Sunday 2 February 2014

ভারতীয় গণনাট্য সংঘের ৭০-বৎসর পূর্তি উপলক্ষ্যে সর্বসাধারনের জন্য দু-দিন ব্যাপি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা ।

দুর্গাপুর , ২রা ফেব্রুঃ – সর্বসাধারনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে , আজ থেকে শুরু হোল ভারতীয় গণনাট্য সংঘের ৭০-বৎসর পূর্তি উপলক্ষ্যে  দু-দিন ব্যাপি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা । এই উপলক্ষ্যে ইস্পাতনগরীর ১নং বিদ্যাসাগর এভিন্যুতে বি টি রণদিভে ভবনে এক সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই প্রতিযোগীতা শুরু হয় । অনুষ্ঠানের সূচনা হয় গণনাট্য সংঘের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে । পতাকা উত্তোলন করেন ভারতীয় গণনাট্য সংঘের বর্ধমান জেলার সভাপতি শ্রী মৃদুল সেন । উদ্বোধনী ভাষনে শ্রী মৃদুল সেন বলেন যে মেহেনতী মানুষের সংগ্রাম প্রগতিশীল সংস্কৃতি ব্যতিরেক হয় না । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – নজরুল ইসলামের মহান সাংস্কৃতিক  ঐতিহ্যের যোগ্য উত্তরসূরী ভারতীয় গণনাট্য সংঘ মেহেনতী মানুষের সংগ্রামের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে সৃজনশীল শিল্প সৃষ্টি করে চলেছে । তাই বারে বারে শাসকশ্রেনীর আক্রমনের মুখে পড়তে হয়েছে ভারতীয় গণনাট্য সংঘকে । কিন্তু আক্রমনের মুখেও ভারতীয় গণনাট্য সংঘ তার পতাকা উড্ডীন রেখে পুঁজিবাদী – সাম্রজ্যবাদী পচাগলা ভোগ-সর্বস্ব পলায়নকামী সংস্কৃতির বিকল্প সুস্হ সংস্কৃতি প্রসারে  সৃজনশীল শিল্প সৃষ্টির প্রতি দায়বদ্ধ । অভ্যর্থনা সমিতির পক্ষে শ্রমিকনেতা ও প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ শ্রী জীবন রায় বলেন যে গণনাট্য সংঘ ভারতের হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্যশীল সংস্কৃতির সাথে প্রগতিশীলতার মেলবন্ধন ঘটিয়ে জনগনের জন্য যে শিল্প সৃষ্টি করেছে তা স্বাধীনোত্তর ভারতে শিল্প সচেতনার ভিত্তিভূমি তৈরি করেছে আর এই ভিত্তিভূমি সৃষ্টি করছে বহু কালজয়ী শিল্পী ও শিল্পকর্ম । শ্রী রায় আশাপ্রকাশ করেন যে আগামীদিনে ভারতীয় গণনাট্য সংঘ ভারত তথা সারা বিশ্বের প্রগতি শিল্প-সংস্কৃতি আন্দোলনকে একই ভাবে নতুন শিল্প সৃষ্টিতে উজ্জীবিত করবে । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন ভারতীয় গণনাট্য সংঘের বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক শ্রী অভিজিত মিত্র , রমেন দাস , অভিজিত ঘোষ , সুজাতা ভট্টাচার্য , অশোক দাস সহ বহু বিশিষ্ট শিল্পী ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতৃত্ব । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ উপজাতি নৃত্য পরিবেশন করেন পঃ বঙ্গ আদিবাসী ও লোক শিল্পী সংঘের শিল্পীরা ।

     সর্বসাধারনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী আশীষতরু চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে এই প্রতিযোগীতায় সমগ্র বর্ধমান জেলা থেকে ২০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহন করেছেন । তিনি আরও জানান যে , গণসংগীত  প্রতিযোগীতা হবে অজিত পান্ডে মঞ্চে , একক গানের প্রতিযোগীতা হবে  মান্না দে মঞ্চে , আবৃতি প্রতিযোগীতা হবে ঝর্ণা দাসগুপ্ত – তমাল দাসগুপ্ত মঞ্চে এবং নৃত্য প্রতিযোগীতা হবে জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র মঞ্চে । আগামীকাল চিল্ড্রেন্স অ্যাকাডেমীর মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে নাট্য প্রতিযোগীতা ।















No comments:

Post a Comment