Sunday 30 July 2017

দুর্গাপুরে পৌর নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডে বামফ্রন্টের মহিলা প্রার্থীর বাড়ীতে লাগাতার হামলা ।




দুর্গাপুর , ৩০শে জুলাই : গত কাল সন্ধ্যায় ১নং ওয়ার্ডে বামফ্রন্টের প্রার্থী সি.পি.আই.( এম ) এর  জয়শ্রী দে বিশ্বাস কে এলাকার তৃণমূলের নেতা হিসাবে পরিচিত বিশু ওরফে বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জীর নেতৃত্বে  একদল তৃণমূলী দুষ্কৃতি ধোবিঘাটে তার বাড়ীর সামনে তাকে ভীতি প্রদর্শন ও যথেচ্ছ গালি-গালাজ করে নির্বাচনী প্রচারে না বেরোনোর ফতেয়া দেয় । সেই সময়ে  জয়শ্রী দে বিশ্বাস রঘুনাথপুর ও মধু পল্লি থেকে নির্বাচনী প্রচার সেরে ফিরছিলেন । ইতিমধ্যেই সন্ত্রাস-কবলিত ১নং ওয়ার্ডে সি.পি.আই.( এম ) কর্মীরা সমস্ত হুমকি উপেক্ষা করে বাড়ী বাড়ী গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন । রাতে তৃণমূলী দুষ্কৃতিরা জয়শ্রী দে বিশ্বাস এর বাড়ী তে দফায় দফায় হামলা চালায় এবং তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের শাসানি দেয় । প্রার্থী ও তার স্বামী পার্টি কর্মী বাপ্পা দে কে নির্বাচনী প্রচারে না বেরোনোর জন্য হুমকি দেয় । আজ সকালে দুর্গাপুর  থানায় প্রার্থী জয়শ্রী দে বিশ্বাস লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । পরে এস.ডি.ও তথা মুখ্য রিটার্নিং অফিসার শংখ সাঁতরা কাছে পার্টি নেতা নির্মল ভট্টাচার্য ও জয়শ্রী দে বিশ্বাস সবিস্তারে গতকাল প্রার্থীর বাড়ীতে হামলা ও ১নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিবরন তুলে ধরেন । পরে নির্মল ভট্টাচার্য জানান যে এস.ডি.ও হামলার বিষয়ে ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য দুর্গাপুর পুলিশ কমিশারিয়েটর কাছে উথ্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন । তিনি আরও জানান সন্ত্রাস প্রতিহত করে প্রচার চলবে । বামফ্রন্টের প্রার্থী জয়শ্রী দে বিশ্বাস পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে তৃণমূলের সন্ত্রাসের কাছে কোন মতেই মাথা নত করবেন না ও নির্বাচনী প্রচার চলবে ।

দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর সি.পি.আই.( এম ) বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় এই ঘটনা কে ন্যক্কারজনক আখ্যা দিয়ে বলেছেন যে আসন্ন পৌর নির্বাচনে ভরাডুবির আশংকা করে তৃণমূল সন্ত্রাসের রাস্তা ধরেছে । কিন্তু দুর্গাপুরের মানুষ সন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ।


Saturday 29 July 2017

দুর্গাপুরে বামফ্রন্টের প্রচারে মানুষের সাড়া দেখে প্রার্থী কে হুমকি ।




দুর্গাপুর , ২৯শে জুলাই : দুর্গাপুরে আসন্ন পৌর নির্বাচনে  গোটা দুর্গাপুর জুড়ে বামফ্রন্টের প্রচারে মানুষের সাড়া দেখে ক্ষিপ্ত তৃণমূল সরাসরি সন্ত্রাসের রাস্তা ধরেছে । আজ সন্ধ্যায় ১নং ওয়ার্ডে বামফ্রন্টের প্রার্থী সি.পি.আই.( এম )  জয়শ্রী দে বিশ্বাস কে একদল তৃণমূলী দুষ্কৃতি ধোবিঘাটে তার বাড়ীর সামনে তাকে ভীতি প্রদর্শন ও যথেচ্ছ গালি-গালাজ করে প্রচারে না বেরোনোর ফতেয়া দেয় । সেই সময়ে  জয়শ্রী দে বিশ্বাস রঘুনাথপুর ও মধু পল্লি থেকে প্রচার করে ফিরছিলেন । ইতিমধ্যেই সন্ত্রাস-কবলিত ১নং ওয়ার্ডে সি.পি.আই.( এম ) কর্মীরা সমস্ত হুমকি উপেক্ষা করে বাড়ী বাড়ী গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন । পার্টি নেতা নির্মল ভট্টাচার্য বলেছেন যে ঘটনা প্রশাসন কে জানানো হয়েছে । প্রশাসন সঠিক ব্যবস্হা গ্রহন না করলে , বৃহত্তর আন্দোলন হবে ।  হামলা-হুমকি দিয়ে মানুষের ভোট লুঠ করা কে তৃণমূল সারা রাজ্যে অভ্যাসে পরিনত করেছে । কিন্তু দুর্গাপুরে সেই কায়দা নিলে তৃণমূল কে জনগনের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে ।

Friday 28 July 2017

গরীব মানুষের উন্নয়ন স্তব্ধ : পরিত্রানের পথ খুঁজছে দুর্গাপুর ।



দুর্গাপুর , ২৮শে জুলাই : তৃণমূলের শাসন যে গরীব মানুষের স্বার্থে নয় , সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে দুর্গাপুর । দুর্গাপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের  তৃণমূল  বোর্ডের ধারাবাহিক বঞ্চনার শিকার হয়েছে দুর্গাপুরের গরীব মানুষ । বিশেষতঃ বস্তি ও সংলগ্ন অঞ্চলে উন্নয়ন শিকে উঠেছে । ছোটখাটো কিছু রাস্তাঘাট ও নীল-সাদা প্রলেপ লাগানো ছাড়া পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়ন এর জন্য কোন সদিচ্ছা বিদায়ী তৃণমূল বোর্ডের ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে । বামফ্রন্টের সময় গরীব মানুষের জন্য যে ধারাবাহিক উন্নয়নের কাজ চলছিল , তার সাক্ষী আছেন ইস্পাতনগরী সংলগ্ন ২নং ওয়ার্ডের মানুষ । শোভাপুর – বিজড়া-মহুয়াবাগান – হাজরা পাড়া অঞ্চল নিয়ে গঠিত কৃষি প্রধান ২ নং ওয়ার্ড উন্নয়নের স্বাদ পায় বামফ্রন্টের সময় । বামফ্রন্ট পরিচালিত তৎকালীন পৌর বোর্ডের সময়ে এই অঞ্চলের রাস্তাঘাট এর অভূতপূর্ব  উন্নয়ন হয় । পিচ ও ঢালাই এর রাস্তা এখনও সমান ভাবে মজবুত । নল-বাহিত পানীয় জল ও পাকা ড্রেনের  ব্যবস্হা করা হয় । গরীব মানুষের আবাসন প্রকল্প প্রায় দুই শত পাকা বাড়ী তৈরি হয় । বিজড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মনোরম ও তাক লাগানো বিল্ডিং তৈরি হয় যা আজও ওয়ার্ডের মানুষের গর্ব । সেচের জন্য তৈরি হয় বক্সীর বাঁধ ।
তৃণমূলের আমলে নতুন রাস্তা-ঘাট তৈরি বন্ধ । ইস্পাতনগরীর যাতায়াতের পিচ রাস্তা ভেঙ্গে চৌচির । সংস্কারের অভাবে বক্সীর বাঁধ বেহাল । বিধবা-বার্ধক্য ভাতা অনিশ্চিত । বাম সমর্থক হওয়ার জন্য দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ও আই-কিউ সিটি প্রকল্পের কাজ থেকে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন । অঞ্চলের মানুষের ক্ষোভ চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছে  আই-কিউ সিটি প্রকল্প নিয়ে তৃণমূলের চূড়ান্ত দলবাজীর বিরুদ্ধে ।
বিগত ২০০৭ সালে বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে তৎকালিন দুর্গাপুর-১ বিধানসভার বিধায়ক ও পঃ বঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী প্রয়াত মৃণাল ব্যানার্জীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় , ১০০ একর জায়গার উপরে তিনশো বেডের হাসপাতাল সহ মেডিক্যাল কলেজ , নার্সিং ট্রেনিং কলেজ ও বিশাল আবাসন প্রকল্প নিয়ে , আই.কিউ সিটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় । ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন করেন তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন । শুরুতে প্রকল্পের নাম ছিল ‘ নলেজ সিটি ‘ । রাজ্য সরকার অধিগৃহীত ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার উপর ন্যস্ত এই জমিতে ১৯৬৭ সালে যুক্তফ্রন্টের সময় চাষ করার অধিকার পান স্হানীয় গ্রাম ও বস্তিবাসি । এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে তাদের অবস্হার উন্নতি হবে এই বিবেচনা করে স্বেচ্ছায় বিনা ক্ষতিপূরনে তারা জমির অধিকার ত্যাগ করেন । প্রকল্পের নির্মান কাজ শুরু হলে গ্রাম উন্নয়ন কমিটির মাধ্যমে জমিদাতা পরিবারের সদস্যদের নির্ম্মান কাজে শ্রমিক হিসাবে নিযুক্ত করা হয় । পরবর্তীকালে গ্রাম ও বস্তির অন্যান্য পরিবারের সদস্যরা কাজ পান । প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ ও গ্রাম উন্নয়ন কমিটির পারস্পরিক সহযোগিতায় প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগোতে থাকে । কিন্তু ২০১১ সালে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন ঘটে । মমতা ব্যানার্জী নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার গঠিত হলে সমগ্র দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের সাথে সাথে আই.কিউ সিটি প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনে কালো দিন নেমে আসে । তৃণমূলীরা কর্মরত জমিদাতা শ্রমিকদের অধিকাংশ কে কাজ থেকে উচ্ছেদ করে এবং বহিরাগতদের নিয়োগ করে নিজেরা ফুলে-ফেঁপে ওঠে । শুধু তাই নয় , হটাৎ একদিন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী উপস্হিত হয়ে পুরনো ভিত্তিপ্রস্তর সরিয়ে ২০০৭ সাল থেকে চালু হওয়া আই.কিউ সিটি প্রকল্পের পুনরায় ‘ শিলান্যাস ‘ করেন । এই সুযোগে আই.কিউ সিটি প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ দাঁত-নখ বার করে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে । প্রতিবাদ করলে জুটছে কর্তৃপক্ষের গলাধাক্কা ও তৃণমূলী দুষ্কৃতিদের রক্তচক্ষু । প্রতিকার চেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের দ্বারস্হ হলে সেখানে জুটছে আর এক প্রস্হ শাসানি । এই অবস্হায় এলাকার অধিবাসীদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ কে সামাল দেওয়া অসম্ভব মনে করে পৌর নির্বাচন ঘোষনার প্রাক্কালে বিদায়ী সি.পি.আই.( এম ) কাউন্সিলর কে দলে ভিড়িয়ে অবস্হার সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও জেতার অবস্হায় নেই বলে তৃণমূল সন্ত্রাসের রাস্তা বেছে নিয়েছে বলে সি.পি.আই.( এম ) নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন । গতকাল মহুয়া বাগান বস্তিতে, বাড়ীর সামনে লাল ঝাণ্ডা লাগানোর অপরাধে সি.পি.আই.( এম ) সমর্থক হেরল বাউরি ও তার বাবা গোপাল বাউরী কে তৃণমূলী দুষ্কৃতিরা বেধরক মারধোর করে । এ হেন হামলায় সাধারন তৃণমূলের সমর্থকরাও লজ্জা প্রকাশ করেছেন বলে খবরে প্রকাশ ।

 কিন্তু হুমকি-হামলা কে উড়িয়ে দিয়ে ২ নং ওয়ার্ডে বামফ্রন্ট মনোনিত সি.পি.আই.( এম ) প্রার্থী মনিরুল মিদ্যা-র সমর্থনে জোর প্রচার চলছে ।গ্রাম ও বস্তি অঞ্চলের মানুষের আপন জন বলে পরিচিত মনিরুল মিদ্যা জানিয়েছেন যে বামফ্রন্টের নির্বাচন ইস্তাহার কার্যকর করার সাথে সাথে বিধবা ভাতা – বার্ধক্য ভাতা নিয়ে যে দূর্ণীতি-দলবাজি – অব্যবস্হা চলছে , তা দুর করার জন্য অগ্রাধিকার দিতে চান । এ ছাড়া বক্সির বাঁধ সংস্কার ও আই-কিউ সিটি-র অব্যবস্হা দুর করার জন্য সব পক্ষ কে নিয়ে কাজ করতেন চান । 




Thursday 27 July 2017

সেইল সমবায় আবাসন এর সমবায় নির্বাচনে বামপন্থী ও প্রগতিশীল প্রার্থীদের বিপুল জয় ।




দুর্গাপুর,২৭শে জুলাই : সেইল সমবায় আবাসন এর  সার্ভিস কো-অপাঃদুর্গাপুর সেইল এমপ্লয়িজ প্রাইমারী কমন সার্ভিস সোসাইটি লিমিটেডএর বোর্ড নির্বাচনে  বামপন্থী প্রগতিশীল প্রার্থীরা বিপুল জয় পেলেন
গত ২০০৮ সাল থেকে বামপন্থী প্রগতিশীলরা এই সমবায়ের বোর্ড নির্বাচন লাগাতার জয় লাভ করে বোর্ড পরিচালনা করছেন এই সমবায়ের পক্ষ থেকে সমবায় অঞ্চলে রাস্তার আলোর রক্ষনাবেক্ষন , জল-বিদ্যুৎ-নিকাশী ব্যবস্হার মেরামতি,জঞ্জাল অপসারনের মত গুরুত্বপূর্ন নাগরিক পরিষেবা দেওয়া হয়
 ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে , দুর্গাপুরে সমাবায় ব্যাঙ্ক-ক্রেতা সমবায়-ক্রীড়া সংস্হা পৌর নির্বাচন সহ বিভিন্ন নির্বাচনে শাসকদল ভয়াবহ সন্ত্রাস চালিয়ে কার্যতঃ বামপন্হীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেয় নি
শাসকদলের প্রার্থীদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে  এই সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচন নিয়েও নানা টালবাহনা শুরু হয় অবশেষে গত ৫ই এপ্রিল ভোট গ্রহনের দিন ঘোষিত হলেও পরে রাজ্য সরকারের সমবায় দফ্তর থেকে ভোট গ্রহন স্হগিত রাখা হয় এই অবস্হায় পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে হাইকোর্টের দ্বারস্হ হলে কোর্ট অবিলম্বে নির্বাচনের দিন ঘোষনার নির্দেশ দিলেও রাজ্য সরকারের সমবায় দফ্তর অযথা কালক্ষেপ করে বলে অভিযোগ
  বর্তমানে এই সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ১৪৪২ মোট ৬০ জন প্রতিনিধি সহ ৩৩ কেন্দ্রের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ২৪শে জুলাই মোট ৬০ জন প্রতিনিধির মধ্যে  ৫১ জন বামপন্থী প্রগতিশীল প্রার্থী ২৯টি কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই জয়ী হয়েছেন বাকী চারটি কেন্দ্র সহ ৮টি আসনের জন্য নির্বাচন হয় ২৪ জুলাই বামপন্থী প্রগতিশীল প্রার্থীরা ৪ টি আসনে জয় লাভ করেন
প্রসংগত , গুটি কয়েক সদস্যের আবেদনের ভিত্তিতে গত ৯ই জুলাই,২০১৭ থেকে এ.আর.সি.এস এর পক্ষ থেকে সোসাইটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সব রকমের পরিষেবা বন্ধ করার চক্রান্ত করা হয়েছে । এখনও পর্যন্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালু না হওয়ায় প্রতিদিনের পরিষেবায় নিদারুন ব্যাঘাত ঘটছে।
জনগনের এই রায় প্রকৃত পক্ষে বিদায়ী পৌর বোর্ড (দুর্গাপুর নগর নিগম ) এর পৌর পরিষেবার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ব্যর্থতা,রাজ্য সরকারের সমবায় পরিচালনায় পর্বত-প্রমান গাফিলতির বিরুদ্ধে এবং সমবায় পরিচালনায় বামপন্থী প্রগতিশীলদের ঐকান্তিক নীতিনিষ্ঠ প্রচেষ্টার পক্ষের রায় বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে দুর্গাপুর পৌর নিগমের নির্বাচনের পূর্বক্ষনেবিদায়ী মেয়র তৃণমূলের অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের নিজের ওয়ার্ডে ( ২২নং ওয়ার্ড ) বামপন্থী প্রগতিশীলদের এই বিশাল জয় বিশেষ ইঙ্গিতপূর্ন বলে মানুষ মনে করছেন

  দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় এই জয়ের জন্য সেইল সমবায় অঞ্চলের নাগরিকদের উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন যে দুর্গাপুর পৌর নিগমের নির্বাচনের প্রাক্কালে বাম ও প্রগতিশীল প্রার্থীদের এই বিপুল জয় , আসন্ন নির্বাচনে  মানুষ কে অনুপ্রানিত করবে । 

Wednesday 26 July 2017

রক্ষা কর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শিল্প , রক্ষা কর দুর্গাপুর – এই বার্তা জানিয়ে মহামিছিল ।



দুর্গাপুর , ২৬শে জুলাই : আজ রক্ষা কর দুর্গাপুর , দুর্গাপুরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শিল্প-কলকারখানা - এই দাবীতে আজ বৃষ্টি ভেজা বিকালে মহামিছিলে পা মিলালেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ সহ শ্রমজীবি মানুষ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও মহামিছিলে প্রস্তুতি চলছিল । আজও দুপুর থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল । কিন্তু বৃষ্টির মধ্যেই  দুর্গাপুরের কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির যৌথ মোর্চার ডাকে এই মহামিছিল সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ডে জেলা সি.আই.টি.ইউ দফ্তরের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে সিটি সেন্টার,সেইল আবাসন অঞ্চল হয়ে ভগৎ সিং মোড় হয়ে ইস্পাতনগরীতে প্রবেশ করে এবং চন্ডিদাস বাজারে শেষ হয় । মিছিলের থেকে সাম্প্রায়িক শক্তিগুলির বিরুদ্ধে ও সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জাননোর সাথে দুর্গাপুরের বন্ধ কল-কারখানা খোলা ও চালু কারখানা বন্ধ হওয়ার বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় ।
এই মহামিছিলের উদ্দেশ্য সম্পর্ক বলতে গিয়ে শ্রমিক নেতা ও যৌথ মঞ্চের যুগ্ম-আহ্বায়ক বিনয়েন্দ্রকিশোর চক্রবর্তী জানান যে বর্তমানে দুর্গাপুর দ্বিমুখী আক্রমনের বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে । একদিকে কেন্দ্র ও রাজ্যে এর শিল্প-ধ্বংস নীতির জন্য গোটা দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল বিপন্ন হয়ে পড়ছে । এর বিরুদ্ধে সমস্ত কটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ( তৃণমূল ও বিএমএস বাদে ) এর যৌথ মঞ্চ দুর্গাপুরের শ্রমজীবি মানুষ সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ কে সাথে নিয়ে ঐকবদ্ধ শক্তিশালী জন-আন্দোলন গড়ে তুলেছে । কিন্তু মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার সাম্প্রদায়িক শক্তি তলে তলে চেষ্টা চালাচ্ছে । তাই শ্রমজীবি মানুষের ঐক্য বজায় রাখতে ও দুর্গাপুরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্য ও কারখানা বাঁচাতে এই মহামিছিল দুর্গাপুর রক্ষার বৃহৎ লড়াই এর অংশ ।
দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর সি.পি.আই.এম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় জানান , রক্ষা কর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শিল্প , রক্ষা কর দুর্গাপুর – এই আহ্বান জানিয়ে আজকের মহামিছিলে যোগদানের জন্য আবেদন জানিয়ে শ্রমজীবি মানুষের সাথে সাথে বিভিন্ন  ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ ও ধর্মগুরুদের কাছে যাওয়া হলে , তারা এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আজকের মহামিছিলে যোগদান করেছেন । তিনি আরও জানান যে আজকের মহামিছিল ‘রক্ষা কর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শিল্প , রক্ষা কর দুর্গাপুর ‘ – আন্দোলনের সূচনা করল । এই বিষয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলছে ।
মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন বিনয়েন্দ্রকিশোর চক্রবর্তী , বিকাশ ঘটক, রথীন রায় সন্তোষ দেবরায়, বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী নির্মল ভট্টাচার্য , সুবীর সেনগুপ্ত , অনীত মল্লিক ,বিশ্বরূপ ব্যানার্জী, দেবেশ চক্রবর্তী ,সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।









Tuesday 25 July 2017

প্রয়াত পার্টির ঘনিষ্ঠ দরদী ।



দুর্গাপুর,২৫শে জুলাই : গত ১লা জুলাই প্রয়াত হয়েছেন পার্টির পার্টির ঘনিষ্ঠ দরদী শান্তিরাম চ্যাটার্জী ।মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৫ । মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী ও একমাত্র পুত্র কে ।
১৯৬২ সালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় শ্রমিক হিসাবে কাজে যোগদান করেন ও ১৯৯৮ সালে কাজের থেকে অবসর গ্রহন করেন ।
চাকুরী জীবনের শুরু থেকেই বামপন্হী আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন এবং হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহন করেন । ১৯৭৭ সাল থেকে ইস্পাতনগরী রানা প্রতাপ রোডে বসবাস শুরু করেন এবং সেক্টর কমিটির সাথে যুক্ত হয়ে নিয়মিত ভাবে গন-আন্দোলনে অংশ গ্রহন করেন । অবসরের পর বর্ধমানের ভদ্রপল্লী অঞ্চলে বসবাস করছিলেন ।
মৃদুভাষী , বিনয়ী , শ্রমজীবি মানুষের আন্দোলনের একনিষ্ঠ সমর্থক ও কর্মী এবং পার্টি দরদী ছিলেন প্রয়াত শান্তিরাম চ্যাটার্জী ।