Sunday 9 April 2017

বেজে উঠল দ্রোহ কালের দুন্দুভি ….

বেসরকারীকরনের বিরুদ্ধে ১১ই এপ্রিল অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে ধর্মঘট ।



দুর্গাপুর,৯ই এপ্রিল : ভারতের শ্রমিকশ্রেনীর বিরুদ্ধে প্রকারন্তরে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে মোদি সরকার । একদিকে শ্রম আইন সংস্কার ,অন্য দিকে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা নির্বিচারে বিলগ্নীকরন-বেসরকারীকরন সহ দেশীয় শিল্প বিকাশের বিরোধী নীতি নিয়ে চলছে মোদি সরকার । এই নীতির শিকার অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট । কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব বিষয়ে কথা বললেও , অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্হার নির্বিচারে বিলগ্নীকরন-বেসরকারীকরন সহ বন্ধ করে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের অপচেষ্টর বিরুদ্ধে নীরব-নিশ্চুপ কেন ? আজ সন্ধ্যায় দুর্গাপুর ইস্পাতনগরীর আনন্দ-লাবণ্য ভবনে ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও যৌথ মঞ্চের আয়োজিত এক বিশাল সভায় এই প্রশ্ন তোলেন সি.আই.টি.ইউ এর রাজ্য সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী । তিনি বলেন মোদি সরকারের ঘৃণ্য শ্রম আইন সংস্কারে শ্রমিক এর ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রস্তাব সি.আই.টি.ইউ সহ অধিকাংশ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন পত্রপাঠ প্রত্যাখ্যান করেছেন । কিন্তু এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেআইনি ভাবে প্রশাসন ও দলের লোকেদের লেলিয়ে দিয়ে শ্রমিক এর ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন । পঃ বঙ্গের শ্রমিকরা এটা কখনই মানে নি ,মানবে না । অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচানোর লড়াই এর পাশে সারা রাজ্যের শ্রমিকরা সর্বশক্তি দিয়ে দাঁড়াবেন । 

আই.এন.টি.ইউ.সি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জি.সঞ্জীব রেড্ডী পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন যে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট সহ সালেম ও ভদ্রাবতী স্টিল প্ল্যান্ট  বাঁচানোর জন্য কেবল অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট, সালেম ও ভদ্রাবতী স্টিল প্ল্যান্টের   ধর্মঘট শেষ নয়,প্রয়োজনে সমগ্র সেইল সহ সারা ভারতে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে । কেন্দ্রে শ্রমিক-বিরোধী মোদি সরকারের ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন সর্বস্তরে প্রসারিত করতে হবে । রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হায় কেন্দ্র সরকারের লগ্নী করা অর্থ রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা গুলি সূদেমুলে ফেরৎ দিয়েছে । রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা এখন দেশের সম্পত্তি । তাই রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা বিলগ্নীকরন-বেসরকারীকরন সহ বন্ধ করে দেওয়ার কোন অধিকার কেন্দ্রীয় সরকারের নেই । 

এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন বিধায়ক সন্তোষ দেব রায়,বিনয়েন্দ্রকৃষ্ণ চক্রবর্তী,রথীন রায়,রমেন পান্ডে,বিকাশ ঘটক,অসীম সাহা,বাবলা ভ্টাচার্য ও রবি ঠাকুর । বক্তারা সকলেই বেসরকারীকরনের বিরুদ্ধে ১১ই এপ্রিল অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ধর্মঘটকে সফল করার আবেদন জানান । ঐ দিন সেইলের বিশেষ ইস্পাত উৎপাদক কারখানা অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট, সালেম ও ভদ্রাবতী স্টিল প্ল্যান্টের  ‘ স্ট্র্যাটেজিক ডিসইনভেষ্টমেন্ট’ এর জন্য মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবীতে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট, সালেম ও ভদ্রাবতী স্টিল প্ল্যান্টে ধর্মঘট এবং সেইলের অন্যত্র ২ ঘন্টার কর্মবিরতি পালনের ডাক দিয়েছে সেইলের  সি.ই.টি.ইউ সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ট্রেড ইনিয়নের যৌথ মঞ্চ ।


সভা শুরুর আগে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট এর স্টেডিয়াম থেকে এক বিশাল মিছিল সভাস্হলে আসে । পুলিশি অনুমতি না মেলায় সভা মাঠের বদলে সভাগৃহে হয় । স্হান সংকুলান না হওয়ায়,ভীড় উপচে পাশের রাস্তায় চলে যায় । বহু পথ চলিত মানুষও দীর্ঘক্ষন ধৈর্য ধরে বক্তব্য শুনতে দেখা যায় ।
























No comments:

Post a Comment