Monday 24 September 2018

কর্তৃপক্ষের একতরফা অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ মাসুল বৃদ্ধি ঘোষনায় ক্ষোভের আগুন ছড়াচ্ছে দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে ।




দুর্গাপুর,২৪শে সেপ্টেঃ : গত ১৫ই সেপ্টেঃ , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার নগর প্রশাসনের পক্ষে জারি করা বিদ্যুৎ মাসুল বৃদ্ধি সংক্রান্ত দুটি সার্কুলার ঘিরে দুর্গাপুর ইস্পাত ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের শ্রমিক-কর্মচারি-অবসরপ্রাপ্ত সহ ইস্পাতনগরীর অন্যান্য বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে বিক্ষোভ চরমে উঠেছে । সার্কুলারে রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ মাসুল নির্ধারনকারি সংস্হা ডব্লু.বি.ই.আর.সি ( ওয়েষ্ট বেঙ্গল ইলেক্ট্রিসিটি রেগুলেটারি কমিশন ) এর আদেশ অনুসারে ডব্লু.বি.এস.ই.ডি.সি.এল (ওয়েষ্ট বেঙ্গল ইলেক্ট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউ্যুশন কোম্পানি লিমিটেড ) যে বিদ্যুৎ মাসুল ২০১৫ সালে নির্ধারিত করেছে এবং ২০১৬ সালে পরিবর্তিতি হারে মাসুল নির্ধারিত করেছে, সেই অনুসারে কোয়ার্টারে বসবাস করে এমন কর্মরত  ইস্পাত শ্রমিক-কর্মচারি-অন্যানরা বসবাস করেন তাদের কে বর্ধিত হারে ২০১৪-১৫ সাল থেকে বর্ধিত হারে বিদ্যুৎ মাসুল ( এরিয়ার সহ ) গুনতে হবে । এক্ষেত্রে কর্মরতদের বিদ্যুৎ মাসুলের হার হবে ৫.০৪ টাকা/প্রতি ইউনিট ( ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ সাল ) এবং ৫.৪৫ টাকা/প্রতি ইউনিট ( ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮) । আগামী নভেম্বর মাস থেকে ১২ মাসের ইনস্টলমেন্টে এরিয়ার কাটা হবে ।
অপর দিকে বহিরাগতদের জন্য অর্থাৎ অবসরপ্রাপ্ত ও লিজ-লাইসেন্সিং কোয়ার্টারে বসবাসকারিদের জন্য পরিবর্তিত বিদ্যুৎ মাসুলের হার হবে ৬.৪১ টাকা/প্রতি ইউনিট ( ০১/০৪/২০১৬ থেকে ৩০/০৩/২০১৮ )।
এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে ইস্পাত শ্রমিক-কর্মচারিদের ট্রেড ইউনিয়ন গুলির যৌথ মোর্চা । আজ যৌথ মোর্চার ডাকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার নগর প্রশাসনিক ভবনে ( টি.এ.বিল্ডিং ) এক বিশাল প্রতিবাদ সভায় যৌথ মোর্চার নেতৃত্ব কর্তৃপক্ষ কে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে যে অবিলম্বে এই ‘বেআইনি‘ মাসুল বৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে হবে । কারন  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা কোনভাবেই রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ মাসুল নির্ধারনকারি সংস্হা ডব্লু.বি.ই.আর.সি ( ওয়েষ্ট বেঙ্গল ইলেক্ট্রিসিটি রেগুলেটারি কমিশন ) এর আওতাধীন নয় । এছাড়া গত এন.জে.সি.এস এর চুক্তির পরিপন্হি এই মাসুল বৃদ্ধি । এমনকি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট যখন রাষ্ট্রায়ত্ব এন.এস.পি.সি.এল এর অধীনে যায় সেই সময়ের চুক্তিরও পরিপন্হি  এই মাসুল বৃদ্ধি । অপরদিকে বিদ্যুৎ মাসুল সংক্রান্ত একটি মামলা এই সময়ে কেন্দ্রিয় ট্র্যাইবুনালে চলছে । প্রশ্ন উঠেছে বিচারাধীন অবস্হায় থাকা বিদ্যুৎ মাসুল কর্তৃপক্ষ কি ভাবে বাড়াতে পারে ? সমাবেশ চলাকালিন যৌথ মোর্চার এক প্রতিনিধি দল কর্তৃপক্ষ কে বর্ধিত বিদ্যুৎ মাসুল সংক্রান্ত সার্কুলার দুটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে স্মারক লিপি জমা দেন । সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জী , সীমান্ত চ্যাটার্জী ( সি.আই.টি.ইউ ),অসীম সাহা ( আই.এন.টি.ইউ.সি ),শম্ভু প্রামানিক,বিশ্বজিত রায় ( এ.আই.টি.ইউ.সি),সব্যসাচী গোস্বামী ( এ.আই.ইউ.টি.ইউ.সি) ও মানস চ্যাটার্জী ( বি.এম.এস ) ।













No comments:

Post a Comment