দুর্গাপুর,১৮ই ফেব্রুঃ আজ দুপুরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বিওএফ বিভাগে কনভার্টারে
রিলাইনিং এর কাজ করতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে ৭ জন ঠিকা শ্রমিক অসুস্হ পড়েন।
প্রথমে তাদের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্ল্যান্ট মেডিক্যাল ও পরে মেইন হাসপাতাল এবং
মিশন হাসপাতালে অসুস্হ ঠিকা শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে সজন চৌহান,সন্তোষ
চৌহান ও সিন্টু যাদবের মৃত্যু হয়েছে।এদিকে,এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে শিল্পাঞ্চলে শোকের
ছায়া নেমে আসে। অন্যদিকে,এই দুর্ঘটনার পরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিকদের তৈরি
হয়েছে উদ্বেগ ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ )
এর পক্ষ থেকে বিশ্বরূপ ব্যানার্জি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন
যে কর্তৃপক্ষের লাগাতার অবহেলার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় ‘ব্লাড-লেস’ ইস্পাত তৈরি
কথার কথায় থাকছে । ইউনিয়নের একের পর এক সতর্কবার্তা অগ্রাহ্য করে স্হায়ী,দক্ষ শ্রমিকের
পরিবর্তে অদক্ষ,ঠিকা শ্রমিকদের নিয়োগ করার ফলে লাগাতার দুর্ঘটনা ঘটছে । হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন
( সি.আই.টি.ইউ) এর পক্ষ থেকে দুর্গাপুর ইস্পাতের কর্তৃপক্ষের কাছে কারখানার নিরাপত্তা
বৃ্দ্ধি করতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বমূলক বিভাগীয় সেফটি কমিটি
গুলিকে অবিলম্বে সক্রিয় করার বার বার দাবি জানালেও,কর্তৃপক্ষ ধারাবাহিকভাবে সেই দাবি
অগ্রাহ্য করছে ।
সেফটি কমিটি
গুলিকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার ফলে দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে । প্রান হারাচ্ছেন শ্রমিক ও আধিকারিকরা
। এরফলে শ্রমিকদের ও শ্রমিক পরিবারদের মধ্যে আতংক তৈরি হয়েছে,তাদের মনোবলে চিড় ধরেছে
যা কারখানার উৎপাদনশীলতা কে ধাক্কা দিতে পারে । কর্মস্হলে সুরক্ষা পাওয়া শ্রমিকদের
অধিকার । ‘রক্তপাত-শূণ্য ইস্পাত’ উৎপাদনের স্বার্থে কারখানায় অবিলম্বে শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বমূলক বিভাগীয় সেফটি কমিটি
গুলিকে সক্রিয় করার পাশাপাশি জোরদার নজরদারি ও প্রয়োজনীয় ব্যয়-বরাদ্দের জন্য তিনি ইউনিয়নের
পক্ষে দাবি জানান।
No comments:
Post a Comment