Tuesday 4 July 2023

লুঠের রাজত্ব বজায় রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলেও লুঠেরাদের হাত থেকে পঞ্চায়েত উদ্ধার করতে মানুষ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ : মহঃ সেলিম।

 


দুর্গাপুর,৪ঠা জুলাই: আজ সন্ধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড় বাজারের রণ্ডিয়া মোড়ে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে  এক বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন সিপিআইএম এর পলিটব্যুরো সদস্য পশ্চিমবঙ্গে পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম। তিনি বলেন পঞ্চায়েতে নির্বাচিত হওয়ার বদলে মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তৃণমূল।একের পর এক বোমা বিস্ফোরনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন বহু মানুষ। পঃ বঙ্গ যেন ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। পাঁচ বছর পর ভালো কাজ করে নির্বাচিত হওয়ার বদলে লুঠের রাজত্ব বজায় রাখতে নির্বাচন লুঠ করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। পাহারাদারের ভুমিকা পালন করছে পুলিশ বিজেপি। জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে বামফ্রন্ট সরকার গনতন্ত্র প্রসারিত  করা ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করার জন্য পঞ্চায়েতী রাজ চালু করেছিলেন। মমতা ব্যানার্জি বলছেন লুঠ খালি নবান্ন থেকে নয়, চলবে পঞ্চায়েত পর্যন্ত।  বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সরকার ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে রাজ্যের ক্ষমতা জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত  সমিতি, পঞ্চায়েত থেকে শেষ পর্যন্ত গ্রাম সভা পর্যন্ত বিকেন্দ্রীকৃত করা হয়। বছরে দুবার গ্রাম সভা বসত এবং পঞ্চায়েত কে গ্রামবাসীদের কাছে হিসাব দিতে হত। মমতা ব্যানার্জি গ্রাম সভা তুলে দিয়েছেন, বিধানসভার অধিবেশনের সময় কমিয়ে দিয়েছেন। ঠিক যেমন মোদি লোকসভার অধিবেশনের সময় কমিয়ে দিয়েছেন। বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে গনতন্রের বিস্তার করেছিল আর মোদি-মমতা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে গনতন্রের ধ্বংস করছে। বামফ্রন্টের সময় সর্বস্তরে পরিকল্পনা করা হোত সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে আর তৃণমূলের আমলে নবান্ন থেকে পঞ্চায়েত  পর্যন্ত পরিকল্পনা করা হয়েছে কি ভাবে লুঠ করা হবে জনগণের টাকা থেকে বালি খাদান, কয়লা খাদান থেকে জল-জমি-গাছ-অরণ্য। আমাদের সমর্থনে চলা প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে শুরু হয়েছিল ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প। গ্রামের গরিব উপকৃত হচ্ছিলেন। গ্রামে কাজ থাকার জন্য ভিন রাজ্যে এই ভাবে যেতে হচ্ছিল না। এই আমলে সেই টাকাও লুঠ হচ্ছে। বিজেপি প্রথম থেকেই রেগা বিরোধী ছিল। ২০১৪ সাল থেকে মোদি সরকার দেখছিল তৃণমূলের লুঠ। কিন্তু বন্ধ করতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পরে  তারা টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়ে শাস্তি দিলেন গ্রামের গরিব মানুষদের। একের পর এক তৃণমূল সরকারের কেলেংকারির ঘটনার জন্য কোর্ট নির্দেশিত তদন্তে গুলোর ক্ষেত্রে ইডি-সিবিআই 'তারিখ পে তারিখ' কৌশল নিয়ে কালক্ষেপ করে চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই তৃণমূলের নেতাদের ডাক পড়ছে ইডি-সিবিআই এর ঘরে অথচ কোন আমাদের পার্টির নেতা কে ইডি-সিবিআই এর দুয়ারে হাজির দিতে হয় নি। আমাদের ডাক দিতে হয়েছে- চোর ধরো জেলে ভরো। কারণ পুলিশের উচিত ছিল এদের জেলে পোরা। তা করে নি। আমরা  একজন চোরেরও নাম উল্লেখ করিনি। কিন্তু তৃণমূলের নেতারা উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন। কারণ পরিস্কার। আজ গ্রামে গরিব মানুষের ঘরের ছাদ নেই কিন্তু তৃণমূলের নেতাদের প্রাসাদ হচ্ছে। লুঠ হচ্ছে জনগণের টাকা। তাই আমরা ডাক দিয়েছিলাম- গ্রাম জাগাও চোর তাড়াও। গ্রামের পর গ্রামে উড়ছে গরিব মেহনতি মানুষের লাল ঝাণ্ডা। অমিত শাহ নবান্নে ছুটে এসে মমতা ব্যানার্জি কে প্রশ্ন করছেন করে এত লাল ঝাণ্ডা এল? কিন্তু চোর ধরছেন না। মানুষ বুঝতে পারছেন লুঠেরা তৃণমূলের পাহারাদার পুলিশ আর বিজেপি। তৃণমূলের লুঠের ভাগিদার শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন তিওয়ারি দল হল বিজেপির নেতা। রি-সাইক্লিং তৃণমূল হলো আজকের বিজেপি। তাই তৃণমূল আর বিজেপি কেউ কারোর বিকল্প নয় বরং সব দূর্ণীতি- দুষ্কর্মের সাথী। যারা মানুষের মধ্যে ধর্মের নামে, ভাষার নামে, জাতের নামে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে। কিন্তু মানুষ বুঝতে পারছেন যে তৃণমূল আর বিজেপি মধ্যে কোন বিভেদ নেই। ইতিমধ্যে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে যে বিজয় অর্জন করা গেছে তা সংহত করে কাঁকসা সহ সমস্ত জায়গায় মানুষের পঞ্চায়েত ফেরাতে তিনি বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআইএম প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বান জানান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পার্টি নেতা পঙ্কজ রায় সরকার,বীরেশ্বর মন্ডল,অলোক ভট্টাচার্য আবদুর রহমান। সভা শুরুর আগে মহঃ সেলিম এর নেতৃত্বে কাঁকসা থেকে পানাগড়ের রণ্ডিয়া মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ পদযাত্রা হয়।সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে মহঃ সেলিম অভিযোগ করেন যে আই-প্যাক সংস্থার মাধ্যমে হাজার হাজার তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বেআইনি ভাবে জমা দেওয়া হয়েছে।রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের কাছে  মনোনয়ন সংক্রান্ত  অধিকাংশ নথি নেই।

 এদিকে,মানুষের পঞ্চায়েত গড়তে প্রতিরোধের নতুন বার্তা দিচ্ছে কাঁকসার জঙ্গলমহল।পূর্ব বর্ধমান বীরভূমের লাগোয়া অজয় নদের গা ঘেঁষা কাঁকসার জঙ্গলমহলে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পার্টির পক্ষ থেকে আগেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছিল।চলেছে লাগাতার লড়াই-আন্দোলন।তার ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার পরে পরিকল্পনা মাফিক মনোনয়ন পত্র জমা করা হয়েছে। বিদবিহার,বনকাটি,মলানদিঘি,ত্রিলোকচন্দ্রপুর,আমলাজোড়া,গোপালপুর কাঁকসা - এই সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে কাঁকসা ব্লকে।মোট ১৬৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের নির্বাচনে বামফ্রন্ট মনোনীত ১৫১ জন সিপিআইএম প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পুলিশি মদতে শাসক তৃণমূল দলের জোর-জুলুম ভয়-ভীতি-সন্ত্রাস এর কারণে বাকি কয়েকটি আসনে প্রার্থী  আসনে প্রার্থী দেওয়া যায় নি বলে পার্টির পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার জানিয়েছেন।কিন্তু কাঁকসার পঞ্চায়েত সমিতির ২১টি জেলা পরিষদের টি আসনের সব কটিতে সিপিআইএম প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা করেছেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কাঁকসার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাস মূলতঃ আদিবাসী তফশিলি জাতি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের। কিছু কিছু বুথে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের -বঙ্গ ভাষী মানুষের সংখ্যা বেশি। কৃষি প্রধান এই অঞ্চলের মানুষের জীবিকার মূল জায়গা কৃষিতে সংকট এলাকায় মানুষের জীবন-জীবিকার উপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে। অন্য দিকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ। প্রকল্পে কাজ করেও টাকা না পাওয়া আরও আগের থেকে শুরু হয়েছে। অন্য দিকে বামফ্রন্ট আমলে গড়ে ওঠা কাঁকসা-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল ধুঁকছে। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন শিল্প আসেনি। ফলে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। তার প্রত্যক্ষ প্রভাবে গ্রামের পর গ্রাম, বিশেষত আদিবাসী গ্রাম গুলো পুরুষ-শূন্য হয়ে গেছে। কর্মসংস্থানের জন্য পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে তারা ভিন রাজ্যে চলে গেছেন। সংসার প্রতিপালন এর জন্য গরিব এমনকি মধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলারা নিকটবর্তী জঙ্গল থেকে শালপাতা কুড়িয়ে, ঠোঙা বানিয়ে অথবা বাদাম-সর্ষে-সব্জি চাষ করে কোনমতে সংসার প্রতিপালনে চেষ্টা করছেন। অন্য দিকে, এই অবস্থায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান,সদস্য নেতাদের ' আর্থিক সমৃদ্ধি ' চোখে পড়ার মতো। তাদের প্রাসাদোপম শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘর-বাড়ি, দামী দামী গাড়ি আর বিলাসবহুল জীবনযাপন এখন গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে শুধু নয় তৃণমূলের সাধারণ সদস্যদের মুখে মুখে ঘুরছে। গরীব মানুষের আবাস যোজনা,রাস্তা-ঘাট-পানীয় জলের প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত টাকার অবাধ লুঠ,জোর করে জমি হস্তান্তর বিক্রি আর কাটমানির টাকায় ফুলেফেঁপে উঠেছে তৃণমূল এর পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্য আর নেতারা। অন্য দিকে চলেছে অজয় নদের বুক থেকে অবৈধ বালি পাচারের রমরমা ব্যবসা। আবার পাশর্বর্তী লাওদোহা ব্লকের কাঁটাবেরিয়া গৌরবাজারের থেকে আসা অবৈধ  কয়লার ব্যবসাও বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। কাঁকসার শিল্পাঞ্চলের বাঁশকোপা-গোপালপুর-বামুনাড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে কাজ পেতে গেলে তৃণমূলের নেতাদের দিতে গেলে দিতে হয় কাটমানি, কাজ রাখতে গেলেও গুনতে হয় কাটমানি। আরা-কালীনগর-বামুনাড়াতে চলেছে কৃষি জমির চরিত্র পরিবর্তন করিয়ে অবাধ রিয়াল এস্টেটের ব্যবসা। তৈরি হচ্ছে বিশাল বিশাল ফ্ল্যাট,চলেছে তৃণমূলের মাফিয়া প্রমোটার- সিন্ডিকেট রাজ। আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া 'নব্য-ধনী'রা তৃণমূলের আর্থিক পৃষ্ঠপোষক হয়ে নেতৃত্ব পদ অধিকার করছে বলে প্রকাশ্যেই তৃণমূলের সাধারণ সদস্য-সমর্থকরা ' আক্ষেপ ' করছেন। আর এই সব কিছু অবৈধ লুঠের ব্যবসার বিষয়ে পাহাড়াদারের ভূমিকা পালন করে চলেছে পুলিশ প্রশাসনের একাংশ বলে অভিযোগ এখন মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। মনোনয়ন পত্র জমা পর্ব থেকে  শুরু হয়েছে তৃণমূলের সন্ত্রাসের পুলিশী মদত। প্রার্থী প্রস্তাবকদের ভয় দেখানো মিথ্যা কেসে ফাঁসানো গ্রেফতারের হুমকি দেখিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা না দেওয়া, প্রার্থী পদ প্রত্যাহার অথবা ভোট প্রচারে যোগ না দেওয়ার জন্য ক্রমান্বয়ে চলেছে সরাসরি পুলিশের হুমকি। অন্য দিকে চলেছে এক বিচিত্র ষরযন্ত্র। কাঁকসার জঙ্গলমহলে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ সিপিআইএম কে দুর্বল করে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআইএম এর 'ভোট কমানো'- জন্য বিজেপি প্রার্থীদের "ফান্ডিং" করাতে পুলিশী ব্যবস্থা সক্রিয় বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু শত চেষ্টা করেও কাঁকসার জঙ্গলমহলে লাল ঝাণ্ডা কে দমানো যাচ্ছে না। বিদবিহার পঞ্চায়েত অঞ্চলে সিপিআইএম ২০১১ সালের পরে এই প্রথম প্রার্থী দিতে পেরেছে। শুধু প্রার্থী দেওয়া কেন বিদবিহার অঞ্চলে সিপিআইএম কে হাড়হিম করা সন্ত্রাস করে শাসক তৃণমূল " নিষিদ্ধ " করে রেখেছিল। এমনকি  বিগথ বিধানসভা লোকসভার নির্বাচন গুলোয় পার্টির পক্ষ থেকে অজয় নদের তীরবর্তী বিদবিহারে নির্বাচনী প্রচার করা সম্ভব হয়নি। স্বপন ডোমের নেতৃত্বে একদল অকুতোভয় প্রার্থী এবার অঞ্চলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য দিকে,কাঁকসার "বীরাঙ্গনা"-দের অকুতোভয় প্রতিরোধ এখন মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য তৃণমূল এর দুষ্কৃতীরা ঘিরে ফেলে সিপিআইএম প্রার্থী কল্যানী মাঝির ঘর। এক কাপড়ে পালিয়ে আত্মগোপন করেন কল্যানী মাঝি কিন্তু মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন নি। আক্রমণ প্রতিহত করে নির্বাচনে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন রিঙ্কু ডোম,পানমনি টুডু, কাজল বাউরি মত বীরাঙ্গনারা। জেলা পরিষদে সিপিআইএম এর প্রার্থী আদিবাসী লোক সংস্কৃতির বিশিষ্ট শিল্পী মুংলি হেমব্রম। তিনি একাধারে গায়িকা,গীতিকার সুরকার। এই বিশিষ্ট শিল্পী কে নিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের গর্বের শেষ নেই। মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন " আমাদের প্রার্থী " আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে  কাঁকসার জঙ্গলমহলে এবার মানুষের পঞ্চায়েত গঠনের লক্ষে এবার মানুষের জোট তৃণমূলের ভোট লুঠ রুখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই বার্তা পৌঁছেছে আশপাশের অঞ্চলের দুষ্কৃতীদের কাছে। বার্তা স্পষ্ট। এবারে কাঁকসায় ভোট লুঠ করতে এলে মান তো দুরে থাক জান নিয়ে ফেরাও দুষ্কর হয়ে উঠবে।


































































No comments:

Post a Comment