দুর্গাপুর,২রা ফেব্রুঃ
: আজ সকালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অর্জুন মূর্তির সামনে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ
ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ ) এর ডাকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ সমাবেশে সামিল হন । গত দুবছর ধরে
ইস্পাত শ্রমিকদের বেতন-চুক্তি বকেয়া হয়েছে অথচ এন.জে.সি.এস আলোচনা শুরুর নামগন্ধও নেই
। এমন কি বিগত বেতন-চুক্তির বহু বিষয় এখনও বকেয়া পরে আছে । নাগরিক পরিষেবা,হাসপাতাল
পরিষেবা,জমি-কোয়ার্টার লিজিং-লাইসেন্সিং এর মত বিভিন্ন স্পর্ষকাতর বিষয় সমাধানের বদলে
কর্তৃপক্ষ অযথা টালবাহানা করছে । অন্যদিকে এই ইস্পাতনগরী,অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ,
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা সহ গোটা দুর্গাপুর মোদির নীতির ফলে বিপন্ন হয়ে পড়ছে । আন্তর্জাতিক মানের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট কে বিক্রি করতে
চেয়েছে মোদি সরকার । বিনিয়োগ না করার ফলে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা সেইলের মধ্যে ছোট
প্ল্যান্টে পরিনত হয়ে সংকটে পড়তে চলেছে । অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বিলগ্নীকরনের সিদ্ধান্ত
বাতিল ,অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনকিকরন-সম্প্রসারনের
ও সি.আই.টি.ইউ করার অপরাধে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার উচ্ছেদ হওয়া ৩৫০০ ঠিকা শ্রমিক
কে অবিলম্বে কাজে বহাল করার দাবীতে গত তিন বছর ধরে ইস্পাত শ্রমিক সহ দুর্গাপুরের মানুষ
তীব্র লড়াই চালাচ্ছেন ।
ট্রেনি-শ্রমিকরা রীতিমত নিপীড়নের মুখে পড়েছেন ।
এই অবস্হায় ঐতিহ্যমন্ডিত
নেহেরু স্টেডিয়াম কে মোদি-বিজেপির জনসভার জন্য ব্যবহারের অনুমতি ইস্পাত শ্রমিক সহ দুর্গাপুরের
মানুষের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।
যে স্টেডিয়াম থেকে দুর্গাপুরের
একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের খেলোয়ার তৈরি হয়েছে এবং নবীন প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদরা
ব্যবহার করছেন ,সেই স্টেডিয়াম কে রাজনৈতিক সভার কাজে ব্যবহার জন্য খোঁড়াখুড়ি করতে দেখে
ইস্পাত শ্রমিক সহ ইস্পাতনগরীর নাগরিক ও ক্রীড়াবিদরা, আতংকিত ও ক্ষুব্দ । এর বিরুদ্ধে
তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ
) এর পক্ষ থেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষ চিঠি দেওয়া হয়েছে ।
আজ এই সব বিষয়ে তীব্র
প্রতিবাদ জানিয়ে ও অবিলম্বে সমাধানের দাবি জানিয়ে ইস্পাত শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখান ।
হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সি.আই.টি.ইউ ) এর পক্ষে বিশ্বরূপ ব্যানার্জী জানিয়েছেন
মোদি সরকারের শ্রমিক-বিরোধী নীতি ও স্টেডিয়াম ধ্বংসের বিরোধীতা করার জন্য ইস্পাত শ্রমিকরা
বিক্ষোভ দেখানোর রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন ।
No comments:
Post a Comment