দুর্গাপুর,২৪শে এপ্রিল
: দুর্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পের সাথে সাথে সরকারী শিক্ষা ব্যবস্হা এখন মোদি সরকারের
আক্রমনের শিকার হতে চলছে । এন.পি.টি.আই ( ন্যাশানাল পাওয়ার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ) থেকে
এক সার্কুলার (সার্কুলার নং – এনপিটিআই/ইআর/বি.টেক(পিডব্লুই)/অ্যাডমিন ২০১৭/৫৮০২-০৫,তাং-২২/০২/২০১৭)
জারি করে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে এন.পি.টি.আই এর পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এর বি-টেক কোর্সে
ছাত্র ভর্তি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
এন.পি.টি.আই কেন্দ্রের
বিদ্যুৎ দফ্তরের অধীনস্ত একটি সংস্হা । দেশের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের
দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষনের জন্য অন্যতম সংস্হা হিসাবে পরিচিত । ২০০২ সাল থেকে এন.পি.টি.আই
তে পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এর বি-টেক কোর্স চালু
হয় । প্রতি বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬০ জন ছাত্র এন.পি.টি.আই তে পাওয়ার
ইঞ্জিনিয়ারিং এর বি-টেক কোর্সে ভর্তি হয় । এ যাবৎ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের থেকে কৃতিত্বের
সাথে পাশ করে ১০টি ব্যাচের ইঞ্জিনিয়ারা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্হায় কাজ করছেন ।
এই অবস্হায় , ইঞ্জিনিয়ারিং
এর বি-টেক কোর্স টি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তুমুল ছাত্র-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে
। ছাত্ররা দাবী করেছেন অবিলম্বে বি-টেক কোর্স বন্ধের সার্কুলার প্রত্যাহার করে শিক্ষা
মন্ত্রকের অধীনস্হ এ.আই.সি.টি.ই-এর কাছে কোর্স টি চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন
নিতে হবে । তারা এই সংক্রান্ত বিষয়ে মুম্বাই হাইকোর্টের জারী করা স্হগিতাদশ মেনে চলার
দাবীও করেছেন । রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করার জন্য ছাত্ররা আবেদন করেছেন
। এদিকে ছাত্রদের দাবীর সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন দুর্গাপুর ( পূর্ব ) এর বিধায়ক সন্তোষ
দেবরায় , দুর্গাপুর ( পশ্চিম ) এর বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল এবং দুর্গাপুর এর সাংসদ
মমতাজ সংঘমিত্রা ।
সার্কুলার প্রত্যাহার ও কোর্স
টি চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপের দাবী জানিয়ে বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী , কেন্দ্রীয়
বিদ্যুৎ ও শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন ।
No comments:
Post a Comment