Sunday 6 August 2017

আশিষ-জব্বারের রক্তে রাঙ্গা দুর্গাপুর গনতান্ত্রিক অধিকার বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ।



দুর্গাপুর ,৬ই আগষ্ট : আজ আবারও ৬ই আগষ্ট । দুর্গাপুরের ইতিহাসের সাথে  এই দিনটির অচ্ছেদ্য সম্পর্ক। ১৯৬৬ সালের এই দিনে,শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিক ও লাল ঝাণ্ডা শ্রমিক ইউনিয়ন হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এর সদস্য আব্দুল জব্বার ( ভোর রাত্রি ) এবং ইউনিয়নের সহ-সম্পাদক ও নির্বাচিত ওয়ার্কস কমিটির  আশিষ দাসগুপ্ত ( দিনে ) তৎকালীন রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের পুলিশের লাঠি-গুলিতে শহীদের মৃ্ত্যু বরণ করেন । তার পর থেকে শ্রমিক অধিকার , নাগরিক অধিকার ও গনতান্ত্রিক অধিকার বজায় রাখতে গিয়ে দুর্গাপুরের রাস্তা রাঙ্গা হয়ে গিয়েছে সি.পি.আই.(এম) নেতা-কর্মীর রক্তে । ৩৮ জন শহীদ হয়েছেন। তার মধ্যে,২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে শহীদ হয়েছেন দুই জন । আহত হয়েছেন শত শত । সি.আই.টি.ইউ করার অপরাধে চাকুরী থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে চার হাজারের বেশী ঠিকা শ্রমিক । রাজ্য সরকারে পুলিশ-প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতে সন্ত্রাস চালিয়ে নির্বাচন ভণ্ডুল করে তৃণমূল দখল করে নিয়েছে কো-অপাঃ ব্যাঙ্ক –সমবায়-স্কুল এর পরিচালন সমিতি । কিন্তু  গনতান্ত্রিক অধিকারের টুঁটি চিপে ধরে দুর্গাপুর কে নতজানু করানোর চক্রান্ত মানুষ ব্যর্থ করে দিয়েছে । ভয়ংকর সন্ত্রাসের মধ্যও লাল ঝাণ্ডা উর্ধে তুলে মানুষ লড়াই চালিয়ে গেছে । তৃণমূলকে একে একে পরাস্ত করেছে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিক ইউনিয়ন স্বীকৃতি নির্বাচন ( দু-বার ),মহিলা ব্যাঙ্ক , সেইল সমবায় আবাসন সহ বিগত ২০১৬ সালের বিধান সভা নির্বাচনে দুর্গাপুর ( পূর্ব ) ও দুর্গাপুর ( পশ্চিম ) দুটি আসনে ।
অন্য দিকে , দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের ‘শিল্প-ধ্বংসের’ নীতি নিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার । শিল্পাঞ্চলের প্রান-ভোমরা রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্প অবলুপ্তির দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে । ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানা ২৫ টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে । লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ হারিয়েছে । নতুন কোন শিল্প আসে নি । লোকের মুখে মুখে প্রশ্ন ঘুরছে – ‘মোদি-দিদি’-র সৌজন্যে দুর্গাপুর কি ‘দুর্দশাপুর’ হয়ে যাবে ?
দুর্গাপুরের মানুষের দুর্দশার জন্য আজ তৃণমূল ও বিজেপি আজ আসামীর কাঠগড়ায় ।
আগামী ১৩ই আগষ্ট দুর্গাপুর নগর নির্বাচনে দুর্গাপুর আবার তৈরি হচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপি কে পরাস্ত করতে ।

আজ সকালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইস্পাতনগরী সহ গোটা দুর্গাপুরে পালিত হয় দুর্গাপুরের প্রথম শহীদদ্বয় আশিষ-জব্বার সহ সমস্ত শহীদের স্মরনে শহীদ দিবস । সকালে বি.টি.রণদিভে  ভবনে ( ১নং বিদ্যাসাগর এভিন্যু ) রক্তপতাকা উত্তোলন করেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জী ও অরুন চৌধুরী । পরে আশীষ মার্কেট এর মূল অনুষ্ঠানে ও আশীষ-জব্বার ভবনে রক্তপতাকা উত্তোলন করেন করেন রথীন রায় । শহীদবেদীতে মাল্যদান করেন রথীন রায়,সন্তোষ দেবরায়,পি কে দাস,জীবন রায়,নির্মল ভট্টাচার্য,সুবীর সেনগুপ্ত, বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,অরুন চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।

সকালে  হিন্দুস্থান স্টীল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন(সি.আই.টি.ইউ) -র উদ্যোগে শহীদ দিবস উপলক্ষে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও অভিভাবকদের জন্য তাৎক্ষনিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় বি.টি.রণদিভে ভবনে ।






















No comments:

Post a Comment