দুর্গাপুর,২৪শে মার্চ
: দুর্গাপুর মানেই চোখের সামনে ভেসে কল-কারখানা চিমনির ধোঁয়া , মজুরের জীবন-সংগ্রাম
। দুর্গাপুর মানে শ্রমিকের লড়াই , স্বাধীন ভারতে শ্রমিকদের প্রথম ব্যারিকেড-লড়াই,দুর্গাপুর
প্রথম শহিদদ্বয় আশিষ ও জব্বারের রক্তে ভেজা আরও ৩৩ শহিদের বীরভূমি যেখানে আধুনিক প্রযুক্তির
কারখানায় উৎপাদনে একই সাথে ঘাম ঝরায় কোন আশিষ অথবা জব্বার , লড়াই এর ময়দানে হাত ধরে
এগোয় , ঘাতকের উদ্যত বন্দুকের সামনে জোর গলায় হেঁকে বলে- দুনিয়ার মজদুর এক হও । কিন্তু
এর মধ্যেই সারা দেশ,গোটা রাজ্যের সাথে দুর্গাপুরেও ধর্মান্ধ হায়নাদের আনাগোনা শুরু
হয়ে গেছে । শুরু হয়েছে শ্রমজীবি মানুষের ঐক্য ভাঙ্গার জন্য বিভেদের জাল বোনার কাজ ।
তৃণমূল ও আর.এস-বিজেপি-র প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার আসল লক্ষ্য যে মেহেনতি মানুষের জীবন-জীবিকা হরণ করা,গনতান্ত্রিক
অধিকার কেড়ে নেওয়া ও লাল ঝাণ্ডা কে মুছে দেওয়া এ কথা খুব সাম্প্রতিককালে দুর্গাপুরের
পৌর নির্বাচনে তৃণমূলের অভূতপুর্ব ভোট-লুঠে , বিজেপি-র ‘দ্বিতীয়’ হওয়ার ঘটনায় দুর্গাপুরের
মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে । মানুষ প্রশ্ন করছে যেখানে বিজেপি-কে দেখতে হলে অনুবিক্ষন যন্ত্র লাগে , সেখানে
‘দ্বিতীয়’ তো দুরের কথা ‘চতুর্থ’ হওয়াই ভবিতব্য
। কিন্তু শাসক তৃণমূলের সৌজন্যে সংঘ যে প্রভাব বাড়াচ্ছে , এ কথা পরিষ্কার হচ্ছে । রামনবমী-র
পালনের নামে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে ইস্পাতনগরীর পথে
নেমে জানিয়ে দিল - ‘ ধর্ম যার যার,দেশ সবার’ । পার্টির দুর্গাপুর ইস্পাত
১,২,৩ এরিয়া কমিটির ডাকে ইস্পাতনগরীর বুকে নেতাজী ভবন থেকে চন্ডিদাস বাজার পর্যন্ত
ঐক্য ও সম্প্রীতির মিছিলে পা মেলালেন শয়ে শয়ে মানুষ । মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন
সন্তোষ দেবরায়,নির্মল ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
No comments:
Post a Comment