Saturday 24 March 2018

ইস্পাতনগরী জানিয়ে দিল আশিষ-জব্বারের শহিদভূমিতে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্হান নেই ।




দুর্গাপুর,২৪শে মার্চ : দুর্গাপুর মানেই চোখের সামনে ভেসে কল-কারখানা চিমনির ধোঁয়া , মজুরের জীবন-সংগ্রাম । দুর্গাপুর মানে শ্রমিকের লড়াই , স্বাধীন ভারতে শ্রমিকদের প্রথম ব্যারিকেড-লড়াই,দুর্গাপুর প্রথম শহিদদ্বয় আশিষ ও জব্বারের রক্তে ভেজা আরও ৩৩ শহিদের বীরভূমি যেখানে আধুনিক প্রযুক্তির কারখানায় উৎপাদনে একই সাথে ঘাম ঝরায় কোন আশিষ অথবা জব্বার , লড়াই এর ময়দানে হাত ধরে এগোয় , ঘাতকের উদ্যত বন্দুকের সামনে জোর গলায় হেঁকে বলে- দুনিয়ার মজদুর এক হও । কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশ,গোটা রাজ্যের সাথে দুর্গাপুরেও ধর্মান্ধ হায়নাদের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে । শুরু হয়েছে শ্রমজীবি মানুষের ঐক্য ভাঙ্গার জন্য বিভেদের জাল বোনার কাজ । তৃণমূল ও আর.এস-বিজেপি-র প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার  আসল লক্ষ্য যে মেহেনতি মানুষের জীবন-জীবিকা হরণ করা,গনতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া ও লাল ঝাণ্ডা কে মুছে দেওয়া এ কথা খুব সাম্প্রতিককালে দুর্গাপুরের পৌর নির্বাচনে তৃণমূলের অভূতপুর্ব ভোট-লুঠে , বিজেপি-র ‘দ্বিতীয়’ হওয়ার ঘটনায় দুর্গাপুরের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে । মানুষ প্রশ্ন করছে যেখানে  বিজেপি-কে দেখতে হলে অনুবিক্ষন যন্ত্র লাগে , সেখানে  ‘দ্বিতীয়’ তো দুরের কথা ‘চতুর্থ’ হওয়াই ভবিতব্য । কিন্তু শাসক তৃণমূলের সৌজন্যে সংঘ যে প্রভাব বাড়াচ্ছে , এ কথা পরিষ্কার হচ্ছে । রামনবমী-র পালনের নামে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে ইস্পাতনগরীর পথে নেমে জানিয়ে দিল  -  ‘ ধর্ম যার যার,দেশ সবার’ । পার্টির দুর্গাপুর ইস্পাত ১,২,৩ এরিয়া কমিটির ডাকে ইস্পাতনগরীর বুকে নেতাজী ভবন থেকে চন্ডিদাস বাজার পর্যন্ত ঐক্য ও সম্প্রীতির মিছিলে পা মেলালেন শয়ে শয়ে মানুষ । মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন সন্তোষ দেবরায়,নির্মল ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।






No comments:

Post a Comment