Sunday 26 September 2021

আগামী কালের ভারত-বনধ এর সমর্থনে ইস্পাতনগরীতে মিছিল,বাইক-মিছিল ।

 


দুর্গাপুর,২৬শে সেপ্টেঃ : অবিলম্বে কৃষি-বিল বাতিল সহ অন্যান্য দাবিতে আগামী কালের ভারত-বনধ এর সমর্থনে ইস্পাতনগরী সহ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে জোরদার প্রচার চলছে । আজ সকালে,ডিওয়াইএফআই এর দুর্গাপুর ইস্পাত বি-জোন আঞ্চলিক কমিটির ডাকে ভারত-বনধ এর সমর্থনে ও সর্বাত্মক করার আহ্বান জানিয়ে ইস্পাতনগরীর নিউটন থেকে একটি বিশাল বাইক মিছিল বেরিয়ে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে সেইল সমবায় আবাসন অঞ্চলের কবিগুরুর ( দ্বিতীয় বাস স্টপ )-এ শেষ হয় হয় । মিছিলে ছিলেন চঞ্চল মুখার্জী,রাহুল কেওড়া,তারকেশ্বর গিরি সহ অন্যান্য যুব নেতৃবৃন্দ । বিকালে ইস্পাতনগরীর এ-জোন ও বি-জোনে ভারত-বনধ এর সমর্থনে দুটি পৃথক মিছিল বেরোয় ।মিছিল গুলিতে উপস্হিত ছিলেন সন্তোষ দেবরায়,নির্মল ভট্টাচার্য,সুবীর সেনগুপ্ত,বিশ্বরূপ ব্যানার্জি প্রমুখ ।


















Friday 24 September 2021

রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্র কে বেসরকারীকরন দেশের স্বাধীন অর্থনীতি কে ধ্বংস করবে : অনাদি সাহু ।

 


দুর্গাপুর,২৪শে সেপ্টেঃ : আজ সন্ধ্যায় দুর্গাপুর ইস্পাতনগরীর বি.টি. রণদিভে ভবনে,আগামী ৩০ সেপ্টেঃ থেকে ২রা অক্টোবর, পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলা সিআইটিইউ এর আসন্ন দ্বাদশ পঃ বঙ্গ রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ,”রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পের সংকট,ভারতবর্ষের জন্য অশনি সংকেত “- শীর্ষক  আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিআইটিইউ এর সিআইটিইউ এর পঃ বঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু এই কথা বলেন। তিনি আরও বলেন যে দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্র যে বুনিয়াদি শিল্পের ভিত গড়ে তুলেছিল তার মধ্য দিয়ে স্বাধীন ভারতে শিল্পায়ন সম্ভব হয়েছিল । শুধু তাই নয়,দেশের  রাজস্ব সংগ্রহ ও কর্মসংস্হানের অন্যতম উৎস হয়ে ওঠে রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্র । ১৯৯১ সালে তৎকালীন পি ভি নরসীমা রাও নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারে অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং যে নয়া অর্থনীতির ঘোষনা করেন,তার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্র কে অবনয়নের কাজ শুরু হয় যা বর্তমানে মোদি সরকারের আমলে চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে । রাজ্যে মমতা ব্যানার্জি নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার একই নীতি চলেছে । এর পরিনতিতে দুর্গাপুর সহ গোটা রাজ্য ও দেশে ভয়াবহ পরিস্হিতি তৈরি হয়েছে । স্বাধীনতার পরে বেকারী সর্বোচ্চ পর্যায় ছুঁয়েছে,শিল্পোৎপাদন নিদারুন হ্রাস পেয়েছে । বিদেশী বা বেসরকারী কর্পোরেট পুঁজির মাধ্যমে শিল্পায়নের রঙ্গীন গল্প ফিকে হয়ে আসছে । এই অবস্হায় , মোদি সরকার কৃষি ক্ষেত্রে কে বিদেশী বা বেসরকারী কর্পোরেট পুঁজির হাতে তুলে দিতে চাইছে । ফলে দেশের স্বাধীন অর্থনীতি আজ বিপন্ন । নয়া অর্থনীতির বিরুদ্ধে ও রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্র কে বাঁচাতে প্রথম দিন থেকে সিআইটিইউ যে লড়াই গড়ে তুলেছে,সেই লড়াই আজ সারা দেশের শ্রমিক আন্দোলনের লড়াইতে পরিনত হয়ছে । আসন্ন রাজ্য সম্মেলন থেকে এই লড়াই আরও শক্তিশালী করার  পরিকল্পনা করা হবে । অন্যদিকে সংগ্রামরত কৃষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে ও অন্যান্য দাবিতে আগামী ২৭শে সেপ্টেঃ আহুত দেশব্যাপি ধর্মঘট কে সর্বাত্মক করার জন্য তিনি আবেদন জানান । অন্যান্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন সন্তোষ দেবরায়,বিশ্বরূপ ব্যানার্জি,আর.পি.গাঙ্গুলী,ললিত মিশ্র প্রমুখ । এর আগে আসন্ন রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষ্যে দুর্গাপুরে আয়োজিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় । সভার সূচনায় গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন লহরী শিল্পী-গোষ্ঠী । 




































Monday 13 September 2021

অবিলম্বে বাৎসরিক বোনাস দেওয়ার দাবীতে ইস্পাত শ্রমিকদের বিক্ষোভ ।

 


দুর্গাপুর,১৩ই সেপ্টেঃ : শারদোৎসব আসন্ন । কিন্তু তাই ঘিরে ইস্পাতনগরী ও সংলগ্ন অঞ্চলের চন্ডিদাস ও বেনাচিতি বাজারে রমরমা বেচাকেনার চিত্রটা এখনো অনুপস্হিত ।মোদি সরকারের তুঘলকি নীতির ফলে দেশের অর্থনীতি ঘিরে মানুষের উদ্বেগের প্রতিফলন পূজোর বাজারে পড়ার সম্ভাবনা ব্যবসায়ীরাও উড়িয়ে দিতে পারছেন না । উদ্বেগে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও ।এদিকে অন্য আরেক সমস্যা কে ঘিরে বাজারের করুণ অবস্হা আরও জটিল করে তুলছে । উৎসবের মুখে এখনো পর্যন্ত দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বার্ষিক বোনাস বা বিলম্বিত বেতন ( ১২ মাস কাজ করে ১৩ মাসের বেতন ) এর জন্য ইউনিয়নদের সাথে আলোচনা করে ঠিক করা অথবা বোনাস দেওয়ার জন্য সেইল কর্তৃপক্ষের কোন হেলদোল দেখা যাচ্ছে না।

     আজ সকালে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ )-এর ডাকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ইডি ( ওয়ার্কস )দপ্তরে বার্ষিক বোনাস-বেতন চুক্তি সহ বকেয়া বিভিন্ন দাবিতে ইস্পাত শ্রমিকরা প্রবল বিক্ষোভ দেখায় । করোনার অতিমারীর মধ্যেও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কারখানার উঁচু হারের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বজায় রেখে চাহিদা ও অর্ডারের যথাযথ জোগান বজায় রেখে চলে সেইলের মধ্যে প্রথম স্হানে আছে । অথচ সামনে শারোদৎসব চলে আসা সত্বেও,কর্তৃপক্ষ বার্ষিক বোনাসের বিষয়ে নিশ্চুপ ! ইউনিয়নের তরফ থেকে দাবি জানানো সত্বেও কর্তৃপক্ষ বার্ষিক বোনাসের বিষয়ে এখন কোন আলোচনা করার উদ্যোগ না দেখানোর জন্য শ্রমিকদের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বাড়ছে । আজকের বিক্ষোভ সমাবেশে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল । বক্তারা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কে অবিলম্বে আলোচনায় বসার জন্য দাবি জানিয়েছেন । একই সাথে বেতন চুক্তির সহ বকেয়া বিভিন্ন দাবি অবিলম্বে মেটানোর দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।এছাড়াও বক্তারা অবিলম্বে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের জমি-কোয়ার্টার লিজ-লাইসেন্সিং দেওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি ইস্পাতনগরীর জমি-কোয়ার্টার ক্রমাগত বেদখল,বেআইনী পার্কিং প্রভৃতির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষের গা-ছাড়া মনোভাব কে দায়ী করেছেন । বক্তব্য রাখেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জি,ললিত মিশ্র,সৌরভ দত্ত ও প্রদ্যুৎ মুখার্জি । সমাবেশ চলাকালীন ইউনিয়নের এক প্রতিনিধি দল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি সম্বলিত স্মারক লিপি জমা দিয়ে অবিলম্বে সমস্ত সমস্যা সমাধানের দাবি জানান ।