দুর্গাপুর,২৮শে এপ্রিল : ইস্পাতনগরী থেকে তিন কিলোমিটার দুরে কমলপুরের সুমঙ্গল
ইস্পাত প্রাইভেট লিমিটেড । লকডাউনের জেরে আটকে পরা পরিযায়ী শ্রমিকদের কাটছে অর্ধাহার-অনাহারে
।গত ২৪শে এপ্রিল কারখানার চত্বরে ‘কোর গ্যাঙ’ এর পরিযায়ী শ্রমিক বিহারের ছাপরা জেলার
অধিবাসী সঞ্জয় সিং এর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু ইতিমধ্যে সংবাদের শিরোনামে এলেও কারখানার
মালিক অথবা স্হানীয় প্রশাসনের সাহায্য প্রায় মেলেই নি ।
নয়া অর্থনীতির নির্মম শোষনের অন্যতম উদাহরন
হল বেসরকারী কারখানার ‘কোর গ্যাঙ’। এরা প্রায় বাধ্যতামূলক ভাবে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে
থাকেন ও কারখানার উৎপাদনের মূল দায়িত্ব পালন করেন । কারখানার চত্বরে ছোট,অস্বাস্হ্যকর
কুঠরীতে গাদাগাদি করে থাকতে বাধ্য হন এই শ্রমিকরা। অত্যন্ত কম বেতন । যেহেতু পরিযায়ী
তাই স্হানীয়দের সাথে যোগাযোগ প্রায় গড়ে ওঠে না বললেই চলে । ট্রেড ইউনয়ন এর সাথে যাতে
যোগাযোগ না গড়ে ওঠে তার জন্য মালিকপক্ষ ও শাসক তৃণমূলের কড়া নজরদারি চলে । যখন-তখন
ছাঁটাই নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা । রেশন কার্ড নেই ।
এই ব্যবস্হার অন্যতম শিকার দুর্গাপুর পৌর নিগমের ১নং ওয়ার্ড-ভুক্ত কমলপুরের সুমঙ্গল
ইস্পাত প্রাইভেট লিমিটেড এর পরিযায়ী শ্রমিকরা। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে
১নং ওয়ার্ডে শাসক তৃণমূল দলের ধারাবাহিক সন্ত্রাসের
শিকার সিপিআইএম এর কর্মি ও নেতৃবৃন্দ । মনেট সহ অন্যান্য কারখানা থেকে সিআইটিইউ করার
অপরাধে উচ্ছেদ হয়েছেন বহু শ্রমিক ।
আজ সকালে প্রায় গেরিলা কায়দায় শাসকদলের কড়া নজরদারি এড়িয়ে জঙ্গল-ঘেরা রাস্তা পেরিয়ে
সুমঙ্গল ইস্পাত প্রাইভেট লিমিটেড এর ৪০ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে চাল-ডাল-আনাজ-বিস্কুট-সাবান
পৌঁছে দিল সি.আই.টি.ইউ-ভুক্ত দুর্গাপুর ইস্পাত
ট্রেড ইউনয়ন সমন্বয় কমিটি । নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জি,ললিত মিশ্র,দিপক ঘোষ,
মলয় ভট্টাচার্য,নিমাই ঘোষ ও দুর্গাপুর ( পূর্ব )-এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় ।
No comments:
Post a Comment