Monday 26 February 2018

অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও দুর্গাপুর বাঁচাও আন্দোলন কে দূর্বল করতে চাইছে তৃণমূল – সূজন চক্রবর্তী




দুর্গাপুর , ২৬শে ফেব্রুঃ : অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও দুর্গাপুর বাঁচাও আন্দোলন কে দূর্বল করতে চাইছে তৃণমূল । আজ দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই অভিযোগ করেন বাম পরিষদীয় দলনেতা ডঃ সূজন চক্রবর্তী । তিনি সরাসরি অভিযোগ তোলেন যে এই লক্ষ্যেই অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও দুর্গাপুর বাঁচাও আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় এর উপর হামলা চালানো হয়েছে । গত দুই বছর ধরে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট এর ‘কৌশলগত’ বিলগ্নীকরনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে যৌথ মঞ্চ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে । কিন্তু তৃণমূল সেই আন্দোলনের থেকে দূরে থেকেছে । ক্ষমতায় আসার আগে  তৃণমূল ৭৩ বার বনধ ডেকেছিল । ক্ষমতায় আসার পরে তৃণমূল নেত্রী বলছেন বনধ-অবরোধ করা যাবে না !  আজ আবার তৃণমূল একক ভাবে দুর্গাপুরে রেল অবরোধ করেছে । আসলে এই দ্বিচারিতা অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও দুর্গাপুর বাঁচাও আন্দোলন কে সুপরিকল্পিত ভাবে দূর্বল করার জন্য করা হয়েছে ।বাংলার গর্বের শিল্পনগরী দুর্গাপুর বাঁচাতে কি করতে চান সে বিষয়ে রাজ্য সরকার পরিষ্কার করে কিছুই বলছে না । রাজ্য সরকার দুর্গাপুর কেমিক্যালস ১০০% বিলগ্নীকরন করছে । ডিপিএল এর সর্বনাশ করছে । এর আগে মমতা ব্যানার্জী এনডিএ সরকারের মন্ত্রী থাকার সময় অটলবিহারী বাজপেয়ী-র ‘ফ্যাক্স’ এর গল্প শুনিয়ে দুর্গাপুর ও রাজ্যের মানুষ কে প্রতারনা করেছিলেন । বন্ধ হয়ে যায় এম.এ.এম.সি । বামফ্রন্ট সরকার এম.এ.এম.সি খোলার উদ্যোগ নিয়ে অনেক দুর এগিয়ে ছিল । বর্তমান সরকার সে সব জলাঞ্জলি দিয়েছে ।  অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের সাথে সালেম ও ভদ্রাবতি  স্টিল প্ল্যান্টের কৌশলগতবিলগ্নীকরনের প্রস্তাব থাকলেও , সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার গুলির বিরোধীতায় মোদি সরকার পেছিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে । অথচ পঃ বঙ্গ সরকার নিশ্চুপ । কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ এখনও জানায় নি । অথচ ইস্কো-বাঁচাও ঐতিহাসিক আন্দোলনের পাশে পুরোপুরি দাঁড়িয়েছিল তৎকালিন বামফ্রন্ট সরকার ।  বর্তমান সরকারের সেই ভূমিকা কোথায় ? তৃণমূলের নেতৃত্ব আক্রান্ত বিধায়ক কে দেখতে এসেছেন , দুঃখ প্রকাশ করে অপরাধীদের গ্রেফ্তারের কথা বললেও ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পার হলেও একজন অপরাধীও গ্রেফ্তার হয় নি । আসলে নবান্নের অনুমতি ছাড়া আজকে পুলিশ অপরাধিদের  গ্রেফ্তার করতে পারে না । উল্টে সমাজবরোধী ও পুলিশ প্রশাসন কে ব্যবহার করা হচ্ছে গনতান্ত্রিক আন্দোলন ভাঙ্গার কাজে । ডিপিএল এর বিদ্যুৎের অমানবিক মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ  গন-আন্দোলনের উপর পুলিশের উপস্হিতে  তৃণমূলের  ভয়ংকর আক্রমন আরও একবার প্রমান করছে রাজ্যের আইনের শাসন মানে পুলিশ-সমাজবিরোধিদের শাসন ।জনগনের প্রতিরোধে ভগবানপুরে তৃণমূলের নান্টু প্রধান নামে জনৈক তোলাবাজের দুঃখজনক মৃ্ত্যুর  পর পুলিশ ৭২জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে,৭ জন কে গ্রে্ফতার করেছে । অথচ বিধায়ক আক্রান্ত হলেও পুলিশ কাউকে  গ্রে্ফতার করে নি । তাই আক্রান্ত বিধায়ক কে দেখতে আসার নাম করে তৃণমূল নাটক করার চেষ্টা করলে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে ।যদি তৃণমূল প্রকৃত অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও দুর্গাপুর বাঁচাও আন্দোলন করতে চায় তবে তাদের উচিৎ বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় এর নেতৃত্বে যে যৌথ মঞ্চ আন্দোলন চলছে তার সাথে যুক্ত হওয়া । ইস্কো-বাঁচাও ঐতিহাসিক আন্দোলনে প্রমান করেছিল বামপন্হিরা সবাই কে সম মর্যাদা দিয়ে একসাথে চলতে পারে । অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও দুর্গাপুর বাঁচাও আন্দোলন সেই ধারা অনুসরন করছে । তৃণমূল যদি এই আন্দোলন কে কোন ভাবে দূর্বল করার চেষ্টা করে , দুর্গাপুরের মানুষ সেই বিশ্বাসঘাতকতা মেনে নেবে না । যদি পুলিশ-সমাজবিরোধি লেলিয়ে আন্দোলন ভাঙ্গার চেষ্টা হয় , তার পরিনাম ভয়ংকর হবে । মানুষ কে নিয়ে বামফ্রন্ট সর্বোচ্চ প্রতিরোধ করবে ।
এর আগে বাম পরিষদীয় দলনেতা ডঃ সূজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বাম বিধায়ক দল মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় ও যুব কর্মী জয় সিং কে দেখতে যান ও চিকিৎসর বিষয়ে খোঁজখবর করেন । সাথে ছিলেন বি.পি.এম.ও-র রাজ্য আহ্বায়ক শ্যামল চক্রবর্তী ও পশ্চিম বর্ধমান  জেলার সিপিআইএম ও সিআইটিইউ নেতৃবৃ্ন্দ । হাসপাতাল সুপার পার্থ পাল জনিয়েছেন সন্তোষ দেবরায় ও জয় সিং এর অবস্হা স্হিতিশিল ।















No comments:

Post a Comment