Friday 30 January 2015

বামফ্রন্টের ডাকে সারা রাজ্যের সাথে ইস্পাতনগরীতেও সম্প্রীতি দিবস পালিত হল।

                                                            

দুর্গাপুর,৩০শে জানুঃ :আজ,বামফ্রন্টের ডাকে সারা রাজ্যের সাথে ইস্পাতনগরীতেও  সম্প্রীতি দিবস পালিত হল । ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুঃ  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অক্লান্ত সেনাপতি   মহাত্মা গান্ধীকে দিল্লীর বুকে এক প্রার্থনা সভায় , হিন্দুত্ববাদী ফ্যাশিষ্ট নাথুরাম গডসে গুলি করে হত্যা করে । নাথুরাম গডসে ও তার পরিবারের সদস্যরা কট্টর হিন্দুত্ব সাম্প্রদায়িক হিন্দু মহাসভা ও আরএসএস –এর সদস্য ছিল । কেন্দ্রে বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে কট্টর হিন্দুত্ব সাম্প্রদায়িক শক্তি গান্ধী-হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে ‘জাতীয় বীর’ অ্যাখায়িত করেছে । এই নির্লজ্জ্ ওকালতির বিরুদ্ধে ও পঃ বঙ্গ সহ সারা দেশে সাম্প্রদায়িক অস্হিরতার সৃষ্টির চেষ্টার বিরুদ্ধে আজ সম্প্রীতি দিবসের ডাক দেওয়া হয় । ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল কমিটির ডাকে আজ সন্ধ্যায়  ইস্পাতনগরীর সেকেন্ডারী মোড় , চন্ডিদাস বাজার মোড় ও সেইল আবাসন অঞ্চলে তিনটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয় ।

        গতকাল , তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা  হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) এর ডিএসপি শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ট্র্যাফিক বিভাগের আউটসোর্সিং বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা কমঃ দীপ কুমার চ্যাটার্জীকে কারখানার ভিতরে আক্রমন করে গুরুতর জখম করে । এই ঘটনার বিরুদ্ধে  হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) এর পক্ষ থেকে আজ কারখানার ভিতরে বিক্ষোভ দেখানো হয় । বিকেলে ,ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বি.টি. রণদিভে ভবন থেকে চন্ডিদাস বাজার মোড় পর্যন্ত এই ঘঠনায় দোষীদের শাস্তি চেয়ে মিছিল করা হয় ।

সন্ধ্যায় অপর একটি অনুষ্ঠানে , নিউটন সেক্টর অফিসে প্রয়াত শ্রমিক নেতা কমরেড শান্টু দেবরায়ের প্রয়ান দিবস উপলক্ষ্যে একটি স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় । 


Thursday 29 January 2015

দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মধ্যে তৃণমূলী দুষ্কৃতিদের হামলায় গুরুতর আহত সিআইটিইউ এর নেতা ।

                                                                 


দুর্গাপুর,২৯শে জানুঃ : আজ দুপুরে , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মধ্যে তৃণমূলী দুষ্কৃতিদের হামলায় গুরুতর আহত হলেন হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) এর ডিএসপি শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ট্র্যাফিক বিভাগের আউটসোর্সিং বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা কমঃ দীপ কুমার চ্যাটার্জী । দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ট্র্যাফিক বিভাগের স্হায়ী শ্রমিক কমঃ দীপ কুমার চ্যাটার্জী আজ দুপুরে বি-শিফটে কর্মস্হলে ছিলেন । সেই সময় পরিচিত তৃণমূলী দুষ্কৃতি ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ট্র্যাফিক বিভাগের স্হায়ী শ্রমিক সুজয় নাথের নেতৃত্বে ঐ বিভাগের স্হায়ী শ্রমিক আশীষ চাঁই সহ বেশ কয়েক জন তৃণমূলী দুষ্কৃতি  রড,লাঠি দিয়ে কমঃ দীপ কুমার চ্যাটার্জী উপর আক্রমন চালায় , মাথায় আঘাত করে । কমঃ দীপ কুমার চ্যাটার্জী মাটিতে পড়ে গেলে ,তাকে রড দিয়ে পেটাতে শুরু করে । ঐ দুষ্কৃতিরা খুন করার হুমকি দেয়,অশ্রাব্য গলিগালাজ করে এবং অবিলম্বে সিআইটিইউ ছাড়ার হুমকি দেয় । খবর পেয়ে ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্হলে ছুটে যায় । গুরুতর আহত কমঃ দীপ কুমার চ্যাটার্জীকে প্রথমে প্ল্যান্ট মেডিক্যালে নিয়ে আসা হলে , তাকে রেফার করা হয় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতালে । সেখানেই কমঃ দীপ কুমার চ্যাটার্জীর চিকিৎসা চলছে । খবর পেয়ে শ্রমিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন ও হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) এর পক্ষ থেকে ইডি ওয়ার্কসের কাছে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি দাবী করে ডেপুটেশন দেওয়া হয় । আগামীকাল হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) এর পক্ষ থেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার  সর্বত্র বিভাগীয় প্রধানদের কাছে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে । ইতিমধ্যে , তৃণমূলী দুষ্কৃতিরা  হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) এর নেতৃবৃন্দকে ফোনে হুমকি দেওয়া শুরু করেছে । কমঃ দীপ কুমার চ্যাটার্জীর ওপরে হামলা ও নেতৃবৃন্দকে ফোনে হুমকি দেওয়া – এই দুই ঘটনায় পুলিশের কাছে জানিয়ে এফআইআর করা হয়ছে ।
                     কেন হামলা ?

মোদী সরকারের নির্দেশে চলছে জনগনের সম্পদ রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানার শেয়ার বেচা । চলছে আউটসোর্সিং এর নামে অবাধ লুন্ঠন । রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানার  ‘ নবরত্ন ‘ এর অন্যতম রত্ন সেইল এর অন্যতম মুনাফা করে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা । তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ভেতরে ও বাইরে  তৃণমূলীরা স্হায়ী ও ঠিকা শ্রমিকদের উপরে ভয়াবহ শারীরিক আক্রমন চালাচ্ছে ।  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও নিশ্চুপ । শুধু তাই নয় , এই সুযোগে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষ একের পর এক বিভাগ বন্ধ করছে , নাগরিক পরিষেবা বন্ধ করছে , আউটসোর্সিং করছে । এর বিরুদ্ধে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) এর নেতৃত্বে শ্রমিকরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে । ট্র্যাফিক বিভাগের আউটসোর্সিং এর বিরুদ্ধে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) ও আইএনটিইউসি এর নেতৃত্বে শ্রমিকরা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ।আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে অবৈধ আয়ের লালসায় এই প্রতিরোধ ভাঙ্গার জন্য দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষের একাংশ –ঠিকাদার ও তৃণমূল মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও সফল হতে পারে নি। তাই তৃণমূলী দুষ্কৃতিরা শারীরিক আক্রমন চালাচ্ছে । আজ কমঃ দীপ কুমার চ্যাটার্জীর উপর ভয়াবহ আক্রমন তারই পরিনতি বলে শ্রমিকরা মনে করছেন । 

Tuesday 27 January 2015

মধুপল্লীতে অনুষ্ঠিত হল রক্তদান শিবির ।

দুর্গাপুর , ২৭শে জানুঃ : আজ,ইস্পাতনগরী সংলগ্ন মধুপল্লীর কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হল এক রক্তদান শিবির । উদ্যোক্তা ছিল ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল কমিটির অন্তর্গত ডিএস – ৬ আঞ্চলিক কমিটি ও ভারতের গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের এ’জোন ১নং আঞ্চলিক কমিটি । ৫ জন মহিলা সহ মোট ৩৬ জন রক্তদান করেন । দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের পক্ষ থেকে সহয়তা করা হয় । 

Monday 26 January 2015

সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ইস্পাতনগরীতে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালিত হল ।

                                                                  

দুর্গাপুর , ২৬শে জানুয়ারী : আজ , বামফ্রন্টের ডাকে রাজ্য জুড়ে পালিত হল সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে  মানব বন্ধন কর্মসূচী পালিত হল । সাধারনতন্ত্র দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রন জানিয়ে নির্লজ্জ নজীর স্হাপন করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার । সাম্রাজ্যবাদের চাটুকারিতা আরএসএস এর কাছে নতুন কিছু নয় । ভারতবাসীর মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে আরএসএস কখনও যোগদান করা দুরে থাক , বরং প্রকাশ্যেই স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধীতা করেছে । মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে নিজেকে আরএসএস এর সদস্য বলেই দাবী করেছিলেন । ভারতে , সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির মিত্রতার ইতিহাস নতুন কিছু নয় । এই মিত্রতার মাসুল গুনতে হচ্ছে আজকের ভারতকে ।  বিগত লোকসভা নির্বাচনে জিতে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠিত হওয়ার পরে দেশ জুড়ে  কর্পোরেট – সাম্প্রাদায়িক ফ্যাসিবাদী শক্তির বিপজ্জনক উথ্থান ঘটেছে । রাজ্যে এই শক্তির দোসর অবশ্যই তৃণমূল কংগ্রেস । এই পরিস্হিতে  আরএসএস এর সংঘ-প্রচারক প্রধানমন্ত্রী মোদী  যুদ্ধবাজ মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ভারতের সাধারনতন্ত্র দিবসে ( স্বাধীনতার আগে ২৬শে জানুয়ারী দিনটি ১৯২৯ সাল থেকে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালন করত ) প্রধান অতিথি হওয়ার আমন্ত্রন ও ওবামার সাথে ভারতের স্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন চুক্তির বিরুদ্ধে বামফ্রন্টের পক্ষে মানব বন্ধনের মারফৎ বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয় ।   


  ইস্পাতনগরীতে , ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল কমিটির ডাকে , আশীষ মার্কেট , চণ্ডীদাস বাজার ও সেইল আবাসন অঞ্চলে  মানব বন্ধন কর্মসূচী পালিত হয় । 


Friday 23 January 2015

বাঁধা অতিক্রম করে অনুষ্ঠিত হল বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ।

                                                                          

দুর্গাপুর , ২৩শে জানুয়ারী : আজ ইস্পাতনগরীর রঘুনাথপুরের সম্মিলনী ফুটবল ময়দানে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৫টি বামপন্হী গণসংগঠনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল এক বিশাল  ক্রীড়া প্রতিযোগীতা । তৃণমূলীদের সন্ত্রাসের জন্য গত ২ বছর ধরে এই বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হতে পারে নি । মোট ২২টি ইভেন্টের জন্য ৫০০ বেশী প্রতিযোগী  অংশ নেয় । অনুষ্ঠানের শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয় । 

                                                      

Sunday 18 January 2015

ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির দশম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল ।

                                                               

দুর্গাপুর , ১৮ই জানুঃ : গতকাল , ইস্পাতনগরীর দেশবন্ধু ভবনে ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির দশম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল । এই উপলক্ষ্যে ইস্পাতনগরী এবং সংলগ্ন গ্রামাঞ্চল রক্তপতাকায় সেজে ওঠে । রক্তপতাকায় সুসজ্জিত  সম্মেলন স্হলের নামকরন করা হয় কমরেড হরেকৃষ্ণ কোঙার নগর , শহীদ কমরেড দিলীপ  সরকার ভবন ও কমরেড দিলীপ মজুমদার মঞ্চ । সম্মেলনের শুরুতে রক্তপতাকা উত্তোলন করেন ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমঃ মদন ঘোষ । এরপর শহীদবেদীতে মাল্যদান করেন কমঃ মদন ঘোষ , অমল হালদার , রথীন রায় , বীরেশ্বর মন্ডল , অজিত মুখার্জি , সন্তোষ দেবরায় , সুশান্ত ব্যানার্জী , নির্মল ভট্টাচার্য , আল্পনা চৌধুরী , সুবীর সেনগুপ্ত সহ অন্যান নেতৃবৃন্দ । উদ্বোধনী ভাষনে ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র রাজ্য কমিটির সদস্য কমঃ রথীন রায় বলেন যে বৃহৎ বুর্জোয়া পরিচালিত  বুর্জোয়া-জমিদার রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে সীমাবদ্ধতা সত্বেও মেহেনতী জনগনের স্বার্থে বামফ্রন্ট সরকার ৩৪-বৎসর যে ঐতিহাসিক কর্মসূচী রূপায়িত করেছে , সেটা নজিরবিহীন । আগামী দিনে পার্টিকে মতাদর্শের ভিত্তিতে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য তিনি পার্টির পত্র-পত্রিকা পড়া ও বিক্রির উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন । সম্মেলনে বক্তব্য রেখে ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক কমঃ অমল হালদার বলেন যে তৃণমূল দ্রুত ফুরিয়ে আসছে । বিজেপি সেই জায়গা নেওয়ার চেষ্টা করলেও , জনগনের  বিশেষ করে গ্রামের মানুষ , গরীব মানুষ ও রাষ্টায়ত্ব ক্ষেত্রের শ্রমিকদের কাছে বিজেপির কর্পোরেট প্রীতি ও সাম্প্রদায়িকতার যৌথ আক্রমনের ভয়ংকর স্বরূপ ধরা পড়ছে । এই দুই শক্তির মোকাবিলার জন্য পার্টিকে শক্তিশালী এবং পার্টি ও জনগনের মধ্যে নিবিড় করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন ও আগামী ২রা -৪ঠা জানুঃ দুর্গাপুর থেকে বার্ণপুর পদযাত্রা সফল করার আহ্বান জানান । সম্মেলন বিদায়ী কমিটির পক্ষ থেকে রিপোর্ট পেশ করেন কমঃ সন্তোষ দেবরায় । ২৭৪ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগদান করেন ও ২৫ জন প্রতিনিধি আলোচনায় অংশ নিয়েছেন ।  সম্মেলন ৫ জন বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য সহ মোট ২৮ জনের নতুন দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল কমিটি নির্বাচিত করেছে । জোনাল সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কমঃ সন্তোষ দেবরায় । দুর্গাপুর ইস্পাত ও মিশ্র ইস্পাত কারখানা এবং এনএসপিসিএল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের আধুনিকীকরন ও সম্প্রসারন , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ৩৫০০ হাজার উচ্ছেদ ঠিকা শ্রমিকদের পূণর্বহাল সহ একগুচ্ছ দাবীতে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা ও শক্তিশালী পার্টি গড়ার শপথ নিয়ে সম্মেলন শেষ হয় । সম্মেলন চলাকালীন ,” সিপিআইএম এর প্রতিষ্ঠার ৫০ বৎসর পূর্ত্তি প্রবন্ধ সংকলন “ বইটি প্রকাশ করেন করেন কমঃ মদন ঘোষ ও ৮ জন ৮০ বৎসর অতিক্রান্ত পার্টি সদস্যকে সম্বর্ধনা জানানো হয় ।  

                   


Thursday 15 January 2015

আশীষ – জব্বর ট্রাষ্টের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল রক্তদান শিবির ।

                                                              


দুর্গাপুর , ১৫ই জানুঃ : আজ সকালে , আশীষ – জব্বর ট্রাষ্টের উদ্যোগে আশীষ – জব্বর ভবনে অনুষ্ঠিত হল রক্তদান শিবির । রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক কমঃ সন্তোষ দেবরায় । মহিলা সহ মোট ২৫ জন এই শিবিরে রক্তদান করেন । দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্হ্য কর্মীরা রক্তদানে সহায়তা করেছেন । 
                                                         


 

Tuesday 13 January 2015

প্রয়াত কমরেড পরিমল রায়ের স্মরণ সভা ।

                                                              

দুর্গাপুর , ১৩ই জানুঃ : আজ , ইস্পাতনগরীর আশীষ-জব্বর ভবনে প্রয়াত কমরেড পরিমল রায়ের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় । গত ১৮ই ডিসেঃ প্রয়াত হয়েছেন কমঃ পরিমল রায় । তিনি ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির অন্তর্গত ডিএস-১ আঞ্চলিক কমিটির পার্টি সদস্য ছিলেন । প্রয়াত কমরেড পরিমল রায়ের স্ত্রী , এক মাত্র পুত্র ও মা বর্তমান । বামপন্হী ছাত্র-যুব আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রয়াত কমরেড পরিমল রায় । ১৯৯০ সালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় কোক ওভেন্স বিভাগে শ্রমিক হিসেবে কাজে যোগ দিয়ে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিউ ) এর সভ্যপদ গ্রহন করেন এবং অল্প দিনের মধ্যেই নেতৃত্বের পর্যায় উন্নীত হয়েছিলেন । ইউনিয়নের সুবর্ণ জয়ন্তী সম্মেলনে তিনি ইউনিয়নের সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন । ১৯৯৪ সালে তিনি পার্টি সভ্যপদ লাভ করেন এবং কোক ওভেন্স শাখায়  শাখা – সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন । তাঁর ও পরিবারের ইচ্ছানুসারে মৃত্যুর পরে তাঁর চক্ষু ও দেহদান করা হয় ।
 স্মরণ সভায় প্রয়াত কমরেড পরিমল রায়ের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক কমঃ সন্তোষ দেবরায় , সুবীর সেনগুপ্ত , সুখময় বোস ,দীপক ঘোষ সহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ । এছাড়াও মাল্যদান করেন প্রয়াত কমরেড পরিমল রায়ের স্ত্রী ও একমাত্র পুত্র ও আত্মীয়-পরিজন বন্ধুবর্গ । শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন  কমঃ ,দীপক ঘোষ । স্মৃতিচারন করেন কমঃ সন্তোষ দেবরায় , সুব্রত ঘোষ ও পরিবারের পক্ষে শুভ্রকান্তি পাল । সভাপতিত্ব করেন কমঃ সুখময় বোস ।



পার্টি সদস্যের মোটরবাইক পুড়িয়ে দিল দুষ্কৃতিরা ।

                                                             

দুর্গাপুর , ১৩ই জানুঃ : গতকাল রাত্রিবেলায় ইস্পাতনগরী সংলগ্ন সেপকো টাউনশীপে  ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির অন্তর্গত ডিএস-১ আঞ্চলিক কমিটির পার্টি সদস্য কমঃ কৌশিক চ্যাটার্জীর বাড়ীতে তাঁর মোটরবাইকটি পুড়িয়ে দিল দুষ্কৃতিরা । সেই সময়ে তিনি ও তাঁর স্ত্রী বাড়ীতে ছিলেন না । বাড়ীতে ছিলেন তাঁর বৃদ্ধ বাবা ও মা । পাড়া-প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। কিন্তু মোটরবাইকটি সম্পূর্ন ভস্মীভূত হয়ে যায় । আগুনে বাড়ীর বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতি হয়েছে । পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । 

Monday 12 January 2015

কমরেড শোভা মৈত্রের স্মরণসভা ।

                                                               

দুর্গাপুর , ১২ জানুঃ : আজ সন্ধ্যায় , ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির অন্তর্গত ডিএস-২ আঞ্চলিক কমিটির দফ্তরে কমরেড শোভা মৈত্রের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয় । গত ২৪শে ডিসেঃ ২০১৪ তারিখে কমরেড শোভা মৈত্র স্হানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মারা যান । তিনি ডিএস-২ আঞ্চলিক কমিটির অন্তর্গত পার্টি সদস্যা ছিলেন । ৬০’এর দশক থেকে তিনি হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহন করেন এবং পরবর্তীকালে তিনি ইউনিয়নের সহ-সম্পাদিকা হিসাবে নিষ্ঠাভরে দায়িত্ব পালন করেন । এছাড়াও সমবায় আন্দোলনের অগ্রগন্যা কমরেড শোভা মৈত্র ক্রেডিট সোসাইটির পরিচালকমন্ডলীর সদস্যা হিসাবে  দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন এবং মহিলা আন্দোলন ও শ্রমজীবি মহিলা আন্দোলন সহ গনতা্ত্রিক আন্দোলন সংগঠিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন । তাঁর সহজ , সরল ,অনারম্বরপূর্ণ জীবনযাত্রা শৈলি এবং মধুর ব্যাবহারের জন্য সাধারন মানুষের কাছেও খুবই জনপ্রিয় ছিলেন ।

       স্মরণসভায় কমরেড শোভা মৈত্রের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক কমঃ সন্তোষ দেবরায় , নির্মল ভট্টাচার্য , আল্পনা চৌধুরী , সুবীর সেনগুপ্ত , সবুজ নাগ প্রমুখ । কমরেড শোভা মৈত্রের বোন ও বোনপো মাল্যদান করেন । শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন কমঃ বাদল মজুমদার । বক্তব্য রাখেন কমঃ সন্তোষ দেবরায় , প্রণব সামন্ত ও বোন শ্রীমতি গোপা মৈত্র । সভাপতিত্ব করেন কমঃ কাজল মজুমদার । 



Sunday 11 January 2015

ইস্পাতনগরীতে পদযাত্রা : লালঝাণ্ডার ঝড় ।

                                                             

দুর্গাপুর , ১১ জানুঃ : আজ সকালে , ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির ডাকে এক বিশাল পদযাত্রা ইস্পাতনগরী সংলগ্ন রঘুনাথপুর থেকে শুরু হয়ে ইস্পাতনগরীর এ’জোন ও বি’জোনের বিভিন্ন পথ ঘুরে বি’জোনের ভারতী মোড়ে শেষ হয় । পঃ বঙ্গ জুড়ে তৃণমূলের  নৈরাজ্য-রাজের অবসান ও মোদী সরকারের কর্পোরেট-সাম্প্রদায়িক রাজের বিরুদ্ধে ক্ষুরধার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে এই পদযাত্রা । এর সাথে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সম্প্রসারন,উচ্ছেদ ঠিকা শ্রমিকদের পূনর্বহাল সহ অন্যান্য স্হানীয় দাবীগুলি নিয়েও সোচ্চার ছিল আজকের পদযাত্রা। উপস্হিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ কমঃ সুনীল খান , সাইদুল হক সহ ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক কমঃ সন্তোষ দেবরায় , সুশান্ত ব্যানার্জী , নির্মল ভট্টাচার্য , আল্পনা চৌধুরী , সুবীর সেনগুপ্ত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । 
                                               

Thursday 8 January 2015

ঘনিষ্ঠ পার্টি-দরদী কমরেড শান্তিময় সিনহার জীবনাবসান ।

                                                                   

দুর্গাপুর , ৮ই জানুঃ : আজ সকালে , ইস্পাতনগরীর মহিষ্কাপুর রোডের নিজ বাসভবনে পার্টি-দরদী কমরেড শান্তিময় সিনহার  অকস্মাৎ জীবনাবসান হয় । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ । তাঁর বাসভবনে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে মাল্যদান করেন ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক কমঃ সন্তোষ দেবরায় । পরে তাঁর মরদেহ বি.টি.রণদিভে ভবনে নিয়ে আসা হলে মাল্যদান করেন কমঃ অজিত মুখার্জী ,   জীবন রায় , আল্পনা চৌধুরী , সুবীর সেনগুপ্ত , অরুন চৌধুরী প্রমুখ ।

সংক্ষিপ্ত জীবনী : ১৯৫৮ কমরেড শান্তিময় সিনহা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার এসএমএস বিভাগে শ্রমিক হিসাবে কাজে যোগদান করেন । ১৯৬৫ সালে তিনি পার্টি সদস্যপদ পেয়ে  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় পার্টির প্রথম ফ্যাক্টরী কমিটির সদস্য ও পরে আঞ্চলিক কমিটি গঠিত হলে তাঁর সদস্য হয়েছিলেন । তিনি সেক্টর কো-অর্ডিনেশন ও হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লিয়জ ইউনিয়নের ওবি সদস্য ছিলেন । মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী , দুই কন্যা ও পুত্রকে রেখে গেছেন । 

Wednesday 7 January 2015

শিক্ষা যখন বাজারী পণ্য , তখন করা হয় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পিত ধ্বংসসাধন ।

                                                                

গত শতাব্দীর ৫০ এর দশক থেকে দুর্গাপুরে গড়ে উঠতে থাকে একের পর এক সরকারী শিল্পসংস্হা যার মধ্যে অন্যতম অবশ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পসংস্হা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ( সংক্ষেপে ডিএসপি )। ১৬টি গ্রামকে রাজ্য সরকার অধিগ্রহন করে তুলে দেয় ডিএসপি তৈরীর সময়ে । ১৯৬০ সালে তৈরী হয় ডিএসপির প্রথম স্কুল এ’জোন মাল্টিপারপাস ( কো –এড ) । এরপরে একে একে তৈরী হয় ১০টি হাইস্কুল , ১৯টি প্রাইমারী স্কুল সহ  প্রাইমারী স্কুলের সহযোগী আরও ১০টি নার্সারী স্কুল । ৭০এর দশকে ডিএসপির স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা বছরে ৩০,০০০ হাজার ছাড়িয়ে যায় । হাইস্কুল,প্রাইমারী ও প্রাইমারী স্কুলের সহযোগী নার্সারী স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সর্বোচ্চ সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়েছিল ।সুপরিকল্পিত স্কুল বিল্ডিং , বড় ও আরামদায়ক ক্লাসরুম – চেয়ার –বেঞ্চি-টেবিল , অডিটোরিয়াম , লাইব্রেরী,ল্যাবরেটরি , বিশাল খেলার মাঠ ও অপর্যাপ্ত খেলার সরঞ্জাম , গান-বাজনার সরঞ্জাম , ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রকমারী টিফিন , নিবেদিত শিক্ষককুল – এক কথায় স্বাধীন ভারতের আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষাব্যবস্হা গড়ে তোলার জন্য ঠিক যেমনটি দাবী ছিল , তার অধিকাংশই চালু ছিল ডিএসপির স্কুলে । দেশের শিল্প মানচিত্রে যেমন সামনের সারিতে ডিএসপি  উঠে আসে , ঠিক তেমনি রাজ্যের শিক্ষাজগৎে উল্ল্যেখযোগ্য জায়গা করে নেয় ডিএসপির স্কুল । বিশেষ করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম ১০জনের তালিকায়  যখন কলকাতার কিছু নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া রমরমা ছিল তখন জেলার স্কুল হিসেবে ডিএসপির এ’জোন বয়েজ মাল্টিপারপাস , কাশীরাম ও শিবাজী বয়েজ , বি’জোন গার্লস মাল্টিপারপাসের মতন স্কুলগুলি থেকে প্রায় নিয়মিত সেই মেধা তালিকায় জায়গা করে নিত ।বর্ধমান জেলা তো বটেই , কলকাতা সহ ভারতের নামীদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিএসপির স্কুলের থেকে পাশ করা বহু ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি বিপুল সংখ্যায় ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করত এবং আজও করছে । তবে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা কমে আসার সাথে সাথে এখন সেই সংখ্যা ক্রমশঃ কমে আসছে । ডিএসপির স্কুলে ডিএসপির শ্রমিক পরিবার সহ বিভিন্ন সরকারী ও রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ( গ্রামসহ ) ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে আসতো । রাজ্যের কাছে জমি সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহন এবং আইনী ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা ডিএসপির শ্রমিক পরিবার সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের শিক্ষা প্রসারে ব্রতী হয়েছিল । এই প্রয়াসের অসামান্য ফল হল ডিএসপির স্কুলের থেকে পাশ করে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী আজ দেশের গন্ডী ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রতিষ্ঠিত । ইস্পাত তৈরির সাথে পশ্চাদপদ অঞ্চল ও জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার প্রসার ও মানবসম্পদ তৈরী করার এই অসমান্য প্রয়াসের তাৎপর্য উপলব্ধি অথবা বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা এখনও হয় নি । কিন্তু ভবিষ্যৎকে তা করতেই হবে । কিন্তু , ৭০ এর মাঝামাঝি থেকে বিশেষ করে জরুরী অবস্হার সময় থেকে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ স্কুলের থেকে একে একে সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার করতে থাকে । ডিএসপি এই সময়েই আইনের পরোয়া না করে ইস্পাতনগরীতে বেসরকারী স্কুল তৈরী করে বিপুল মুনাফার রাস্তা খুলে দেওয়ার করে দেয় । ১৯৮৪ রাজীব গান্ধী সরকারের সময় থেকে পরবর্তি তিন দশক ধরে  ডিএসপির শিক্ষা-বাজেট কমতে শুরু করে , নতুন শিক্ষক নিয়োগ প্রায় বন্ধ হয় যায় , শ্রমিক পরিবারের বাইরে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির সুযোগ ক্রমশঃ কেড়ে নেওয়া হয় । এককথায় , ডিএসপির স্কুল গুলিকে গুটিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়ে যায় । তিন দশক ধরে এই প্রক্রিয়া চলার মধ্য দিয়ে আজ প্রাইমারী স্কুলের সংখ্যা হয়ছে ১টি , হাইস্কুল ৭টি ও ইংরাজী মাধ্যমের ( সিবিএসসি ) স্কুল ১টি । সামনের বছরে আরও ২ টি ( আকবর রোড গার্লস ও বি’জোন বয়েস মাল্টিপারপাস ) হাইস্কুলে বন্ধের নির্দেশিকা জারী করেছে ডিএসপি । স্কুলের ফী বৃদ্ধি একধাক্কায় ৮২ গুন বৃদ্ধিরও নির্দেশ জারী করেছে ডিএসপি ।  এই সময়ের মধ্যে জনসংখ্যা বেড়েছে , বেড়েছে ছাত্র সংখ্যা । বামফ্রন্টের সময়ে ইস্পাতনগরীর সংলগ্ন অঞ্চলে স্কুলের সংখ্যা বৃদ্ধি হলেও পর্যাপ্ত নয় ।গত ৫৫ বছর ধরে , শ্রমিক পরিবার ছাড়াও এই অঞ্চলের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ছিল ডিএসপির স্কুল । আজ মোদী সরকার সেইলের শেয়ার বেচে কেবল দেশের ইস্পাত শিল্পকে বেচে দিচ্ছে তাই নয় , বেচে দিচ্ছে জনগনের সম্পত্তি । তারই রেশ ধরে রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট এবং পাব্লিক সেক্টরের আইনী দায়বদ্ধতাকে অমান্য করে কর্তৃপক্ষ ডিএসপির স্কুলকে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে ইস্পাতনগরীতে বেসরকারী স্কুলের মুনাফা করে দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে  । তৃণমূল সরকার সব জেনেও নিশ্চুপ । প্রতিবাদে পথে নেমেছে অভিভাবক , ছাত্র-ছাত্রী , শিক্ষক-শিক্ষিকারা । পাশে দাঁড়িয়েছে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) । 

Tuesday 6 January 2015

অবিলম্বে উদ্বৃত্ত কোয়ার্টার ও জমি লিজিং এর দাবীতে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্রশাসনিক ভবনে ( অ্যাডমিন বিল্ডিং ) বিশাল গণ জমায়েত ।

দুর্গাপুর , ৬ই জানুঃ : আজ , হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) , আইএনটিইউসি , এআইটিইউসি ও স্টিল এমপ্লয়িজ ফোরামের যৌথ মঞ্চের ডাকে  অবিলম্বে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার  উদ্বৃত্ত কোয়ার্টার ও জমি লিজিং এর দাবীতে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্রশাসনিক ভবনে ( অ্যাডমিন বিল্ডিং ) বিশাল গণ জমায়েত হয় । ২০০৮ সালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার  কর্তৃপক্ষ হটাৎ করে একতরফাভাবে কোয়ার্টার লিজিং বন্ধ করে । এই মুহুর্তে , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্রচুর জমি ও কোয়ার্টার উদ্বৃত্ত হয় পড়ে আছে , বেআইনিভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে । প্রায় ১১০০ কোয়ার্টারে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারী লিজিং এর আশায় কোয়ার্টারে বাস করছেন । বোকারো , রাউরকেল্লার মত সেইলের কারখানাগুলিতে লিজিং চালু থাকলেও , কোন অজানা কারনে  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় সম্পূর্ন বৈষম্যমূলক ভাবে কর্তৃপক্ষ লিজিং বন্ধ রেখেছেন , তার ব্যাখ্যা দিতে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার  কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ । তাই ইস্পাতনগরী জুড়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষের এহেন আচরনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । এই ক্ষোভ আজ আছড়ে পড়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্রশাসনিক ভবনে ( অ্যাডমিন বিল্ডিং ) এ । সাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশাল গণ জমায়েতের চেহারা বুঝিয়ে দিয়েছে  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষের অমানবিক ও একগুঁয়েমির বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন কোথায় পৌঁছেছে । জমায়েত চলকালীন যৌথ মঞ্চের পক্ষে এক প্রতিনিধিদল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে উদ্বৃত্ত কোয়ার্টার ও জমি লিজিং শুরু করার  দাবী জানানো হয় অন্যথায় যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে  বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেওয়া হয় । কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্হার আশ্বাস দিয়েছে বলে যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয় । আজকের গণ জমায়েতে বক্তব্য রেখেছেন অরুন চৌধুরী , বিশ্বরূপ ব্যানার্জী , স্বপন মজুমদার , কাজল মজুমদার ,ললিত মিশ্র , বিশ্বজিত বিশ্বাস ,শম্ভু প্রামানিক , বিবেক সাহা প্রমূখ । গণ জমায়েতের পক্ষ থেকে আজ থেকে শুরু হওয়া ৫-দিন ব্যাপি সারা ভারত কয়লা শিল্পের ধর্মঘটের প্রতি পূর্ণ সংহতি জানানো হয় ।

Monday 5 January 2015

প্রতিবন্ধীদের উপরে বর্বোরিচত আক্রমনের বিরুদ্ধে মহকুমা শাসকের কাছে পঃ বঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সন্মিলনীর ডেপুটেশন ।

                                                                         

দুর্গাপুর , ৫ঠা জানুঃ : রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের নৈরাজ্যর হাত থেকে প্রতিবন্ধীরাও রেহাই পাচ্ছে না । প্রতিবন্ধীদের বিরুদ্ধে খুন – জখম – ধর্ষন – শ্লিলতাহানির মত মারাত্মক অপরাধ বেড়েই চলেছে । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশ ও প্রশাসন  প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করছে না । গত কয়েক দিনের মধ্যে দুর্গাপুর মহকুমায় প্রতিবন্ধীদের উপরে পর পর নৃশংস আক্রমন ঘটেছে । গত ২৭ শে ডিসেঃ পানাগড়ে ডিভিসি পাড়ায় একজন বিধবা প্রতিবন্ধীকে জনৈক কপিল পণ্ডিত ধর্ষন করে অথচ সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা গ্রহন করা হয় নি । গত ৩০শে ডিসেঃ দুর্গাপুরের ইস্পাতনগরীর বি’জোনে শাসকদলের দুষ্কৃতিদের অমানবিক মারধোরে  গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হতে হয় প্রতিবন্ধী শ্রী মোহন
  পাসোয়ানকে । পুলিশ এক্ষেত্রেও দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা গ্রহন করে নি । গত ২রা জানুঃ খান্দরা কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র তুলতে গিয়ে খান্দরা কলেজের তৃতীয় বর্ষের প্রতিবন্ধী ছাত্রী শ্যামা সহিস কে প্রথমে পুলিশ ও তার পরে পুলিশের উপস্হিতিতে শাসক দলের দুষ্কৃতিরা নৃশংস ভাবে মারধোর করে । যথারীতি পুলিশ কোন ব্যবস্হা নেয় নি ।

     আজ , পঃ বঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সন্মিলনীর বর্ধমান জেলা কমিটির পক্ষ থেকে জেলা কমিটির সম্পাদক শ্রী মদন বাউরীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল দুর্গাপুরের অবিলম্বে এই ঘটনাগুলিতে যুক্ত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহন করে গ্রেফ্তারের দাবী জানিয়ে  মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় । প্রতিনিধিদলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন মহঃ ইসাক , তুলসী ঘোষাল , গৌতম ঘোষ ও মিঠু মজুমদার ।

Sunday 4 January 2015

ঠিকা শ্রমিকদের মিছিলে জনস্রোত ।

                                                                  

দুর্গাপুর , ৪ঠা জানুঃ : আজ , ইউ.সি.ডব্লু.ইউ.( সিআইটিইউ ) এর ডাকে দুর্গাপুর ইস্পাতের কর্মরত ও উচ্ছেদ হওয়া ঠিকা শ্রমিকদের এক বিশাল মিছিল  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেন গেট থেকে শুরু হয়ে জিটি রোড ধরে ওল্ড কোর্ট হয়ে ভিড়িঙিতে আসে । ভিড়িঙি থেকে বেনাচিতি বাজার হয়ে ইস্পাতনগরীর প্রান্তিকা সংলগ্ন পাঁচমাথা মোড়ে শেষ হয় । উচ্ছেদ হওয়া ঠিকা শ্রমিকদের পুনর্বহাল,চুক্তি অনুযায়ী ঠিকা শ্রমিকদের বেতন প্রদান,চুক্তি অনুযায়ী বি-লিষ্ট ও নোটিফায়েড ঠিকা শ্রমিকদের স্হায়ীকরন ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ভেতরে ট্রেড ইউনিয়ন গনতন্ত্রের পুনঃ প্রতিষ্ঠা – এই চার দফা দাবীতে আজকের মিছিল হয় ।  
             গত ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পরে , দুর্গাপুর ইস্পাতের ঠিকা শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা ও অধিকারের উপরে তৃণমূলীরা বর্বোরিচত হামলা চালায় । ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের বলি হয়ে কাজ হারিয়েছেন ৫০০ জন মহিলা শ্রমিক সহ ৩৫০০ জন ঠিকা শ্রমিক । এদের মধ্যে অধিকাংশই গত ২৫-৩০ বছর ধরে কাজ করছিলেন । তৃণমূলীদের শারীরিক আক্রমনের শিকার হয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন ইউ.সি.ডব্লু.ইউ.( সিআইটিইউ ) এর নেতৃত্বের অনেকে । রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষ এই উচ্ছেদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা গ্রহন করা দুরে থাক , উল্টে তৃণমূলীদের পাশে দাঁড়িয়েছে । শ্রমিক নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়ছে । উচ্ছেদ হওয়া শ্রমিকদের পরিবার নিদারুন সংকটে পড়েছে । যেসব ঠিকাশ্রমিকরা বর্তমানে কাজ করছেন , তৃণমূলের নেতা , ঠিকাদার ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষের একাংশের যোগসাজসে নিদারুন শোষন-বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন । চুক্তি মোতাবেক ঠিকাশ্রমিকদের দৈনিক ৪৩৮ টাকা থেকে ৫০৫ টাকা পাওয়ার কথা কিন্তু দেওয়া হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা ! শ্রমিকদের পিএফ-ইএসআই এর তহবিলে সঠিক জমা করছে না ঠিকাদাররা । পরিবর্তনের জমানায় ঠিকাদাররা ঠিকাশ্রমিকদের সপ্তাহে একদিন সবেতনে ছুটি , বছরে ৩৭ দিন সবেতন ছুটি , বার্ষিক ১১% হারে বোনাস , ওভারটাইমের ডবল পয়সা , ছাঁটাইকালীন সুবিধা কেড়ে নিয়েছে । চুক্তি অনুযায়ী ২০১২ সালের মার্চের মধ্য বি-লিষ্ট ও নোটিফায়েড ভুক্ত ঠিকাশ্রমিকদের স্হায়ী করার কথা । কিন্তু  ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষ সেই চুক্তি সরসরি উপেক্ষা করছে । বামফ্রন্টের সময়ে  ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষ অথবা ঠিকাদাররা কখন চুক্তি অমান্য করার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা ইউ.সি.ডব্লু.ইউ.( সিআইটিইউ ) এর নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পরে অধিকার আদায় করে নিতেন । আজ যখন ঠিকাশ্রমিকরা  ঠিকাদার ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষের নির্মম শোষন-বঞ্চনার শিকার তখন তৃণমূলের নেতারা কেন নীরব সে কথা বুঝে নিতে ঠিকাশ্রমিকদের বুঝে নিতে অসুবিধা হচ্ছে না । ইতিমধ্যে কেন্দ্রে বিজেপি-র সরকার ক্ষমতায় এসে শ্রম আইন সংস্কারের নামে শ্রমিকদের অধিকার আইন করে কেড়ে নিতে চাইছে । এই সবের বিরুদ্ধে ঠিকাশ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষের লাভাস্রোত বইতে শুরু করছে , আজকের বিপুলাকার মিছিল তারই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলো । মিছিলে যোগ দেন  প্রাক্তন দুই সাংসদ সুনীল খান ও সেখ সাইদুল হক , প্রাক্তন বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী , গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ , জেলা সিআইটিইউ , হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ও অন্যান্য ভ্রাতৃপ্রতিম ইউনিয়ন ও গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।