Sunday 11 February 2018

একচেটিয়া মালিকানার দাপটে বিপন্ন সংবাদপত্রের সততা ।



দুর্গাপুর,১১ই ফেব্রুঃ : সংবাদপত্রের সততা  তাও আজ বিপন্ন ! বিশ্বের সংবাদমাধ্যমের অধিকাংশ কুক্ষিগত  ৫ টি বৃহৎ গোষ্ঠীর হাতে । ১৯৮৩ সালেও এহেন মালিক গোষ্টীর সংখ্যা ছিল ৫০ । আশংকা খুব দ্রুত এই মালিক গোষ্টীর সংখ্যা কমে হবে ৩ । মালিকের ইচ্ছায় সংবাদ হয়ে যায় উত্তর-সত্য ( পোষ্ট ট্রুথ ) , সোজা কথায় মিথ্যার বেসাতি । খবর কাগজ থেকে টিভি , বিনোদন থেকে ইন্টারনেট , ক্রস মিডিয়া ফেনোমেনার দৌলতে একচেটিয়া মালিকানার অধীনস্ত । স্বাধীন গণ-মাধ্যমের পরিসর বিপজ্জনকভাবে সীমাবদ্ধ হয়ে আসছে । সংবাদমাধ্যম সমাজ জীবনের চালচিত্র হওয়ার বদলে বিজ্ঞাপন সেবকে পরিনত হওয়া বেশী পছন্দ করছে । ভারতের পয়লা নম্বর ধনী মুকেশ আম্বানি দেশের সংবাদমাধ্যমের এক নম্বর মালিক । সম্পাদকের পদ ফাঁকা পরে থাকে । দাপাদাপি করছে ম্যানেজার আর অ্যাড ডিরেক্টার । সেই সংবাদ মাধ্যমে দেশের ৬৯% গ্রাম বসবাস করেন এমন বাসিন্দাদের খবর খুঁজতে লাগে । ভারতে প্রতি ৪১ মিনিটে একজন কৃষক আত্মহত্যা করছেন । সেই খবর হেডলাইন নিউজ হয় না । কর্তার ইচ্ছায় খবর ! তার মধ্যেই চলছে বিকল্প মিডিয়া গড়ে তোলার চেষ্টা । সততার সাথে সংবাদ প্রকাশে সোশ্যাল মিডিয়া / ওয়েব পোর্টাল আংশিক হলেও সফল । কিন্তু সংবাদপত্রের ও গণ-মাধ্যমের সততার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে  অনেকটা পথ এখনও হাঁটতে হবে ।
আজ দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে , সোশ্যাল সায়েন্স ইন্সটিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডিজ (দুর্গাপুর ) এর পক্ষ থেকে বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশের ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনাসভায় গণ-মাধ্যমের সততার স্বাধীনতার সম্পর্কে  আশা-নিরাশার বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য উপস্হাপিত হয় ।
‘ সংবাদপত্রের সেকাল-একাল’ বিষয়ক আলোচনা করতে গিয়ে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান ডঃ সব্যসাচী চক্রবর্তী বাংলা সংবাদপত্রের ২০০ বছরের ইতিহাস তুলে ধরেন । ‘ গণমাধ্যম কোনদিকে ?’ শীর্ষক বিষয়ে আলোচনা করেন গণশক্তি পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক শান্তনু দে । ‘ জনমত গঠনে সংবাদপত্রের ভুমিকা ‘ বিষয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক অনির্বান বসু চৌধুরী , অধ্যাপক ইমানুল হক , পি.কে.দাস , কাঞ্চন সিদ্দিকী প্রমূখ ।
 আলোচনাসভার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক প্রবুদ্ধ বাগচী । 








No comments:

Post a Comment