Friday 16 February 2024

আরএফআইডি-বায়োমেট্রিক লাগু করতে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় দমন-মূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শ্রমিক বিক্ষোভ।

 


দুর্গাপুর,১৬ই ফেব্রুঃ : আরএফআইডি-বায়োমেট্রিক হাজিরা সম্পর্কিত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের সার্কুলার বাতিলের দাবি নিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ৭ টি ইউনিয়ন, সিআইটিইউ-আইএনটিটিইউসি-আইএনটিইউসি-এআইটিইউসি-এইচএমএস-বিএমএস-এআইইউটিইউসি এর যৌথ আহ্বানে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু হয় । প্রায় চারশ কোটি টাকা খরচ করে বেসরকারী সংস্হার নিয়ন্ত্রনাধীন শ্রমিকদের “নজরবন্দী” করার জন্য এই ইলেক্ট্রনিক সারভাইলেন্স ব্যবস্হা চালু করতে চাইছে । পরে যুক্ত হয়  নায্য বার্ষিক বোনাস,পুর্নাঙ্গ বেতন-চুক্তি,৩৯ মাসের এরিয়ার,বেতন-চু্ক্তিতে ঠিকা শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্তি,দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের আধুনিকীকরন-সম্প্রসারনের কাজ অবিলম্বে শুরু সহ অন্যান্য বকেয়া দাবি। যৌথ মঞ্চের আহ্বানে গত ছয় মাস ধরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় লাগাতার ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন চলছে।

     আরএফআইডি-বায়োমেট্রিক হাজিরা সম্পর্কিত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের সার্কুলার নিয়ে যখন শ্রমিকদের মধ্য তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে,তখন কর্তৃপক্ষ আলাপ-আলোচনার পরিবর্তে একতরফা ভাবে চালু করার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গত বছরের ২৫শে সেপ্টেঃ থেকে ইস্পাত শ্রমিকদের আরএফআইডি-বায়োমেট্রিক হাজিরার উদ্দেশ্যে ছবি তোলার ( ফেস রেকোগনিশন) কর্তৃপক্ষ একতরফা নির্দেশ জারী করে। আরএফআইডি-বায়োমেট্রিক হাজিরার সম্পূর্ন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব আছে বেসরকারী সংস্থার হাতে।ইতিমধ্যেই আধর সহ অন্যান্য সুত্র থেকে বায়োমেট্রিক তথ্য কে চুরি করে সাইবার অপরাধীরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লুঠ করে বহু সাধারন মানুষ কে সর্বশান্ত করেছে।আদালতের বিভিন্ন রায়ে বায়োমেট্রিক তথ্য জোর করে নেওয়ার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট রায় আছে।এই অবস্থায় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষের এহেন উদ্যোগে স্বভাবতই শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও আশংকা তৈরি হয়েছে।এই অবস্থায় গত ১৩ই ফেব্রুঃ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার নগর প্রশাসনিক ভবনে ( টি.এ.বিল্ডিং )-এ ছবি তোলার ( ফেস রেকোগনিশন) জন্য কর্তৃপক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের হুমকি দিলে শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রতিবাদ করলে কয়েক জন আধিকারিক শ্রমিক-কর্মচারী সহ শ্রমিক নেতাদের প্রতি দুর্ব্যবহার করেন বলে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) এর পক্ষে বিশ্বরূপ ব্যানার্জি অভিযোগ করেছেন।পরে গত ১৫ তারিখ ঐ দিনের ঘটনা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ কল্পিত অভিযোগ এনে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ ) এর যুগ্ম-সম্পাদক বাবুরাম শর্ম্মা ও অপর এক শ্রমিক অয়ন দত্ত কে শো-কজ করা হয়। এই ঘটনার বিরুদ্ধে আজ দুপুরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার নগর প্রশাসনিক ভবনে ( টি.এ.বিল্ডিং )-এ শ্রমিক বিক্ষোভ আছড়ে পরে। শ্রমিক বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন ললিত মোহন মিশ্র,বিশ্বরূপ ব্যানার্জি,সীমান্ত চ্যাটার্জি,তাপস রায় ও দেবব্রত ঘোষ। বক্তারা পরিস্কার ভাবে জানিয়েছেন যে অবিলম্বে এই অপমানজনক ও শ্রমিক-বিরোধী শো-কজ এবং আরএফআইডি-বায়োমেট্রিক হাজিরা সম্পর্কিত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের সার্কুলার প্রত্যাহার করতে হবে। কর্তৃপক্ষের এ হেন “মালিক-সুলভ” আচরন-মনোভাব কারখানার উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে তারা উল্ল্যেখ করে বক্তারা ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন কে আরো মজবুত ও তীব্রতর করার জন্য আহ্বান জানান।









No comments:

Post a Comment