Wednesday 27 January 2016

দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার চিকিৎসা পরিষেবার ক্রমাবনতির বিরুদ্ধে এইচ.এস.ই.ইউ(সি.আই.টি.ইউ) এর গণ অবস্হান-বিক্ষোভ কর্মসূচী ।

                                                                 
দুর্গাপুর,২৭ জানুঃ – আজ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার চিকিৎসা পরিষেবার ক্রমাবনতির বিরুদ্ধে এইচ.এস.ই.ইউ(সি.আই.টি.ইউ) এর পক্ষ থেকে দুর্গাপুর ইস্পাতের মেইন হাসপাতালের প্রবেশ পথে সকাল সাড়ে আট টা থেকে দুপুর দেড় টা এবং বিকাল চার টা থেকে পাঁচ টা পর্যন্ত গণ অবস্হান-বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয় । এইচ.এস.ই.ইউ(সি.আই.টি.ইউ) এর পক্ষ অভিযোগ যে ১৯৯১ সালে নয়া অর্থনৈতিক নীতি গ্রহনের পর থেকেই দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার চিকিৎসা পরিষেবার ক্রমাবনতি হয়েছে এবং বর্তমানে ভয়াবহ আকার নিয়েছে । ৬০০ বেডের মেইন হাসপাতালে প্রতি বছরে বর্হিবিভাগে প্রায় ১০ লক্ষ চিকিৎসা করান এবং প্রায় ৩০ হাজার রোগী ভর্তি হয় । অথচ এই বিপুল পরিমানে রোগীদের চিকিৎসা সহ ৫ টি হেলথ সেন্টার ও প্ল্যান্ট মেডিক্যালের চিকিৎসা পরিষেবার জন্য মাত্র ১৪০ জন নার্সিং স্টাফ ( এর মধ্যে মেইন হাসপাতালে ৩ শিফটের জন্য মোট ৯০ জন নার্স রয়েছেন ),২৬ জন ফার্মাসিষ্ট ( বিগত ২৪ বছরে একজনও ফার্মাসিষ্ট নিয়োগ হয় নি ),৯২ জন ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছেন । এর মধ্যে ৯ জন নার্স ও ৬ জন ডাক্তার ২০১৬ সালে অবসর গ্রহন করবেন । বর্তমান বছর থেকে ডিএনবি এর শিক্ষার্থী চিকিৎসকদের আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে । অন্যান্য মেডিক্যাল ও টেকনিক্যাল স্টাফের সংখ্যা তথৈবচ । অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ট্রমা সেন্টার হয় নি । চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি অপ্রতুল এবং  যথাযথ রক্ষণাবেক্ষন হচ্ছে না । নিম্ন মানের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে । সাম্প্রতিক কালে ব্লাড ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন পরিষেবায় গুরুতর ত্রুটি সামনে এসেছে । হাসপাতালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্ত ,তাদের পরিবারবর্গ দের সাথে দুর্গাপুরে অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সংস্হা এবং মেডিক্লেমের রোগীদের চিকিৎসা হয় । বহিরাগত ও মেডিক্লেমের রোগীদের চিকিৎসা-বাবদ বছরে হাসপাতালের আয় প্রায় ১০ কোটি টাকা । বিগত ১১ বছর ধরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা লাগাতার মুনাফা করলেও এবং এইচ.এস.ই.ইউ(সি.আই.টি.ইউ) এর পক্ষ লাগাতার আন্দোলনের চাপে মাঝে মাঝে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রকৃতপক্ষে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ও সেইল কর্তৃপক্ষ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতির জন্য কোন ব্যবস্হা নেয় নি বলে এইচ.এস.ই.ইউ(সি.আই.টি.ইউ) এর পক্ষে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী অভিযোগ করেন । এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের ইস্পাত মন্ত্রকের চাপ আছে বলে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ও সেইল কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে চাইছে বলেও তিনি অভিযোগ জানান । সি.আই.টি.ইউ এর সর্বভারতীয় সম্পাদক ও রাজ্যসভার সাংসদ তপন সেন এ বিষয়ে সেইল কর্তৃপক্ষ কে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহনের দাবী জানালে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস মিললেও কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি বলে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী অভিযোগ করেন । সেই কারনেই আজকের অবস্হান বিক্ষোভ । দাবী না মিটলে ভবিষ্যৎে লাগাতার আন্দোলনের দিকে এইচ.এস.ই.ইউ(সি.আই.টি.ইউ) যাবে বলে তিনি জানান । আজকের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জী , নন্দলাল দাস সহ এইচ.এস.ই.ইউ(সি.আই.টি.ইউ) এর দুর্গাপুর ইস্পাত ও মিশ্র ইস্পাত শাখার অন্যান্য নেতৃত্ব ।


No comments:

Post a Comment