Friday 18 February 2022

দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতাল সহ চিকিৎসা বেহাল পরিষেবার অভিযোগে সিআইটিউ এর বিক্ষোভ ।

 


দুর্গাপুর,১৮ই ফেব্রুঃ : অবিভক্ত বর্ধমান জেলার আমল থেকে জেলার তো বটেই পার্শ্ববর্তি জেলা সহ দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের চিকিৎসার অন্যতম ভরসাস্হল হল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতাল । দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত  শ্রমিক-আধিকারিক ও তাদের পরিবারবর্গের চিকিৎসার সাথে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সংস্হার কর্মরতরা এবং সাধারন মানুষ কে সুলভ মূল্যে সুচিকিৎসা জুগিয়ে এসেছে মেইন হাসপাতাল । নয়া অর্থনীতির কোপে বিশেষতঃ মোদি সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা-বিরোধী নীতির ফলে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতাল সহ হেলথ সেন্টার ও প্ল্যান্ট মেডিক্যাল এর চিকিৎসা পরিকাঠামো দুরাবস্হার মুখে পড়েছে বলে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ ) এর পক্ষ থেকে বিশ্বরূপ ব্যানার্জি অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন যে সেইল সর্বকালীন রেকর্ড মুনাফা করেছে । তাই এই সুবর্ণ সুযোগ কে ব্যবহার করে অবিলম্বে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতাল সহ চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতির জন্য চিকিৎসা পরিকাঠামোর জন্য মৌলিক বিনিয়োগ না করলে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতাল সহ চিকিৎসা পরিষেবা চিররুগ্ন হয়ে পড়বে। আজ এই বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ ও সমাধানের জন্য প্রস্তাব জানিয়ে মেইন হাসপাতালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেডিক্যাল এ্যান্ড হেলথ সার্ভিস এর কর্তৃপক্ষের কাছে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় । এই বিষয়ে অবিলম্বে প্রতিবিধানের দাবিতে আজ সকালে মেইন হাসপাতালের গেটে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সভা অনুষ্ঠিত হয় । বক্তারা অভিযোগ করেন যে ক্রমান্বয়ে ব্যয়-বরাদ্দ কমানো  এবং ডাক্তার-নার্স-স্বাস্হ্য কর্মিদের নিয়োগ অস্বাভবিক কমানোর ফলে স্বাস্হ্য পরিষেবা অবনতি হয়েছে ।কিছু হেলথ সেন্টার বন্ধ হয়েছে। বাকি গুলি আগের মতো পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে । ফলে মেইন হাসপাতালের উপর চাপ বাড়ছে । ৬০০ বেডের মেইন হাসপাতালে মোট ২২টি ওয়ার্ড আছে  । বছরে প্রায় ১০ লক্ষ রোগীর চিকিৎসা ( ইনডোর ও আউটডোর মিলিয়ে ) হয় মেইন হাসপাতালে ।মাত্র ৭০ জন ডাক্তার , ১০০ জন নার্স ও অপর্যাপ্ত স্বাস্হ কর্মি - ড্রেসার – ফার্মাসিস্ট – টেকনিশিয়ান নিয়ে অপ্রতুল স্বাস্হ্য পরিষেবায় বিপাকে পড়ছেন রোগীরা ।অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ঢিলেঢালা ব্যবস্হার সুযোগ নিয়ে বাড়ছে চুরি,অসাধু কাজের প্রবনতা। অন্যদিকে চলছে দৈনন্দিন কাজে অবহেলা,প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করার প্রবনতা। হাসপাতালের ফার্মাসি থেকে সময় উত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। ঠিক কত সংখ্যক ঠিকা শ্রমিক হাসপাতালে কাজ করেন,তার হিসাব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাছে নেই। অক্সিজেন সিলিন্ডার ও হাসপাতালের কিচেনের চুরির ঘটনা নজরে এলেও এখনো নিরাপত্তার বিষয়ে চরম গাফিলতি দেখাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ভাবে চিকিৎসা ব্যবস্হার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কে হেলাফেলা করে বেসরকারীকরনের উদ্যোগ গ্রহন করে চিকিৎসা ব্যবস্হা কে সঙ্কুচিত করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন বক্তরা । বক্তব্য রাখেন সীমান্ত চ্যাটার্জী,তমালি ভট্টাচার্য,দেবাশিস পাল,স্বপন মজুমদার ও প্রফুল্ল মন্ডল।






















No comments:

Post a Comment