Saturday 25 March 2017

অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও-শিল্প বাঁচাও আন্দোলন কে বানচাল করতে ও নারদ-কান্ডে দোষীদের আড়াল করতে তৃণমূলের নৃশংস আক্রমন ।



দুর্গাপুর,২৫শে মার্চ – ইস্পাতনগরীর বিভিন্ন জায়গায় গত ২২শে মার্চ থেকে সিপিআইএম-সিআইটিইউ সহ বিভিন্ন বামপন্হী সংগঠনের উপর তৃণমূলের লাগাতার আক্রমন-সন্ত্রাস চলছে । এর ফলে ১৫ জন আহত হয়েছেন ।আহতদের মধ্যে ৪ জনের আঘাত বেশ গুরুতর ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ২২শে মার্চ । ঐ দিন ,ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী)-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল কমিটির ডাকে নারদ-কান্ডে অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তি,সরকারী টাকায় রাজ্য সরকার নারদ-কান্ডে অভিযুক্তদের পক্ষে দাঁড়ানোর সমালোচনায় ও জেল হেফাজতে এস.এফ.আই নেত্রীদের প্রতি বর্বর আচরনের প্রতিবাদে মিছিল হলে,তৃণমূলীরা মিছিলে দুবার হামলা চালায় । এই হামলায় দেবব্রত দাস,মুস্তাফা বারোভুইঁয়া,প্রদীপ বিশ্বাস,চিত্ত ব্যানার্জী ও সন্তোষ আকুরি আহত হন ।

পরের দিন (২৩শে মার্চ) সন্ধ্যায় ভয়াবহ আক্রমন হয় হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট শাখার দফ্তরে । জনা পনেরো সশস্ত্র তৃণমূলী  দুস্কৃতি হামলা চালায় । সেই সময়ে দফ্তরের ভিতরে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাও আন্দোলন সম্পর্কিত সভা চলছিল । অতর্কিতে হামলায় গুরুতর জখম হন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী)-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল কমিটির সদস্য বিজয় সাহা,বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক সীমান্ত তরফদার ও কল্যান ভট্টাচার্য  ।তাদের ডিএসপি মেইন হাসপাতালে ভর্তি করতে বাধা দেয় তৃণমূল। বাধ্য হয়ে তাদের বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় । অবশ্য পরের দিন (২৪শে মার্চ ) সকালে তাদের ডিএসপি মেইন হাসপাতালে স্হানান্তরিত করা সম্ভব হয় । ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী)-র বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক, প্রাদেশিক কৃষক সভার সম্পাদক অমল হালদার ,গৌরাঙ্গ চ্যাট্যার্জী,আভাষ রায়চৌধুরী,পঙ্কজ রায় সরকার,নির্মল ভট্টাচার্য ও বিধায়ক ( দুর্গাপুর পূর্ব ) সন্তোষ দেবরায় সহ একটি দল হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সাথে দেখা করে আসেন । কিন্তু এরমধ্যেও তৃণমূলের হামলা চলতে থাকে । আক্রান্ত হয় ডি.এস-২ আঞ্চলিক কমিটির দফ্তর ( ১৩/১৭ মার্কনী রোড ) ও এডিসন সেক্টর । এই আক্রমন-সন্ত্রাসের প্রতিবাদে পার্টির পক্ষে আজ দুর্গাপুর থানা ঘেরাও এর কর্মসূচী নেওয়া হয় । বিকাল ৫টার সময় , এক বিশাল মিছিল আশীষ-জব্বার ভবন থেকে শুরু হয়ে থানা অভিমূখে রওনা দিলে,নেতাজী ভবনের কাছে অরবিন্দ-কনিষ্ক মোড়ে,পুলিশ মিছিলের গতি রোধ করে । বাধা পেয়ে ,মিছিলের লোকজন রাস্তায় অবস্হান-বিক্ষোভে বসে পড়েন । অবশেষে পুলিশের উচ্চপদস্হ অফিসারদের অনুরোধে , সন্তোষ দেবরায় এর নেতৃত্বে পার্টির এক প্রতিনিধি দল দুর্গাপুর-আসানসোল কমিসারিয়েটের এডিপিসির কাছে যান এবং স্মারকলিপি জমা দিয়ে অবিলম্বে আক্রমন-সন্ত্রাস বন্ধ ও হামলায় জড়িত  তৃণমূলী  দুস্কৃতিদের গ্র্রেফ্তারের দাবী জানান হয় । এডিপিসির পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্হা গ্রহনের আশ্বাস দেওয়া হয় । ফিরে এসে অবস্হান-বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন সন্তোষ দেবরায় । এরপরে অবস্হান-বিক্ষোভ উঠে যায় । এছাড়াও অবস্হান-বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন  দুর্গাপুর ( পশ্চিম ) এর জাতীয় কংগ্রেসের বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল,পার্টির বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য নির্মল ভট্টাচার্য ও পঙ্কজ রায় সরকার এবং হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের পক্ষে ললিত মিশ্র ।




















































No comments:

Post a Comment