Wednesday 31 March 2021

ইস্পাতনগরীতে প্রচারে ঝড় তুললেন দুর্গাপুর(পূর্ব )-এর সিপিআই-এম প্রার্থী আভাষ রায় চৌধুরী ।

 


দুর্গাপুর,৩১শে মার্চ : আজ সকাল থেকে ইস্পাতনগরীর বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে নির্বাচনী প্রচার সারলেন দুর্গাপুর(পূর্ব )-এর সিপিআই-এম প্রার্থী আভাষ রায় চৌধুরী । সকালে প্রার্থী কে সাথে নিয়ে একটি বিশাল বর্ণাঢ্য মিছিল কনিষ্ক-সেকেন্ডারী মোড় থেকে শুরু হয়ে সেকেন্ডারী-হর্ষবর্ধন-ডিভিসি-আকবর রোড-লাল ময়দান-রাণাপ্রতাপ হয়ে আশিস মার্কেটে শেষ হয়। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের দুর্গাপুর ১ ব্লক কমিটির কার্যালয়ে রবীন গাঙ্গুলী সহ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ আভাষ রায় চৌধুরী কে সংবর্ধিত করেন । মিছিলে ছিলেন নির্মল ভট্টাচার্য,দিপক ঘোষ, রবীন গাঙ্গুলী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।বিকালে কাশীরাম দাস বস্তি থেকে অপর একটি বিশাল বর্ণাঢ্য মিছিল প্রার্থী কে সাথে নিয়ে বেরিয়ে কাশীরাম দাস-বিদ্যাপতি-জয়দেব-ভারতী হয়ে নাগার্জুন এক্সটেনশন মোড়ে শেষ হয় । মিছিলে ছিলেন সুবীর সেনগুপ্ত,স্বপন ব্যানার্জি, রবীন গাঙ্গুলী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মিছিল শেষে নাগার্জুন এক্সটেনশন মোড়ে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আভাষ রায় চৌধুরী,স্বপন সরকর ও অসীম সাহা।



























Tuesday 30 March 2021

তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে দুর্গাপুর ( পূর্ব )-এর সিপিআই-এম প্রার্থী আভাষ রায় চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচার ।

 


দুর্গাপুর,৩০শে মার্চ : আজ সকাল থেকে ইস্পাতনগরী সংলগ্ন গ্রাম ও বস্তি অঞ্চলে দুর্গাপুর ( পূর্ব )-এর সিপিআই-এম প্রার্থী আভাষ রায় চৌধুরীর কে সাথে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চলে । হাজরা পাড়া থেকে নির্বাচনী শোভাযাত্রা শুরু হয়ে যায় মহুয়া বাগান,শোভাপুর ও বিজড়া গ্রামে । বিজড়া গ্রামের মাহালী পাড়ায় প্রচার শেষ হয় । উল্ল্যেখ্য এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য পদক্ষেপ নেয় বিগত বামফ্রন্ট সরকার । বিগত ২০০৭ সালে বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে তৎকালিন দুর্গাপুর-১ বিধানসভার বিধায়ক ও পঃ বঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী প্রয়াত মৃণাল ব্যানার্জীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় , ১০০ একর জায়গার উপরে তিনশো বেডের হাসপাতাল সহ মেডিক্যাল কলেজ , নার্সিং ট্রেনিং কলেজ ও বিশাল আবাসন প্রকল্প নিয়ে , আই.কিউ সিটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় । ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন করেন তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন । শুরুতে প্রকল্পের নাম ছিল ‘ নলেজ সিটি ‘ । রাজ্য সরকার অধিগৃহীত ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার উপর ন্যস্ত এই জমিতে ১৯৬৭ সালে যুক্তফ্রন্টের সময় চাষ করার অধিকার পান স্হানীয় গ্রাম ও বস্তিবাসি । এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে তাদের অবস্হার উন্নতি হবে এই বিবেচনা করে স্বেচ্ছায় বিনা ক্ষতিপূরনে তারা জমির অধিকার ত্যাগ করেন । প্রকল্পের নির্মান কাজ শুরু হলে গ্রাম উন্নয়ন কমিটির মাধ্যমে জমিদাতা পরিবারের সদস্যদের নির্ম্মান কাজে শ্রমিক হিসাবে নিযুক্ত করা হয় । পরবর্তীকালে গ্রাম ও বস্তির অন্যান্য পরিবারের সদস্যরা কাজ পান । প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ ও গ্রাম উন্নয়ন কমিটির পারস্পরিক সহযোগিতায় প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগোতে থাকে । কিন্তু ২০১১ সালে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন ঘটে । মমতা ব্যানার্জী নেতৃত্বাধীন তৃনমূল সরকার গঠিত হলে সমগ্র দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের সাথে সাথে আই.কিউ সিটি প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনে কালো দিন নেমে আসে । তৃণমূলীরা কর্মরত জমিদাতা শ্রমিকদের অধিকাংশ কে কাজ থেকে উচ্ছেদ করে এবং বহিরাগতদের নিয়োগ করে নিজেরা ফুলে-ফেঁপে ওঠে । শুধু তাই নয় , হটাৎ একদিন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী উপস্হিত হয়ে পুরনো ভিত্তিপ্রস্তর সরিয়ে ২০০৭ সাল থেকে চালু হওয়া আই.কিউ সিটি প্রকল্পের পুনরায় ‘ শিলান্যাস ‘ করেন । এই সুযোগে আই.কিউ সিটি প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ দাঁত-নখ বার করে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে । প্রতিবাদ করলে জুটেছে কর্তৃপক্ষের গলাধাক্কা ও তৃণমূলী দুষ্কৃতিদের রক্তচক্ষু । প্রতিকার চেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের দ্বারস্হ হলে সেখানে জুটেছে আর এক প্রস্হ শাসানি । এই অবস্হায় এলাকার অধিবাসীদের সাথে নিয়ে লড়াই করছে কৃষক সভা ও সিআইটিউ । অন্যদিকে, গভীর সংকটে ইস্পাতনগরী  সংলগ্ন গ্রামাঞ্চল । সংস্কারের অভাবে চাষের জল যোগাতে পারছে না বক্সীর বাঁধ। মিলছে না ফ ।দুর্গাপুর ইস্পাতে কাজে যুক্ত ছিলেন এরকম ৪৫০০ ঠিকা শ্রমিক কে তৃণমূল ২০১১ সালে রাজনৈতিক কারনে উচ্ছেদ করে । এদের একটা বড় অংশই বাস করেন সংলগ্ন গ্রামাঞ্চল ও বস্তি অঞ্চলে । উচ্ছেদ হয়েছে মনেট কারখানায় । অন্যদিকে নতুন কর্মসংস্হান নেই ।মোদি ও মমতা দুই সরকারের আমলে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে শিল্পের মড়ক লেগেছে । ইতিমধ্যে কারখানা বন্ধের ফলে লক্ষাধিক লোক কাজ হারিয়েছে । নতুন শিল্প হওয়ার আশা নেই । তরুনরা দুর্গাপুর ছেড়ে যাচ্ছেন । অথচ এক কালে কাজের আশায় মানুষ দুর্গাপুরে আসতেন । বিপদাপন্ন দুর্গাপুরের প্রান ভোমরা রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্প । এই সবের ধাক্কায় বিশেষ  বিপদাপন্ন সংলগ্ন গ্রামাঞ্চল ও বস্তি অঞ্চলের মানুষ  । মানুষের মুখে মুখে ফিরছে দুর্গাপুর এখন ‘দুর্দশাপুর’ । কিন্তু এর মধ্যেই ফুলে ফেঁপে উঠছে স্হানীয় তৃণমূল নেতারা । গ্রামের মানুষ জানালেন যে এই অবস্হায় কোন বেসরকারী কাজের জন্য বেকারদের কাছে ত্রিশ হাজার থেকে দুলক্ষ টাকার সেলামী আদায় করে নেতাদের গলায় ‘মোষের দড়ি’-র মত মোটা সোনার চেন ঝুলছে । বিভিন্ন ভাতার টাকা মিলছে না । মিলছে না রেশন কার্ড । আধুনিক মহাজন বিভিন্ন মাইক্রো-ফিনান্স  সংস্হার অবর্ণনীয় শোষনের শিকার হচ্ছেন গরীব মানুষ । ৮০% থেকে ১৫০% চড়া সুদ গুনে দিতে হচ্ছে এই সব সংস্হা কে যাদের মালিকদের এক বড় অংশই তৃণমূল অথবা বিজেপি-র ঘনিষ্ঠ। শিল্প বাঁচাতে,দুর্গাপুর বাঁচাতে লড়ছে লাল ঝাণ্ডা । নীরব তৃণমূল অথবা বিজেপি । অ্যালয় স্টিল বাঁচাতে বিধান সভায় দুর্গাপুর ( পূর্ব )-এর সিপিআই-এম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়  সহ বাম ও কং বিধায়করা বারে বারে সোচ্চার হলেও নীরব তৃণমূলের বিধায়ক থেকে মুখ্যমন্ত্রী । অথচ এখন মেতেছেন ‘ছদ্ম-প্রতিদ্বন্ধীতায়’। মানুষের কাছে যে এই ‘ছদ্ম-প্রতিদ্বন্ধীতা’ পরিষ্কার হচ্ছে। লকডাউনের সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল কেবল লাল ঝাণ্ডা।কেউ যেন অভুক্ত না থাকেন,তাঁর জন্য সতর্ক দৃষ্টি রেখেছিল,খাবার তুলে দিয়েছে প্রান্তিক আয়ের মানুষের মুখে।আজ তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে দুর্গাপুর ( পূর্ব )-এর সিপিআই-এম প্রার্থী আভাষ রায় চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারের সময়ে  মানুষ বেরিয়ে আসেন প্রার্থীর সাথে পরিচিত হতে । পরে ইস্পাতনগরীর বি-জোনের কাশীরামদাস রোটারীতে বক্তব্য রাখেন আভাষ রায় চৌধুরী । সকাল থেকে উপস্হিত ছিলেন সুবীর সেনগুপ্ত,স্বপন ব্যানার্জি,আল্পনা চৌধুরী,স্বপন সরকার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।









Thursday 25 March 2021

চটকদার কথায় বাংলার মানুষ কে প্রবঞ্চনা করেছে তৃণমূল ও বিজেপি : আভাষ রায় চৌধুরী ।

 


দুর্গাপুর,২৫শে মার্চ : আজ সন্ধ্যায় ইস্পাতনগরীর সেকেণ্ডারী রোডে আয়োজিত এক জনসভায় একথা বলেন দুর্গাপুর(পূর্ব ) কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত,বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই-এম প্রার্থী আভাষ রায়চৌধুরী । তিনি বলেন যে আজ একথা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে তৃণমূল ও বিজেপির  চটকদার কথায় প্রভাবিত হয়ে তৃণমূল ও বিজেপি কে জয়ী করার ফলে লাভবান হয়েছে তোলাবাজ-সিন্ডিকেট রাজ –দূর্ণীতিগ্রস্হরা অথবা আদানি-আম্বানি-কর্পোরেটরা ।উভয় দলের জনবিরোধী নীতিকে পরাস্ত করে জনগনের জন্য কল্যানকামী রাজ্য সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি  সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে প্রশান্ত পাণ্ডা ও পার্টি নেতা নির্মল ভট্টাচার্য । এ দিকে এই সমাবেশ স্হল কে ঘিরে রক্তপতাকা দিয়ে সাজানো হয়। দুষ্কৃতিরা রক্তপতাকা পোড়ায় । পার্টি নেতা নির্মল ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দুষ্কৃতিদের উদ্দ্যেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারী দিলেন । এ দিনের সমাবেশে ভীড় উপচে পড়ে । উপস্হিত ছিলেন দুর্গাপুর(পূর্ব )-এর সিপিআই-এম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়,বিশ্বরূপ ব্যানার্জি,দিপক ঘোষ,রবীন গাঙ্গুলী প্রমুখ । অন্যদিকে আজ পারুলিয়া গ্রামে,বাড়ী বাড়ী প্রচারে মানুষ দুর্গাপুর(পূর্ব ) কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত,বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই-এম প্রার্থী আভাষ রায়চৌধুরী কে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ।