দুর্গাপুর,১১ই ফেব্রুঃ
: সংবাদপত্রের সততা তাও আজ বিপন্ন ! বিশ্বের
সংবাদমাধ্যমের অধিকাংশ কুক্ষিগত ৫ টি বৃহৎ
গোষ্ঠীর হাতে । ১৯৮৩ সালেও এহেন মালিক গোষ্টীর সংখ্যা ছিল ৫০ । আশংকা খুব দ্রুত এই
মালিক গোষ্টীর সংখ্যা কমে হবে ৩ । মালিকের ইচ্ছায় সংবাদ হয়ে যায় উত্তর-সত্য ( পোষ্ট
ট্রুথ ) , সোজা কথায় মিথ্যার বেসাতি । খবর কাগজ থেকে টিভি , বিনোদন থেকে ইন্টারনেট
, ক্রস মিডিয়া ফেনোমেনার দৌলতে একচেটিয়া মালিকানার অধীনস্ত । স্বাধীন গণ-মাধ্যমের পরিসর
বিপজ্জনকভাবে সীমাবদ্ধ হয়ে আসছে । সংবাদমাধ্যম সমাজ জীবনের চালচিত্র হওয়ার বদলে বিজ্ঞাপন
সেবকে পরিনত হওয়া বেশী পছন্দ করছে । ভারতের পয়লা নম্বর ধনী মুকেশ আম্বানি দেশের সংবাদমাধ্যমের
এক নম্বর মালিক । সম্পাদকের পদ ফাঁকা পরে থাকে । দাপাদাপি করছে ম্যানেজার আর অ্যাড
ডিরেক্টার । সেই সংবাদ মাধ্যমে দেশের ৬৯% গ্রাম বসবাস করেন এমন বাসিন্দাদের খবর খুঁজতে
লাগে । ভারতে প্রতি ৪১ মিনিটে একজন কৃষক আত্মহত্যা করছেন । সেই খবর হেডলাইন নিউজ হয়
না । কর্তার ইচ্ছায় খবর ! তার মধ্যেই চলছে বিকল্প মিডিয়া গড়ে তোলার চেষ্টা । সততার সাথে সংবাদ প্রকাশে সোশ্যাল মিডিয়া / ওয়েব পোর্টাল
আংশিক হলেও সফল । কিন্তু সংবাদপত্রের ও গণ-মাধ্যমের সততার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে অনেকটা পথ এখনও হাঁটতে হবে ।
আজ দুর্গাপুরের সৃজনী
প্রেক্ষাগৃহে , সোশ্যাল সায়েন্স ইন্সটিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডিজ (দুর্গাপুর
) এর পক্ষ থেকে বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশের ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনাসভায়
গণ-মাধ্যমের সততার স্বাধীনতার সম্পর্কে আশা-নিরাশার
বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য উপস্হাপিত হয় ।
‘ সংবাদপত্রের সেকাল-একাল’
বিষয়ক আলোচনা করতে গিয়ে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান ডঃ সব্যসাচী
চক্রবর্তী বাংলা সংবাদপত্রের ২০০ বছরের ইতিহাস তুলে ধরেন । ‘ গণমাধ্যম কোনদিকে ?’ শীর্ষক
বিষয়ে আলোচনা করেন গণশক্তি পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক শান্তনু দে । ‘ জনমত গঠনে
সংবাদপত্রের ভুমিকা ‘ বিষয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক অনির্বান বসু চৌধুরী , অধ্যাপক ইমানুল
হক , পি.কে.দাস , কাঞ্চন সিদ্দিকী প্রমূখ ।
আলোচনাসভার উদ্বোধন
করেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক প্রবুদ্ধ বাগচী ।
No comments:
Post a Comment