Thursday 29 December 2022

দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় শ্রমিক সংখ্যা সংকোচনের নয়া ফন্দিফিকিরের বিরুদ্ধে সিআইটিইউ এর ডাকে বিক্ষোভ।

 


দুর্গাপুর,২৯শে ডিসেঃ : বছরের পর বছর ধরে শ্রমিকদের নায্য পাওনা বকেয়া পরে আছে।বকেয়া পরে আছে পূর্ণাঙ্গ বেতন-চুক্তি,ঠিকা শ্রমিকদের বেতন-চুক্তিতে অন্তর্ভুক্তি,সহ বিভিন্ন ভাতা এবং বার্ষিক বোনাসের দ্বিতীয় কিস্তি।বকেয়ার দীর্ঘতালিকায় রয়েছে কোয়ার্টার-জমির লিজ-লাইসেন্স,ইস্পাতনগরীর পরিষেবার আধুনিকিকরন,চিকিৎসা পরিষেবার আধুনিকিকরন ও উপযুক্ত সংখ্যায় স্হায়ী চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্হ্য কর্মী নিয়োগ এবং দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের আধুনিকিকরন-সম্প্রসারণ ।এই বকেয়ার নিস্পত্তিতে ইউনিয়ন সমূহ এর সাথে আলোচনার জন্য কোন সভা ডাকছে না দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা সহ সেইল-আরআইএনএল কর্তৃপক্ষ। অথচ এরই মাঝে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষ ইউনিয়ন সমূহ এর সাথে আলোচনা ছাড়াই একতরফা ভাবে এল.এম.এস ( লিভ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ) চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (  সিআইটিইউ ) এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে বিশ্বরূপ ব্যানার্জি অভিযোগ করেছেন যে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষ একতরফা ভাবে এল.এম.এস লাগু করে একদিকে শ্রমিক সংকোচন করতে চাইছে ,অন্যদিকে শ্রমিক অধিকারের ওপরে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে । এরফলে টাইম অফিস সহ অন্যান্য অফিসে কর্মসংকোচন হবে,বেসরকারি সংস্হার হাতে শ্রমিকদের ব্যাক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য চলে যাওয়ার আশংকা তৈরি হবে । এর আগে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষ একতরফা ভাবে বায়োমেট্রিক ব্যবস্হা চালু করে একই অবস্হা তৈরি করতে চেয়েছিল। কিন্তু ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হলে কর্তৃপক্ষ পেছতে বাধ্য হয়। তিনি জানান যে এল.এম.এস লাগু করার বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্রতর করার পাশাপাশি সমস্ত বকেয়া দাবি আদায়ের জন্য নতুন বছরের গোড়াতেই এক গুচ্ছ আন্দোলন কর্মসূচী গ্রহন করেছে । আজ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আরএমএইচপি বিভাগের প্রধানের কার্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচীর মাধ্যমে এই আন্দোলনের সূচনা হোল। আরএমএইচপি বিভাগে সর্বপ্রথম এল.এম.এস লাগু করার নোটিশ টাঙ্গানো হয় বলে আরএমএইচপি বিভাগ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচীর সূচনা হোল বলে ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে বিশ্বরূপ ব্যানার্জি জানিয়েছেন । বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জি,সীমান্ত চ্যাটার্জি,দেবাশীস পাল ও রত্নাকর পণ্ডিত।




No comments:

Post a Comment