গত ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পরে পঃবঃ - এ তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে রাজ্যব্যাপী কমিউনিষ্ট ও বামপন্থীদের নিশ্চিন্হ করার জন্য পুলিশী-সহায়তায় নৃশংস হামলা চালাচ্ছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতি-বাহিনী আর এই আক্রমনের চূড়ান্ত শিকার ,দুর্গাপর ইস্পাত কারখানার ঠিকাশ্রমিকদের আপন সংগঠন UCWU ( ইউনাইটেড কন্ট্রাক্টার ওয়াকার্স ইউনিয়ন )-এর নেতৃত্ব -সদস্য-সমর্থক ও সাধারণ শ্রমিকরা ।
২০১১ সালের ২৭শে - ২৮ শে মে থেকে তৃণমূলের সশস্ত্র বাইক বাহিনীর সন্ত্রাস শুরু হয় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ভিতরে ও বাইরে ।এই বাহিনী বিনা গেট-পাসে কারখানার অভ্যন্তরে ঢুকে ঠিকাশ্রমিকদের উপর নৃশংস শারীরিক আক্রমন , হুমকি-ভীতি প্রদর্শন শুরু করে , যা এখনও অব্যাহত । কারখানার বাইরে এই নৃশংসতা অমানবিকতার মাত্রা ছাড়িয়েছে ।কেবল শ্রমিকরা নয় আক্রন্ত হছ্ছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও ! রাস্তায় চলাফেরা , আত্মীয়-পরিজনদের বাড়ীতে যাওয়া , দোকান-বাজারে যাওয়ার উপরে নিত্য-নতুন ফতেয়া জারি করছে তৃণমূলী দুষ্কৃতি- বাহিনী । মিথ্যা-মামলায় জড়ানোয় হয়েছে UCWU-এর নেতৃত্বকে । এই অভূতপুর্ব্ব সন্ত্রাসে তৃণমূলের দুষ্কৃতি- বাহিনী দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ৩৫০০ ঠিকাশ্রমিককে উচ্ছেদ করেছে । এমনকি ২৫-৩০ বছর ধরে কাজ করছেন , এমন শ্রমিকরাও বাদ জান নি !
ইতিমধ্যে , উচ্ছেদ হওয়া পর শ্রমিক পরিবারের অনেকে অভাবের তাড়নায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন , অনেকের ছেলেমেয়ের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেছে । উচ্ছেদ হওয়া ঠিকাশ্রমিক পরিবারগুলির অসহনীয় মর্মান্তিক অবস্হায় দিন কাটচ্ছেন ।
পঃ বঙ্গে কমিউনিষ্ট এবং বামপন্থীদের উপর এই আক্রমন কিন্তু নতুন নয় । ৭০' দশকের গোড়ার দিকে ঠিক একইভাবে তৃণমূলের পূর্বসূরী কংগ্রেসের নেতৃত্বে ভয়ংকর আক্রমন চালানো হয়েছিল । সেদিনও এক বিভৎস আক্রমনের শিকার হতে হয়েছিল ঠিকাশ্রমিক ও UCWU-কে । কেবলমাত্র UCWU-র সদস্য হওয়ার অপরাধে ৭০০ জন কে উচ্ছেদ করা হয়েছিল । এই অগণতান্ত্রিক চেতনাই হোল দক্ষিনপন্হী দেউলিয়া রাজনীতির বৈশিষ্ঠ্য । পঃ বঙ্গের মানুষ এই আধা-ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসের উপযুক্ত জবাব দিয়েছিলেন ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার গঠন করার মধ্য দিয়ে । বিগত ৩৪ বৎসর ধরে বামফ্রন্ট সরকার যেমন বিরোধীদের প্রতি প্রতিহিংসামূলক আচরন করেনি , ঠিক একইরকম ভাবে নৃশংস আক্রমনের শিকার হয়েও UCWU - এর পক্ষ থেকে বিরোধীদের প্রতি কোনো প্রতিহিংসামূলক আচরন করা হয় নি । যে ৭০০ কে উচ্ছেদ হতে হয়েছিলো , তাদেরকে পূণর্বহাল করা হলেও , যারা ৭০০ জন , উচ্ছেদ -হওয়া- শ্রমিকদের সরিয়ে জোর করে কাজে ঢুকছিলেন ,তাদের একজনকেও ,' উচ্ছেদ ' করা হয় নি । এমন কি UCWU-এর নেতৃত্ব দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ঠিকাশ্রমিকদের স্হায়ীকরণের ফলও তারা ভোগ করছেন । একেই বলে সভ্যতার সাথে বর্বরতার পার্থক্য !
১৯৬৭ সালে UCWU -র জন্মলগ্ন থেকে ইস্পাত ঠিকাশ্রমিক আন্দোলনের দাবী আদায়ে UCWU -এর ধারাবাহিক গৌরবজ্জ্বোল ভূমিকা এক ইতিহাস সৃষ্ঠি করেছে । সেই ধারাবাহিক দাবী আদায়ের কতকগুলি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হোল : - ১) ১৯৭৪ সালে ঐতিহাসিক প্রথম বেতন-চুক্তি । ২) ৫৫০০ জন ঠিকাশ্রমিকের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় স্হায়ীকরন । ৩) ২০১০ সালে আরও ৬০ জনের স্হায়ীকরন । ৪) মহিলা ও পুরুষ শ্রমিকদের সম কাজে সমান বেতন ( আগে পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় মহিলা শ্রমিকদের কম বেতন দেওয়া হোত । ) ৫) ঠিকাশ্রমিকদের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ১০৯৩৮/- ও প্রজেক্ট শ্রমিকদের মাসিক বেতন ৯৯৩৮/- । ৬) বাৎসরিক বোনাস ,বিভিন্ন ছুটি , সেফটি সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা । ৭)দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অভ্যন্তরে কর্মরত অবস্হায় মৃত্যু হলে , মৃত শ্রমিকের স্ত্রী অথবা ছেলের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় স্হায়ী কাজে চাকুরী । ৮) গেট-পাস আদায় । ৯) ২০০৬ সালে বেতন-চুক্তি শেষ হলেও ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মাসিক ৮০৬/- + ১০০০ = ১৮০৬/- আদায় । ১০) স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৬-মাস অন্তর বেতন বৃদ্ধি । ১১) অল্পসংখ্যক হলেও ঠিকাশ্রমিকদের জন্য কোয়ার্টারের সুবিধা আদায় , প্রভৃতি ।
কিন্তু আজ এই অর্জিত অধিকার বিপন্ন । ঠিকাশ্রমিকদের উচ্ছেদ এখনও জারি আছে । অন্যদিকে , তৃণমূলী দুষ্কৃতীবাহিনী ও ঠিকাদারদের যোগসাজসে কর্মরত ঠিকাশ্রমিকদের একটা বড় অংশ নির্ধারিত বেতনের থেকে কম বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন । প্রতিবাদ করলে ,'উচ্ছেদ' হতে পারেন , এই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না ।
এই অবস্হায় , UCWU-এর পক্ষ থেকে , অর্জিত অধিকার বজায় রাখতে এবং উচ্ছেদ শ্রমিকদের অবিলম্বে পুনর্বহাল , নোটিফায়েড ও বি-লিষ্ট ভুক্ত শ্রমিকদের স্হায়ীকরন , ঠিকাশ্রমিকদের চুক্তি-মাফিক বেতন-প্রদান , সমস্ত ধরনের ঠিকাশ্রমিকদের জন্য অবিলম্বে বেতন-চুক্তি সহ অন্যান্য দাবীকে সামনে রেখে ট্রেডইউনিয়নগুলির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানানো হয়েছে ।
২০১১ সালের ২৭শে - ২৮ শে মে থেকে তৃণমূলের সশস্ত্র বাইক বাহিনীর সন্ত্রাস শুরু হয় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ভিতরে ও বাইরে ।এই বাহিনী বিনা গেট-পাসে কারখানার অভ্যন্তরে ঢুকে ঠিকাশ্রমিকদের উপর নৃশংস শারীরিক আক্রমন , হুমকি-ভীতি প্রদর্শন শুরু করে , যা এখনও অব্যাহত । কারখানার বাইরে এই নৃশংসতা অমানবিকতার মাত্রা ছাড়িয়েছে ।কেবল শ্রমিকরা নয় আক্রন্ত হছ্ছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও ! রাস্তায় চলাফেরা , আত্মীয়-পরিজনদের বাড়ীতে যাওয়া , দোকান-বাজারে যাওয়ার উপরে নিত্য-নতুন ফতেয়া জারি করছে তৃণমূলী দুষ্কৃতি- বাহিনী । মিথ্যা-মামলায় জড়ানোয় হয়েছে UCWU-এর নেতৃত্বকে । এই অভূতপুর্ব্ব সন্ত্রাসে তৃণমূলের দুষ্কৃতি- বাহিনী দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ৩৫০০ ঠিকাশ্রমিককে উচ্ছেদ করেছে । এমনকি ২৫-৩০ বছর ধরে কাজ করছেন , এমন শ্রমিকরাও বাদ জান নি !
ইতিমধ্যে , উচ্ছেদ হওয়া পর শ্রমিক পরিবারের অনেকে অভাবের তাড়নায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন , অনেকের ছেলেমেয়ের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেছে । উচ্ছেদ হওয়া ঠিকাশ্রমিক পরিবারগুলির অসহনীয় মর্মান্তিক অবস্হায় দিন কাটচ্ছেন ।
পঃ বঙ্গে কমিউনিষ্ট এবং বামপন্থীদের উপর এই আক্রমন কিন্তু নতুন নয় । ৭০' দশকের গোড়ার দিকে ঠিক একইভাবে তৃণমূলের পূর্বসূরী কংগ্রেসের নেতৃত্বে ভয়ংকর আক্রমন চালানো হয়েছিল । সেদিনও এক বিভৎস আক্রমনের শিকার হতে হয়েছিল ঠিকাশ্রমিক ও UCWU-কে । কেবলমাত্র UCWU-র সদস্য হওয়ার অপরাধে ৭০০ জন কে উচ্ছেদ করা হয়েছিল । এই অগণতান্ত্রিক চেতনাই হোল দক্ষিনপন্হী দেউলিয়া রাজনীতির বৈশিষ্ঠ্য । পঃ বঙ্গের মানুষ এই আধা-ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসের উপযুক্ত জবাব দিয়েছিলেন ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার গঠন করার মধ্য দিয়ে । বিগত ৩৪ বৎসর ধরে বামফ্রন্ট সরকার যেমন বিরোধীদের প্রতি প্রতিহিংসামূলক আচরন করেনি , ঠিক একইরকম ভাবে নৃশংস আক্রমনের শিকার হয়েও UCWU - এর পক্ষ থেকে বিরোধীদের প্রতি কোনো প্রতিহিংসামূলক আচরন করা হয় নি । যে ৭০০ কে উচ্ছেদ হতে হয়েছিলো , তাদেরকে পূণর্বহাল করা হলেও , যারা ৭০০ জন , উচ্ছেদ -হওয়া- শ্রমিকদের সরিয়ে জোর করে কাজে ঢুকছিলেন ,তাদের একজনকেও ,' উচ্ছেদ ' করা হয় নি । এমন কি UCWU-এর নেতৃত্ব দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ঠিকাশ্রমিকদের স্হায়ীকরণের ফলও তারা ভোগ করছেন । একেই বলে সভ্যতার সাথে বর্বরতার পার্থক্য !
১৯৬৭ সালে UCWU -র জন্মলগ্ন থেকে ইস্পাত ঠিকাশ্রমিক আন্দোলনের দাবী আদায়ে UCWU -এর ধারাবাহিক গৌরবজ্জ্বোল ভূমিকা এক ইতিহাস সৃষ্ঠি করেছে । সেই ধারাবাহিক দাবী আদায়ের কতকগুলি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হোল : - ১) ১৯৭৪ সালে ঐতিহাসিক প্রথম বেতন-চুক্তি । ২) ৫৫০০ জন ঠিকাশ্রমিকের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় স্হায়ীকরন । ৩) ২০১০ সালে আরও ৬০ জনের স্হায়ীকরন । ৪) মহিলা ও পুরুষ শ্রমিকদের সম কাজে সমান বেতন ( আগে পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় মহিলা শ্রমিকদের কম বেতন দেওয়া হোত । ) ৫) ঠিকাশ্রমিকদের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ১০৯৩৮/- ও প্রজেক্ট শ্রমিকদের মাসিক বেতন ৯৯৩৮/- । ৬) বাৎসরিক বোনাস ,বিভিন্ন ছুটি , সেফটি সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা । ৭)দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অভ্যন্তরে কর্মরত অবস্হায় মৃত্যু হলে , মৃত শ্রমিকের স্ত্রী অথবা ছেলের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় স্হায়ী কাজে চাকুরী । ৮) গেট-পাস আদায় । ৯) ২০০৬ সালে বেতন-চুক্তি শেষ হলেও ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মাসিক ৮০৬/- + ১০০০ = ১৮০৬/- আদায় । ১০) স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৬-মাস অন্তর বেতন বৃদ্ধি । ১১) অল্পসংখ্যক হলেও ঠিকাশ্রমিকদের জন্য কোয়ার্টারের সুবিধা আদায় , প্রভৃতি ।
কিন্তু আজ এই অর্জিত অধিকার বিপন্ন । ঠিকাশ্রমিকদের উচ্ছেদ এখনও জারি আছে । অন্যদিকে , তৃণমূলী দুষ্কৃতীবাহিনী ও ঠিকাদারদের যোগসাজসে কর্মরত ঠিকাশ্রমিকদের একটা বড় অংশ নির্ধারিত বেতনের থেকে কম বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন । প্রতিবাদ করলে ,'উচ্ছেদ' হতে পারেন , এই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না ।
এই অবস্হায় , UCWU-এর পক্ষ থেকে , অর্জিত অধিকার বজায় রাখতে এবং উচ্ছেদ শ্রমিকদের অবিলম্বে পুনর্বহাল , নোটিফায়েড ও বি-লিষ্ট ভুক্ত শ্রমিকদের স্হায়ীকরন , ঠিকাশ্রমিকদের চুক্তি-মাফিক বেতন-প্রদান , সমস্ত ধরনের ঠিকাশ্রমিকদের জন্য অবিলম্বে বেতন-চুক্তি সহ অন্যান্য দাবীকে সামনে রেখে ট্রেডইউনিয়নগুলির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানানো হয়েছে ।