দুর্গাপুর,৮ই ফেব্রু
: আজ সকালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ব্লাষ্ট ফার্ণেস ও র’ মেটেরিয়ালস্ হ্যাণ্ডেলিং
বিভাগে বিএফ গ্যাস লিক করার ফলে চার জন শ্রমিক অসুস্হ হয়ে পড়েন । তার মধ্যে দু-জন শ্রমিক
কে পরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত
তাদের অবস্হা স্হিতিশীল । খবরে প্রকাশ গ্যাস পাইপ লাইনের ওয়াটার-সিল ঠিকমত কাজ না করার
ফলে এই বিপত্তি । বিএফ (ব্লাষ্ট ফার্ণেস ) গ্যাসে কার্বন মনোক্সাইডের পরিমান ২২-২৮
শতাংশ থাকার ফলে মানুষের শরীরে বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে মৃত্যু ডেকে আনতে পারে ।
এ দিকে দুর্ঘটনার খবর ছড়াতেই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় । ছুটে আসেন
হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) সহ অন্যান্য ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ
। র’ মেটেরিয়ালস্ হ্যাণ্ডেলিং বিভাগের জিএম এর কাছে শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হলে সামাল
দিতে ছুটে আসেন কারখানার জিএম ( সেফটি ) । ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ কারখানার এক এর পর এক ঘটে
যাওয়া দুর্ঘটনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন । তারা কারখানার
নিরাপত্তার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অবিলম্বে সক্রিয় ভুমিকা পালনের জোড়ালো দাবি জানান । হিন্দুস্হান
স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) এর পক্ষে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী জানিয়েছেন যে কর্তৃপক্ষ
গ্যাস পাইপ লাইনের রক্ষনাবেক্ষন ও নজরদারি বিভাগ কে ধারাবাহিকভাবে অবহেলা করে চলছে
। ফলে ভবিষ্যৎে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা থেকেই যাচ্ছে । অন্যদিকে কারখানার নিরাপত্তা
বৃ্দ্ধি করতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বমূলক বিভিন্ন স্তরের সেফটি
কমিটি গুলি কর্তৃপক্ষ নিষ্ক্রিয় করে রাখার ফলে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে । হিন্দুস্হান
স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ) এর পক্ষ থেকে বারংবার সেফটি কমিটি গুলি চালু
করা ও পূর্ণ নিরাপত্তার স্বার্থে রক্ষনাবেক্ষন ও নজরদারির জন্য উপযুক্ত ব্যয়বরাদ্দের
দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি । আজকের দুর্ঘটনা আবারও ইউনিয়নের সতর্ক বার্তা
গ্রাহ্য করা জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছে ।
No comments:
Post a Comment