইউনিয়নের সতর্ক বার্তা গ্রাহ্য করা জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছে । এছাড়াও আহত শ্রমিক মধুসূধন ব্যানার্জীর জন্য প্রয়োজনীয়  সমস্ত ধরনের চিকিৎসার জন্য তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান ।

Saturday 1 June 2019

কর্তৃপক্ষের হঠকারী আচরনে দুর্গাপুর ইস্পাতে দফায় দফায় শ্রমিক বিক্ষোভ,সিআইএসএফ এর লাঠিচার্য : পিছু হটতে বাধ্য হল কর্তৃপক্ষ ।




দুর্গাপুর,১লা জুন : গতকাল রাত্রি থেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় দফায় দফায় শ্রমিক বিক্ষোভ চলে । গতকাল রাতে শ্রমিকরা নাইট শিফটে কাজ যোগ দিতে গেলে দেখে মেইন গেটে কারখানা ঢোকার গেট বন্ধ । শ্রমিকরা কর্তব্যরত সিআইএসএফদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায় যে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঢোকার সময় রাত ৯-৩০ মিঃ থেকে ১০-০০ টার  পরিবর্তে ৯-৫০ থেকে ১০-০০ করা হয়েছে । এরফলে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় । কারন এই কম সময়ের মধ্যে কারখানার মধ্যে হাজার হাজার শ্রমিক সুরক্ষার জন্য চেকিং করার পরে গেটে ঢোকা কি ভাবে সম্ভব তাই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় । অন্যদিকে শ্রমিকরা ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করলে নেতৃবৃন্দ জানিয়ে দেয় যে কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কিছুই জানায় নি । শ্রমিকরা সিআইএসএফ এর আধিকারিকদের  কাছে এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সার্কুলার দেখতে চাইলে তারা সার্কুলার দেখাতে পারে নি । পরিবর্তে শ্রমিকদের হুমকি দেওয়া শুরু করলে  শ্রমিকদের মধ্যে বিক্ষোভ চরমে পৌঁছায় এবং সতঃস্ফূর্ত অবরোধ শুরু হয়ে যায় । হাজার হাজার শ্রমিক মেইন গেট থেকে ওভারব্রীজ হয়ে লিংক রোড পর্যন্ত দাঁড়িয়ে পড়েন । এরপরেই সিআইএসএফ আচমকা লাঠিচার্য শুরু করে । সংলগ্ন ব্যারাক থেকেও কর্তব্যরত নয় এমন জওয়ানরা এসে লাঠি চালায় বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন । এর ফলে পরিস্হিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে । অন্যদিকে,বি-শিফটে ছুটির পরে শ্রমিকরা মেইন গেটে এসে পৌঁছালে,শ্রমিকদের উপর সিআইএসএফ এর অকারন ও বর্বরোচিত লাঠিচার্যের কথা জানতে পারলে,তারও গেটের ভেতরেই অবস্হান শুরু করেন । কারখানার উৎপাদন স্তব্দধ হয়ে যায় । ব্লাষ্ট ফার্ণেস বন্ধের আশংকা দেখা দেয় ।  কর্তৃপক্ষের কিছু আধিকারিক শ্রমিকদের বোঝাতে এলে কার্যতঃ তাড়া খেয়ে পালিয়ে যায় । এই অবস্হায় সি.আই.টি.ইউ সহ ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ ( বিএমএস বাদে) এর নেতৃবৃন্দ এর দাবি মত ইডি(পি এ্যাণ্ড এ),জিএম (পি এ্যাণ্ড এ) ও সিআইএসএফ এর ডিআইজি কারখানায় আসতে বাধ্য হয় এবং শ্রমিকদের দাবি মেনে সর্ব সমক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আপাততঃ দুই জন দোষী  সিআইএসএফ জওয়ান কে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষনা করেন এবং সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পরবর্তীকালে সব দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে রাত ১-০০ টার সময়ে অবরোধ ওঠে । শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়ে উৎপাদন স্বাভাবিক করেন । হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সি.আই.টি.ইউ ) এর পক্ষে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন যে এই ঘটনার অবিলম্বে বিশদ তদন্ত করে কে বা কাদের প্ররোচনায় উৎপাদনের ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য কর্তৃপক্ষ সিআইএসএফ কে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিল তা প্রকাশ্যে আনার জন্য দাবি জানান । তিনি বলেন একই ভাবে সিআইএসএফ সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে  ট্রেণীদের ওপরে নৃশংস লাঠিচার্জ করেছিল । কিন্তু এখনও তার তদন্ত হয় নি অথবা দোষীরা শাস্তি পায় নি । ইউনিয়নদের এড়িয়ে কর্তৃপক্ষ একতরফা সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য এক্তিয়ার বহির্ভুত ভাবে সিআইএসএফ কে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের আজ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে । এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কর্তৃপক্ষ যদি স্বেচ্ছাচারী হওয়ার থেকে বিরত না হয় ,তাহলে ভবিষ্যৎে আরও বড় শ্রমিক বিক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবে বলে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী মনে করছেন ।
আজ সকালে এই রকম আরেকটি শ্রমিক বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় অফিস অঞ্চল জুড়ে । কয়েক দিন আগে কর্তৃপক্ষ আচমকা একতরফা সার্কুলার জারী করে ১লা জুন থেকে ‘বায়ো-মেট্রিক’ হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ।প্রসংগত, এর আগেও একইভাবে কর্তৃপক্ষ বায়ো-মেট্রিক’ হাজিরা চালু করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় । সি.আই.টি.ইউ ১৩-দফা দাবি-সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল । সি.আই.টি.ইউ এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই বিষয়ে ইতিমধ্যে সেইল কর্তৃপক্ষ কে যুক্তি সহকারে চিঠি দিয়েছেন এবং শ্রম ট্রাইবুন্যালে অভিযোগ জানিয়েছেন ।‘বায়ো-মেট্রিকহাজিরা ট্রাইবুন্যালের বিচারাধীন আছে । এর মধ্যে ‘বায়ো-মেট্রিকহাজিরার সার্কুলার জারীর প্রতিবাদে বিএমএস বাদে সি.আই.টি.ইউ সহ সমস্ত ট্রেড ইউনিয়ন পরিষ্কার ভাবে শ্রমিক-কর্মচারীদের ‘বায়ো-মেট্রিক’ হাজিরা না দেওয়ার জন্য আবেদন জানায় । এই আবেদনে সাড়া দিয়ে আজ ১০০% শ্রমিক-কর্মচারী ‘বায়ো-মেট্রিক’ হাজিরা বয়কট করেন । সকালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার  প্রশাসনিক ভবনে সি.আই.টি.ইউ-আই.এন.টি.ইউ.সি- আই.এন.টি.টি.ইউ.সি-এ.আই.টি.ইউ.সি-এ.আই.ইউ.টি.ইউ.সির এর ডাকে শ্রমিক-কর্মচারীদের বিশাল মিছিল ও পরে অবস্হান-বিক্ষোভ শুরু হলে কর্তৃপক্ষ চাপে পড়ে আলোচনায় বসে । ইডি(পি এ্যাণ্ড এ),জিএম (পি এ্যাণ্ড এ) এর উপস্হিতিতে উত্তপ্ত পরিবেশের আলোচনায় ইউনিয়ন সমূহের নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন তোলেন যে বেতন-চুক্তি দুই বছরের বেশী বকেয়া,পেনশন লাগুতে টালবাহানা,বিগত এনজেসিএস এর বকেয়া,হাউস রেন্ট ভাতা,ট্রেণীদের স্হায়ীকরন,কোয়ার্টার ও জমির লিজ-লাইসেন্সিং,ইস্পাত নগরী ও হাসপাতালের পরিষেবা উন্নতি ও সর্বোপরি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনিকিকরন-সম্প্রসারনের মতো দীর্ঘদিনের দাবিগুলি বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নীরব অথচ হটাৎ করে কে বা কাদের নির্দেশে কর্তৃপক্ষ একতরফা বায়ো-মেট্রিক’ হাজিরা লাগু করতে তৎপর হয়েছে ? কার্যতঃ প্রবল চাপের মুখে কর্তৃপক্ষ আপাততঃ ‘বায়ো-মেট্রিক’ হাজিরা বাধ্যতামূলক নয় এই নির্দেশ বিভাগ গুলি কে জানিয়ে দিলে অবস্হান ওঠে । হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সি.আই.টি.ইউ ) এর পক্ষে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী বলেন যে প্রতিকূল পরিস্হিতির মধ্যেও শ্রমিক-আধিকারিকদের নিরলস প্রচেষ্টায় উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৩ বছর বাদে সেইল মুনাফা করেছে । নীট মুনাফার পরিমান দুই হাজার একশ ঊনআশি কোটি টাকা । দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানাও ৩ বছর বাদে মুনাফা করেছে । নীট মুনাফার পরিমান দুই শ আশি কোটি টাকা । এই পরিস্হিতিতে শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য বকেয়া দাবি পূরনের বদলে কর্তৃপক্ষ  স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একের পর এক সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের উপরে চাপিয়ে দিয়ে কারখানার সুস্হ কাজের পরিবেশ কে বিঘ্নিত করছে । এরফলে শ্রমিক বিক্ষোভ চরমে পৌঁছিয়েছে । শ্রমিকদের দাবি পূরনে সিআইটিইউ অন্যান্য সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নের সাথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ।