দুর্গাপুর,৯ই নভেঃ
: রাত পেরোলেই দুর্গাপুরের সগরভাঙ্গার অভিনন্দন লজের রোহিত ভেমুলা মঞ্চ ও গৌরি লঙ্কেশ
নগরে শুরু হবে ভারতের গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের পশ্চিম বর্ধমান জেলার ২১-তম জেলা
সম্মেলন । দু-দিন ব্যাপি ( ৯-১০ নভেঃ ) সম্মেলনের
সূচনায় প্রকাশ্য সমাবেশে সগরভাঙ্গার হাউসিং কলোনীর পোষ্ট অফিস ময়দানে বক্তব্য রাখবেন
ভারতের গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের প্রাক্তন সর্ব ভারতীয় সম্পাদক ও সিপিআই(এম) এর পলিট
ব্যুরো সদস্য মহঃ সেলিম । অভ্যর্থনা সমিতির সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকার জানিয়েছেন যে সারা
জেলার থেকে আগত ২৫০ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নেবেন । সম্মেলনে উদ্বোধন করবেন ভারতের গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের
পঃ বঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক জামির মোল্লা। এই সম্মেলন ঘিরে ইতিমধ্যই শিল্পনগরী দুর্গাপুর
জুড়ে প্রচার ও অর্থ সংগ্রহ চলেছে । ৩০,০০০ লিফলেট বিলি হয়েছে , ১০০ ফেস্টুন লাগানো
হয়েছে । হয়েছে অজস্র দেওয়াল লিখন । দুটি সেমিনার হয়েছে । বক্তব্য রেখেছেন ডঃ অসীম দাসগুপ্ত
ও মানব মুখার্জী ।
আজ সম্মেলন স্হল ঘিরে
চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে । এক ঝাঁক যুব ও যুবতী কর্মী সম্মেলন স্হল নিপুন হাতে সাজিয়ে
তুলেছেন । তাদের সাথে হাত লাগিয়েছেন অন্যান্য গণ আন্দোলনের কর্মীবৃন্দ । উপস্হিত অভ্যর্থনা
সমিতির সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকার জানালেন যে সম্মেলন স্হল ২৯-নং ওয়ার্ডে অবস্হিত । গত
১৩ই আগষ্ট দুর্গাপুর পৌর নির্বাচনের দিন তৃণমূলের ভয়ংকর তম সন্ত্রাসের সামনে রুখে দাঁড়িয়েছিল
এই ওয়ার্ডের বাম কর্মী-সমর্থকরা।
শিল্প-কেন্দ্রীক এই
জেলা রাজ্যের সর্বাধিক শিল্প-নিবির জেলা হিসাবে পরিচিত । বিশেষ করে রাজ্যের সবচেয়ে
বেশী বৃহৎ ও ভারী শিল্প এবং কয়লা খনি অঞ্চল আছে এই জেলায় । কিন্তু কেন্দ্রের মোদি ও
রাজ্যের মমতা ব্যানার্জী সরকারের ‘কৃপাদৃষ্টি’ তে রাজ্যের মূল শিল্পাঞ্চল শুকিয়ে মরা’র
উপক্রম হয়েছে । তার সাথে যুক্ত হয়েছে পুলিশের সহযোগিতায় তৃণমূলের সর্বব্যাপি প্রায় ফ্যাসিবাদী কায়দায় চরম
সন্ত্রাস এবং বিজেপি-আরএসএস ও তৃণমূলের সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প ছড়ানোর কুটিল চক্রান্ত
।
তাই জেলার সাথে সাথে
সারা রাজ্যের যুবক-যুবতীরা , কঠিন সময়ের চ্যালেঞ্জর মোকাবিলায় ভারতের গনতান্ত্রিক যুব
ফেডারেশনের পশ্চিম বর্ধমান জেলার ২১-তম জেলা সম্মেলন কি সিদ্ধান্ত নেয় সে দিকে গভীর
আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করে আছে ।
No comments:
Post a Comment