দুর্গাপুর,২৪শে সেপ্টেঃ : আজ সন্ধ্যায় দুর্গাপুর ইস্পাতনগরীর বি.টি. রণদিভে ভবনে,আগামী
৩০ সেপ্টেঃ থেকে ২রা অক্টোবর, পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলা সিআইটিইউ
এর আসন্ন দ্বাদশ পঃ বঙ্গ রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ,”রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পের সংকট,ভারতবর্ষের
জন্য অশনি সংকেত “- শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য
রাখতে গিয়ে সিআইটিইউ এর সিআইটিইউ এর পঃ বঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু এই কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন যে দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্র যে বুনিয়াদি শিল্পের ভিত গড়ে তুলেছিল তার
মধ্য দিয়ে স্বাধীন ভারতে শিল্পায়ন সম্ভব হয়েছিল । শুধু তাই নয়,দেশের রাজস্ব সংগ্রহ ও কর্মসংস্হানের অন্যতম উৎস হয়ে ওঠে
রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্র । ১৯৯১ সালে তৎকালীন পি ভি নরসীমা রাও নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারে
অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং যে নয়া অর্থনীতির ঘোষনা করেন,তার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্র
কে অবনয়নের কাজ শুরু হয় যা বর্তমানে মোদি সরকারের আমলে চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে । রাজ্যে
মমতা ব্যানার্জি নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার একই নীতি চলেছে । এর পরিনতিতে দুর্গাপুর
সহ গোটা রাজ্য ও দেশে ভয়াবহ পরিস্হিতি তৈরি হয়েছে । স্বাধীনতার পরে বেকারী সর্বোচ্চ
পর্যায় ছুঁয়েছে,শিল্পোৎপাদন নিদারুন হ্রাস পেয়েছে । বিদেশী বা বেসরকারী কর্পোরেট পুঁজির
মাধ্যমে শিল্পায়নের রঙ্গীন গল্প ফিকে হয়ে আসছে । এই অবস্হায় , মোদি সরকার কৃষি ক্ষেত্রে
কে বিদেশী বা বেসরকারী কর্পোরেট পুঁজির হাতে তুলে দিতে চাইছে । ফলে দেশের স্বাধীন অর্থনীতি
আজ বিপন্ন । নয়া অর্থনীতির বিরুদ্ধে ও রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্র কে বাঁচাতে প্রথম দিন থেকে
সিআইটিইউ যে লড়াই গড়ে তুলেছে,সেই লড়াই আজ সারা দেশের শ্রমিক আন্দোলনের লড়াইতে পরিনত
হয়ছে । আসন্ন রাজ্য সম্মেলন থেকে এই লড়াই আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করা হবে । অন্যদিকে সংগ্রামরত কৃষকদের
আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে ও অন্যান্য দাবিতে আগামী ২৭শে সেপ্টেঃ আহুত দেশব্যাপি ধর্মঘট
কে সর্বাত্মক করার জন্য তিনি আবেদন জানান । অন্যান্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন সন্তোষ
দেবরায়,বিশ্বরূপ ব্যানার্জি,আর.পি.গাঙ্গুলী,ললিত মিশ্র প্রমুখ । এর আগে আসন্ন রাজ্য
সম্মেলন উপলক্ষ্যে দুর্গাপুরে আয়োজিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের হাতে
পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় । সভার সূচনায় গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন লহরী শিল্পী-গোষ্ঠী ।