দুর্গাপুর,২৭ জানুঃ : রাত পেরোলে শুরু হবে ঐতিহাসিক ২৮-২৯শে মার্চ ব্যাপি দু-দিনের
সারা ভারত সাধারন ধর্মঘট। জনগন বাঁচাও,দেশ বাঁচাও আহ্বানে আসমুদ্র হিমাচল ভারতের ২০
কোটি শ্রমিক সহ কৃষক-ক্ষেতমজুর-ছাত্র-যুব-মহিলা এবং তামাম মেহেনতি মানুষ ১২-দফা দাবিতে
মোদি সরকারের কর্পোরেট-বহুজাতিক সংস্হার পা-চাঁটা অর্থনীতির বিরুদ্ধে দু-দিনের সারা ভারত সাধারন ধর্মঘটে অংশ
গ্রহন করবেন ।
অংশ গ্রহন
করবেন রাষ্ট্রায়ত্ব দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের শ্রমিকরা । ইতিমধ্যে
বেতন-চুক্তির লক্ষে কালা মউ ( মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং ) সই হওয়ার ফলে গুরুতর আর্থিক ক্ষতির সম্মুক্ষীন স্হায়ী
ও ঠিকা ইস্পাত শ্রমিকরা। গত ২২শে অক্টোবর রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত শিল্প সেইল- আরআইএনএল এর
শ্রমিকদের বেতন চুক্তির জন্য এনজেসিএস এর সভায় বেতন-চুক্তি করতে চেয়ে একটি মেমোরেন্ডাম অফ সেটেলমেন্ট স্বাক্ষর হয়।তিনটি কেন্দ্রিয় ও একটি স্হানীয় ট্রেড সই করে। সিআইটিইউ এই মেমোরেন্ডাম অফ সেটেলমেন্টে সই করেনি।বিএমএসও সই করেনি। মূল চুক্তি এখনো বাকি আছে।প্রসংগত,২০১৭ সালের ১লা জানুঃ থেকে সেইল-আরআইএনএল এর স্হায়ী ও ঠিকা শ্রমিকদের বেতন-চুক্তি বকেয়া হয়ে পড়ে আছে । কর্তৃপক্ষের এই টালবাহনার বিরুদ্ধে গত ৩০শে জুন সিআইটিইউ সহ অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ আহ্বানে ইস্পাত শ্রমিকদের ঐতিহাসিক ধর্মঘটে সম্পূর্ন স্তব্ধ হয়ে যায় সেইল-আরআইএনএল।ধর্মঘটের সাফল্যে ভীত কর্তৃপক্ষ সাসপেনসন-বদলির মত প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ নিলও ইস্পাত শ্রমিকরা সম্মানজনক বেতন-চুক্তির দাবি আদায়ের জন্য অটল আছেন । এই অবস্হায় চার ইউনয়নের বেতন সংক্রান্ত মউ-চুক্তিতে সই আগুনে ঘি ঢেলেছে । মউ-চুক্তিকে ইস্পাত শ্রমিকরা চূড়ান্ত ক্ষতিকরক ও অসম্মানজনক মনে করে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছেন । শুধু তাই নয়, কর্তৃপক্ষ ১৯৭০ সালে
এনজেসিএস চুক্তি ভঙ্গ করে গ্র্যাচুইটির সিলিং বেঁধে দেওয়ার ফলে শ্রমিকদের প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি
বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা কেড়ে নিতে চাইছে কেন্দ্রের ইস্পাত মন্ত্রকের অধীনে থাকা সেইল-আরআইএনএল
এর কর্তৃপক্ষ । অন্যদিকে,
মউ-চুক্তিতে
মাত্র ১৩% নূন্যতম সুবিধার গ্যারান্টি ( এমজিবি ) হওয়ার ফলে বেতনের বেসিক বাবদ বিপুল
ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে সেইল-আরআইএনএল এর শ্রমিকরা । এই সময়ে যে সমস্ত কেন্দ্রিয়
রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হায় ১০-বছর মেয়াদের বেতন-চুক্তি
হয়েছে,সেখানে এমজিবি ১৫% দেওয়া হলেও কেন্দ্রের “নবরত্ন” সংস্হাগুলির মধ্যে তৃতীয় স্হান
অধিকার করেও,২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে নিট মুনাফা ২০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করলেও,শ্রমিকদের
চরম বঞ্চনার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে । এর ফলে, গ্র্যাচুইটি-পিএফ-বোনাস সহ প্রতিটি
বিষয়ে শ্রমিকরা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে চলছেন,কারন প্রাপ্য প্রতিটি বিষয়ে বেসিকের ওপরে
নির্ভরশীল । এমনকি এখনো পর্যন্ত বিগত বেতন-চুক্তির বহু বকেয়া আছে । বঞ্চনার শীর্ষে
আছে ঠিকা শ্রমিকরা।এই মুহুর্তে দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয় স্টিল কারখানা কর্মরত শ্রমিকদের
৪৭% ঠিকা শ্রমিক। অথচ মউ-চুক্তিতে তাদের বিষয়ে কিছুই বলা হয় নি।স্হায়ী ধরনের কাজে ঠিকা
শ্রমিকদের স্হায়ীরন ২০১১ সালের পর থেকে বন্ধ । সুপ্রীম কোর্টের রায় অনুসারে সম কাজে
সম বেতন সেইল- আরআইএনএল এর কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি
নস্যাৎ করছে । প্রায়সই ঠিকাদাররা ঠিকা শ্রমিকদের পিএফ সহ অন্যান্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত
রেখে চম্পট দিলেও দুর্গাপুর ইস্পাতের কর্তৃপক্ষ দায় এড়িয়ে চলেছে । ২০১১ সালের পরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার
অভ্যন্তরে ও বাইরে ইস্পাতনগরীতে কর্মরত হাজার হাজার ঠিকা শ্রমিক কে শাসকদলের মস্তান
বাহিনী উচ্ছেদ করে । পরিবর্তে মোটা টাকার বিনিময়ে অদক্ষ ঠিকা শ্রমিকদের চাকরী পাইয়ে
দেয় শুধু তাই নয় ঠিকা শ্রমিকদের প্রাপ্য বেতন ও অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে এক
শ্রেনীর অসাধু অফিসার ও ঠিকাদারের সহযোগিতায় শাসকদলের নেতারা কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছে
বলে অভিযোগ উঠেছে । উচ্ছেদ হওয়া ঠিকা শ্রমিকরা অনেকে মারা গেছেন । উচ্ছেদ হওয়া ঠিকা
শ্রমিকদের পরিবারগুলি চরম অনিশ্চয়তা ও কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন । এমন কি দুর্গাপুর
ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতায় অনেক ঠিকা শ্রমিক পি.এফ-পেনশন পাচ্ছেন না ।
একই সাথে যুক্ত হয়েছে ঠিকা শ্রমিকদের যখন তখন ছাঁটাই । দুর্গাপুর ইস্পাতের কর্তৃপক্ষ গত ২৪/০৩/২০২০
তারিখ থেকে স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের কর্মরত বি-লিস্ট ভুক্ত ১৪৭ জন কর্মরত ঠিকা শ্রমিক কে
ছাঁটাই করে দিয়েছে । ডিএসপির বি-লিস্ট ভুক্ত ঠিকা শ্রমিকরা কারখানার ২২টি নোটিফায়েড
এলাকায় ছিলেন। এই নোটিফায়েড এলাকা গুলিতে ঠিকা শ্রমিকরা স্হায়ি কাজ ( পেরেনিয়াল জব
) এর সাথে যুক্ত ছিলেন। ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী ২১টি নোটিফায়েড এলাকার বি-লিস্ট ভুক্ত ঠিকা শ্রমিকদের স্হায়ীকরন করা হলেও বাকি থাকে স্ল্যাগ
ব্যাঙ্ক । দীর্ঘ টালবাহানার পরে যৌথ আন্দোলনের চাপে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে ১৯৯৬
সালে স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক কে নোটিফায়েড এলাকা বলে মেনে নেয় ও ২০১০ সালে ৬০ জন ঠিকা শ্রমিকের
স্হায়ীকরন করে । কিন্তু বাকিদের স্হায়ীকরন নিয়ে আজও ডিএসপি কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করেই
চলেছে । ইতিমধ্যে তিন বার মেডিক্যাল,ভিআরএস ও মৃত্যুজনিত কারনে চুক্তি অনুসারে স্ল্যাগ
ব্যাঙ্কের স্হায়ী চাকরির হকদার বি-লিস্ট ভুক্ত ঠিকা শ্রমিকের সংখ্যা কমে বর্তমানে কমে
হয়েছে ১৪৭ জন । এরই মাঝে কর্তৃপক্ষ এক দিকে যন্ত্রপাতি বসিয়ে অন্যদিকে এফএসএনএল এর
মাধ্যমে আউটসোর্সিং করিয়ে স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের কাজের পরিধি সঙ্কুচিত করেছে এবং বর্তমান
কাজ নেই এই অজুহাতে লকডাউন ঘোষনার প্রাক্কালে স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের ১৪৭ জন ঠিকা শ্রমিক
কে ছাঁটাই করেছে । যে ঠিকাদারের কাছে ছাঁটাই ঠিকা শ্রমিকরা কাজ করতেন,সেই সংস্হা শ্রমিকদের
বকেয়া পাওনা-গণ্ডা মিটিয়ে দেয় নি । এর ফলে ছাঁটাই শ্রমিক ও তাদের পরিবার দুঃসহ অবস্হায়
দিন কাটাচ্ছেন ।
মোদি সরকারের
বেসরকারীকরনের করালগ্রাসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত উৎপাদক সংস্হা সেইলের
৫০০ রকমের বিশেষ ইস্পাত উৎপাদনকারি সংস্হা দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল কারখানা। ১৬৬টি
আন্দোলনের মাধ্যমে এখনো অ্যালয় স্টিল কারখানার বেসরকারীকরন ঠেকিয়ে রাখা গেছে।আধুনিকিকরন
ও সম্প্রসারন না হওয়ায় বিপন্ন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা। একসময়ে দুর্গাপুর ইস্পাত ও
অ্যালয় স্টিল কারখানায় চল্লিশ হাজারের বেশী স্হায়ী ও ঠিকা শ্রমিক কাজ করলেও বর্তমানে
মোট স্হায়ী ও ঠিকা শ্রমিকের সংখ্যা দশ হাজারের নীচে নেমে এসেছে । নিয়োগ প্রায় হচ্ছেই
না । দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জন্মলগ্ন
থেকে রীতি অনুসারে ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস্টরা ট্রেনিং চলাকালীন অথবা ট্রেনিং শেষে শ্রমিক
হিসাবে কারখানায় যোগদান করেন।কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে ২০১৬ থেকে তাদের ১ বছরের মাথায়
কারখানার কর্তৃপক্ষ বসিয়ে দিচ্ছে । মোদি জমানার ‘জুমলা’-র শিকার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিসরা
। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র ধাঁচে ‘স্কিল ইন্ডিয়া’-র রঙ্গীন প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পড়েছেন দুর্গাপুর
ইস্পাত কারখানার ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস্টরা । শ্রম আইনের আওতার বাইরে থাকা এই ট্রেনিদের
প্রশিক্ষনের নামে কারখানার শ্রমিকদের কাজ করিয়ে নিংড়ে নেওয়ার পর ১ বছরে পরে তাদের কারখানার
বাইরে বার করে দেওয়ার প্রথার নাম হল ‘স্কিল ইন্ডিয়া’ । এর বিরুদ্ধে সহায়িকরন ও অন্যান্য
দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সিআইটিইউ । অবিভক্ত বর্ধমান জেলার আমল থেকে জেলার
তো বটেই পার্শ্ববর্তি জেলা সহ দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের চিকিৎসার অন্যতম ভরসাস্হল হল
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতাল । দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-আধিকারিক ও তাদের পরিবারবর্গের চিকিৎসার
সাথে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সংস্হার কর্মরতরা এবং সাধারন মানুষ কে সুলভ মূল্যে
সুচিকিৎসা জুগিয়ে এসেছে মেইন হাসপাতাল । নয়া অর্থনীতির কোপে বিশেষতঃ মোদি সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ব
সংস্হা-বিরোধী নীতির ফলে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতাল সহ হেলথ সেন্টার
ও প্ল্যান্ট মেডিক্যাল এর চিকিৎসা পরিকাঠামো দুরাবস্হার মুখে পড়েছে। ক্রমান্বয়ে ব্যয়-বরাদ্দ কমানো এবং ডাক্তার-নার্স-স্বাস্হ্য কর্মিদের নিয়োগ অস্বাভবিক
কমানোর ফলে স্বাস্হ্য পরিষেবা অবনতি হয়েছে ।কিছু হেলথ সেন্টার বন্ধ হয়েছে। বাকি গুলি
আগের মতো পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে । ফলে মেইন হাসপাতালের উপর চাপ বাড়ছে । ৬০০ বেডের
মেইন হাসপাতালে মোট ২২টি ওয়ার্ড আছে । বছরে
প্রায় ১০ লক্ষ রোগীর চিকিৎসা ( ইনডোর ও আউটডোর মিলিয়ে ) হয় মেইন হাসপাতালে ।মাত্র ৭০
জন ডাক্তার , ১০০ জন নার্স ও অপর্যাপ্ত স্বাস্হ কর্মি - ড্রেসার – ফার্মাসিস্ট – টেকনিশিয়ান
নিয়ে অপ্রতুল স্বাস্হ্য পরিষেবায় বিপাকে পড়ছেন রোগীরা এই ভাবে চিকিৎসা ব্যবস্হার মত
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কে হেলাফেলা করে বেসরকারীকরনের উদ্যোগ গ্রহন করে চিকিৎসা ব্যবস্হা
কে সঙ্কুচিত করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ
)। ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিগত বেশ কয়েক বছর
ধরে একক ও যৌথ ভাবে - ইস্পাতনগরীর যে কোয়ার্টারে বসবাস করছেন,ইচ্ছুক কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত
শ্রমিক-কর্মচারীরা সেই কোয়ার্টারের লীজ/লাইসেন্স
এর সুযোগ,সেইলের অন্য প্ল্যান্টের মত গ্র্যাচুইটি থেকে কেটে নেওয়া বাড়ী ভাড়া বাবদ টাকা
অবিলম্বে ফেরৎ,লাইসেন্সিং কে লীজে পরিবর্তন , কোম্পানীর উদ্বৃত্ত জমিতে লীজের ভিত্তিতে
জমির প্লট/ গ্রুপ হাউসিং এর সুবিধা,ইস্পাতনগরীর হাসপাতাল-জল-বিদ্যুৎ-রাস্তা-নিকাশী
ব্যবস্হা সহ সামগ্রিক নাগরিক পরিষেবার আধুনিকীকরন ও কর্মরতদের জন্য আধুনিক টাউনশীপ
গড়ে তোলার দাবিতে লাগাতার লড়াই চালানো হচ্ছে । আংশিক দাবী আদায় হলেও অধিকাংশ দাবীগুলি অযৌক্তিতত ভাবে মানা হচ্ছে না বলে , দুর্গাপুর
ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন নেতৃত্ব অভিযোগ করেছেন । এ দিকে ইস্পাতনগরীর উদ্বৃত্ব জমি-কোয়ার্টার-বিভিন্ন
ভবন-স্কুল-পার্ক রাজ্যের শাসক দখল করে বিক্রী
করছে । ফলে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা বিপুল পরিমানে রাজস্ব আয় হারাচ্ছে ।ধান্দার অর্থনীতির
বিরুদ্ধে প্রতিদিনের লড়াই কে উচ্চ পর্যায় নয়ে যাওয়ার লক্ষে দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয়
স্টিল প্ল্যান্ট এবং ইস্পাত শ্রমিকরা ২৮-২৯শে
মার্চ দু-দিনের সারা ভারত সাধারন ধর্মঘটের জোরদার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ।