দুর্গাপুর,২৫শে ডিসেঃ : বড়দিনের সকালে ইস্পাতনগরীর শেষপ্রান্তে
উইলিয়াম কেরীতে দুই দোকান কর্মচারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায়
আরো ছয় দোকান কর্মচারী স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মৃত দুই শ্রমিকের নাম বিধান
বাউরি ( ২১) ও অতনু রুইদাস ( ২২ )।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশ্বরূপ ব্যানার্জি ও সীমান্ত
চ্যাটার্জীর নেতৃত্বে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) এর এক প্রতিনিধি
দল যান। স্থানীয় সেক্টর কমিটির আহ্বায়ক জগবন্ধু রুইদাসের সহায়তায় তারা ঘটনাস্থলের আশেপাশের
মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারেন যে মৃত ও আহতরা স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকান ও রেস্তোয়ায়
কাজ করতেন।শ্রমিকরা বাঁকুড়ার রামহরিপুর সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দা । মিষ্টির দোকান ও রেস্তোয়া,উভয়েরই মালিক
জনৈক সুকুমার মন্ডল।রাতে কাজ শেষ করে আট জন দোকান কর্মচারী প্রতিদিনের মতো ঐ মিষ্টির
দোকান ও রেস্তোয়ার রান্নাঘর ও গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত ঘরের মেঝেতে শুতে যান।ঐ ঘরে ভাটিতে
আগুন জ্বালানো ছিল। এছাড়াও ঘরে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার সহ অন্যান্য সরঞ্জাম রাখা
ছিল। সকালে পুলিশ এসে মৃত ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে মৃতদেহ গুলি ময়না
তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি
দলের পক্ষে বিশ্বরূপ ব্যানার্জি জানিয়েছেন যে স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারেন
যে ঐ রান্নাঘর ও গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত ঘরের হাওয়া চলাচলের ফ্যানটি গতরাতে বন্ধ ছিল।
তিনি আরো বলেন যে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার ধারবাহিকভাবে অসংগঠিত শিল্পের শ্রমিকদের,ঠিকা
শ্রমিকদের কাজের জায়গায় সুরক্ষা,নিরাপত্তা,যথাযথ বেতন সহ অন্যান্য বিষয়ে অবহেলা,উপেক্ষা
করে চলেছে। তার ফলে অসংগঠিত শিল্পের ,ঠিকা শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে এইধরনের মর্মান্তিক
মৃত্যু ক্রমবর্ধমান।
হিন্দুস্হান
স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) এর পক্ষে তিনি মৃত দোকান কর্মচারীদের পরিবারের
প্রতি গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন এবং আহত দোকান কর্মচারীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রকৃত
সত্য উদঘাটনে যথাযথ তদন্ত এবং নিহত ও আহত দোকান কর্মচারীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরনের দাবি
জানিয়েছেন ও ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের পাশে থাকা হবে বলে জানিয়েছেন।এই
বিষয়ে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে যাওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment