Tuesday 29 January 2019

পশ্চিমবঙ্গের গনতন্ত্র হত্যার নায়িকা ও গুজরাট গণহত্যার নায়কদের মুখে গনতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না : অনাদি সাহু




দুর্গাপুর,২৯শে জানুয়ারী: আজ সন্ধ্যায় ইস্পাতনগরীর ইতিহাস-বিজরিত আশিস মার্কেটে ৩রা-র জনতা-ব্রিগেডে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে মিনি-ব্রিগেডে এই বক্তব্য রাখেন রাজ্য সি.আই.টি.ইউ এর সম্পাদক অনাদি সাহু ।ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী)-র দুর্গাপুর ইস্পাত ১,২ ও ৩ এরিয়া কমিটির আহ্বানে এই সভা হয় ।
তিনি বলেন যে রাজ্য ও কেন্দ্রিয় সরকারের জনবিরোধী নীতির অদ্ভূদ সাদৃশ্য আছে । উভয় সরকার রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা তুলে দেওয়ার নীতি নিয়েছে ।ফলে কর্মসংস্হান,দেশের অর্থনীতি,জাতীয় নিরাপত্বা বিপন্ন। নয়া অর্থনৈতিক নীতির ফলে এ যাবৎ ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকার বিলগ্নীকরন হয়েছে । মোদি সরকার এফ.আর.ডি.আই বিল এনে জনগনের টাকা লুঠ করতে চেয়েছে । রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে কর্পোরেটদের  লক্ষ কোটি টাকার অনাদায়ী ঋন দিতে বাধ্য করা হয়েছে অথচ কৃষকরা সহায়ক মূল্য পায় না ।
বিগত ৮-৯ ই জানুয়ারী দু-দিন ব্যাপি ধর্মঘটে গোটা দেশের সাথে রাজ্যও অভূতপূর্ব সফল হয়েছে । এই ধর্মঘট ছিল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কিন্তু ধর্মঘট ভাঙ্গতে মোদির পক্ষে পথে নামল রাজ্য পুলিশ ও তৃণমূলীরা শুধু নয় ,রাস্তায় নামলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ! অথচ তিনিই ফাঁকা ব্রিগেডের সভা থেকে ডাক দিয়েছেন দেশের গনতন্ত্র বাঁচাতে ! অন্যদিকে গুজরাট গণহত্যার নায়কদের হাতে আজ সারা দেশে গনতন্ত্র বিপন্ন । তারাই আবার বলছেন পশ্চিম বঙ্গের গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেন ! প্রতিবাদ করলে শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবিরা পর্যন্ত খুন হচ্ছেন আরএসএস এর নিকট সংগঠনের হাতে । বিপন্ন দেশের সাংবিধানিক সংস্হাগুলি । জনগনের মৌলিক সমস্যা সমাধান করার বদলে উদার অর্থনীতির শোষন তীব্র করে কর্পোরেট সংস্হার ঝুলিতে মুনাফার পাহাড় তুলে দেওয়ার জন্য হিন্দু রাষ্ট্রের সুড়সুড়ি দেওয়া হচ্ছে । প্রতিবাদ করলে আর.এস.এস-বিজেপি ‘দেশদ্রোহি’ আখ্যা দিচ্ছে অথচ এরাই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয় নি , এদের অনেক নেতা সেই সময়ে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন । কেন্দ্র ও রাজ্যে চলছে অবাধ দূর্ণীতি। কেন্দ্র থেকে মোদি সরকারকে বিদায়ের আজ সময় এসেছে । একই ভাবে পরাস্ত করতে হবে তৃণমূল কে । কোন পথে তৃণমূল ও বিজেপি-র বিদায় হবে বামপন্হী তার দিশা জানাবে আগামী ৩রা ফেব্রুঃ বিগ্রেডে সভায় । অনাদি সাহু  বিগ্রেড সমাবেশ কে সফল করার আহ্বান জানান ।
এর আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার সম্পাদক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জী বলেন যে তৃণমূল ও বিজেপি ঘরানার দল । বিজেপি দিল্লিতে যা করে ,আমাদের রাজ্যে তৃণমূল একই কাজ করছে । উভয় দল সাম্প্রদায়িক মেরুকরনের চেষ্টা করছে। উভয় দল কে পরাস্ত করতে হবে । আজকের সভায় সভাপতিত্ব করেন দুর্গাপুর(পূর্ব)-এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় । উপস্হিত ছিলেন নির্মল ভট্টাচার্য,সুবীর সেনগুপ্ত,বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তি,পঙ্কজ রায়সরকার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । সভার শুরুতে গণসংগীত পরিবেশন করেন লহরীর শিল্পী বৃন্দ ।














No comments:

Post a Comment