দুর্গাপুর,৪ঠা জুন : আজ সকালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন গেটে ডিএসপি কারখানার
স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের ১৪৭ জন কাজ হারা ঠিকা শ্রমিকের কাজ ফেরানোর দাবিতে শুরু হল ঐক্যবদ্ধ
আন্দোলন ।
কাজ
হারা ঠিকা শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর দাবিতে
গড়ে উঠেছে স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের ঠিকা শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ যৌথ মঞ্চ “ সেভ স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক
কন্ট্রাক্টার্স ওয়ার্কার্স কমিটি “ । কমিটির পক্ষে নিসার আহমেদ জানিয়েছেন যে গত ২৪/০৩/২০২০ তারিখ থেকে স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের কর্মরত
বি-লিস্ট ভুক্ত ১৪৭ জন কর্মরত ঠিকা শ্রমিক কে ছাঁটাই করে দিয়েছে । ডিএসপির বি-লিস্ট
ভুক্ত ঠিকা শ্রমিকরা কারখানার ২২টি নোটিফায়েড এলাকায় কর্মরত আছেন । এই নোটিফায়েড এলাকা
গুলিতে ঠিকা শ্রমিকরা স্হায়ি কাজ ( পেরেনিয়াল জব ) এর সাথে যুক্ত আছেন ।নোটিফায়েড এলাকার
অন্যতম হল স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক । দীর্ঘ টালবাহানার পরে যৌথ আন্দোলনের চাপে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ ১৯৯৬ সালে স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক কে নোটিফায়েড
এলাকা বলে মেনে নেয় ও ২০১০ সালে ৬০ জন ঠিকা শ্রমিকের স্হায়ীকরন করলেও বাকিদের স্হায়ীকরন
নিয়ে টালবাহানা করেই চলেছে । ইতিমধ্যে তিন বার মেডিক্যাল,ভিআরএস ও মৃত্যজনিত কারনে
চুক্তি অনুসারে স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের স্হায়ী চাকরির হকদার বি-লিস্ট ভুক্ত ঠিকা শ্রমিকের
সংখ্যা কমে বর্তমানে কমে হয়েছে ১৪৭ জন । এরই মাঝে কর্তৃপক্ষ এক দিকে যন্ত্রপাতি বসিয়ে
অন্যদিকে এফএসএনএল এর মাধ্যমে আউটসোর্সিং করিয়ে স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের কাজের পরিধি সঙ্কুচিত
করেছে এবং বর্তমান কাজ নেই এই অজুহাতে স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের ১৪৭ জন ঠিকা শ্রমিক কে ছাঁটাই
করেছে । যে ঠিকাদারের কাছে ছাঁটাই ঠিকা শ্রমিকরা কাজ করতেন,সেই সংস্হা শ্রমিকদের পাওনা-গণ্ডা
মিটিয়ে দেয় নি । কমিটির পক্ষে নিসার আহমেদ আরও বলেছেন চুক্তি অনুযায়ী কারখানার নোটিফায়েড
এলাকায় স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের বি-লিস্ট ভুক্ত ১৪৭ জন ঠিকা শ্রমিক কে কাজে ফেরাতে ও বকেয়া
পাওনা-গণ্ডা আদায়ের জন্য যৌথ মঞ্চ শেষ পর্যন্ত লড়াই চালাতে বদ্ধপরিকর । আজ থেকে লাগাতার
সাত দিন ধরে যৌথ মঞ্চ কারখানার মেইন গেটে ধর্ণা প্রদর্শন করবে । প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন
গড়ে তোলা হবে।
No comments:
Post a Comment