দুর্গাপুর,২৯শে জানুয়ারী:
আজ সন্ধ্যায় ইস্পাতনগরীর ইতিহাস-বিজরিত আশিস মার্কেটে ৩রা-র জনতা-ব্রিগেডে যোগদানের
আহ্বান জানিয়ে মিনি-ব্রিগেডে এই বক্তব্য রাখেন রাজ্য সি.আই.টি.ইউ এর সম্পাদক অনাদি
সাহু ।ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী)-র দুর্গাপুর ইস্পাত ১,২ ও ৩ এরিয়া কমিটির
আহ্বানে এই সভা হয় ।
তিনি বলেন যে রাজ্য
ও কেন্দ্রিয় সরকারের জনবিরোধী নীতির অদ্ভূদ সাদৃশ্য আছে । উভয় সরকার রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা
তুলে দেওয়ার নীতি নিয়েছে ।ফলে কর্মসংস্হান,দেশের অর্থনীতি,জাতীয় নিরাপত্বা বিপন্ন।
নয়া অর্থনৈতিক নীতির ফলে এ যাবৎ ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকার বিলগ্নীকরন হয়েছে । মোদি সরকার
এফ.আর.ডি.আই বিল এনে জনগনের টাকা লুঠ করতে চেয়েছে । রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে কর্পোরেটদের
লক্ষ কোটি টাকার অনাদায়ী ঋন দিতে বাধ্য করা
হয়েছে অথচ কৃষকরা সহায়ক মূল্য পায় না ।
বিগত ৮-৯ ই জানুয়ারী
দু-দিন ব্যাপি ধর্মঘটে গোটা দেশের সাথে রাজ্যও অভূতপূর্ব সফল হয়েছে । এই ধর্মঘট ছিল
মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কিন্তু ধর্মঘট ভাঙ্গতে মোদির পক্ষে পথে নামল রাজ্য পুলিশ ও তৃণমূলীরা
শুধু নয় ,রাস্তায় নামলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ! অথচ তিনিই ফাঁকা ব্রিগেডের সভা থেকে ডাক
দিয়েছেন দেশের গনতন্ত্র বাঁচাতে ! অন্যদিকে গুজরাট গণহত্যার নায়কদের হাতে আজ সারা দেশে
গনতন্ত্র বিপন্ন । তারাই আবার বলছেন পশ্চিম বঙ্গের গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেন ! প্রতিবাদ
করলে শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবিরা পর্যন্ত খুন হচ্ছেন আরএসএস এর নিকট সংগঠনের হাতে
। বিপন্ন দেশের সাংবিধানিক সংস্হাগুলি । জনগনের মৌলিক সমস্যা সমাধান করার বদলে উদার
অর্থনীতির শোষন তীব্র করে কর্পোরেট সংস্হার ঝুলিতে মুনাফার পাহাড় তুলে দেওয়ার জন্য
হিন্দু রাষ্ট্রের সুড়সুড়ি দেওয়া হচ্ছে । প্রতিবাদ করলে আর.এস.এস-বিজেপি ‘দেশদ্রোহি’
আখ্যা দিচ্ছে অথচ এরাই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয় নি , এদের অনেক নেতা সেই
সময়ে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন । কেন্দ্র ও রাজ্যে চলছে অবাধ দূর্ণীতি। কেন্দ্র
থেকে মোদি সরকারকে বিদায়ের আজ সময় এসেছে । একই ভাবে পরাস্ত করতে হবে তৃণমূল কে । কোন
পথে তৃণমূল ও বিজেপি-র বিদায় হবে বামপন্হী তার দিশা জানাবে আগামী ৩রা ফেব্রুঃ বিগ্রেডে
সভায় । অনাদি সাহু বিগ্রেড সমাবেশ কে সফল করার
আহ্বান জানান ।
এর আগে বক্তব্য রাখতে
গিয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার সম্পাদক গৌরাঙ্গ
চ্যাটার্জী বলেন যে তৃণমূল ও বিজেপি ঘরানার দল । বিজেপি দিল্লিতে যা করে ,আমাদের রাজ্যে
তৃণমূল একই কাজ করছে । উভয় দল সাম্প্রদায়িক মেরুকরনের চেষ্টা করছে। উভয় দল কে পরাস্ত
করতে হবে । আজকের সভায় সভাপতিত্ব করেন দুর্গাপুর(পূর্ব)-এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় ।
উপস্হিত ছিলেন নির্মল ভট্টাচার্য,সুবীর সেনগুপ্ত,বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,বিনয়েন্দ্র কিশোর
চক্রবর্তি,পঙ্কজ রায়সরকার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । সভার শুরুতে গণসংগীত পরিবেশন করেন
লহরীর শিল্পী বৃন্দ ।
No comments:
Post a Comment