দুর্গাপুর , ২১শে অক্টোঃ : আজ দুর্গাপুর ইস্পাত মেইন্ হাসপাতালে সকাল ৫-৪০ মিনিটে কমরেড ফণী ভট্টাচার্যের জীবনাবসান হয়েছে । তিনি ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ ।দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় আশীষ-জব্বর ভবনে । সেখানে অপেক্ষা করছিলেন বিশাল শোকার্ত জনতা । মরদেহ রক্তপতাকায় আচ্ছাদিত করার পরে একে একে মাল্যদান করেন কমঃ রথীন রায় , অজিত মুখার্জী , সন্তোষ দেবরায় , নির্মল ভট্টাচার্য , বিনয় চক্রবর্তী , বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী সহ অন্যান্য পার্টী-নেতৃবৃন্দ । এরপরে মরদেহ ১নং বিদ্যাসগর এভিন্যুতে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের দফ্তর নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে মরদেহে মাল্যদান করেন কমঃ জীবন রায় , অরুন চৌধুরী , আর পি গাঙ্গুলী সহ অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ । পরে বীরভানপুর শশ্মানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ।
সংক্ষিপ্ত জীবনী : ১১/০১/১৯৩৭ সালে অধুনা বাংলাদেশের বরিসালে কমরেড ফণী ভট্টাচার্য্যর জন্ম হয়েছিল । দেশভাগের পর বর্ধমানের দাঁইহাটে তাঁর বাল্যকাল কাটে এবং স্কুলের পড়া শেষ করে নৈহাটির রামমোহন কলেজে থেকে বি.এ. ও বি.কম পাশ করেন ও শিক্ষকতার সাথে যুক্ত হয়েছিলেন । এই সময়ে শিক্ষক আন্দোলনের সাথে এবং কমঃ জগদীশ দাসের সংশ্পর্ষে অবিভক্ত কমিউনিষ্ট পার্টীর সাথে যুক্ত হয়ে ১৯৫৭ সালে পার্টীর সভ্যপদ লাভ করেন । পরে ১৯৬৪ সালে পার্টি ভাগ হলে , তিনি সিপিআই(এম)-র সাথ যুক্ত হন । ১৯৬১ সালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় যোগদান করেন ও ১৯৯৫ চাকরী থেকে অবসরগ্রহন করেন । ৬০'-৭০'র দশকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় শ্রমিক-কর্মচারীদের সংগঠিত করা ও হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নকে সুসংগঠিত করতে কমরেড ফণী ভট্টাচার্য্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন । ৭২'এর সন্ত্রাসের কালো দিন গুলিতে , কমঃ ফণী ভট্টাচার্য্যকে কং-গুন্ডাদের হাতে শারীরিকভাবে নির্যাতিত হতে হয় এবং মিসায় আটক হয়ে বিনা বিচারে ৭ মাস জেলে বন্দী থাকতে হয় । আদর্শ কমিউনিষ্ট সুলভ ব্যক্তিগত জীবন শৈলী অনুসরণ এবং পার্টী - ট্রেড ইউনিয়ন - অন্যান্য গণসংগঠনে পরিচালনায় সুশৃংখলভাবে ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন দুর্গাপুরের অন্যতম প্রবীন পার্টী-সদস্য কমরেড ফণী ভট্টাচার্য্য । তিনি ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টী ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত-২ লোক্যাল কমিটির সদস্য ও হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের OB-সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন । মৃত্যুকালে তাঁর স্ত্রী , প্রাক্তন বিধায়িকা ও মহিলা নেত্রী কমঃ অর্চনা ভট্টাচার্য্য ও তিন কন্যা বর্তমান ।
কমরেড ফণী ভট্টাচার্য্যর মৃত্যুতে ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টী ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ১এ জোনাল কমিটির পক্ষ থেকে গভীর শোকপ্রকাশ করা হয়েছে ।
সংক্ষিপ্ত জীবনী : ১১/০১/১৯৩৭ সালে অধুনা বাংলাদেশের বরিসালে কমরেড ফণী ভট্টাচার্য্যর জন্ম হয়েছিল । দেশভাগের পর বর্ধমানের দাঁইহাটে তাঁর বাল্যকাল কাটে এবং স্কুলের পড়া শেষ করে নৈহাটির রামমোহন কলেজে থেকে বি.এ. ও বি.কম পাশ করেন ও শিক্ষকতার সাথে যুক্ত হয়েছিলেন । এই সময়ে শিক্ষক আন্দোলনের সাথে এবং কমঃ জগদীশ দাসের সংশ্পর্ষে অবিভক্ত কমিউনিষ্ট পার্টীর সাথে যুক্ত হয়ে ১৯৫৭ সালে পার্টীর সভ্যপদ লাভ করেন । পরে ১৯৬৪ সালে পার্টি ভাগ হলে , তিনি সিপিআই(এম)-র সাথ যুক্ত হন । ১৯৬১ সালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় যোগদান করেন ও ১৯৯৫ চাকরী থেকে অবসরগ্রহন করেন । ৬০'-৭০'র দশকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় শ্রমিক-কর্মচারীদের সংগঠিত করা ও হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নকে সুসংগঠিত করতে কমরেড ফণী ভট্টাচার্য্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন । ৭২'এর সন্ত্রাসের কালো দিন গুলিতে , কমঃ ফণী ভট্টাচার্য্যকে কং-গুন্ডাদের হাতে শারীরিকভাবে নির্যাতিত হতে হয় এবং মিসায় আটক হয়ে বিনা বিচারে ৭ মাস জেলে বন্দী থাকতে হয় । আদর্শ কমিউনিষ্ট সুলভ ব্যক্তিগত জীবন শৈলী অনুসরণ এবং পার্টী - ট্রেড ইউনিয়ন - অন্যান্য গণসংগঠনে পরিচালনায় সুশৃংখলভাবে ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন দুর্গাপুরের অন্যতম প্রবীন পার্টী-সদস্য কমরেড ফণী ভট্টাচার্য্য । তিনি ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টী ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত-২ লোক্যাল কমিটির সদস্য ও হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের OB-সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন । মৃত্যুকালে তাঁর স্ত্রী , প্রাক্তন বিধায়িকা ও মহিলা নেত্রী কমঃ অর্চনা ভট্টাচার্য্য ও তিন কন্যা বর্তমান ।
কমরেড ফণী ভট্টাচার্য্যর মৃত্যুতে ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টী ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ১এ জোনাল কমিটির পক্ষ থেকে গভীর শোকপ্রকাশ করা হয়েছে ।
No comments:
Post a Comment