Friday 5 June 2020

অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের কাজ হারা ঠিকা শ্রমিকদের আন্দোলন চলছে ।




দুর্গাপুর,৫ই জুন : গতকাল থেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের ১৪৭ জন কাজ হারা ঠিকা শ্রমিকের কাজ ফেরানোর দাবিতে শুরু হয়ছে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।চলছে কারখানার মেইন গেটে বিক্ষোভ-ধর্ণা প্রদর্শন । কাজ হারা ঠিকা শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর দাবিতে গড়ে উঠেছে স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের ঠিকা শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ যৌথ মঞ্চ “ সেভ স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক কন্ট্রাক্টার্স ওয়ার্কার্স কমিটি “। কমিটির পক্ষে নিসার আহমেদ  জানিয়েছেন যে দুর্গাপুর ইস্পাতের কর্তৃপক্ষ গত ২৪/০৩/২০২০ তারিখ থেকে স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের কর্মরত বি-লিস্ট ভুক্ত ১৪৭ জন কর্মরত ঠিকা শ্রমিক কে ছাঁটাই করে দিয়েছে । ডিএসপির বি-লিস্ট ভুক্ত ঠিকা শ্রমিকরা কারখানার ২২টি নোটিফায়েড এলাকায় ছিলেন। এই নোটিফায়েড এলাকা গুলিতে ঠিকা শ্রমিকরা স্হায়ি কাজ ( পেরেনিয়াল জব ) এর সাথে যুক্ত ছিলেন। ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী  ২১টি নোটিফায়েড এলাকার বি-লিস্ট ভুক্ত  ঠিকা শ্রমিকদের স্হায়ীকরন করা হলেও বাকি থাকে স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক । দীর্ঘ টালবাহানার পরে যৌথ আন্দোলনের চাপে  ডিএসপি কর্তৃপক্ষ ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক কে নোটিফায়েড এলাকা বলে মেনে নেয় ও ২০১০ সালে ৬০ জন ঠিকা শ্রমিকের স্হায়ীকরন করে । কিন্তু বাকিদের স্হায়ীকরন নিয়ে আজও ডিএসপি কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করেই চলেছে । ইতিমধ্যে তিন বার মেডিক্যাল,ভিআরএস ও মৃত্যজনিত কারনে চুক্তি অনুসারে স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের স্হায়ী চাকরির হকদার বি-লিস্ট ভুক্ত ঠিকা শ্রমিকের সংখ্যা কমে বর্তমানে কমে হয়েছে ১৪৭ জন । এরই মাঝে কর্তৃপক্ষ এক দিকে যন্ত্রপাতি বসিয়ে অন্যদিকে এফএসএনএল এর মাধ্যমে আউটসোর্সিং করিয়ে স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের কাজের পরিধি সঙ্কুচিত করেছে এবং বর্তমান কাজ নেই এই অজুহাতে লকডাউন ঘোষনার প্রাক্কালে স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের ১৪৭ জন ঠিকা শ্রমিক কে ছাঁটাই করেছে । যে ঠিকাদারের কাছে ছাঁটাই ঠিকা শ্রমিকরা কাজ করতেন,সেই সংস্হা শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা-গণ্ডা মিটিয়ে দেয় নি । এর ফলে ছাঁটাই শ্রমিক ও তাদের পরিবার দুঃসহ অবস্হায় দিন কাটাচ্ছেন ।
কমিটির পক্ষে নিসার আহমেদ আরও বলেছেন ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী কারখানার নোটিফায়েড এলাকায় স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের বি-লিস্ট ভুক্ত ১৪৭ জন ঠিকা শ্রমিক কে কর্তৃপক্ষ ছাঁটাই করতে পারে না । তাই ছাঁটাই শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে ও বকেয়া পাওনা-গণ্ডা আদায়ের জন্য যৌথ মঞ্চ শেষ পর্যন্ত লড়াই চালাতে বদ্ধপরিকর । গত কাল থেকে লাগাতার সাত দিন ধরে যৌথ মঞ্চ কারখানার মেইন গেটে ধর্ণা প্রদর্শন শুরু হয়ছে । যৌথ মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়েছে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ) সহ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সব কটি স্বীকৃত ট্রেড ইউনিয়ন ।  প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের এই ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে যৌথ মঞ্চ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে কমিটির পক্ষে নিসার আহমেদ  হুঁশিয়ারি দিয়েছেন । 






No comments:

Post a Comment