Tuesday 29 October 2013

আক্রন্ত যৌবন , আক্রান্ত জীবন-জীবিকা , গড়ে তোলো গন- প্রতিরোধ ।

দুর্গাপুর , ২৯শে অক্টোঃ : অতিক্রান্ত ২ বছর ৫ মাস । পঃ বঙ্গে মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বাধীন তৃণমূলে সরকারের একের পর এক ভাঁওতাবাজী , বেকার যুবদের কাছে আজ আর অজানা নয় । নতুন শিল্প তো দুরের কথা , একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । সংকটগ্রস্হ হয়ে পড়েছে  দুর্গাপুর - আসানসোল-বাঁকুরা শিল্পাঞ্চল। ইতিমধ্য বন্ধ হয়ে গেছে ১৭টি কারখানা । ধুঁকছে আরও বহু কারখানা । বন্ধ হতে পারে যে কোন মুহূর্তে । একই অবস্হা   বিভিন্ন  রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্প কারখানার । ১৯৯১ সালে গৃহীত মনমোহনীয় - অর্থনীতির মধ্য দিয়ে  ভারতবর্ষে যে আইএমএফ - ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক নির্দেশিত মার্কিন-ঘেষা নয়া উদার অর্থনীতির বাড়-বাড়ন্ত , সেই নীতির প্রত্যক্ষ শিকার দুর্গাপুর - আসানসোল  শিল্পাঞ্চল । বন্ধ হয়ে গেছে এমএমসি , এইচএফসি , বিওজিল , বার্ন এর মতো বহু রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানা । অবশ্য এই কারখানা গুলি বন্ধ হওয়ার সময় প্রতিটি মুহূর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় আলো করেছিলেন  মমতা ব্যানার্জী , কোন প্রতিবাদ করেন নি । উল্টে এমএমসি কারখানা বন্ধ হবে না , এই মিথ্যা স্তোক- বাক্য শুনিয়ে শ্রমিকদের প্রতারিত করেছেন । বিগত বামফ্রন্ট সরকার সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও , এই অঞ্চলে নতুন শিল্প গড়ে তোলা , পুরনো শিল্পগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা এবং রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পের কারখানাগুলিকে পুনরিজ্জীবনে অভূতপুর্ব্ব ব্যবস্হা গ্রহন করেছিল । তারফলে বড়জোরার শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠার মধ্য দিয়ে বাঁকুরায় শিল্প গড়ার কাজ শুরু হয় । দুর্গাপুর - আসানসোল  শিল্পাঞ্চলে ৭০০০০ হাজার নতুন কাজের সৃষ্টি হয় । ডিপিএলের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রর সম্প্রসারণ করা হয় । আজকের অন্ডাল এয়ারোট্রোপলিস ও মেডিক্যাল হাব্  দুর্গাপুর আই-কিউ সিটি এই সবই শুরু ও প্রায় শেষ হয় বামফ্রন্টের আমলে কিন্তু উদবোধনের কৃতিত্ব মমতা ব্যানার্জীর ! বার্নপুরে ইস্কো কারখানা এবং ইসিএলের পুনরিজ্জীবনে  বামফ্রন্টের রাজনৈতিক দৃঢ়তা ও অর্থনৈতিক সহায়তা নজীর সৃষ্টি করেছিল , একথা  কঠোর  সমালোচকরাও মানেন । বিগত বামফ্রন্টের শ্রমিক-যুব স্বার্থবাহী নীতি এবং বর্তমান তৃণমূল সরকারের শিল্পবিরোধী নীতির পার্থক্য আজ পঃ বঙ্গের মানুষ টের পাচ্ছে ।
       তাই  প্রতিবাদের ঝড় উঠছে । আর তারই  প্রকাশ ঘটলো  আজ  ডিওয়াইএফআই এর ডাকে  দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন ময়দানে বিশালতম যুব সমাবেশের মধ্য দিয়ে । আজকের এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভারতের গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন ( ডিওয়াইএফআই ) - র পঃ বঙ্গ রাজ্য সম্পাদক কমঃ জামির মোল্লা , সাংসদ ও প্রাক্তন যুব নেতা বংশগোপাল চৌধুরী এবং   ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র পলিটব্যুরো সদস্য কমঃ নিরুপম সেন ।  সভাপতিত্ব করেন ভারতের গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন ( ডিওয়াইএফআই ) - র পঃ বঙ্গ রাজ্য সভাপতি কমঃ আভাষ রায় চৌধুরী ।
               



                               



No comments:

Post a Comment