দুর্গাপুর,২২শে জুন
: গতকাল ভোর রাতে মিশন হাসপাতালে প্রয়াত হলেন পার্টি সদস্যা সুধা ভট্টাচার্য । মৃত্যু
কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ । প্রয়ান কালে তাঁর দুই কন্যা ও এক মাত্র ছেলে ও পার্টির বর্ধমান
জেলা কমিটির সদস্য নির্মল ভট্টাচার্য সহ দুই জামাতা ও নাতি-নাতনিরা বর্তমান । তাঁর মরদেহ প্রথমে ইস্পাতনগরীর রানা প্রতাপ রোডে
ও পরে আশীষ জব্বর ভবনে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে মরদেহে রক্তপতাকা আচ্ছাদিত করেন পার্টি
নেতৃত্ব ।
মরদেহে মাল্যদান করেন সন্তোষ দেবরায়
, নির্মল ভট্টাচার্য , সুবীর সেনগুপ্ত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। পরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন
হয়েছে ।
তাঁর মৃত্যুতে দুর্গাপুর
ইস্পাত জোনাল কমিটির পক্ষ থেকে সন্তোষ দেবরায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন এবং পরিবারের প্রতি
সমবেদনা জানয়েছেন ।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
: অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্মগ্রহন করেন সুধা ভট্টাচার্য । ১৯৪৫ সালে কোলকাতায়
আসেন এবং তাঁর বাল্যকালে কেটেছিল শ্যামাজারের তেলিবাজার লেনে । বিবাহের কারনে বিদ্যালয়
শিক্ষা অসমাপ্ত থাকে । কিন্তু প্রবল আর্থিক সংকটের মধ্যেও তিন সন্তানের জননী সুধা ভট্টাচার্য
পুনরায় পড়াশুনা শুরু করেন এবং বি.এ. ও বি.এড ডিগ্রী অর্জন করে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯৭০ সালে শিক্ষিকা হিসাবে কাজে যোগ দেন এবং ১৯৯৭ সালে অবসর গ্রহন
করেন । কলেজে ছাত্রী থাকাকালীন বি.পি.এস.এফ এর সাথে যুক্ত হয়েছিলেন এবং মধ্যমগ্রাম
অঞ্চলে পার্টির কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন । দুর্গাপুরে কাজে যোগ দেওয়ার পরে মহিলা সমিতি
ও শিক্ষক আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন । ১৯৭২-৭৭ সালে আধা-ফ্যাসিবাদি সন্ত্রাসের
সময়ে ইস্পাতনগরীর বুকে মহিলা সমিতির বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের সামনের সারিতে ছিলেন সুধা ভট্টাচার্য
। বিশেষ করে রানা প্রতাপ রোডে তাঁর বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধ গুণ্ডাবাহিনী কে বাধ্য করেছিল
নতজানু হতে । ১৯৯১ সালে তিনি পার্টি সদস্যপদ লাভ করেন । গণশক্তি ও মার্কসীয় সাহিত্যের
একনিষ্ঠ পাঠিকা সুধা ভট্টাচার্য আক্ষরিক অর্থেই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গণশক্তি ও মার্কসীয়
সাহিত্য পাঠ করে গেছেন। নিজের পরিবার পার্টি
–পরিবার । একমাত্র পুত্রবধু মহিলা নেত্রী মিতা ভট্টাচার্য দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল কমিটির
সদস্যা । বড় মেয়ে পার্টি সদস্যা রত্না আইচ এবং জামাতা জীবন আইচ ডিভিসির সি.আই.টি.ইউ
ইউনিয়নের অন্যতম নেতৃত্ব ।
No comments:
Post a Comment